আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন লক্ষ্মীপুর-১ আসনের পবন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক লক্ষ্মীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হাবিবুর রহমান পবনের প্রার্থীতা বাতিলের একদিন পর তা স্থগিত করেছে উচ্চ আদালত।

ওই আদেশের ফলে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে পবন তার ব্যবহৃত ফেজবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন তিনি। এতে উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রার্থীতা ফিরে পাবার কথা জানান কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ঈগল প্রতীকের হাবিবুর রহমান পবন।

এতে তিনি উল্লেখ করেন, "আলহামদুলিল্লাহ.... আল্লাহর দরবারে অনেক শোকরিয়া ! অবশেষে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রার্থীতা ফেরত পেলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং নির্বচন কমিশনের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। আমার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যে। আমার নির্বাচনী এলাকা লক্ষ্মীপুর-০১ (রামগঞ্জ) আসনের জনগণের প্রতি সালাম, অনেক কৃতজ্ঞতা এবং সম্মান জানাচ্ছি।"

জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান পবন মুঠোফোনে বলেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থীতা বাতিলের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে যাই। আদালতের ১০ নম্বর বেঞ্চ এর বিচারক মো. ইকবাল কবির ও বিচারক এসএম মনিরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করেছে।

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুরের ডিসি এবং এসপিকে দেখে নেবার হুমকির ঘটনায় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সোমবার (২ জানুয়ারি) হাবিবুর রহমান পবনের প্রার্থীতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন৷

নির্বাচনী অপরাধসহ নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংঘটনের দায়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), ১৯৭২ এর ৯১ (ই) অনুচ্ছেদের ২ ধারা অনুযায়ী পবনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খান। ৬ জন প্রার্থী এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


আরও খবর



শরিয়তপুরে অসহায় ৩’শ পরিবার পেল ঈদ উপহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদের আনন্দ সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও অসহায় ও নিম্ন আয়ের তিনশত পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে শরীয়তপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন

গতকাল রবিবার (৭ এপ্রিল) শরিয়তপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় হতদরিদ্র এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ৩০০ পরিবারের মাঝে শরীয়তপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ঈদ উপহার পৌঁছে দেয়া হয়।

স্বপ্নযাত্রার ঈদ উপহারে রয়েছে, পোলাউয়ের চাল ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, লাচ্ছা সেমাই ১ প্যাকেট, সাধারণ সেমাই ১ প্যাকেট, নুডুলস ফ্যামিলি ১ প্যাকেট, গুড়ো দুধ ১০০ গ্রাম, কিসমিস ৫০ গ্রাম, গরম মসলা।

সংগঠনের সূত্রে জানা গেছে স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন শরীয়তপুর জেলার একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন। সামাজিক কর্মকাণ্ড ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর শুরু হয় সংগঠনের একের পর এক ব্যতিক্রমী কার্যক্রম। এই সংগঠন যাত্রা শুরুর পরে হতেই ব্যতিক্রমী সব কার্যক্রমে জয় করছে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা।

এ ছাড়াও সংগঠনটি, স্বেচ্ছায় রক্তদান, রক্ত দানে  তরুণদের কে উৎসাহিত করা, বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরন করা, মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন, অনলাইন ভিত্তিক কোরআন তেলোয়াত প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন সামাজিক কাজের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় শরীয়তপুর জেলায়।

সংগঠনটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উদ্যোমী তরুণদের সহযোগিতায় মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। এবার নিয়ে আমরা ৫ম বার ঈদ উপহার বিতরন করছি, আমাদের এই মহৎ উদ্যোগে যেসকল স্বেচ্ছাসেবী সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষী ভাইয়েরা দেশ ও প্রবাস থেকে আর্থিকভাবে,শারিরীকভাবে ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ সিয়াম বলেন, সংগঠনটি গড়ে তোলা হয়েছে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য,অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটানোই এ সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য, আগামীতেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যকরী সদস্য মাহফুজ ঢালী বলেন, শরীয়তপুর জেলায় শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি করে মাদকমুক্ত সৃজনশীল তারুণ্য তৈরির মাধ্যমে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন স্বপ্নের আগামী নির্মাণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। একইসাথে অসুস্থ,দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থেকে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় রয়েছে শরীয়তপুরের স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন

তিনি আরও বলেন, সংগঠনের যাত্রালগ্ন থেকে রমাদান উপহার প্রজেক্ট ও ঈদ উপহার প্রজেক্টসহ সকল উদ্যোগে প্রবাসী ভাই ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষীদের আর্থিক ও পরামর্শমুলক সহযোগিতার ফলেই আমরা শরীয়তপুর জেলা ভিত্তিক সবচেয়ে  সুপরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আমরা আশাবাদী সবার যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা স্বপ্নের আগামী নির্মাণ করতে সক্ষম হবো।

এ সময় বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষক, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, উদ্যমী তরুণ, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্র নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য জানান।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন নাসির উদ্দিন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন।

এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।


আরও খবর



ঝিনাইদহ থেকে চুরি যাওয়া শিশু মাগুরায় উদ্ধার, আটক ১

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মাগুরায় ১৫ মাসের শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় এক নারীর সাহসিকতায় ও স্থানীয়দের সহযোগতিায় শিশুটি ফিরে পেল তার বাবা-মাকে। ঝিনাইদহের ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামের ইভান ও সুমাইয়া দম্পতির ১৫ মাসের মেয়ে তাহিয়া। তাদের বাড়িতে নাঈম (২০) নামে এক দিনমুজুর কাজ করতে এসে তাহিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় একই গাড়িতে থাকা জান্নাতুল ফেরদৌসী নামে অপর যাত্রীর সন্দেহ হলে স্থানীয়দের মাধ্যমে আটক করে মাগুরা সদর থানায় নিলে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পায়।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল জানান, অভিযুক্ত নাঈম গত ২৮ মার্চ থেকে ঝিনাইদহ সদরের ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামের  ইভান মিয়ার বাড়িতে কৃষি কাজের জন্য দিনমজুর হিসেবে কাজ করে আসছিল। এর মধ্যে নাঈম মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শিশু তাহিয়াকে চুরি করে নিয়ে ঝিনাইদহ থেকে মাহেন্দ্র অটোতে চড়ে মাগুরার দিকে রওনা দেয়। পথিমধ্যে হাটগোপালপুর এলাকা থেকে মাগুরা শহররে পশু হাসপাতাল পাড়ার জান্নাতুল ফেরদৌসী নামের এক মহিলা মাগুরার উদ্দেশ্যে ওই মাহেন্দ্রে ওঠে। শিশু বাচ্চাসহ নাঈমকে দেখে ও তার সাথে কথা বলে সন্দেহ হলে জান্নাতুল ফেরদৌসী মাগুরা শহরের ভায়না মোড়ে এসে তার সহাসিকতা ও দুরদর্শিতার মাধ্যমে অন্যদের সহযোগতিায় শিশুসহ অভিযুক্ত নাঈমকে আটক করে  মাগুরা সদর থানায় নিয়ে আসে। থানায় পুলিশি জেরার মুখে বাচ্চাটিকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে। অভিযুক্ত নাঈমের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলায়।

এ সময় তিনি বিষয়টি ঝিনাইদহ থানায় অবহিত করলে ঝিনাইদহ থানা শিশুটির অভিভাবকদের নিয়ে মাগুরা সদর থানায় এলে অভিযুক্ত নাঈমসহ সকলকে ঝিনাইদহ থানায় সোপর্দ করা হয়।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ২ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ২ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, ফেনী ও বান্দরবান জেলা এবং বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।


আরও খবর
ফের বাড়ছে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ

শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪




নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি শিগগির তাদেরকে মুক্ত করতে পারবো। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন।

তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারবো। বুধবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশে সবসময় গণতন্ত্র হরণ করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তাদের হাত ছিল। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই সেটি ঘটানো হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ১৩ সালে কি ধরণের সন্ত্রাসী ও জঘন্য মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা তারা চালিয়েছিল। ১৪ সালের নির্বাচনে পাঁচশ নির্বাচনী কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং নির্বাচনী কর্মকর্তা ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেটির উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। ১৮ সালের নির্বাচনেও একই প্রচেষ্টা ছিল। সর্বশেষ ২৪ সালের বিগত নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালানো হয়।

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বৃদ্ধি এবং হামলায় একব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গত মন্ত্রীসভার মিটিংয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কিশোর গ্যাং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন জেলা শহরে এই কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংদের গ্রেপ্তারের পর স্বাভাবিক জেলে না রেখে সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, সাধারণ জেলে যদি তাদেরকে পাঠানো হয় সেখানে থাকা অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা আরো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে পারে। দেশে এটি নতুন সমস্যা, এটিকে দূর করতে সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে নেপথ্যে যেই থাকুক, সে যেই দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হচ্ছে।

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন আমাদের দেশে রমজান আসার আগে এবং রমজানের সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার জন্য একটি অসাধু চক্র ও কিছু মজুতদার সবসময় সক্রিয় হয়। এবারও তা হয়েছে। সেটির সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করা, পণ্যের মূল্য যাতে বাড়ে। কিন্তু সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রেক্ষিতে এবার রমজানের সময় বাজার স্থিতিশীল ছিল এবং অনেক পণ্যের দাম কমেছে। 


আরও খবর