আজঃ বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪
শিরোনাম
ছাগলই মতিউরকে চিহ্নিত করেছে : বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে: আইজিপি আনার হত্যা: সীতাকুণ্ড পাতাল মন্দিরে ২৩ দিন আত্মগোপনে ছিল ফয়সাল-মোস্তাফিজ আরও এক বছর মুখ্য সচিব থাকছেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া আজিজের ভাইদের এনআইডি জালিয়াতি, সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে ইসি মতিউরের বিরুদ্ধে গাজীপুরে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ‘জবরদখলের’ অভিযোগ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত আ. লীগ নেতা বাবুলের মৃত্যু এস কে সিনহা ও তার ভাইয়ের মামলায় প্রতিবেদন ২ সেপ্টেম্বর ‘ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে দেরিতে এলে কিছুই করার থাকে না’ মেডিকেল শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে যৌন ব্যবসা, ৭ বছরে আয় শতকোটি

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

প্রকাশিত:শনিবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০21 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০21 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
প্রতিবার শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি উদ্বোধন করতেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এবার করোনার কারণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আসছেন না। তাদের পক্ষ থেকে সামরিক সচিব ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন

বাঙালি জাতির গৌরবের ইতিহাসে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস। ইংরেজদের দুরভিসন্ধিতে ভারত-পাকিস্তান ভাগের পর পূর্ব বাংলার ওপর পাকিস্তানিরা অন্যায়ভাবে অনেক কিছু চাপিয়ে দেয়।

সর্বপ্রথম তারা বাঙালির মাতৃভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে সংখ্যালঘুদের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রীয় ভাষা করার হীন চক্রান্ত শুরু করে। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে ১৯৫২ সালে আন্দোলন তীব্র হয়। সেই আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ যেমন ছিল, তেমনি রক্ত ও প্রাণ দিতে হয়েছে অনেককে। প্রতিবারের মতো একুশে ফেব্রুয়ারিতে সেই ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। তবে এবার বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কার্যক্রম পালন করা হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদিতে আলপনার আঁকার কাজ শেষ হয়েছে। চারদিকে বরাবরের মতো শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। র‌্যাব ও ডিএমপির পক্ষ থেকে বসানো হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার’। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এনে জনসাধারণকে সতর্ক করতে লাগানো হয়েছে ডিজিটাল সাইনবোর্ড। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ডান পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবন সংলগ্ন মাঠে র‌্যাব, ডিএমপি ও ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে।

অপরদিকে, প্রতিবার শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি উদ্বোধন করতেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এবার করোনার কারণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আসছেন না। তাদের পক্ষ থেকে সামরিক সচিব ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও অমর একুশে উদযাপনের কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সামরিক সচিব শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এর পরে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রদ্ধা জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোভিড-১৯ উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১’ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগত সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে। এছাড়া, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠন/প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ জন প্রতিনিধি ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুই জন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আজিমপুর কবরস্থানে যাতায়াতের জন্য একটি রুট-ম্যাপ প্রণীত হয়েছে। তা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে এ বছর কোন জনসমাগম ও অভ্যর্থনার ব্যবস্থা থাকবে না। তাই শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে কোন জনসমাগম করা যাবে না।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীমূল প্রস্তুত করা হয়েছে। কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের জন্য ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বিগত বছরগুলোর মত এবারও মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে পালনের জন্য কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সব কর্মসূচি সফল বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।


আরও খবর



চবিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বুধবার দিনব্যাপি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালামত উল্লাহ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান।

চবি বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আকতার হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন। সেমিনারের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী কিশোয়ার জাহান চৌধুরী।

প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, পরিবেশের গুরুত্ব অনুধাবন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। যা এতদ্অঞ্চল তথা দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রেখে চলেছে। পরিবেশ সুরক্ষার অন্যতম উপাদান হলো ভুমি, বৃক্ষ ও জীববৈচিত্র। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য ধরীত্রি সুন্দর ও সুরক্ষিত রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ রোপনের কোন বিকল্প নেই। তাই পরিবেশ সুরক্ষায় প্রচুর বৃক্ষ রোপনের পাশপাশি পরিবেশ বিধ্বংশী যে কোন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে।

তিনি এই ধরীত্রি সুরক্ষায় সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।

ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি এবং চবি ঝুলন্ত সেতুর কাছে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী

এসময় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালামত উল্লাহ সহ উক্ত ইনস্টিটিউটের সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



কোরবানির ৭ ঘন্টার মধ্য বর্জ্যমুক্ত করার ঘোষণা চসিক মেয়রের

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কোরবানির বর্জ্য পরিস্কারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এবার ৭ ঘন্টার মধ্যে নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করা হবে৷ পশুর নাড়ি-ভুড়ি নেয়ার জন্য পলিথিন সরবরাহ করা হবে৷ চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে আমরা সভা করেছি৷ আশা করি এবার চামড়া নষ্ট হয়ে পরিবেশ বিনষ্ট হবেনা৷

শনিবার জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঈদ-উল-আযহার কেন্দ্রীয় জামাতের জন্য চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এবার সকাল সাড়ে ৭টায় ও সাড়ে ৮টায় দুটি জামাতে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধায় পর্যাপ্ত ফ্যান আর সামিয়ানা থাকবে। অজু করার জন্য মসজিদের অজুখানার পাশাপাশি অতিরিক্ত গাড়িতে পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসিটিভি মনিটরিংসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যরা। পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ডগুলোতে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

চসিক মেয়র বলেন, 'স্বাভাবিক বৃষ্টিতে নামাজ বিঘ্নিত না হওয়ার জন্য মসজিদের আশপাশের নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে পানি উঠলে মসজিদের ভিতরে জামাত হবে। এছাড়া মুরাদপুরের মুহাম্মদপুরে ঈদের নামাজ পড়তে পারবে এমন একটি ঈদগাহ নির্মাণ করেছি৷'

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম।

এবারের চসিকের তত্ত্বাবধানে ঈদ-উল-আযহার  প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টা  এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সোয়া ৮টায় জাতীয় মসজিদ জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৯টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে৷

মসজিদগুলো হল যথাক্রমে লালদিঘী সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদ,  হযরত শেখ ফরিদ (রঃ) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন)।

এছাড়াও নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ/ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঋতুচক্রে আষাঢ়-শ্রাবণ দু মাস মিলিয়ে বর্ষাকাল। আজ পয়লা আষাঢ়, অর্থাৎ বর্ষার প্রথম দিন। 

বর্ষা মানেই রিমঝিম বৃষ্টি, কখনো বা মুষলধারে ভারী বর্ষণও হবে। গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। 

বর্ষা নিয়ে কবি-সাহিত্যিকরা লিখেছেন অগণিত গান ও কবিতা। আবেগে আপ্লুত হয়ে বিশ্বকবি বর্ষার প্রতি ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে লিখেছেন, আজি ঝরো ঝরো বাদল দিনে।

বর্ষাকালে চলীয় বাষ্পবাহী দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে প্রচুর বৃষ্টি হয়। তাই চারপাশের পরিবেশ রূপ নেয় চিরসবুজের আভরণে। কদম, বেলি, বকুল, জুঁই, দোলনচাঁপা, গন্ধরাজ, হাসনাহেনার ঘ্রাণে ভরে ওঠে চারপাশ। পেখম মেলে ময়ূর। বৃষ্টির পানি গায়ে নিয়ে আনন্দে নেচে ওঠে তারা। 


আরও খবর



ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইউরোপের তিন দেশ স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড। আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) দেশ তিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি ঘোষণা করেছে।

ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি ঘোষণা করে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির একমাত্র পথ। তিনি বলেন, তার দেশ নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ডের পাশাপাশি আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি ঘোষণা করছে।

স্প্যানিশ সরকারের মুখপাত্র পিলার আলেগ্রিয়া ঘোষণা করেছেন, স্পেনের মন্ত্রিসভা ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আর এই স্বীকৃতির উদ্দেশ্য, ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা।

স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী এই পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক ন্যায়বিচার বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা যা ইসরায়েল রাষ্ট্রের পাশাপাশি আরেকটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে থাকবে।

স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পশ্চিম তীর এবং গাজা একটি করিডোর দ্বারা সংযুক্ত থাকতে হবে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে এই স্বাধীন ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে কার্যকর করতে হবে।

স্পেনের ঘোষণার পরপরই ইউরোপের আরেক দেশ নরওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ঘোষণা করে। ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি ঘোষণা করে নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ ইদে বলেন, নরওয়ে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সবচেয়ে সাহসী সমর্থকদের মধ্যে একটি।

এরপর আয়ারল্যান্ডও আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ঘোষণা করে। দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, আইরিশ সরকার ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। তারা ডাবলিন ও রামাল্লার মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত।

ফিলিস্তিনে আয়ারল্যান্ডের পূর্ণ দূতাবাস চালু এবং একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগেরও ঘোষণা দেওয়া হয় বিবৃতিতে।

এর আগে গত বুধবার নরওয়ে, স্পেন ও আয়ারল্যান্ডের শীর্ষনেতারা পৃথকভাবে ঘোষণা দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনকে তাদের স্বীকৃতি ২৮ মে থেকে কার্যকর হবে। পাশাপাশি তারা আরও দেশকে এ ঘোষণায় যুক্ত হতে আহ্বান জানান।

এমন স্বীকৃতিকে আরব নেতারা স্বাগত জানিয়েছেন। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন ফিলিস্তিনিরা। তবে এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইসরায়েল। তারা ওইসব দেশ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গহর স্টোর তখন সংবাদ সম্মেলনে জানান, দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান ইসরায়েলের স্বার্থের জন্যই ভালো। এ সময় তিনি বলেন, নরওয়ে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে ২৮ মে। যদি (ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে) স্বীকৃতি না দেওয়া হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে কখনোই শান্তি আসবে না।

নরওয়ের ঘোষণার একটু পরই আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার দেশও শিগগিরই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। তিনি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন ঘোষণা দিচ্ছে যে আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছি। এই দেশগুলো এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় জাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এ সময় তিনি বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে অন্যান্য দেশও আমাদের পথ অনুসরণ করবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

তারপর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার দেশের মন্ত্রিপরিষদ ২৮ মে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই সানচেজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। এই তিন দেশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চালাচ্ছে তেল আবিব। এতে লাখো মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। সেখানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

ফিলিস্তিনকে ১৪০টি বেশি দেশ এরই মধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছে অর্থাৎ জাতিসংঘের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য। যদিও পশ্চিমা প্রভাবশালী দেশগুলো এ নীতি এখনো অনুসরণ করেনি। তবে ফিলিস্তিনকে স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ডের স্বীকৃতি এখন ফ্রান্স ও জার্মানির জন্য কিছুটা হলেও চাপ দেবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও ইসরায়েলের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রস্তাবকে সমর্থন করে। এ ক্ষেত্রে তাদের দাবি হচ্ছে, ফিলিস্তিনকে আগে ইসরায়েলের সঙ্গে সমাঝোতা করে আসতে হবে।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদকে সামনে রেখে প্রিয়জনের টানে বাড়ি ছুটছে মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। আর এতে সেতুতে বেড়েছে টোল আদায়। শুক্রবার (১৪ জুন) পদ্মা সেতু দিয়ে ৪৪ হাজার ৩৩টি যান পারাপার হয়েছে। এর থেকে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকারও বেশি।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু পরিদর্শনে গিয়ে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দেখা যায়, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা ঘিরে তাই লম্বা লাইন। প্রাইভেটকার, জিপ, মাইক্রোবাস, বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহনই সেতু পার হচ্ছে। আর ভিন্ন লেন দিয়ে যাতায়াত করছে মোটরসাইকেল। ভোর থেকে যানবাহনে চাপ বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসে। কখনো কখনো যানবাহনের চাপ বেড়ে লাইন লম্বা হচ্ছে। আবার কখনো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কর্তৃপক্ষ নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

এ দিকে জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু অতিক্রম করে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। তাই এ পথে এবারের ঈদযাত্রা একেবারেই নির্বিঘ্ন। তেমন কোনো বিড়ম্বনার অভিযোগ নেই ঘরমুখো মানুষের। পদ্মা সেতুর নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রায় খুশি সেতু ব্যবহারকারীরা। এ ছাড়া দুপাশের এক্সপ্রেসওয়েতেও ঝক্কিঝামেলাবিহীন যাতায়াত করছেন ঘরমুখো মানুষ।


আরও খবর