আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

উন্নত চিকিৎসার জন্য দিল্লি যাচ্ছেন তোফায়েল আহমেদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উন্নত চিকিৎসার জন্য দিল্লি যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে নিয়ে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তোফায়েল আহমেদের জামাতা ডা. তৌহিদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, স্কয়ার হাসপাতালে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তোফায়েল আহমেদকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার শরীরের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, উনি (তোফায়েল আহমেদ) হাতে শক্তি একটু কম পাচ্ছেন। উন্নত চিকিৎসা ও চেকআপের জন্য তাকে দিল্লি নেওয়া হচ্ছে। তাকে বহনের জন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবো।

এদিকে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইউনুস বলেন, সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় শুক্রবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারত নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার তার যাওয়ার কথা থাকলেও যাওয়া হয়নি। তার সঙ্গে ছেলে মইনুল হোসেন বিপ্লব দিল্লি যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

তোফায়েল আহমেদকে দিল্লির মেডান্টা হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডা. তৌহিদুজ্জমান। ৭৭ বছর বয়সী রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-১ আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি।



আরও খবর



জামালপুরে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নে পবিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন ও সকল চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে গেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রেখে তারা সারাদেশে একযোগে কর্মবিরতি পালন করছেন। কর্মবিরতি পালন করছেন জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে অভিন্ন চাকরবিধি বাস্তবায়নসহ ১৬টি দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমিতির প্রাঙ্গণে কর্মবিরতি পালন করেন। এ সময় তারা 'বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, বৈষম্যের স্থান নাই, বৈষম্য নিপাত যাক, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুক্তি পাক' শ্লোগানে মুখর করে তোলেন সমিতির প্রাঙ্গণ।

এ সময় বক্তব্য রাখেন মাদারগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম ওবায়দুল্লাহ আল মাসুম, জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (অপারেশন এন্ড ম্যান্টেন) সাধন কুমার সরকার,  ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাঈমা সিদ্দিকা, লাইন টেকনিশিয়ান আসাদুজ্জামান, জালাল উদ্দিন প্রমুখ।

জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পদমর্যাদা (সরকার ঘোষিত গ্রেডিং ১-২০) ৬ মাস পিছিয়ে পে-স্কেল ও ৫% বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, এপিও বোনাস সমহারে না দেওয়া লাইনম্যানদের নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লাইনম্যান ও বিলিং সহকারি পদায়ন না করা, যথাসময়ে পদন্নোতি না করা, লাইনক্রু লেভেল-১ ও মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক), বিলিং সহকারি (কানামুনা) চাকরি নিয়মিত না করা স্মারকলিপিতে অংশগ্রহণ করায় ভোলা পবিস-এর এজিএম আইটি ও এজিএম অর্থকে সাময়িক বরখাস্ত, সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ডিজিএম (কারিগরি) ও এজিএম আইটি-কে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে সংযুক্ত করায়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ ও ভবিষ্যতে আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে বাপবিবো/পবিস এ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের জন্যই এই কর্মবিরতি পালন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম এক হলেও বেতন-ভাতা, পদোন্নতি, ছুটিসহ সব সুযোগ-সুবিধা ভিন্ন। এছাড়া বিভিন্ন সময় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের স্থায়ী না করায় তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। নির্ধারিত কর্মঘণ্টা নির্ধারণসহ তাদের দাবিদাওয়া না মেনে নিলে তারা আরও বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হুঁশিয়ারি দেন।

জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় আড়াইশ কর্মচারী এই কর্মবিরতিতে যোগ দেন। পরে তারা তাদের দাবি ও বৈষম্যগুলো উত্থাপন করেন।


আরও খবর



সুরমা নদী ড্রেজিং করা হবে : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট নগরকে আগাম বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে সুরমা নদী ড্রেজিং করা হবে। নদীতে পলিমাটি থাকার ফলে এর আগেও ড্রেজিং কাজ ব্যহত হয়েছিল। উজান থেকে আসা পানির সাথে আসা পলিমাটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। প্রকৌশলীদের সাথে আলাপ করেছি দ্রুত সুরমা নদী ড্রেজিং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সিলেট নগরীর ৩৯ নং ওয়ার্ডের টুকেরবাজার এলাকার শাদীখাল পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, এমপি এসব বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের ৯টি স্থানে ড্রেজিং স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। নদী ভাঙন, পলিমাটি অপসারণে নিয়মিত নদী খনন করা হবে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিশোরগঞ্জের মিটামইন সড়ক দিয়ে পানি পারাপারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এসময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেট জেলা প্রশাসন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও হালকা আবার কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণও হতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সংস্থাটি বলছে, আজ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। এ ছাড়াও মঙ্গলবার ও বুধবার দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সোমবার (১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে আগামী তিন দিনের পূর্বাভাসে বলা এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়ার অধিদপ্তর।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থাযীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

অন্যদিকে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে দেশের রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি মৌসুমী বায়ুর সাথে মিলিত হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু দেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।


আরও খবর



বেনজীরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে: দুদক সচিব

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নির্ধারিত সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) উপস্থিত না হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার স্ত্রী-কন্যারাও যদি যথাসময়ে উপস্থিত না হন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।

রবিবার (২৩ জুন) দুদক কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

দুদক সচিব বলেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার বক্তব্য দেওয়ার জন্য আজ নির্ধারিত ছিল।

কিন্তু তিনি যথাসময়ে উপস্থিত হবেন কি না, সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানাননি বা অবগত করেননি। আজ অফিস সময়ের মধ্যে কমিশনে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য না দিলে অনুসন্ধান টিম আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরো বলেন, আগামীকাল তার স্ত্রী ও কন্যাদের উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুসন্ধানকারী টিম নোটিশ দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারাও উপস্থিত না হলে তাদের বিষয়েও অনুসন্ধান টিম আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে অতিরিক্ত ১৬ দিন সময় দেওয়া হলেও তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হননি। এতে করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারালেন সাবেক এই আইজিপি।

রবিবার (২৩ জুন) সকাল ১০টার মধ্যে দুদকের তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হওয়ার কথা ছিল বেনজীর আহমেদের। তবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তিনি দুদক কার্যালয়ে আসেননি।

দুদক সূত্র জানায়, মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কোনো নতুন কোনো আবেদনও করেননি বেনজীর আহমেদ। এতে করে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছেন।

গত ৬ জুন বেনজীর আহমেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৩ জুন সকালে তাকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।


আরও খবর



হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, ৭ শতাধিক অ্যাকাউন্টে লেনদেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাত শতাধিক ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে এসব টাকা।

দুদকের এমন অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার ফয়সাল, তাঁর স্ত্রী ও স্বজনদের ৮৭টি ব্যাংক হিসাব ও ১৫টি সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা অবরুদ্ধ এবং ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

আদালতে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানিতে বলেন, কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে ইনকাম ট্যাক্স কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে বাণিজ্য, আয়করদাতাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ গ্রহণ, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎসহ অবৈধ অর্থ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

তিনি অবৈধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। শুনানি শেষে আদালত তাঁর সম্পদ জব্দের এ আদেশ দেন।

আদালতে করা আবেদনে বলা হয়, আবু মাহমুদ ফয়সাল সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ ঘুষ লেনদেন, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয়ের উৎস গোপনের উদ্দেশ্যে শাহজালাল ব্যাংক কারওয়ান বাজার শাখায় তাঁর নিজ নামে বিভিন্ন এফডিআর হিসাব খোলেন।

মেয়াদ পূর্তির পর এফডিআর ভাঙানো টাকা ও নতুন করে নগদ এনে ফারহানা আক্তার, মমতাজ বেগম, মাহমুদা হাসান, খন্দকার হাফিজুর রহমান, কারিমা খাতুনের নামে বিভিন্ন এফডিআর স্কিম খোলেন। পরে ওই অর্থ এবি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স, হজ ফাইন্যান্স এবং সব শেষে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শাখায় ওই লোকজন ছাড়াও আহম্মেদ আলী, আফতাব আলী, শেখ নাসির উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের নামে সাত শর বেশি হিসাব খুলে অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করতে স্থানান্তর বা রূপান্তর বা হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং অপরাধ সংঘটিত করেছেন বলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ফয়সালের যত সম্পদ

কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালসহ ১৪ জনের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করেছেন আদালত। পাশাপাশি ফয়সালসহ সাতজনের নামে থাকা ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ফয়সালের স্ত্রী আফসানাসহ চারজনের নামে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে ডাচ বাংলা ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকার দুটি সঞ্চয়পত্র, তাঁর স্ত্রী আফসানা জেসমিনের নামে চারটি সঞ্চয়পত্রে ৫০ লাখ টাকা, আফতাব আলীর নামে দুটি সঞ্চয়পত্রে ৩০ লাখ টাকা, কাজী খালিদ হাসানের নামে একটি সঞ্চয়পত্রে ৩০ লাখ টাকা, খন্দকার হাফিজুর রহমানের নামে দুটি সঞ্চয়পত্রে ৪০ লাখ টাকা, আহম্মেদ আলীর নামে তিনটি সঞ্চয়পত্রে ৫০ লাখ টাকা ও মাহমুদা হাসানের একটি সঞ্চয়পত্রে পাঁচ লাখ টাকা রয়েছে।

ফয়সাল ছাড়া অন্য যাঁদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ হয়েছে তাঁরা হলেনশেখ নাসির উদ্দিন, মমতাজ বেগম, রওশন আরা খাতুন, আহম্মেদ আলী, খন্দকার হাফিজুর রহমান, ফারহানা আফরোজ, আশরাফ আলী মুনির, আফতাব আলী তানির, মাহফুজা আক্তার, মাইনুল হাসান, আফসানা জেসমিন, মাহমুদা হাসান ও কাজী খালিদ হাসান। এ ছাড়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে আফসানা জেসমিনের নামে ১০ কাঠা জমি, ২০০ বর্গমিটারের প্লট, আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে ভাটারা, খিলগাঁও ও রূপগঞ্জে থাকা স্থাবর সম্পদ, আহমেদ আলীর নামে থাকা ফ্ল্যাট ও কার পার্কিংয়ের তিন হাজার ২২৮ বর্গফুট স্থাবর সম্পদ ও মমতাজ বেগমের নামে থাকা ১০ কাঠা জমি জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর