আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

তৃতীয় ধাপে ১২১১৬ বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার তৃতীয় পর্ব প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তৃতীয় পর্বে ৮ বিভাগের ৩৮৮ উপজেলার ১২ হাজার ১১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ঠাঁই পেয়েছে।

তালিকায় স্থান পেয়েছে ঢাকা বিভাগের ৩ হাজার ৪৫৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২ হাজার ৩৭৪ জন, বরিশাল বিভাগের  ১ হাজার ১৮০ জন, খুলনা বিভাগের ২ হাজার ২৯০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৩৩৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ১ হাজার ৪৩৭ জন, রংপুর বিভাগের ৭৬৮ জন এবং সিলেট বিভাগের ২৭৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.molwa.gov.bd) এ তালিকা পাওয়া যাবে।

এর আগে চলতি বছরের ২৫ মার্চ প্রথম ধাপে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামের সমন্বিত তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে গত ৯ মে ৬ হাজার ৯৮৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করা হয়।


আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪




সিলেটে টাকা নিয়ে লাপাত্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মচারী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন কর্মচারী মিনহাজ। গত ৩ আগস্ট থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া টাকার পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা। এ ছাড়াও অফিসের অভ্যন্তরে থাকা কর্মচারী ইউনিয়নের তহবিল ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় আরও অর্ধকোটি টাকা তিনি ঋণ নিয়েছেন বলে কর্মচারীরা জানিয়েছেন। অনুপস্থিত থাকায় এখন তার ঋণের জামিনদাররা পড়েছেন বেকায়দায়। এমন ঘটনায় সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যে কর্মকর্তারা বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানিয়েছে।

প্রধান কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের কর্মকর্তারা। সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় প্লাম্বার বা কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিল মিনহাজ ওরফে ফারুক। সে স্যানেটারি মিস্ত্রি হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছিল। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের বারুলা গ্রামে।

কর্মচারীরা জানিয়েছে, মিনহাজ ২০১১ সালে মাস্টার রোলের কর্মচারী হিসেবে প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসে কাজে যোগ দিয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে সে নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পায়। তার মামা সাইফুল ইসলাম মিয়াও সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় যুক্ত। তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর মিনহাজ ওরফে ফারুক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত গৃহঋণ নিয়েছে।

আর এই টাকা দিয়ে সিলেট শহরতলীর সুরমা গেট এলাকায় জমিও কিনেছেন। এ ছাড়া মোটরসাইকেল ক্রয় বাবদও আরেকটি ঋণ ব্যাংক থেকে নিয়েছেন। দুটি ঋণে জামিনদার হিসেবে ব্যাংকের প্রকৌশল শাখার একাধিক কর্মচারীকে রাখেন মিনহাজ। এ ছাড়া ব্যাংকের কর্মচারীদের যে সমিতি রয়েছে সেই সমিতি থেকেও সে ঋণ নিয়েছে। ব্যাংক ও সমিতির ঋণ মিলে কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

কর্মচারীরা জানান, চাকরিতে থাকার সময় তার সঙ্গে অনেকেরই ভালো সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সুবাদে বিভিন্ন সময় তার নামে নেয়া ঋণের জামিনদার হয়েছেন পরিচিতরা। গত আগস্ট মাসের শুরু থেকে হঠাৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত মিনহাজ ওরফে ফারুক। ব্যাংকের তরফ থেকে বারবার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কর্মচারীদের ধারণা ঋণের টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছে মিনহাজ।

এই অবস্থায় জামিনদাররা পড়েছেন বিপাকে। ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাংক থেকে তাদের চাপ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন জামিনদার। তারা জানিয়েছেন, মিনহাজ টাকা না দিলে জামিনদারদের বেতন থেকে টাকা কর্তন করা হবে। এটাই হচ্ছে ব্যাংকের নিয়ম।

বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঋণের টাকা নিয়ে কর্মচারী উধাওয়ের ঘটনার বিষয়টি ইতিমধ্যে আমলে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান কার্যালয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই অবস্থায় মিনহাজ ওরফে ফারুকের সন্ধানে অনেকেই সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সন্ধান চেয়ে তারা লিখেছেন- ফারুক ওরফে মিনহাজ বাটপার লোকটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গিয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিন। সহজ সরল মানুষগুলোকে এই প্রতারক বাটপার ঠকিয়েছে। তাকে দয়া করে ধরিয়ে দিয়ে সহজ সরল মানুষগুলোকে সহায়তা করেন।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের পরিচালক (প্রশাসন) খালেদ আহমেদ জানিয়েছেন, কোনো কর্মচারী অনুমোদনবিহীন দীর্ঘদিন থেকে অনুপস্থিত থাকলে তার ব্যাপারে অফিসের নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ব্যাংক থেকে যে টাকা পয়সা নিয়েছে তা উদ্ধারেও অনেক নিয়ম মানতে হয়।

লাপাত্তা থাকা মিনহাজের মামা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিসের প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম মিয়া জানিয়েছেন, মিনহাজ ওরফে ফারুক তার ভাগিনা হলেও তার সঙ্গে তেমন সম্পর্ক ছিল না। লাপাত্তা হওয়ার পর জানতে পারেন সে ব্যাংক ও সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়েছে। তার কোনো ঋণে তিনি জামিনদার ছিলেন না।

সাইফুল জানান, মিনহাজ ওরফে ফারুক কোথায় আছে তিনি জানেন না। সে বিদেশে সে সম্পর্কেও তিনি অবগত নন। পলাতক হওয়ার পর অনেকে এসে ব্যক্তিগতভাবে জানাচ্ছেন, তার কাছে পাওনা টাকা রয়েছে। যেহেতু ঋণ দেয়ার সময় আমার অনুমতি নিয়ে কেউ টাকা দেননি, এ কারণে এখন তাদের এই টাকার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না। মিনহাজ ওরফে ফারুকের দুই স্ত্রীর মধ্যে এক স্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া শাখায় কাজ করেন বলে জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহ পুড়ছে সারাদেশ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও দাবি করছে দপ্তরটি।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোকে জাকির হোসেন (৩৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃত জাকির হোসেন দামুড়হুদার কুড়ালগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী ছিলেন।

তাছাড়া আজ শনিবার পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিন তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন একজন। শনিবার দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত সুকুমার দাস (৬০) পাবনার শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তায় একসঙ্গে কাজ করবে চসিক-সিএমপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরীতে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়ের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (৭ মে) নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং সিএমপির ডেপুটি কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এই চুক্তির মাধ্যমে, উভয় সংস্থাই চট্টগ্রাম নগরীতে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য তথ্য আদান-প্রদান এবং সমন্বয় করে কাজ করবে। এছাড়া দুর্ঘটনার তথ্য আদান-প্রদান, ব্যবস্থাপনা এবং বিশ্লেষণ, রাস্তার ডিজাইন এবং তথ্য-উপাত্ত যথাযথভাবে ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করবে। এর ফলে প্রতিটি সংস্থা কার্যকরভাবে তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে সড়ক নিরাপত্তায় শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।

ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) বিশ্বের ২৮টি শহরে রোড ক্র্যাশে মৃত্যু ও হতাহতের সংখ্যা কমাতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেছে। চট্টগ্রামেও বিআইজিআরএসের কারিগরি সহায়তায় চসিক ও সিএমপি নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে যৌথভাবে কাজ করবে।


আরও খবর



সিন্ডিকেটে আটকে আছে হাওড় অঞ্চলের কৃষকের হাসি

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

চলতি বছর কিশোরগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে হাওড়ে শতভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। উঁচু এলাকার ধান কাটাও শেষের পথে। তবে বাজারে দাম কম থাকায় বাম্পার ফলনেও খুশি হতে পারছে না কৃষক। ভেজা ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রির সুযোগ পান না বলে অভিযোগ কৃষকদের। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, ন্যায্যমূল্যে সরকারি গুদামে ধান বিক্রির পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের।

জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ভালোয় ভালোয় শেষ হচ্ছে ধান কাটা। এরইমধ্যে জেলার প্রধান প্রধান হাওড়ের ৯৫ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। আর উজানের ধান কাটা হয়েছে ৮৫ ভাগ। ধান কাটার পর দ্রুত নেয়া হচ্ছে বাড়িতে।

হাওড়ের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত করিমগঞ্জের চামড়া বন্দর ঘাটে প্রতিদিন আসছে ধানবোঝাই শত শত নৌকা। তবে ফলন ভালো হলেও, দাম নিয়ে হতাশ খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত হাওড় জেলা কিশোরগঞ্জের কৃষকরা। দাম না পেলেও উৎপাদন খরচ মেটাতে জমির পাশেই কম দামে ভেজা ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন অনেক কৃষক।

চামড়া বন্দরে নরসুন্দা নদী তীরের বাজারে ভেজা ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকায়। শ্রমিক ও পরিবহন খরচ মেটাতে অনেকেই জমির ধান কাটার পর কম দামে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে লোকসানের মুখে পড়ছেন তারা।

নিয়ামতপুর এলাকার কৃষক মানিক মিয়া জানান, জমিতে ধান লাগানো থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়, ধান বিক্রি করে তা দিয়ে পোষায় না। বর্তমানে ভেজা ধান সাড়ে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, তারা কখনও সরকারি খাদ্য গুদামে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন না। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার দাবি জানান তারা।

এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, ভেজা ধান কেনার পর তাদের শুকাতে হচ্ছে। তাই বর্তমানে ধানের দাম কম। এছাড়া মিল মালিকরা এখনও ধান কেনা শুরু না করায় কৃষকরা বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন না।

কৃষি বিভাগ বলছে, ভালো দাম না পাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে কৃষকরা যাতে ভালো দামে ধান বিক্রি করতে পারেন সে জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, এবার হাওড়ে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি যাতে তারা কম দামে ধান বিক্রি না করে, নির্ধারিত তাপমাত্রায় শুকিয়ে সরকারি খাদ্য গুদামে বিক্রির সুযোগ নেন। কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ১ লাখ ৬৭ হাজার; ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৩৮৭ মেট্রিক টন চাল।


আরও খবর



ঠিকাদারের হাতে জিম্মি রোগীরা, দেওয়া হয় বাসি-পঁচা খাবার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে একজন ঠিকাদার ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ করে আসছেন। একটানা ১৭ বছর একই ঠিকাদার খাবার সরবরাহের কারণে ঠিকাদারের কাছে জিম্মি রোগীরা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ খাবারের মান ও পরিমাপ নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠলেও উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি বরাদ্দে যে খাবার সরবরাহ করার তালিকা রয়েছে, সেসব খাবার কখনো পূরণ না করে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এখানকার রোগীরা।

সরকার নির্ধারিত বরাদ্দে (২০২২-২০২৩) অর্থছরের তালিকা অনুয়ায়ী প্রতিটি রোগীর জন্য সকালের নাস্তা রুটি, কলা, ডিম- ৩৯ টাকা, দুপুরে ও রাতে মাছ, সবজি, ডাল ও সাপ্তাহে ৩ দিন মাংস- ১৩৬ টাকা। দিন প্রতিজন রোগীর জন্য ১৭৫ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও যে ধরনের খাবার এবং যে পরিমাণ খাবার সরবরাহ করার কথা, রোগীরা সে পরিমাণ খাবার পাচ্ছেন না। পরিমাপে কম ও  পরিবেশন করা সকল খাবারই নিম্নমানের।

মাংস তো দুরের কথা মোটা চালের ভাত, নামে মাত্র মাছ, পঁচা-বাসি তরকারিসহ নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও পরিমাণে কম সরবরাহ করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী রোগীরা।

রোগীর স্বজন ও রোগীরা জানান, প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে যে পরিমান খাবার দেওয়া হয় তা অতি সামান্য ও নিম্নমানের যা অনেকে খেতে পারেন না। অনেকে খাবার নেন না। আবার কেউ কেউ খাবার নিলেও রোগীরা খান না। নির্ধারিত পরিমানে মানসম্মত খাবার সরবরাহের দাবি তাদের।

মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, বর্তমান সরকার সেবাখাতকে জনকল্যাণমূলক করতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। হাসপাতালে যারা ভর্তি থাকেন তাদের বেশিরভাগই গরীব রোগী। তাদের চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাবারের মান নিয়ে যেহেতু রোগীদের অভিযোগ রয়েছে, তাই এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদার মো.হাচান আলী বলেন, টেন্ডারের খাবার তালিকা অনুযায়ী প্রতিজন রোগীর জন্য ১৭৫ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও শতকরা ২৫% ভ্যাটসহ অন্যদিকের খরচ বাদ দিয়ে কত টাকা থাকে আপনি বলেন? তারপরও বাজারের যে অবস্থা এর চাইতে রোগীদেরকে আর কি খাওয়াবো? 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী বলেন, নামে মাত্র কাগজে কলমে খাবারের তালিকা থাকলেও আজ পর্যন্ত কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খাবারের তালিকা অনুযায়ী রোগীদেরকে খাবার দেয়নি। তারা আরও বলেন এনিয়ে বেশি কিছু বলতেও পারি না যদি কোনো ঝামেলা করে।

নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের বিষয় জানতে চাইলে আরএমও ডা.সুলতান আহম্মেদ বলেন, আমি দায়িত্বে থাকলেও বিষয়টি সম্পূর্ণ দেখভাল কারেন স্যার(টিএইচও)। তারপরও তিনি খোজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জনান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদ বিন হেদায়েত বলেন, প্রতিদিন খাবারের মান ও পরিমাপ পরীক্ষা করা হয়। নিম্নমানের খাবার দেওয়া তো প্রশ্নই ওঠে না।


আরও খবর