আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে উখিয়া ৫নং ক্যাম্পে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ৫ নং ক্যাম্পের এ ব্লকের হেড মাঝি (নেতা) মোহাম্মদ হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

আরও পড়ুন>> সারা দেশে ১৮ ভোটকেন্দ্রে আগুন

আগুন নেভাতে ফায়ার সাভির্সের পাঁচটি ইউনিট কাজ করছে। তবে এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে। 

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টাফ বাসে আগুন

১৪ আমর্ড পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, আগুনে এ পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০টি ঘর পুড়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগুনের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডটি পরিকল্পিত নাকি দুর্ঘটনা সেই রহস্য উদ্‌ঘাটনে তৎপরতা অব্যাহত আছে। ঘটনাস্থলে এপিবিএন সদস্যরা অবস্থান করছেন।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষা আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ সকাল ১০টায়। তবে বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। আগামী ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল সেগুলো যথারীতি হবে।

এবার প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার। সময়সূচি অনুযায়ী ৩০ জুন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হবে এই পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। জানা গেছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, পুনর্বিন্যাসকৃত (সংক্ষিপ্ত) পাঠ্যসূচিতে অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা।

বিদেশে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মোট ২৮১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে জেদ্দায় ৪৭টি, রিয়াদে ৪৩টি, ত্রিপোলিতে দুটি, দোহায় ৬৩টি, আবুধাবিতে ৪৪টি, দুবাইয়ে ২২টি, বাহরাইনে ৩৪টি এবং ওমানে ২৬টি।

এদিকে শিক্ষাবোর্ডগুলো চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে। সেগুলো হলো

১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।

২. প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

৩. ৩০ নম্বররের বহুনির্বাচনি (MCQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (CQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট; ব্যবহারিক বিষয় সম্বলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি (MCQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল (CQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট; পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত চলবে। MCQ এবং CQ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না; (ক) সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল ৯.৩০ মি. অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি OMR শিট বিতরণ; সকাল ১০টা বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ; সকাল ১০.৩০ মিনিটে বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র (OMR শিট) সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ; (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)। (খ) বেলা ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে বেলা ১.৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি OMR শিট বিতরণ; দুপুর ২টা বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ; বেলা ২.৩০ মি. বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র (OMR শিট) সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ, (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট)।

৪. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

৫. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট হতে সংগ্রহ করবেন।

৬. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবেন। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোন প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।

৭. পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।

৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন; কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।

১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর (Non programmable) ব্যবহার করতে পারবেন। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।

১১. পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না।


আরও খবর



বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক কর্মশালা

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি কেন্দ্রের (ময়মনসিংহ) উদ্যোগে বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০২৩-২৪) ও গবেষণা পরিকল্পনা (২০২৪-২৫) প্রণয়ন শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) সকালে বিএফআরআই অডিটরিয়ামে আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মুহাম্মদ জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডীন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ আলী রেজা ফারুক, মৎস্য অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম। এছাড়াও কর্মশালার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) ড. অনুরাধা ভদ্র।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যমোচন ও রপ্তানি আয়ে মৎস্য খাতের অবদান আজ সর্বজনস্বীকৃত। নদীমাতৃক ছোট আমাদের এই দেশ মাছ উৎপাদনে চীনের মতো দেশকে পিছনে ফেলে সেকেন্ড পজিশনে চলে এসেছে। দেশের মৎস্য খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত। মাছ উৎপাদন, আহরণ, বিপণন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানিসহ মৎস্য খাতে এ মানুষরা কাজ করেন। এক সময় মাছ চাষে অনেকের অনাগ্রহ ছিল। এখন শিক্ষিত জনগোষ্ঠী মাছ চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানিতে সম্পৃক্ত হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, ২০৩০ সালে আমাদের মৎস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৮৫ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও টেকসই মৎস্য উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।


আরও খবর



ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউরের দায়িত্বে সুরেশ চন্দ্র

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সদ্য সরিয়ে দেওয়া মতিউর রহমানের স্থলে বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাসকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মকিমা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সদস্য (টেকনিক্যাল) সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাসকে ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।


আরও খবর



স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে যত্ন ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পাস হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি নীতিমালা অনুযায়ী পণ্যের কোয়ালিটিতে যাতে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া না হয়, তাও নিশ্চিত করতে বলেছেন তিনি।

সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হওয়া এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নিজে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানান।

রোববার (৩০ জুন) সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পাস হয়েছে।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে এ বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে।

এরও আগে শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে সংসদে অর্থবিল উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পরে সেটি সংসদে পাস হয়।


আরও খবর



ভারতে চামড়া পাচার ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক বিজিবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চোরাই পথে ভারতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে বিজিবি সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে। এরই মধ্যে যশোরের সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও পুলিশ টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে। এ ছাড়াও সীমান্ত এলাকার সড়কগুলোতে যানবাহনে তল্লাশি করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল এ তথ্য জানিয়েছেন। ঈদের দিন বিকাল থেকে আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত এ সতর্কতা জারি থাকবে বলে তিনি জানান।

এদিকে সীমান্তে বিজিবির পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য প্রশাসনেরও নজরদারি রয়েছে। তবে চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় এবার পাচারের শঙ্কা রয়েছে বলে বিক্রেতারা জানান।

জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে দেশের বাজারে চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় পাচারের শঙ্কা বেড়েই চলেছে। তবে দেশের সম্পদের পাচার ঠেকাতে প্রতি বছর বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তজুড়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়। এ বছরও পাচার রোধে বিজিবির সদর দফতর থেকে নির্দেশ এসেছে। এরপরই ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবি কোরবানির দিন থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত সীমান্তের বিশেষ পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরই মধ্যে সব পয়েন্টে বিশেষ টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে। এ ছাড়া পাচার প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চেয়েছে বিজিবি।

চামড়া ক্রেতা মশিয়ার রহমান জানান, ৭০০ টাকায় কেনা চামড়া বিক্রির সময় ৫০০ টাকা বলছে। আর ছাগলের চামড়ার দাম ৫০ টাকা। এরকম দাম থাকলে চামড়া পাচার হতে পারে মন্তব্য করেন তিনি।

চামড়া বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে নানা অজুহাত দেখিয়ে সেই দাম দেওয়া হচ্ছে না। এবার লোকসান গুনতে হবে।

ঢাকা থেকে বেনাপোলে চামড়া কিনতে আসা ব্যবসায়ী বলেন, এবার কোরবানির পশুর চামড়ার সরবরাহ কম। আবার মানও ভালো না। তাই বেশি দাম দিয়ে কিনতে পারছেন না।

যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া যাতে পাচার না হয়, সেজন্য সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এই সতর্কতা কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি সুমন ভক্ত জানান, কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার পাশাপাশি পুলিশও কাজ করছে। সীমান্ত অভিমুখে প্রবেশের সময় চালকদের জিজ্ঞাসাবাদসহ ও যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে।


আরও খবর