আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

তৃতীয় দিন পুরোটাই ব্যাটিং করতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিন (শুক্রবার) মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। ৩৭০ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমেছে। শান্ত-জাকির সমান ৫৪ রানে দিন শুরু করেন।

বাংলাদেশ তৃতীয় দিন পুরোটাই ব্যাটিং করতে চায়। এমনটাই জানিয়েছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। দিনের শুরুতে তিনি বলেন, আমাদের মতামত হলো, আমরা সারাদিন ব্যাটিং করতে যাচ্ছি। আমরা দেখতে চাই এমন কন্ডিশনে আমরা কিভাবে এগোতে পারি কারণ এটা একমাত্র টেস্ট।

আরও পড়ুন<< উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে স্পেন

২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে খেলতে নেমে ১ উইকেটে ১৩৪ রানে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। লিড ৩৭০ রান। সমান ৬৪ বল খেলে শান্ত-জাকির অপরাজিত আছেন সমান ৫৪ রানে। এর আগে জয় আউট হন ১৭ রানে। দু'জনের জুটি থেকে আসে ১২৮ বলে ১১৬ রান। ১টি উইকেট নেন আমির হামজা।

 


আরও খবর



বলাৎকারের পর শিশুকে হত্যা, মাদকসেবী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকার ধামরাইয়ে চাঞ্চল্যকর সাত বছরের শিশু জিসান নিখোঁজের একদিন পর লাশ উদ্ধার ও হত্যাকান্ডের মূলহোতা আল আমিনকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে সাভারের নবীনগরে র‍্যাব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান। এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেলের দিকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আল আমিন মানিকগঞ্জ সদর থানার জয়রা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে। সে ধামরাই কালামপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করে।

নিহত শিশু জিসান হাসান রাব্বি বাবা-মায়ের সঙ্গে ধামরাইয়ের কালামপুর বাজার এলাকায় থাকত। তার বাবা জুয়েল রানা কালামপুরের একটি হোটেলের কর্মী।

র‍্যাব জানায়, গত ৯ জুন সাত বছরের শিশু নিখোঁজের বিষয়ে র‍্যাব-৪ সাভার ক্যাম্পে একটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর বাবা। পরের দিন সোমবার বিকেলের দিকে ধামরাইয়ের কালামপুর বাজারের পাশের একটি কবরস্থানের পাশে জঙ্গলের ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা যায়। ওই ঘটনায় ছায়া তদন্ত চালিয়ে শিশুটির হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই আটক অভিযুক্ত জানায়, ৯ জুন বিকেলের দিকে কালামপুর এলাকায় শিশুটির গলায় রুপার চেইন দেখতে পায় সে। এ সময় কৌশলে তাকে চকলেট খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাশে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে বলাৎকার করে তার গলায় থাকা রুপার চেইনটি খুলে নেয়। এ ঘটনা আড়াল করতে শিশুটির পরিহিত প্যান্টের রশি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে এবং শিশুটি মাথার অংশ কাদা যুক্ত মাটির নিচে চেপে ধরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর গলায় পরিহিত রুপার চেইনটি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সে।

লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তার আল আমিন পেশায় একজন চোর। চুরির পাশাপাশি সে ছিনতাই ও ডাকাতির সাথেও জড়িত। আসামী নিয়মিত মাদক হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজা সেবনেও করে থাকে। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য সে ধামরাই, আশুলিয়া, সাভারসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকে। এমনকি গত ৫-৬ মাস আগেও সে চুরির ঘটনায় ধরা পড়ে।

গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানায় র‍্যাব।


আরও খবর



ছাত্রলীগ নামধারী খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনকে নামধারী কিছু ছাত্রলীগ নেতারা অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করেছে। কে বা কারা এটা করেছে তা খুঁজে বের করতে আমাদের আর কষ্ট করতে হবে না। তাদের পরিচয় প্রশাসন ও সব মহলের কাছে আছে। তারা যে দলেরই হোক তাদের পরিচয় খুনি। আর কোনো খুনির সঙ্গে আমাদের দলের কোনো রকম সম্পর্ক নেই।

সোমবার (১০ জুন) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদে কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মন্ত্রী বলেন, খুনিরা দেশের অভ্যন্তরেই রয়েছে। প্রশাসনকে আহ্বান জানাচ্ছি, অতি দ্রুত তাদের খুঁজ বের করে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমাদের দেশনেত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের ১৮ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তার চেয়ে আঘাত এ দেশের আর কেউ পায়নি। অর্থাৎ একটি পরিবারের কাউকে হত্যা করা হলে তাদের কেমন আঘাত লাগে তা প্রধানমন্ত্রী জানেন। তাই তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশপ্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এ দেশের পুলিশের প্রধান, সেনাবাহিনীর প্রধানরা তাদের অপকর্মের দায় এড়াতে পারেনি। তাদের ওপর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেখানে ছাত্রলীগ নামধারী এসব হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। যাতে তাদের মতো এমন কাজ আর কেউ করতে সাহস না পায়।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার করতে কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ঈমন হোসেনের নেতৃত্বে কলেজের অদূরে চন্দ্রা-ডাইনকিনি সড়কের নায়াগ্রার ঢাল এলাকায় একত্রিত হলে সেখানে একপক্ষ হঠাৎ ধারাল অস্ত্র নিয়ে এসে আল আমিন ও কামরুল নামে দুজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অভিযুক্তদের এলোপাতাড়ি কোপে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় আল আমিন। গুরুতর আহতাবস্থায় কামরুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।


আরও খবর



বিজেপি জোট ছাড়ছেন নীতিশ, জল্পনা তুঙ্গে

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনের জন্য জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। বিশেষ করে তেলেগু দেশাম পার্টির (টিডিপি) চন্দ্রবাবু নাইডু ও জনতা দল ইউনাইটেড বা জেডির (ইউ) নীতিশ কুমারের ওপর। মনে করা হচ্ছে, এই দুই নেতার সমর্থন যেদিকে যাবে, তারাই এগিয়ে যাবে সরকার গঠনের পথে। কিন্তু এর মধ্যেই সামনে এসেছে আরেক ঘটনা।

সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করতে আজ বুধবার শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের।

এর আগে মঙ্গলবারই খবর মেলে, চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমারকে ইন্ডিয়া জোটে ভেড়াতে তাদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আলোচনা কোনোভাবে সফল হলে কপাল পুড়তে পারে বিজেপির।

কারণ, সেটি হলে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসনের কোটা পূরণ হবে না এনডিএর। আর নাইডু-নীতিশের ২৮ আসন নিয়ে আরও এগিয়ে যাবে ইন্ডিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতির মধ্যেই রহস্যজনক গতিবিধি দেখা গেছে নীতিশ কুমারের। ফল প্রকাশের পর ইন্ডিয়া জোটে থাকা আরজেডির শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে একই বিমানে দিল্লি সফর করেছেন নীতিশ।

প্রশ্ন উঠতে পারে, নাইডু-নীতিশকে নিয়ে বিজেপির ভয়ের কারণ কী? ২০১৪ সালে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে একা নির্বাচন করেন নীতিশ। এরপর ২০১৫ সালে লালু যাদবের সঙ্গে মিলে জোট করেন। দুই বছর না যেতেই এনডিএ জোটে যুক্ত হন নীতিশ। এরপর ২০২২ সালে আবারও জোট থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এ বছর আবার যুক্ত হন। ফলে তাকে নিয়ে শঙ্কা থাকছেই বিজেপির।

এছাড়া চন্দ্রবাবু নাইডুও এ বিষয়ে এখনো তার অবস্থান স্পষ্ট করেননি। সবমিলিয়ে, বিজেপির ভবিষ্যৎ এখন নাইডু-নীতিশের ওপর নির্ভর করছে বলেই মনে করছেন অনেকে।

এদিকে সেরকম কোনো সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন নীতিশের দলের নেতারা। জেডিইউয়ের এক নেতা জানান, এনডিএ জোটের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হলেন নীতিশ। এনডিএ জোটের বৈঠকে যোগ দিতেই দিল্লিতে যাচ্ছেন।


আরও খবর



সুরমা-কুশিয়ারাসহ সুনামগঞ্জের ২০টি নদী খনন করা হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, সিলেটবাসীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকা কীভাবে সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসতে পারি সে লক্ষ্যে আমরা আলোচনা করেছি। সামগ্রিকভাবে সুরমা-কুশিয়ারা নদী খনন করব, সেই সঙ্গে সুনামগেঞ্জর ছোট বড় ২০টি নদী আমরা খনন করব।

শুক্রবার (২১ জুন) সকালে সিলেট নগরীর কিন ব্রিজ এলাকায় সুরমা নদী পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে সুরমা নদীর ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ১২ কিলোমিটার খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বন্যার পানি কমে গেলে বাকিটুকু খনন করা হবে। এই খনন কাজ করলে নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পানির ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এ লক্ষ্যে আমি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছি। উজান থেকে যে পরিমাণ পানি আসে তা ধারণ করার ক্ষমতা তৈরি করার জন্য যে সকল নদী ও খাল খনন করার দরকার সিলেটের প্রধান প্রকৌশলীকে তা খনন করার নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের বন্যার খোঁজখবর রাখছেন। তিনি আমাকে সব সময় সজাগ থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমার আসার আগে এই সিলেটে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীকেও তিনি পাঠিয়েছেন। সার্বক্ষণিক তিনি সিলেটের খবর রাখছেন এবং সিলেটবাসীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করার জন্য যা যা করণীয় তা করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ সময় সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



চট্টগ্রামে বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বাজেটকে স্বাগত জানাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অনুসারীরা।  এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছয় রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মন্নান চৌধুরী ও পুলিশ সদস্য মো. জাবেদসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে উপজেলার কাফকো সেন্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ ও বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান।

আহত বাকিরা হলেন- আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন, চাতরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তাজউদ্দীন, অজিদ কুমার নাথা, সাইফুল ইসলাম, ফরিদুল আলম টিপু, কাকন আইচ, জামশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ এরশাদ, পথচারী মোহাম্মদ মনির। এদের মধ্যে অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অনুসারী আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে কাফকো সেন্টারে আনন্দ মিছিল ও সভার আয়োজন করা হয়। একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে অর্থ প্রতিমন্ত্রীর উপজেলার সাবেক ও বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতারা। বিকেলে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে মিছিল নিয়ে জড়ো হন। এ সময় তারা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেন। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও পরবর্তী সময়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১৫ জন আহত হন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন বাবলু বলেন, জাতীয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আমরা বিকেল তিনটায় অবস্থান নিয়েছি। তারা বিকেল ৪টার দিকে এসে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়।

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে কর্মসূচি ঘোষণার পর তারা একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমাদের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আহত করে।

আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ বলেন, দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কর্ণফুলী থানার ওসি জহির হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয় রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় মো. জাবেদ নামে এক পুলিশ আহত হয়েছেন।


আরও খবর