ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে ডিবি পুলিশ।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় এই চার্জশিট দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তারেক রহমান পলাতক
থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও ক্রোকি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই চার্জশিট দাখিলের পর মামলা বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনালে
পাঠানো হয়েছে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণা দেওয়া
তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের
উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম। মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিলের
পর সেটা স্বাক্ষর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ
উদ্দিন।
২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় দায়ের করা এই মামলায় বলা হয়, মামলার বাদী ও তার বন্ধুরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে বসে ২৩ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ফোনে ইউটিউবে ভিডিও দেখছিলেন।
আরও পড়ুন>> ঝিনাইদহে মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ২
এ সময় ‘জিয়াউর রহমানকে
জাতির পিতা ঘোষণা দিলেন তারেক রহমান’ শিরোনামে একটি
ভিডিও তাদের নজরে আসে।
দেখা যায়, বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে
লন্ডনে আয়োজিত এক কর্মিসভায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার বক্তব্যের
একপর্যায়ে বলেন, ‘তাহলে নেত্রীবৃন্দ, আজ এই সভায় যারা উপস্থিত
আছেন, আজ এই সভায় ক্যামেরার মাধ্যমে, প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কি আমরা
সিদ্ধান্ত নিতে পারি? আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের
জাতির পিতা। আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু বাঙালি জাতি না, বাঙালিসহ
৫৫ হাজার ১২৬ বর্গমাইলের মধ্যে যত জাতি বাস করে- যারা বাংলাদেশি জাতির পরিচয় বহন করে,
যারা নিজেদের বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেয়, সেই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জাতির পিতা, বাংলাদেশি
জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। আমরা কি আজ সবাই মিলে এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারি? তাহলে
আজকে থেকে সিদ্ধান্ত হলো, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির
পিতা।’