আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাইলে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাইলে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। আর যদি চান জঙ্গীদের উত্থান হোক, দুর্নীতির উত্থান হোক তাহলে ভিন্ন শিবিরে যাবেন। এখন সিদ্ধান্ত আপনি নেবেন। আপনার সন্তানরা সুদিন পাবে, আপনার ভবিষ্যৎ, আপনার এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখাবেন, নাকি দেশকে ওই পিছনের দিকে নিয়ে যাবেন। সে সিদ্ধান্ত আপনাদের নিতে হবে।

মন্ত্রী আজ রবিবার দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা চত্ত্বরে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত উন্নয়ন মেলা ও উপজেলা অডিটরিয়ামে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুসহ সকল বিষ্ময়কর উন্নয়নের বার্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বর, দলীয় নেতৃবৃন্দকে ঘরে ঘরে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কারণ অনেকে অনেক কিছু জানেন না। তাদেরকে বোঝানো দরকার যে, শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে সাজিয়েছেন। আজকে বঞ্চিতদের জন্য  নানাবিধ ভাতার ব্যবস্থা করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস পিরোজপুরবাসীরা উন্নয়নের পক্ষে থাকবে, সমৃদ্ধির পক্ষে থাকবে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে থাকবে, আধুনিক বাংলাদেশের বিনির্মানের পক্ষে থাকবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের পক্ষে থাকবে।

জেলা প্রশাসক জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহামেদ সাব্বির সাজ্জাদ, সহকারি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মুকিদ হাসান খান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার যুগ্ম-পরিচালক আব্দুল কাদের প্রমূখ।

এর আগে মন্ত্রী দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন। মেলায় ১১টি ষ্টল স্থান পায়। সকালে নাজিরপুর উপজেলা চত্ত্বরে একই কর্মসূচি উদ্বোধন ও আলোচনায় অংশ নেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাক্তার সঞ্জিব দাশ, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাকির হোসেন মিয়া, নজিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির, কৃষকলীগের আহবায়ক এস  এম নজরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেখ মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিয়ার ফেরদৌস রুনা, শেখমাটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান চৌধুরী নান্নু, খালিদ হোসেন সজল প্রমূখ।


আরও খবর



রাজধানীতে এবার চালু হলো বাসের গেটলক সিস্টেম

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর যানজট সমস্যা নিরসনে এবার চালু হলো আন্তঃজেলা বাসের গেটলক সিস্টেম। এর ফলে যাত্রীদের নির্দিষ্ট পথের যাত্রার সময় বাঁচবে এবং ভ্রমণ নিরবচ্ছিন্ন ও আনন্দদায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রোববার (১২ মে) দুপুরে এ কার্যক্রম চালু করা হয়।

গেটলক সিস্টেম চালুর পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনাল একটি সংবেদনশীল জায়গা। এখানে শ্রমিকরা আছেন, যাত্রীরা বাসে চলাচল করেন। সুতরাং সকল প্রকার সংবেদনশীলতা মাথায় রেখে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়, যাতে যাত্রীরা কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন। যে কারণে আমরা কখনো কঠোর হই কিংবা একটু নরমভাবে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আন্তঃনগর গেটলক সিস্টেম নগরবাসী ও যাত্রীদের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো বনানী পর্যন্ত যত্রতত্র যাত্রী উঠায়। এর ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান ও গুলশান ডিভিশনের ট্রাফিকের উপ-কমিশনার আব্দুল মোমেনসহ শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিই যে মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি বনানী পর্যন্ত কোনো যাত্রী উঠাবে না। এর মাধ্যমে এই এলাকায় যানজট নিরসন হবে। মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলোতে যাত্রীদের তালিকা, ড্রাইভারের নাম ও গাড়ির নম্বরসহ একটি প্রস্থান পত্র দেওয়া হবে। পরে বনানীতে আমাদের সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তরা দেখবেন যে যাত্রীর সংখ্যা সঠিক আছে কি না।

ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন বলেন, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ প্রতিনিয়ত গেটলক সিস্টেম তদারকি করবে। কোনো পরিবহন এ নিয়ম অমান্য করে যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



দুবাইয়ে ধনকুবেরদের গোপন সম্পদ, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিলাসবহুল জীবনযাপনের শহর দুবাই। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষের বিপুল পরিমাণ গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে পলাতক ব্যক্তি, অর্থপাচারকারী এবং অপরাধীরা সেখানে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। এসব সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রকল্প দুবাই আনলকড-এ। এই তালিকায় রয়েছেন ৩৯৪ বাংলাদেশি।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোরের নেতৃত্বে এই অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এতে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা দীর্ঘ ৬ মাস ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুবাই আনলকড শিরোনামে প্রতিবেদনটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ওসিসিআরপি। সেখানে উঠে এসেছে, কীভাবে দুবাই সারা বিশ্বের ধনীদের জন্য শীর্ষ পছন্দের শহর হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শহরটিতে ১২.৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ গড়েছেন কিছু পাকিস্তানি নাগরিক। দেশটির রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির তিন সন্তান, প্রয়াত জেনারেল পারভেজ মোশাররফ, এমনকি পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলের মতো লোকেরা এই তালিকায় রয়েছেন। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। আর্থিক সাহায্যের দাবিতে দৌড়াদৌড়ি চলছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাদের রাজনীতিবিদ এবং সামরিক নেতাদের নগদ অর্থের সংকট নেই।

তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথিতে ১৭ হাজার পাকিস্তানি নাগরিক দুইবাইয়ে তালিকাভুক্ত সম্পদের মালিক। শহরটিতে আবাসিক সম্পত্তির পাকিস্তানি মালিকের প্রকৃত সংখ্যা ২২ হাজার। এটি পাকিস্তানের এমন পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে- যখন দরিদ্ররা আকাশচুম্বী মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ধনীরা অভিনব অ্যাপার্টমেন্টগুলো নিয়ে উচ্চ জীবন উপভোগ করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দুবাই বর্তমানে ধনীদের পছন্দের শীর্ষে পরিণত হয়েছে। অপরাধী, পলাতক ব্যক্তি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বৈধ ব্যক্তিরাও সেখানে অর্থ লুকিয়ে রাখতে চাইছে। প্রকৃতপক্ষে দুবাইয়ের এসব মালিকদের অনেকেই অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং মাদক সম্রাট।

উদাহরণস্বরূপ, প্রাক্তন আফগান সরকারি কর্মকর্তা এবং অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী আসাদুল্লাহ খালিদ দুবাইকে বাড়ি বানিয়েছেন। তাছাড়া বাশার আল-আসাদের চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ ও তার ভাই ইহাবও সেখানে সম্পত্তির মালিক। উরুগুয়ের গ্যাং স্টার সেবাস্তিয়ান মার্সেত, যাকে দক্ষিণ আমেরিকাজুড়ে মাদক পাচারের জন্য খোঁজা হচ্ছে- তিনিও দুবাইয়ে বাড়ির মালিক।

এছাড়া মাদক পাচারের অভিযোগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা ৩২ বছর বয়সী জোসেফ জোহানেস লিজডেকার্স, যিনি 'নিটোল জোস' নামেও পরিচিত- তারও দুবাইয়ে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জের গ্র্যান্ডিউর রেসিডেন্সে একটি বাড়ি রয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে আবাসিক সম্পত্তির হওয়ার দিক দিয়ে ভারতীয়রা তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। এই তালিকায় রাজনীতিবিদ, সামরিক নেতা থেকে শুরু করে আমলারাও রয়েছেন।

দুবাইয়ে গোপন সম্পদের বিষয়ে ফাঁস হওয়া তথ্যে ৩৯৪ বাংলাদেশির তালিকা থাকলেও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। রিপোর্ট বলছে, শহরে গোপনে সম্পদ গড়েছেন অন্তত ৩৯৪ জন বাংলাদেশি। বাংলাদেশিদের মালিকানায় রয়েছে ৬৪১টি সম্পত্তি। বাংলাদেশিদের মালিকানায় থাকা এসব সম্পত্তির মূল্য ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারেরও বেশি।

দুবাইয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবের ও তাদের সম্পদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়- ভারতের মুকেশ আম্বানির রয়েছে ১১ হাজার ২০ কোটি ডলারের সম্পদ, ভারতের এম এ ইউসুফ আলী ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৭৮০ কোটি ডলার, ভারতের শামশীর ভায়ালিলের রয়েছে ৩৫০ কোটি ডলারের সম্পদ, ওমানের সুহাইল বাহওয়ানের আছে ১৯০ কোটি ডলারের সম্পদ, রাশিয়ার আন্দ্রেই মলচানভ ও তার পরিবারের ১৩০ কোটি ডলারের সম্পদ, সাইপ্রাসের বিনোদ আদানির ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদ, কানাডার চ্যাংপেং ঝাওয়ের ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদ, যুক্তরাজ্যের সকেট বর্মনের ১৫০ কোটি ডলারের সম্পদ, সাইপ্রাসের নাগরিক ইগোর মাকারোভের ২১০ কোটি ডলারের সম্পদ এবং মিসরের নাগরিক নগিব সাবিরিস ও তার পরিবারের ৩৮০ কোটি ডলার পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ধনকুব দুবাই

আরও খবর



মেহেরপুরে ফের দেড় হাজার শতবর্ষী গাছ কাটার তোড়জোড়

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

রাস্তা সম্প্রসারণ ও সড়ক দুর্ঘটনার অজুহাতে ফের জেলা পরিষদের দেড় হাজার শতবর্ষে গাছ কাটার তোড়জোড় শুরু করেছে মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

এর আগে বছরখানেক আগে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ২ হাজার ৭৮৬ টি শতবর্ষী গাছ কেটে রাস্তা প্রশস্তের উদ্যোগ নিয়েছিলো মেহেরপুর সড়ক বিভাগ। আর সেই গাছ মুহুর্তের মধ্যেই কাটা হয়ে গেছিলো। গাছ কাটা হলেও নতুন করে লাগানো হয়নি একটিও গাছ।

রাস্তার দুপাশ এখন ধু ধু মরুভূমি। গাছ কাটা নিয়ে পরিবেশবাদিরা ও সাধারণ মানুষ ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল সে-সময়। শতবর্ষী কড়ই, মেহগনি, শিমুল, বাবলা ও নিম গাছগুলো কাটার কারণেই চলতি মৌসুমে মেহেরপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।

আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো মেহেরপুর-মুজিবনগর ও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে আরও ১ হাজার ৪৪০ টি গাছ কাটার উদ্যোগ নিয়েছে মেহেরপুর সড়ক বিভাগ।

ইতিমধ্যে মেহেরপুর জেলা পরিষদ বরাবর একটি চিঠি দিয়ে গাছগুলো কাটার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।

মেহেরপুর সড়ক বিভাগ থেকে জানা গেছে, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের আমঝুপি পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা তৈরির কাজ করা হবে। যাতে প্রধান বাধা হয়ে আছে রাস্তার পাশে ৯৭৬টি ছোট বড় বিভিন্ন বনজ ও ফলজ গাছ। এছাড়াও মুজিবনগর সড়কে দুর্ঘটনা এড়ানোর অযুহাতে কাটা হবে আরও ৪৬৪টি গাছ। এই সড়কে শতবর্ষী কড়ই, মেহগনি, শিমুল ও নিম গাছগুলোকে সড়ক বিভাগ লাল রং করে নাম্বারিং করে গেছে। কিছু গাছ রয়েছে সড়কের কিছুটা উপরে, আবার বেশির ভাগ গাছ রয়েছে সড়কের বাইরে। তবে প্রায় সবগুলো গাছেই নাম্বারিং করা হয়েছে। এসব গাছগুলো কেটে ফেলার উদ্যোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে মেহেরপুরের সাধারণ মানুষ। তাদের মতে যদি ফের দেড় হাজার শতবর্ষী পুরানো গাছগুলো কাটা হয় তবে মেহেরপুর আর বসবাসের উপযোগী থাকবেনা। প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসবে। এক বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত গাছ না লাগানোই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার পথচারী ও এলাকাবাসী।

মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, গাছগুলো রাস্তার উপরে চলে এসেছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া গাছগুলোর কারণে সড়ক সংস্কার বা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। সেজন্য আমরা জেলা পরিষদকে চিঠির মাধ্যমে তালিকাসহ জানিয়েছি। এবং কাটার ব্যবস্থা করার জন্য বলেছি।

মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, আমরা একটি তালিকাসহ চিঠি পেয়েছি। আমাদের সার্বেয়ার (পর্যবেক্ষক) যাবে। তারা যেগুলো কাটা প্রয়োজন বলে মনে করবে সেগুলোই কাটা হবে বলে জানান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।


আরও খবর



বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৬৫তম বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ২৭ দশমিক ৬৪ স্কোর নিয়ে ২ ধাপ পিছিয়ে ১৬৫তম অবস্থানে বাংলাদেশ। এ বছর ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) শুক্রবার (৩ মে) এই সূচক প্রকাশ করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক দিয়ে এবার শীর্ষস্থান দখল করেছে নেপাল; ৬০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ৭৪তম অবস্থান দখল করেছে। এর পরের অবস্থানে আছে মালদ্বীপ। ৫২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১০৬তম অবস্থানে। এবারের তালিকায় প্রথম অবস্থান থেকে ছিটকে তৃতীয় স্থান পেয়েছে ভুটান। ৩৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের পেছনে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারত। এই তিন দেশের বৈশ্বিক অবস্থান যথাক্রমে ১৫০, ১৫২ ও ১৫৯তম।

গত বছরের ১৬১ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে এবার ১৫৯তম অবস্থান পেয়েছে ভারত। আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ স্থান পেয়েছে। ২৬ ধাপ পিছিয়ে দেশটির বৈশ্বিক অবস্থান ১৭৮তম, পয়েন্ট মাত্র ১৯ দশমিক ০৯।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জের দিক দিয়ে গোটা বিশ্বে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এই প্রতিবেদনে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক কর্মস্থল হিসেবে মিয়ানমার, চীন, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বৈশ্বিক সূচকে শীর্ষস্থান অটুট রেখেছে নরওয়ে। তাদের পয়েন্ট ৯১ দশমিক ৮৯। শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হলো ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সাংবাদিকরা কতটুকু স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন, তা যাচাই করা হয়। এই সূচকে পাঁচটি বিষয় আমলে নেয়া হয়। এগুলো হলো-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনি অবকাঠামো, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও নিরাপত্তা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সারা বিশ্বের মুক্ত গণমাধ্যম রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, যাতে রাজনৈতিক সূচকের উল্লেখযোগ্য হ্রাস থেকে নিশ্চিত হয়েছে। এ বছর এই সূচকের বৈশ্বিক গড় সাত দশমিক ছয় শতাংশ কমেছে।


আরও খবর



মেরিন ড্রাইভ প্রকল্প পরিদর্শনে চউক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক অর্থাৎ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।

রবিবার (১২ মে) পরিদর্শনের সময় তিনি চাক্তাই খালের ওপর নির্মাণাধীন স্লুইস গেটের কাজ গুণগতমান ঠিক রেখে দ্রুত সমাপ্তির নির্দেশনা দেন।

এ ছাড়া নির্মাণাধীন বাঁধের স্লোপ অংশে বৃক্ষরোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পরিদর্শনকালে চউকের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ এ এম হাবিবুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক রাজিব দাশ, ডিসিটিপি আবু ঈসা আনসারী, নির্বাহী প্রকৌশলী-২ মোহাম্মদ শামিম এবং প্রকল্প পরিচালক এফ এম মমতাজ উদ্দিন এবং ডিপিএম কনসালটেন্টের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর