আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

তেলের দাম বাড়াল সৌদি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আরব লাইট ক্রুড তেলের দাম দ্বিতীয় মাসের মতো বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। আরব লাইট ক্রুড দেশটির নিজস্ব ব্র্যান্ড। বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ সৌদি।

রোববার রাতে এ দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি সৌদি আরামকো।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এশিয়ার জন্য এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসে প্রতি ব্যারেল তেল ২ দশমিক ৫০ ডলার বেশিতে বিক্রি হবে। বৃদ্ধির এ হার ৫০ সেন্ট হলেও দুবাই বা ওমানের তেলের দামের চেয়ে বেশি।

এশিয়ার মধ্যে থাকা চীনের চাহিদা বাড়ার ওপর এ দাম বাড়তে পারে বলে আগেই ধারণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার ধকল কাটিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল দেশটি। চলতি বছর চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের আশপাশে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার চীনের পার্লামেন্টে এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটি কয়েক দশকের মধ্যে গত বছর তার সবচেয়ে দুর্বল প্রবৃদ্ধি দেখেছে।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয়েছে ভোট, নেই ভোটার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ের দুটি উপজেলা (বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুরে) ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ভোটারের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে দুটি উপজেলার প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কয়েকজন ভোটার লাইনে দাড়িয়ে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রদান করেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়েনি।

ভোটকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ ও মোবাইল কোর্টের তৎপরতা দেখা গেছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়ন করা হয়েছে বিজিবি ও র‍্যাব।

জেলা নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্য মতে, এ দুটি উপজেলায় মোট ৮ জন চেয়ারম্যান ও ৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

এ দুটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৬০জন। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৬৩ জন ও হরিপুর উপজেলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ৪৯৭জন। আর দুটি উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯০টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮০৮টি।


আরও খবর



জয়পুরহাটে সেরা গার্লস ক্যাডেট কলেজ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

এসএসসি পরীক্ষায় এ বছর জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ জেলার শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। এই কলেজ থেকে ৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এবার জয়পুরহাট রামদেও সরকারি বাজলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ২৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাসের হার শতভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮২ জন। এছাড়া জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭৯ জন। আর পাসের হার শতভাগ বলে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠান দুটির কর্তৃপক্ষ।

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, এটি কয়েক বছর ধরে অর্জিত ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ। ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদের সঠিক দিকনির্দেশনা এবং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু হেনা মো. মিজানুর রহমানের সুযোগ্য তত্ত্বাবধানে জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ এ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

পরীক্ষার্থীরা তাদের এ সাফল্যের পেছনে কলেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক এবং বিশেষভাবে তাদের অভিভাবকদের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছে।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু হেনা মো. মিজানুর রহমান আশা করেন জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের এ সাফল্যের ধারা ভবিষ্যতেও অক্ষুন্ন থাকবে।


আরও খবর



ন্যাশনাল ব্যাংক ১৮ কোটি জনগণের ব্যাংক

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যাংক নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানান।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আবারও পুনর্গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংক খলিলুর রহমানকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব খলিলুর রহমান দেশের অন্যতম ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সিআর কয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরসিএমইএ) চেয়ারম্যান।

দীর্ঘ ব্যাবসায়িক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যাংকের হারানো গৌরব ফেরানোর কথা উল্লেখ করে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা জানি ব্যাংককে কিভাবে লাভজনক করতে হয়। ১৯৮৩ সালে আমরা এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি জানি, ব্যাংকের কোথায় কী আছে, কী কী সমস্যা আছে, কারণগুলো আমাদের জানা। এই ব্যাংক ২০১২ সাল পর্যন্ত এক নম্বর কাতারে ছিল। বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ফার্স্ট জেনারেশনের ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক। তখন আমাদের যাঁরা পরিচালক ছিলেন সবাই ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁদের ব্যবসার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল। ওই অভিজ্ঞতা দিয়ে আমরা ব্যাংকটি করেছিলাম।

নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা প্রকৃত ব্যবসা করেন, দেশে বিনিয়োগ করেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন তাঁদের যথেষ্ট সুযোগ দেব। এটি আমার ব্যাংক কখনো বলি না। আমরা বলি, ন্যাশনাল ব্যাংক জনগণের ব্যাংক, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ব্যাংক। তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের বর্তমান পরিস্থিতি আপনারা জানেন। ব্যাংক কার দ্বারা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিভাবে টাকা নিয়েছে তা সবাই সব জানেন।একসময়ের সফল একটি ব্যাংককে রক্ষা করতে, বাঁচাতে আমরা একত্র হয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছি, আমরা একীভূত হব না। আমরা নিজেরা চালাব। আমরা কষ্ট করে চালাব। পরিশ্রম, সততা থাকলে, কষ্ট করলে এগিয়ে নিতে পারব। পাওনা উসুল করব। যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে তাদের বোঝাব, আইন প্রয়োগ করে টাকা ফেরত আনব। ডিপোজিট আনব। ডিপোজিট দিয়ে ব্যবসা করব। একসময় আমরা অনেক বেশি লভ্যাংশ দিয়েছি। ইচ্ছা করলে আমরা উন্নত করে এগিয়ে নিতে পারব। ন্যাশনাল ব্যাংকের হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনতে পারব ইনশাআল্লাহ। এটি আমার বিশ্বাস। চার বছরে আমরা একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছতে পারব।

ন্যাশনাল ব্যাংকের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। যাঁরা ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে আদায় করবই। আমরা খেলাপি ঋণ আদায়ের চেষ্টা করব। প্রকৃত ব্যবসায়ী ঋণ নিলে খেলাপি হতে পারেন না। অ্যাসেসমেন্ট করে ঋণ দেওয়া হয়নি। মনিটরিং করা হয়নি। বড় খেলাপিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা ভুল স্বীকার করেছেন, টাকা পরিশোধে ইচ্ছুক। বড় ব্যবসায়ীদের টাকা খেলাপি হবে না। ব্যবসা করে ক্ষতি পুষিয়ে নেব। যাঁরা ব্যবসায়ী না হয়ে ঋণ নিয়েছেন, তাঁরাই সমস্যা। অন্তত ৫০ শতাংশ আদায়ে আমরা আশাবাদী।

বর্তমান সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংক এককভাবে ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতা রাখে কি না, জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যাংকটি একীভূত করার বিষয়ে চাপ থাকার বিষয়টি সত্যিকার অর্থে সঠিক নয়। আমরা যখন শুনি ব্যাংকটি একীভূত করার কথা চলছে, তখন আমরা আগের পর্ষদ সভা করে সিদ্ধান্ত দিই, যে ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে তার চেয়ে আমাদের ব্যাংকের ভিত্তি শক্ত বেশি। আমরা কেন একীভূত হব? আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা পর্ষদ থেকে সিদ্ধান্ত দিলাম, আমরা একীভূত হতে রাজি নই। আমাদের ব্যাংক আমরা চালাব। দরকার হলে নতুন পর্ষদ গঠন করব। অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হলে অনেক লোকের চাকরি হারানোর শঙ্কা ছিল। কারণ অনেক জায়গায় দুটি ব্যাংকেরই শাখা রয়েছে। সে বিষয়টিও আমরা ভেবেছি।

ব্যাংক প্রতিষ্ঠার স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, আমরা যখন চার কোটি টাকায় এ ব্যাংকের উদ্যোগ নিয়েছিলাম তখন বেসরকারি ব্যাংক ছিল না। আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে, বন্ধুবান্ধবকে ধরে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে এনেছি। ব্যাংকের পরিচালক হলে টাকা ফেরত পাবে কি না, তখন চিন্তা করত। আমি বলেছি, তুমি টাকা দাও, টাকা ফেরত না পেলে আমি দিয়ে দেব। এভাবে বলে রাজি করিয়েছি। এই শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, ব্যাংক ব্যবসা বুঝতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজার ব্যবসা বুঝলে ঋণ দিতে পারেন। যাঁকে ঋণ দেবেন, তাঁর বিনিয়োগ মনিটর করতে হবে। নিয়মিত পরিশোধ করছে কি না, দেখতে হবে। বড় ঋণ ত্রৈমাসিক, ষাণ্মাসিক, বার্ষিক রিশিডিউল করা হবে। মনিটরিং থাকলে টাকা খেলাপি হয় না। খেলাপির কারণে বিশ্বাস কমে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। প্রকৃত ব্যবসায়ী ব্যাংকের টাকা মেরে খাবেন না। ব্যবসায়ীদের মুখের কথার দাম আছে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা ঋণ নিয়েছেন দরকার হলে জামানত হিসেবে দেওয়া বাড়ি, জমি বিক্রি করে দেব। দেশে আইন আছে, ব্যাংকের টাকা দিতে না পারলে মামলা করে সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া যায়। নতুন পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটিতে তিন হাজার কোটি টাকার আমানত সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছে। এই আমানত কার কাছ থেকে কিভাবে সংগ্রহ করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কদিন আগেও শেয়ারের দাম সাড়ে চার টাকা ছিল, এখন সাত টাকা হয়ে গেছে। ডিপোজিট দিন দিন বাড়ছে। এর জন্য বন্ধু, ব্যবসায়ীদের কাছে যাব। ডিপোজিট খাটিয়ে আমানতকারীকে লাভ দিতে হবে। আমাদের মালয়েশিয়ায় ১১টি, মালদ্বীপে তিনটি, সিঙ্গাপুরে দুটিসহ বিভিন্ন দেশে শাখা আছে। এসব শাখার মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করব। আশা করি, চার বছরেই আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারব।


আরও খবর



‘কেএনএফের কার্যক্রম যতদিন থাকবে, যৌথবাহিনীর অভিযান ততদিন চলবে’

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, কেএনএফের কার্যক্রম যতদিন থাকবে যৌথ অভিযান ততদিন চলবে। সরকারের আদেশে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বিভিন্ন বাহিনী মিলে যৌথ বাহিনী হিসেবে অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে সেনাবাহিনীর আওতাধীন বিভিন্ন বাহিনী মিলে যৌথ বাহিনী হিসেবে সরকারের আদেশে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, তা সরেজমিনে দেখতে এসেছেন। থানচি বলিপাড়া ৩৮ বিজিবি ও রুমা ৯ ব্যাটালিয়ান বিজিবি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। তাদের উৎসাহ, পরামর্শ প্রদান করার জন্য তিনি এসেছেন বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, বলিপাড়ায় একটি নতুন বেইস ক্যাম্প করা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অপারেশন এবং সীমান্তের ওপারে যাতে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিজিবির সব সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যাংক ডাকাতির মতো দুঃসাহসিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দেখিয়ে কেউ পার পাবে না। এ এলাকার সাধারণ বম জনগোষ্ঠীরাও কেএনএফের সন্ত্রাসী ঘটনা সমর্থন করে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিরীহ বম সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের অপপ্রচারের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।

মতবিনিময়কালে বিজিবি মহাপরিচালক সবাইকে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পরে তিনি বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ স্পটহাইট টিওবি, থানচি বিওপি এবং থানচি বাজার পোস্ট পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া বিজিবির মহাপরিচালক রুমা ব্যাটালিয়নের (৯ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ দোপানিছড়া বিওপি পরিদর্শন করেন এবং সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় বান্দরবান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সোহেল আহমেদ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, বান্দরবান ব্রিগেড কমান্ডার মেহেদি হাসান, ররুমা ৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনান্ট কর্নেল হাসিবুল হকসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।


আরও খবর



মেহেরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

আজ মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর ১২ টার দিকে মেহেরপুর ও মুজিবনগর নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৪ টি কেন্দ্রে ২ লাখ ১৮ হাজার ৮শ' ৪ চারজন ভোটার রয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন (কাপ পিরিচ),আব্দুল মান্নান (ঘোড়া) ও মোঃ হাসেম আলী (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম (চশমা) ও মোহাম্মদ শাহিন (টিউবওয়েল), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপচেলা চেয়ারম্যান লতিফন নেছা লতা (বৈদ্যুতিক পাখা), সামিউন বাশিরা পলি (হাঁস) এবং রোমানা আহমেদ (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।

এদিকে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ৮৫ হাজার ২শ' ৫৯ ভোটার রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন রফিকুল ইসলাম তোতা (কাপ পিরিচ), আমাম হোসেন মিলু (আনারস), উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুল হাসান চাদুঁ (ঘোড়া), এবং মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বিএম জাহিদ হাসান (টিউবওয়েল) ও মতিউর রহমান (চশমা), মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন (ফুটবল) ও যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী তকলিমা খাতুন (কলস) প্রতীক পান।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার মো: ওয়ালি উল্লাহ জানান, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচন এ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সট-মোঃ শামিম হাসান, জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহেরপুর।


আরও খবর