আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ল ২ হাজার ঘর

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে প্রায় ২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে আংশিক পুড়েছে ১০ ও ১২ নম্বর ক্যাম্প। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (৬ মার্চ) উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আগুন দুই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে।

ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানান, রোববার বিকেলে প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় পর ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা ক্ষতির তালিকা তৈরির কাজ শুরু করছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, প্রায় ২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। তার মধ্যে ৩৫টি মসজিদ ও মাদরাসা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, হাসপাতাল ও হেলথ সেন্টারসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠান পুড়েছে। কিভাবে আগুনের ঘটনা ঘটছে, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাশকতার উদ্দেশ্যে কেউ আগুন লাগিয়েছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ এমদাদুল হক জানান, রোববার বিকেলে বালুখালী ক্যাম্পের ডি-১৫ ব্লকের একটি বাড়ির চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গেলেও সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পাহাড়ের ঢালুতে ঘরবাড়ি ও পাহাড়ি চিপা গলি হওয়ায় কাজ করতে বেগ পেতে হয়।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, রোববার বিকেলে বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বি-ব্লকে আগুন লাগে। এ সময় আগুন আশপাশের ১০, ১১ ও ১২ নম্বর আশ্রয় শিবিরেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক তথ্যমতে, আগুনে প্রায় ২ হাজারের বেশি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


আরও খবর



নীলফামারীতে অতিরিক্ত গবাদী পশুর সংখ্যা এক লাখ ৩৩ হাজার ৯২টি

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল বসুনীয়া, নীলফামারী

Image

নীলফামারীর ছয় উপজেলায় দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১টি গবাদী পশু আসন্ন কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে প্রস্তত করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৫১ হাজার ৭২৮, সৈয়দপুরে ৪০ হাজার ২৫৫, ডোমারে ৪২ হাজার ৮০৬টি, ডিমলায় ৪৩ হাজার ৫০১, জলঢাকায় ৫২ হাজার ২২৮ ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৪৫ হাজার ৬৮৩টি গবাদী পশু রয়েছে। জেলার ছয় উপজেলায় ৩০ হাজার ৯৭২ খামারীসহ কৃষকের বাড়ীতে এসব পশু লালন পালন করা হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এবার নীলফামারীতে গবাদী পশুর সংখ্যা দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১ টি। অপরদিকে, জেলায় কোরবানীর ঈদে পশুর চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ১০৯ টি। চাহিদার চেয়ে এবার এক লাখ ৩৩ হাজার ৯২টি পশু অতিরিক্ত (বেশী) রয়েছে।

সুত্র জানায়, খড়, ঘাস, খৈল, চালের কুড়া ও ভূষি খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন খামারীসহ কৃষকরা। প্রস্ততকৃত গবাদী পশু সর্বক্ষনিক দেখা শুনা করছেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ওষুধের অপব্যবহার, রাশায়নিক খাবার বর্জনসহ খামারীদের নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এছাড়াও কোরবানীর অনুপযোগি পশু ক্রয় বিক্রয় না করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি করে যাচাই টিম গঠন করা হয়েছে।

জেলা শহরের হাজি মহসিন সড়ক সংলগ্ন মোস্তাফিজার রহমান মুক্তি জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৩০টি গরু দেশীয় পদ্ধাতিতে খড়-ঘাস খাইয়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে। এবারে আমাদের দেশীয় গরু দিয়ে কোরবানীর হাট পরিপূর্ণ হবে। প্রচুর গরু রয়েছে কৃষক ও খামারীদের কাছে। আশা করি, এসব পশু ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে বেচাকেনা হবে।

রামনগর ইউনিয়নের বাহলীপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, এবার কোরবানীর জন্য দেশী জাতের ১২ টি গরু পালন করেছি। তবে খাদ্যের চড়া দাম (খড়, ঘাস, ভূষি) ও খামারে কাজের লোকের হাজিরা বেশী (প্রতিদিন ৭০০টাকা হাজিরা)। একটি গরুর পিছনে যে টাকা ব্যয় হয় তা পুশিয়ে নিতে কৃষক ও খামারীদের হিমশিম খেতে হবে।

ওই ইউনিয়নের গরু ব্যবসায়ী মো. অলিয়র রহমান, হামিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর চেয়ে এবার গরুর দাম অনেক বেশী হবে। বাজারে এমনিতেই ৭০০ টাকা মাংসের কেজি। ফের খাওয়ার খরচ নিয়ে টানাটানি। তারপরেও গত বারের চেয়ে এবার দ্বিগুন দামে বিক্রিসহ প্রচুর গরু কেনা বেচা হবে। এতে কৃষক, খামারী, ব্যবসায়ী, ছোট ব্যবসায়ী (ফরিয়া দালাল) উভয় লাভবান হবে।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুল মালেক জানান, এবার সদরে প্রস্ততকৃত গবাদী পশুর সংখ্যা ৫১ হাজার ৭২৮টি। আশা করি, এই ঈদে গবাদী পশুর সংকট পড়বেনা। এতে খামারী ও ব্যবসায়ী উভয় লাভবান হবেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল হক বলেন, এবার কোরবানীর ঈদে দেশীয় পদ্ধাতিতে খৈইল, ঘাস ভূষি ও চালের কুড়া খাইয়ে গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করা হয়েছে। জেলার ছয় উপজেলায় দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১টি গরু প্রস্তত করা হয়েছে। চাহিদার তুলনায় একলাখ ৩৩ হাজার ৯২টি গবাদী পশু অতিরিক্ত রয়েছে। আশা করি ঈদুল আজহায় কোরবানীর পশুর ঘাটতি হবেনা।

নিউজ ট্যাগ: নীলফামারী

আরও খবর



ভিকারুননিসার ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিলের রায় প্রকাশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও  প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিতে অভিভাবকদের করা আবেদনের ওপর নো অর্ডার দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলই থাকছে। এ বিষয়ে আপিল আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী লিটন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রায়ের ২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ মে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বলা হয়, ১৫ দিনের মধ্যে ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও ভালো ভর্তি প্রক্রিয়া চালু ও জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে একটি অনুসন্ধান কমিটি করতে বলা হয়েছে।

এরও আগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিতে অভিভাবকদের করা আবেদনে নো অর্ডার দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলই থাকছে। ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় চেম্বারে বহাল রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মঈনুল হাসান।

১৬৯ শিক্ষার্থীর পক্ষে হাইকোর্টের রায় স্থগিত সংক্রান্ত বিষয়ে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৬ মে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত নো অর্ডার দেন। আদালতে ওইদিন শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. মুস্তাফিজুর রহমান খান ও সিনিয়র আইনজীবী এম. সাইদ আহমেদ রাজা।

এর আগে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নিতে ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু হাইকোর্টের দেওয়া এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রোববার (২৬ মে) এ আবেদন করা হয়। ১৬৯ শিক্ষার্থীর পক্ষে আবেদনটি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রিটকারী আইনজীবী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া অভিভাবক ও কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ২১ মে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আইনজীবী শামীম সরদার। ভিকারুননিসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মঈনুল হাসান। ১৬৯ শিক্ষার্থীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খুররম শাহ মুরাদ ও আইনজীবী মো. লিটন।

এর আগে ভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু দুই শিক্ষার্থীর মা ১৪ জানুয়ারি রিট করেন। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এক পর্যায়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর একটি স্মারক হাইকোর্টে উপস্থাপন করে। যেখানে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অনুসরণ করেনি উল্লেখ করা হয়।

বলা হয়, ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের আগে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার প্রক্রিয়া ছিল বিধিবহির্ভূত। এসময় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন ও ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১৫৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে শিগগির মাউশিকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে শূন্য আসনে ভর্তি নিতে ৬ মার্চ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে ওই আদেশের বিরুদ্ধে ভর্তি বাতিল হওয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

ওই আবেদনের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল হাইকোর্টকে দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ সময় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল ও অপেক্ষমাণদের ভর্তির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় রুল শুনানি শেষ হয়।


আরও খবর



শেখ হাসিনা-মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২২ জুন) দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়েছে।

এর আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আতিথেয়তা গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা। যেখানে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় শেখ হাসিনাকে।

বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ বিবৃতি দেবেন। পরে হায়দরাবাদ হাউসে শেখ হাসিনা তার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। বিকেলে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের কার্যালয়ে তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি পুনরায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন। সেখানে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করবেন। নয়াদিল্লি সময় বিকেল ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২১ জুন) বিকেল পৌনে ৫টায় সফরসঙ্গীদের নিয়ে পালাম বিমানবন্দরে পা রাখেন শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ভারতের পররাষ্ট্র ও পরিবেশবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।

বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল তাজ প্যালেসে যান। বিমানবন্দর থেকে তাজ প্যালেসে যাওয়ার রাস্তার দুপাশ বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় পতাকা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি ও প্ল্যাকার্ড দিয়ে সাজানো হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজিতে বিভিন্ন উদ্ধৃতির প্ল্যাকার্ড দেখা যায় রাস্তার দুপাশে।

এর আগে দুপুর ২টা ৮ মিনিটে নয়াদিল্লির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন তিনি।

এর আগে ২০২২ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষর হয় সাতটি সমঝোতা স্মারক। কথা হয়, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের বৃদ্ধি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক ও মানব পাচার রোধ নিয়েও। শনিবারের বৈঠকে নির্ধারণ হতে পারে ২০২২ সালের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বাস্তবতা এবং আগামী পাঁচ বছরের রূপরেখা।


আরও খবর



স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় দুই হাজার কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে যে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অতিরিক্ত দুই হাজার কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসা গবেষণার জন্য আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের প্রস্তাব করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অতিরিক্ত ২০০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে বিজ্ঞানের মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার গুরুত্ব বিবেচনায় সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিলে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের প্রস্তাব করছি। এ ছাড়া, আধুনিক ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, চিকিৎসা শিক্ষায় সকল স্নাতকোত্তর ডিগ্রিকে এক প্লাটফর্মের আওতায় নিয়ে আসা, পরীক্ষা পদ্ধতির আধুনিকায়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আবুল হাসান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাস্থ্য সেবা খাতকে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রবর্তন করেন। এ সব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে গ্রামীণ জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং ২৭ ধরনের ঔষধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এবং নীতিসহায়তার ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের ঔষধ উৎপাদনে সক্ষম। দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৯৮ ভাগ ঔষধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। একই সঙ্গে পরিবার কল্যাণ সেবা সহজীকরণসহ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে দক্ষ ধাত্রী ও মিডওয়াইফের মাধ্যমে নিরাপদ প্রসব সেবা দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



অনেক বড় জায়গা থেকে তদবির হচ্ছে: মুমতারিন ডরিন

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অনেক বড় জায়গা থেকে তদবির হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান তিনি।

মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, অনেক বড় জায়গা থেকে তদবির হচ্ছে। তদবিরের চাপে যাতে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত না হয়। মূল পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সঠিক বিচার চাই। সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছে- আইন, বিচার সব নিজস্ব গতিতেই চলবে। অপরাধীরা পার পাবে না।

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যাকে আটক করা হয়েছে, সে আমাদের প্রতিপক্ষ না। সে বাবার শত্রু না। কে তাকে ধরাচ্ছে? তিনটি ফোন একদিনে হারিয়ে যাচ্ছে, টাকার লেনদেন হচ্ছে- এই বিষয়গুলো সন্দেহজনক। কে এই টাকার যোগানদাতা?


আরও খবর