আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ভারতে প্রথম মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতে প্রথম মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায়। ওই ব্যক্তি চারদিন আগে আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ফিরেছেন। পরীক্ষায় তার মাঙ্কিপক্স পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আক্রান্ত ব্যক্তি কেরালার থিরুবান্থাপুরম বিমানবন্দরে পৌঁছান গত ১২ জুলাই। উপসর্গ দেখে তার নমুনা পাঠানো হয়েছিল পুণের গবেষণাগারে। সেখানেই তার মাঙ্কিপক্স ধরা পড়ে। তার বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল।

পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসার পর কেন্দ্র একটি বিশেষ দল তৈরি করে কেরালায় পাঠানো হয়েছে। দলটিতে আছেন জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের (এনসিডিসি) বিশেষজ্ঞরা। দলটি রাজ্য সরকারকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে সহায়তা করবে।

বার্তা সংস্থা এএনআইকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বলেন, ভয়ের কিছু নেই। সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রোগীর অবস্থাও স্থিতিশীল। তার সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের খুঁজে বের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন, ওই ব্যক্তির মা-বাবা, ট্যাক্সি চালক, অটোচালক এবং ফ্লাইটে তার ১১ জন সহযাত্রী।

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত সন্দেহে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার কাছ থেকে নেয়া নমুনা ‍পুনের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে। একই সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে বিভিন্ন রাজ্যকে পূর্বসতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া সংজ্ঞা অনুযায়ী, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শে আসা কিংবা তাদের পোশাক ও বিছানাপত্র ব্যবহার করা মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। শিশু ও গর্ভবতী নারীদের মতো দুর্বল জনগোষ্ঠী রোগটিতে গুরুতর আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি বলে মনে করা হয়।


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ত্যাগের মহিমায় সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিমদের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কুরবানি দিচ্ছেন।

সকালে সবাই ঈদগাহে গিয়ে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ঈদ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সকাল ৭টা থেকে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় শুরু করেন। নামাজ আদায় করে হাসিমুখে কোলাকুলি ও করমর্দনের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। এরপর আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় পশু কোরবানি দিচ্ছেন।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীসহ বিশ্বমুসলিমদের আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।


আরও খবর



আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামিসহ ৬০ জনের ফাঁসির দড়ি টানা আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া মারা গেছেন।

সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও জোনের শের-এ-বাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর আজম।

তিনি বলেন, সাভারের হেমায়েতপুরের জাদুরচর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন শাহজাহান। রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পরিবারের সূত্র জানায়, সোমবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। তার বোন ফিরোজা হাসপাতালে মরদেহ গ্রহণ করেন। আইনগত কার্যক্রম শেষে শাহজাহানের মরদেহ নরসিংদির পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামে দাফন করা হবে।

জল্লাদ শাহজাহানের পুরো নাম শাহজাহান ভূঁইয়া। তিনি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে। মায়ের নাম মেহের। তিন বোনের মধ্যে বর্তমানে এক বোন বেঁচে আছে শাহজাহানের। ১৯৫০ সালের ২৬ মার্চ জন্ম নেওয়া শাহজাহানের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। যৌবনকালসহ জীবনের দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দি থাকায় ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি অবিবাহিত ছিলেন। তবে, কারামুক্তির পর এক তরুণীকে বিয়ে করেন। সে সংসার টেকেনি। এ নিয়ে আইনি জটিলতায়ও পড়েন তিনি।

দীর্ঘ ৩১ বছর ৬ মাস ২ দিন কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন দুপুরে কারাগার থেকে মুক্তি পান শাহজাহান। ডাকাতি করতে গিয়ে হত্যা ও অস্ত্র আইনের দুই মামলায় তার ৪২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। কিন্তু কারাগারে জল্লাদের কাজ, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন আর ভালো কাজের পুরস্কার হিসেবে তিনি ১০ বছর ৫ মাস ২৮ দিন রেয়াত (সাজা মওকুফ) পান। ওই দুই মামলায় তার পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা হয়। মুক্তির সময় কারা কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধ করে দেয়।


আরও খবর



কাঁচা মরিচ ৩০০, আলু-পেঁয়াজ-মুরগিতেও নেই স্বস্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের ছুটি শেষ হলেও নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতে এখনো ভালোভাবে বেচাকেনা শুরু হয়নি। তবে কুরবানির ঈদের মৌসুমে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আলু-পেঁয়াজ-মুরগির দাম। এছাড়া কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে। শুক্রবার (২১ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেড়ে গেছে। বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচে ১০০ টাকার বেশি দাম বেড়েছে।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের বন্ধের মধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ কম। এ কারণে কাঁচা মরিচসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে দু-এক দিনের মধ্যে বাজারে পণ্য সরবরাহ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে জানান তারা।

এদিকে ঈদের আগে পাইকারিতে ৭৫-৮০ টাকা কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু সপ্তাহিক ছুটির দিনে পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা। আলুর ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যায়। ঈদের আগপর্যন্ত খুচরা বাজারে আলুর কেজি ছিল ৬০ টাকা। তবে দু-এক দিনের মধ্যে খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি ৬০ টাকা ছাড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, বাজারে সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজ, আলুর দাম কমবে।

এছাড়া বাজারে ব্রয়লার মুরগির বাদামি ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। কারওয়ান বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয় ১৫০ টাকা। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো ঈদের আগের দাম, অর্থাৎ প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

তবে ডিমের দাম কমলেও ঈদের পর তিনদিনের ব্যবধানে ফের বাড়ছে মুরগির দাম। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়।

এদিকে বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৩০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতি কেজি পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর ধনেপাতা ২০০ টাকা, কহি ৩০ টাকা, আর চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতাদের দাবি, কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি সবজির দাম ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। কোনো কোনো সবজিতে আরও বেশি কমেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস জানান, বাজারে একদম ক্রেতা নেই। তবে কমছে সবজির দাম। ঈদের আগে চড়া হওয়া শসার দাম এখন নেমে এসেছে ৫০ টাকায়। ঈদের সময় যেটি ১২০-১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমবে।

এছাড়া স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। প্রায় সব ধরনের মাছে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৫০ টাকার মতো। বিক্রেতাদের অজুহাত, ঈদের কারণে মাছ কম আসায় বাড়ছে দাম।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২৩০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০-২৪০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়। এছাড়া, আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ওপরে

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটে বৃষ্টিপাত ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উজানের ঢলে আবারও বাড়তে শুরু করছে নদ-নদীর পানি। শনিবার (১৫ জুন) সকাল নয়টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও সিলেটের সকল নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষজন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেটে ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সিলেটের সবকটি নদ-নদীর পানি আবারো বিপদসীমার উপরে চলে যাবে। এতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের শনিবার সকাল ৯টায় তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত কাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ১১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গত কাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৮৬ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গত কাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। তাছাড়া লোভা নদীর পানি ১৩ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, সারি নদীর পানি ১২ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার, ডাউকি নদীর পানি ১০ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার ও সারি গোয়াইন নদীর পানি ৯ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২০২ মিলিমিটার এবং আজ সকাল ৬টা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেটে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এসব নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে। আমরা সবাইকে বন্যা সম্পর্কে সতর্কবার্তা প্রচার করছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়নের দুর্যোগ মোকাবেলা কার্যক্রম সমন্বয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ট্যাগ কর্মকর্তাগণ, ইউপি সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবী দল অগ্রিম লোকজনকে বন্যা সম্পর্কে সতর্কবার্তা প্রচার করছেন। কুইক রেসপন্স ডিজিস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম ৪৭টি নৌকা প্রস্তুত রেখেছে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ে। আমাদের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলায় সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, বৃষ্টির কিছু পূর্বাভাস রয়েছে, তাছাড়া ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় উপজেলারগুলোর ইউএনওদের সতর্ক করা হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন দপ্তরে আমরা পত্র দিয়েছি, ঈদের সময় যদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে তারা যেন প্রস্তুত থাকেন। তাছাড়া আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ আছে, এরকম পরিস্থিতি হলে আমরা ত্রাণ বিতরণ করতে পারব। পাশাপাশি জেলার সকল আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে।


আরও খবর



গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি পেছাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানির তারিখ আগামী ১০ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালতে খালেদা জিয়ার অব্যাহতির বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি।

শুনানি পেছাতে আবেদন করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে শুনানি করতে বলেন। পরে খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে বিষয়ে শুনানি করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার। পরবর্তীতে আবারও শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তিনি। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১০ জুলাই শুনানির পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

প্রসঙ্গত, মামলাটিতে ১৫ জন আসামির মধ্যে ১৪ জনের অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি শুরু হয়। যা এখনও চলমান।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী।

২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এখন এ মামলায় আসামির সংখ্যা ১৫ জন। ৯ আসামি মারা গেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।


আরও খবর