তুরস্কের ১০০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ফলপ্রসূ
নির্বাচনে ভোট দিয়েছে দেশটির জনগণ। চলছে গণনা। এরই মধ্যে ১৭ শতাংশ ভোট গণনার ফলাফলে
দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট
পার্টি (একেপি) এগিয়ে থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ খবর
প্রকাশ করেছে।
বিরোধীদলীয় নেতা কামাল কিলিচদারোগলু বলেন,
প্রাথমিক ফলাফলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এরদোয়ানকে এগিয়ে রাখলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে
তিনি এরদোয়ানের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কের নির্বাচন: পরাজয়ের ঝুঁকিতে এরদোয়ান
অন্যদিকে, তুরস্কের সবচেয়ে বড় বিরোধী
দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) বলছে, তারা আশাবাদী ও প্রথম দিকের ফলাফলকে নির্ভরযোগ্য
হিসেবে বিবেচনা না করার জন্য তুর্কিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সিএইচপি নেতারা বলছেন,
আনাদোলু প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফল বিশ্বাসযোগ্য নয়।
আনাদোলুতে প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফলে বলা
হয়েছে, প্রাথমিকভাবে বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলাফলে এরদোয়ান ৫৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ ভোট পেয়ে
এগিয়ে আছেন। অন্যদিকে, বিরোধী জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন
৩৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি কমান্ডার নিহত
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, শুক্রবারের
(১২ মে) দুটি জনমত জরিপ অনুযায়ী, সরাসরি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোটের বেশিই
যেতে পারে কিলিচদারোলুর পক্ষে। তবে রোববারের (১৪ মে) নির্বাচনে কেউই যদি ৫০ শতাংশের
বেশি ভোটে জিততে না পারেন, তাহলে ২৮ মে আরেকটি নির্বাচন হবে।
এদিকে বিবিসি বলছে, এবারের নির্বাচনে যারা
ভোট দিচ্ছেন তাদের আট শতাংশই প্রথমবারের ভোটার। তাই স্বাভাবিকভাবেই এবারের নির্বাচনী
প্রচারণায় সব প্রার্থী তরুণ ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করেছেন। তবে এরদোয়ান জোর দিয়েছেন
প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির ওপর। অন্যদিকে, কিলিচদারোলু আরও বেশি স্বাধীনতা
ও উন্নত কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।