আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

টাইগারদের বিপক্ষে আফগানিস্তানের দল ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে দল ঘোষণা করল আফগানিস্তান। রবিবার ১৯ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

টেস্ট না খেললেও ওয়ানডেতে থাকছেন তারকা স্পিনার রশিদ খান। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন নুর আহমেদ ও ফরিদ আহমেদ মালিক। দলে জায়গা পেয়েছেন সাইদ আহমেদ শিরজাদ, সেলিম শাফি, জিয়া আকবর ও ইজারুল হক নাভিদ। আগামী ৫ থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে সিরিজ।

আরও পড়ুন<< গিনির জালে ব্রাজিলের গোল উৎসব

আফগান ওয়ানডে দল:

হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, শহীদউল্লাহ কামাল, ইব্রাহিম আলখিল, রশিদ খান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মুজিব-উর-রহমান, ফজলহক ফারুকী, জিয়া আকবর, ইজারুল হক নাভিদ, আব্দুল রহমান, সেলিম শাফি, সাইদ আহমেদ শিরজাদ।


আরও খবর



মিঠাপানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিঠাপানির মাছ আহরণে চীনকে টপকে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান মন্ত্রী।

মো. আব্দুর রহমান বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী মিঠাপানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ চীনকে টপকে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। বদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। ক্রাস্টাশিয়ান্স উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম এবং সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে ১৪তম স্থান অধিকার করেছে।

মন্ত্রী জানান, দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনের মিঠাপানির মৎস্য উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে দ্বিতীয়। অপরদিকে বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে তৃতীয়। গত দুই বছরে দেশের মিঠাপানির মৎস্য উৎপাদন ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৩২ মিলিয়ন টনে উন্নীত হয়েছে। চীনের উৎপাদন ১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন টন থেকে কমে ১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন টন হয়েছে। এ কারণে দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২৪-এর প্রতিবেদনে চীনকে টপকে দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ।

মাছ চাষে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে, এ বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি চ্যালেঞ্জ। তবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে। মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দেশীয় প্রজাতির মাছের জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে, অভয়াশ্রম করা হচ্ছে। উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, কারেন্ট জাল গোটা বাংলাদেশকে ছেয়ে ফেলেছে। কারেন্ট জাল দিয়ে মাছের রেণু পোনা পর্যন্ত ধরা হচ্ছে। আমরা দেশে কারেন্ট জাল নিষিদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু উৎপাদনকারীরা কোর্টে রিট করেছে। আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি।

মাছ রফতানির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা মাছ রফতানি করছি। তবে ভবিষ্যতে রফতানি আয় বৃদ্ধির জন্য আরও নিরাপদভাবে মাছ প্রসেসিংয়ের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর।


আরও খবর



রাশিয়ায় কারাগারে ছয় জনকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী দুই কারারক্ষীকে উদ্ধারসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ গুলি করে হত্যা করা হয়।

রোববার (১৬ জুন) ওই দুই কারারক্ষীকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রসটভে কারাগারে জিম্মি করা হয়। দেশটির স্থানীয় মিডিয়ার খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের কয়েকজন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসর সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এছাড়া এ বছরের মার্চে মস্কোর কনসার্ট হলে ভয়াবহ হামলার জন্য দায়ী ছিল এই গোষ্ঠীটি।

ছয় জিম্মিকারীদের মধ্যে একজনের মাথায় হেডব্যান্ড দিয়ে আইএসর পতাকা বাঁধা ছিল। যেখানে আরবিতে কিছু লেখা ছিল। কারারক্ষীদের উদ্ধার করতে গেল তারা রাশিয়ার বিশেষ বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে।

টেলিগ্রাম চ্যানেল ১১২ তে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই ছয় জনের একজন ছুরি নিয়ে কারারক্ষীদের ওপর হামলা চালায় এবং কারাগার থেকে বের হওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালায়। এ অবস্থায় রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী কারাগারে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। টেলিগ্রামে চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে স্বয়ংক্রিয় গুলির শব্দ শোনা যায়। এছাড়া ওই ভিডিওতে নিহত ছয় জনের রক্ত গড়িয়ে যেতে দেখা যায়।

রাশিয়ার ফেডারাল পেনিটেনশিয়ারি সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জিম্মিদের উদ্ধারে এক বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। তারা নিরাপদে আছে।

রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জিম্মিকারীদের মধ্যে তিনজন রাশিয়ার দক্ষিণ প্রজাতন্ত্র ইংগুশেটিয়ার বাসিন্দা। ২০২২ সালে রুশ প্রজাতন্ত্র কারাচে-চের্কেসিয়ার আদালতে হামলার পরিকল্পনা করার জন্য তাদের আটক করা হয়েছিল।


আরও খবর



কোরবানির আগে টুংটাং শব্দে মুখরিত কামারশালা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

লোহা পেটানোর টুংটাং শব্দে মুখর এখন উপজেলার কামার পাড়াগুলো। কোরবানিকে কেন্দ্র করে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লোহা পিটিয়ে কামাররা তৈরি করছেন দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি। এসব জিনিস দুই ধরনের লোহার উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়। একটি স্প্রিং লোহা (পাকা লোহা) এবং আরেকটি কাঁচা লোহা। লোহা ও কয়লার দাম গত বছরের চেয়ে এবার বেড়েছে। তাই গত বছরের চেয়ে এসব জিনিসের দামও বেশি।

ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি তৈরিতে দম ফেলার ফুরসত নেই কামারদের। দেশীয় জাতের লোহার এসব জিনিসপত্র তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার স্থানীয় কামারেরা।

কোরবানি ঈদে গরু, ছাগল, মহিষ কোরবানির পশু হিসেবে জবাই করা হয়। ঈদের দিন সকাল থেকে কোরবানির পশু জবাই চলে। এসব পশুর গোশত কাটতে দা-বঁটি, ছুরি, ধামা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অপরিহার্য। কোরবানির পশু কাটা-কাটিতে চাই এসব ধারালো অস্ত্র।

শুক্রবার (১৪ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, খানসামা বাজার, উপজেলার পাকেরহাট বাজার, কাচিনীয়া বাজার, বোটের হাট, চৌরঙ্গী বাজারসহ বিভিন্ন গ্রামের হাট বাজারে।

এবার প্রতিটি ধারালো দা বিক্রয় হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকা, কোরবানির ছুরি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, পশুর হাড় কাটার জন্য চাপাতি ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, চামড়া ছাড়ানোর চাকু ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, নারিকেল কোরানি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, মাংস কাটার বটি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। তাছাড়া অন্যান্য কৃষি উপকরণ ধানকাটার কাঁচি, লাঙ্গলের ফলাসহ অন্যান্য তৈজসপত্রও ভালো দামে বিক্রয় হয়ে থাকে।

উপজেলার কয়েকজন কর্মকার জানান, বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কোরবানির ঈদে তাদের আয় রোজগার অনেক বেশি হয়। এমনিতে সারা বছর কাজ অনেক কম থাকে। এর মধ্যে কয়দিন পর পর লোহার দাম বেড়ে যায়। এতেই তারা বেকায়দায় পড়েন। ভালো চালান থাকলে আগে থেকে লোহা কিনে রাখতে পারলে ভালো লাভ পাওয়া যেত বলেও জানান তারা।

তাছাড়া পশু জবাই থেকে শুরু করে মাংস তৈরির কাজে প্রয়োজনীয় ওইসব হাতিয়ারের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। তাই ঈদের পূর্বেই কোরবানির পশু জবাই কাজের হাতিয়ার সংগ্রহে কামারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেন স্থানীয় কসাই, কৃষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।

উপজেলার হোসেনপুর কামারপাড়ার কর্মকার মানিক বলেন, এখন কিছু আয় হলেও সারাবছর আমাদের টুকটাক করে চলতে হয়। আমি আগে ডাঙ্গারহাটে তৈরি করতাম এবং সেখানেই বিক্রি করতাম হাট ভেঙে যাওয়ায় এখন বাড়িতে তৈরি করে বিক্রি করি।

উপজেলার পাকেরহাট এলাকার কামার দয়াল চন্দ্র রায় বলেন, পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই পেশায় আছি। সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে তাই আগের মতো আর লাভ নেই। পরিবার নিয়ে কোনোরকম দিন পার করছি।

স্থানীয় ক্রেতারা জানান, আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ। গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে দা, বঁটি, চাকু ও ছুরির প্রয়োজন। এজন্য বাজারে দা, বঁটি ও ছুরি কিনতে এসেছি। তবে গত বছরে এসব জিনিসের দাম খানিকটা বেশি।

চাপাতি কিনতে আসা আব্দুর সুবাহান বলেন, আগের চাপাতিটা আর চলে না। তাই দাম দর করে একটি চাপাতি নিয়েছি ৪০০ টাকায়। মাংস ও হাড় কাটার জন্য এটা কিনেছি।

খানসামা বাজারে কোরবানির যন্ত্রপাতি কিনতে আসা আ. সালাম বলেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এই সময়ে অনেক ভিড় থাকে। বাজারে অনেক দোকান থাকায় এখানে অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে কাজ করা যায়। তবে লোহার দাম বাড়ায় এসব যন্ত্রপাতির দামও বেড়েছে।

নিউজ ট্যাগ: কামারশালা

আরও খবর



সোনা-হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে বছরে ৯১ হাজার কোটি টাকা পাচার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সোনা ও হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে প্রতি বছর দেশ থেকে ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। এই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করে বলে জানায় সংগঠনটি। সোমবার (৩ জুন) সকালে বাজুসের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস কার্যনির্বাহী কামিটির সহ-সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান-স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান মো. রিপনুল হাসান, সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, কার্যানির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান-স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান মো. রিপনুল হাসান বলেন, প্রতিদিন দেশের জল, স্থল ও আকাশপথে কমপক্ষে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার, সোনার বার, ব্যবহৃত পুরোনো জুয়েলারি (যা ভাঙারি হিসেবে বিবেচিত হয়) ও হীরার অলংকার (ডায়মন্ড জুয়েলারি) চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। বছর শেষে যার পরিমাণ প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বেশি।

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তথ্য অনুযায়ী, যদি বৈধ পথে এসব সোনা আমদানি করা হতো, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকে ২২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ জমা পড়তো। এ থেকে সরকার রাজস্ব পেতো প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

এসময় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রার দাম বৃদ্ধি এবং বেপরোয়া চোরাচালানের কারণে বহুমুখী সংকটে পড়েছে দেশের জুয়েলারি শিল্প। এ পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের পাশাপাশি ৭ দফা সুপারিশ করে বাজুস।

ঢাকা কাস্টমসের তথ্যমতে, শুধু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমেই ২০২০ সালে ২ দশমিক ৭৭৫ টন, ২০২১ সালে ২৫ দশমিক ৬৮৯ টন, ২০২২ সালে ৩৫ দশমিক ৭৩৩ টন এবং ২০২৩ সালে ৩১ দশমিক ৪৬৮ টন সোনার বার ব্যাগেজ রুলের আওতায় আমদানি হয়েছে।

এছাড়া, ২০২০ থেকে ২০২২ সালে শিল্পে ব্যবহারের জন্য ৪টি চালানে ২ কেজি ১৬০ গ্রাম হীরা আমদানি করা হয়েছে। তবে কোনো হীরার অলঙ্কার আমদানি হয়নি। গত ১৯ বছরে যত হীরা আমদানি হয়েছে, তার ৮৭ শতাংশই আনা হয়েছে ভারত থেকে। ভারতের গুজরাটের সুরাটে বিশ্বের ৬৫ শতাংশের বেশি হীরা কাটিং ও পলিশিং করা হয়। খুব সহজে বহন করা যায় বলে দেশটি থেকে অবৈধভাবে হীরা আসছে বলে ধারণা অনেকেরই।


আরও খবর



ভারতের সঙ্গে বৈরিতা করে দেশের ক্ষতি করেছে জিয়া-খালেদা: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারতের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক সৃষ্টি করে দেশের ক্ষতি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর কোথাও কখনো শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়নি। কিন্তু আমাদের দেশে তা শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে, কারণ আমরা সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ থাকলে আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা যায়। অথচ জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ভারতের সঙ্গে বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন। খালেদা জিয়া তো ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানিচুক্তির কথা বলতেই ভুলে গিয়েছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়া আর খালেদা ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক তৈরি করে দেশের যে ক্ষতি করেছিল, আমরা তা করতে চাই না। ভারতে সঙ্গে আমাদের সুন্দর কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে, এটাই আমরা চাই।

তবে এ সম্পর্ক কোনভাবেই জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সব সমস্যা আলোচনার টেবিলে সমাধান করবো। বন্ধুত্বপূর্ণ, ভারসাম্যপূর্ণ ও সম্মানজনক সম্পর্ক চাই। জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কারো সাথে সম্পর্ক রাখবো না।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সিলেটে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ত্রাণ কার্যক্রম এবং উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে। সিলেট অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিদের পানিবন্দি মানুষকে সাধ্যমতো সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভাসহ ১০ দফা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজধানীতে শুক্রবার (২১ জুন) বেলা ৩টায় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর