আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

তালিকার চেয়ে কম দামে মাছ-মাংস বিক্রি

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

‘লন লন কম দামে মুরগি লন। পাকিস্তানি কর্ক মুরগি লন ২৮০ টাকা কেজি, তালিকার চেয়ে ২০ টাকা কম। দেশি মুরগির কেজিতেও ৫০ টাকা কমে ৫৫০ টাকা কেজি।’ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এভাবেই মূল্য তালিকার চেয়ে কম দামে মুরগি বিক্রির কথা জানান কারওয়ান বাজারের ভাই ভাই মুরগির আড়তের আমান উল্লাহ।

একইভাবে গরুর মাংস বিক্রেতা রুবেল বলেন, কম দামেই বিক্রি করা হচ্ছে গরুর মাংস। ৬৫০ টাকার মাংস ৬৩০ টাকা কেজি।’ খাসির মাংসও তালিকার চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বেশি নিলে আরও কম দামে বিক্রির কথা জানান বিক্রেতারা। শুধু মাংস নয়, মাছের বাজারেও একই চিত্র। তালিকার চেয়ে কম দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, রমজানের মাঝামাঝিতে বাজারে ক্রেতারা তুলনামূলক কম আসছেন। তাই একটু কম দামেই বিক্রি করা হচ্ছে।

আমান উল্লাহ বলেন, শুধু পাকিস্তানি বা দেশি মুরগির দাম যে কম তা নয়, রমজানে পোল্ট্রি মুরগির দামও কমেছে। তালিকায় ১৭০ টাকা কেজি লেখা থাকলেও ১৬৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’ একই বাজরের সততা মুরগির আড়তের বিল্লাল বলেন, ৩০০ টাকা কেজি পাকিস্তানি কর্ক। নিলে ২৮০ টাকা কেজি দেওয়া যাবে। দেশি মুরগি ৬০০ টাকা লেখা থাকলেও ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। আর পোল্ট্রি ১৬৫ টাকা কেজি।’

এদিকে, খাসির মাংস ৯৫০ টাকা লেখা থাকলেও ৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এভাবে বেশি দাম লিখে কম দামে বিক্রি করার কারণ কি? জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলছেন, সব কিছু একই দামে বিক্রি হয় না। তাই তালিকার চেয়ে কম দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। যাতে ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে।

একই চিত্র দেখা গেছে মাছের বাজারেও। বিক্রেতারা বলছেন, রমজানে মাছের দাম বাড়েনি। আগের মতোই মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। তাই মাছের বাজার স্থিতিশীল বলে বিক্রেতারা জানান। কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা এনামুল হক বলেন, আকারভেদে রুই ও কাতলা ২০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। খুব ভালোটা অর্থাৎ জীবিত মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে’।

চিংড়ির কেজি আকারভেদে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, সবচেয়ে বড়টা ১২০০ টাকা কেজি। চাষের শিং মাছ ৩০০, দেশি শিং ৬০০-৭০০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা ও দেশি কই ৫০০ টাকা, দেশি শোল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০ থেকে ৭০০, আইড় আকারভেদে ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

ইলিশ মাছ আকার ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা আ. মান্নান বলেন, ইলিশ কেজির নিচে ১২০০ টাকা আর বেশি হলে ১৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’

এদিকে, রমজানের প্রথম দিনে মরিচের দাম হঠাৎ বেড়ে ১০০ টাকা কেজি হলেও বর্তমানে ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা কেজি, ১০০ টাকা বেগুনের কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা। আর ১০০ টাকার শসার কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকায় নেমে গেছে। ১০০ টাকা লেবুর ডজন ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। পেঁয়াজের পাল্লা ১২০ টাকা ও কেজি ৩০ টাকা, আদা ও রসুনের কেজি ৬০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

নিউজ ট্যাগ: গরুর মাংস

আরও খবর



দেশব্যাপী ফের ২৪ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে দেশব্যাপী ফের ২৪ ঘণ্টার সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য এই সতর্কতা জারি করা হয়।

রাজধানী ঢাকাসহ এ সময়ের মধ্যে দেশের আরও কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমানের সই করা ওই সতর্ক বার্তায় বলা হয়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রথমবারের মতো তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো হয়।

 


আরও খবর



প্রবাসে নিয়ে দালালের হাতে বিক্রি, দেশে ফেরাতে পরিবারের আকুতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে পাথরঘাটার একাধিক ব্যক্তিকে প্রবাসে পাঠিয়ে দালালের হাতে বিক্রি করেছে প্রতারক আ. জলিল চৌধুরী। সৌদিতে থাকা সন্তানদের ফিরে পেতে বরগুনার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১ টায় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সৌদি আরব থেকে সদ্য ফিরে আসা ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানসহ ফোরকানের বাবা আ. কাদের, সুমনের বাবা শাহ আলম, ইমরানের মা শাহিনুর বেগম, মামুনের বাবা আবুল হোসেনসহ ৬ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলো।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মামুন মিয়া, মো.সুমন, ইমরান ও ফোরকানকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা করে নিয়ে বিদেশে পাঠায় পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা প্রতারক আ. জলিল চৌধুরীর। সৌদি আরব যাওয়ার পরে একের পর এক দালাল বিক্রি করে তাদের। সেখানে কাজ না দিয়ে আটকে রাখা হয় তাদের।

তারা আরো জানান, পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক লোককে সৌদি আরব পাঠিয়ে ৭০ লাখ টাকারও বেশি আত্মসাৎ করেছে জলিল। প্রবাসে পাঠাতে অনেকে ঋণ, ধার কর্জ এবং জমি বিক্রি করে পরিবার গুলো এখন প্রায় নিঃস্ব। দেশে টাকা পাঠানো দূরে থাক সেখানে নিজেরাই খেতে পারছে না।

ফোরকানের বাবা আ. কাদের বলেন, আমি ও ছেলে রিকশা চালাতাম অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠাই। আজ বাবায় বড় কষ্টে আছে।

সৌদি থেকে সদ্য দেশে আসা মিজানুর রহমান বলেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী বিদেশে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ইকামা না দেয়ার কারনে ওই দেশের পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ. জলিল চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, আমি সরকারের নিয়ম মেনেই তাদের বিদেশে পাঠিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী তাদের ভিসা এবং কাজ দিয়েছি। কাজ না করে যদি দেশে চলে আসে এর দায়ভার তো আর আমি নিব না।

তিনি আরও বলেন, তাদের ছাড়াও অনেক মানুষকে আমি বিদেশে পাঠিয়েছি তারা তো ঠিকঠাক মতো কাজ করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, সকল কাগজপত্র আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা)


আরও খবর



হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে বন্দরের প্রায় ৮টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়িতে ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) জন্য আবেদন করার পর তাদের এই অনুমতি দেওয়া হয়।

সোমবার (৬ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী ইউসুফ আলী।

তিনি বলেন, শনিবার (৪ মে) থেকে অনেকেই খামারবাড়িতে পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি পত্রের জন্য আবেদন করেন। এদের মধ্য রোববার (৫ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৮টি প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। আরও আবেদন রয়েছে যেগুলো এখনও প্রক্রিয়াধীন।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আমরা হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। দু-এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকবে। তবে পেঁয়াজ আমদানিতে বন্দরের আমদানিকারকদের বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। যদি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ভারতের রপ্তানি মূল্য ও বাংলাদেশের পেঁয়াজের ওপর আরোপকৃত শুল্ক কমানো গেলে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। ভারত থেকে টন প্রতি ৫৫০ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করলে প্রতিকেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়বে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।


আরও খবর



চেয়ারম্যান প্রার্থীর টাকা না নেওয়ায় পোলিং অফিসারকে মারধর

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
শাওন মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর

Image

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর টাকা নিতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করায় এক পোলিং অফিসারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

রোববার (১৯ মে) রাতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিকে নগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল ২১ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে ২৫ নং বিকে নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর আবু সাইদ পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। পোলিং অফিসার হিসেবে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিয়ে রোববার রাতে মীর আবু সাইদ বাড়ির পার্শ্ববর্তী বিকে নগর বাজারে গিয়েছিলেন। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে। পরে অজ্ঞাত এক যুবককে দিয়ে মীর আবু সাইদকে বাজারের এক পাশে ডেকে নিয়ে যায় বিকে নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সরদার, আব্দুল আলী সরদার ও মজিবুর বানিয়া। এ সময় সাইদুর রহমান সরদারসহ অন্যান্যরা মীর ইমরান আলীকে নির্বাচনের দিন মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির পক্ষে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন। বিনিময়ে তাকে মোটা অঙ্কের টাকাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়। সরকারি কাজে নিয়োজিত একজন ব্যক্তি হিসেবে মীর আবু সাইদ এমন প্রস্তাবে রাজি হননি। এরপর সাইদুর রহমান সরদার, আব্দুল আলী সরদারসহ অন্যান্যরা মীর আবু সাইদকে মারধর করেন। খবর পেয়ে মীর আবু সাইদের স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বর্তমানে তিনি নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন মীর আবু সাইদ। এ ঘটনায় জাজিরা উপজেলার শিক্ষকসহ অন্যান্যদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

পোলিং অফিসার ও শিক্ষক মীর আবু সাইদ বলেন, আসছে ২১ তারিখের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে আমি বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। এসময় ব্যক্তিগত কাজে বাজারে গেলে একজন লোক আমাকে ডেকে নিয়ে যায় সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানসহ অন্যান্যদের কাছে। তারা আমাকে টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে কাজ করার জন্য প্রস্তাব দিলে আমি অস্বীকৃতি জানাই। এরপর তারা আমাকে মারধর করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তিত হয়ে পড়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমি আমার সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট অভিযোগ দেব।

অভিযুক্ত মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক ও বিকে নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সরদার বলেন, আপনি কোথা থেকে বিষয়টি জেনেছেন, তা আমি জানিনা। মীর আবু সাইদ এমন কোনো বংশের ছেলে নয় যে, তাকে ম্যানেজ করতে পারলে একশ ভোট পাওয়া যাবে। তার সঙ্গে আমাদের কারও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি৷ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

বিষয়টি নিয়ে জানার জন্য মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির সাথে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

জাজিরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আফরোজা আক্তার সুমি বলেন, আমরা সরকারি চাকুরি করি। সরকারের দেওয়া দায়িত্ব পালন করাই আমাদের কাজ। নির্বাচন একটি রাজনৈতিক ইস্যু। কারও পক্ষ নিয়ে কাউকে রাজনৈতিক ভাবে সুযোগ সুবিধা প্রদান করা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও আইনগত ভাবে অন্যায়। আমাদের শিক্ষক মীর আবু সাইদ এমন একটি প্রস্তাবে সম্মতি না দেওয়ায় তাকে মারধর করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভাবে অন্যায়। বিষয়টি নিয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করব।

বিষয়টি নিয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। যদি লিখিত অভিযোগ পাই, তাহলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে শাহাদত হোসেনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট একরামুল হক টুটুল ও তামান্না ফেরদৌস। ইসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান।

এর আগে গত ৯ মে আপিলেও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন শাহাদত হোসেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী আনারস প্রতীক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল দোয়াত কলম প্রতীক ও আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন চশমা প্রতীক ও মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন তালা প্রতীক পেয়েছেন। অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার ফুটবল প্রতীক ও ফাতেমা বেগম পারুল প্রজাপতি প্রতীক পেয়েছেন।


আরও খবর