আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি পরিদর্শনে চুয়েট ভিসি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ আগত বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি পরিদর্শন করেছেন চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এসময় পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন তিনি।

বুধবার চুয়েট টিএসসি সম্মুখে অবস্থানরত ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মহান স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর আদর্শ, ত্যাগ তিতিক্ষা, দেশপ্রেমিক চিন্তা ভাবনা ও বলিষ্ট নেতৃত্ব ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পবিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) নিজস্ব কারিগরি দক্ষতায় বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি বাসটি প্রস্তুত করেছে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি এই উদ্যোগের সফলতা কামনা করছি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: রেজাউল করিম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব, উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমানসহ অন্যান্য অফিসিয়ারগণ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সকাল থেকে চুয়েট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীরা ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন।


আরও খবর



মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ভাড়া করে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে তাদের বাড়িতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে তাদের বহনকারী অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পরিবারের তিন সদস্য মারা যান। আহত হন আরও তিনজন।

রবিবার (২ মে) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার আছুরিঘাট এলাকায় মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- জুড়ী উপজেলার কুচাই ফাঁড়ি চা-বাগানের বাসিন্দা দীনবন্ধু মুন্ডা (৫৫) ও তার ছেলে পূজন মুন্ডা (৩৫) এবং দীনবন্ধুর বড় ভাই রবীন্দ্র মুন্ডা (৬০)। এ দুর্ঘটনায় গাড়ির চালক ও ওই পরিবারের দুই সদস্য আহত হন।

আহতরা জানান, দীনবন্ধু মুন্ডার এক মেয়ের বিয়ে হয় শ্রীমঙ্গলের রাধানগর চা-বাগান এলাকায়। মেয়ের শাশুড়ি পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তাকে দেখতেই দীনবন্ধু অটোরিকশা ভাড়া করে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রোববার সকালে শ্রীমঙ্গলে রওনা দেন। বিকেলের দিকে তারা সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে আছুরিঘাট এলাকায় পৌঁছালে তারা ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়েন। এ সময় বিপরীতমুখী একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে তাদের বহনকারী অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে পূজন মুন্ডা ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

পরে স্থানীয় লোকজন গাড়ির ভেতরে আটকা পড়া হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় দীনবন্ধু, দীনবন্ধুর স্ত্রী কবিতা মুন্ডা, বড় ভাই গোপাল মুন্ডা, রবীন্দ্র মুন্ডা ও অটোরিকশাচালক আমির উদ্দিনকে মৌলভীবাজার সদর এবং সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, হাসপাতালে আসার আগেই পূজন মুন্ডার মৃত্যু হয়। মৌলভীবাজারের হাসপাতালে নেওয়ার পথে রবীন্দ্র মুন্ডা এবং সিলেটে নেওয়ার পথে দীনবন্ধু মুন্ডা মারা যান।

কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ক্যশৈনু মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। দুর্ঘটনার পর ঘাতক কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



গাজায় জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হামাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘের প্রস্তাব গ্রহণ এবং বিস্তারিত আলোচনার জন্য প্রস্তুত ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস।

মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির একজন সিনিয়র কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন এবং বিস্তারিত আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তবে ইসরায়েল এই প্রস্তাবটি মেনে চলবে তা নিশ্চিত করতে হবে ওয়াশিংটনকে।

তিনি বলেন, গাজা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার এবং ইসরায়েলে জেলে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে গাজায় বন্দি জিম্মিদের মুক্তির শর্তও মেনে নিয়েছে হামাস।

আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন এবং অবিলম্বে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে দখলদারিত্বকে (ইসরায়েল) বাধ্য করাই হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আসল পরীক্ষা।


আরও খবর



সাধারণ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটের বিশ্ব রেকর্ড গড়লো ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সদ্য শেষ হওয়া ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ভারত। দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে মোট ভোট দিয়েছেন ৬৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ, যার মধ্যে ৩১ কোটি ২০ লাখই নারী। পুরো বিশ্বে কোনো ধরনের নির্বাচনে এত মানুষের ভোট দেওয়ার নজির নেই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রেকর্ডের পাশাপাশি ইউরোপের তিন দেশ যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যাকেও টপকে গেছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়া নারীদের সংখ্যা। তাই নারীদের ভোটদানের নিরিখেও বিশ্বের বৃহত্তম দেশ এখন ভারত।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রাজিব কুমার বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক নির্বাচনে ৬৮ হাজারেরও বেশি মনিটরিং টিম এবং দেড় কোটি পোলিং ও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত ছিলেন।

এদিকে, এবার ভোট্রগহণ চলাকালীন নির্বাচনে কমিশনারদের লাপাত্তা জেন্টলম্যান আখ্যা দিয়ে মিম ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সাধারণ ভোটারদের অনেকের দাবি, নির্বাচনের মাঠে কমিশনাররা ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন না করায় এই আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

মিমের বিষয়ে ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছি। এখন মিমস শেয়ারকারীরা বলতে পারেন যে লাপাত্তা জেন্টলম্যানরা ফিরে এসেছেন।

রাজিব কুমার আরও বলেন, চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রায় চার লাখ যানবাহন, ১৩৫টি বিশেষ ট্রেন ও ১ হাজার ৬৯২টি প্লেন ব্যবহার করা হয়েছিল। বয়স্ক ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন, তা নিশ্চিতেও নেওয়া হয়েছিল যথাযথ ব্যবস্থা।

এদিকে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৫৪০টি আসনে পুনঃভোট হয়েছিল। সেখানে ২০২৪ সালের নির্বাচনে মাত্র ৩৯টি আসনে পুনঃভোট হয়েছে। তাছাড়া এবার জম্মু ও কাশ্মিরে চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

আর ২০১৯ সালে নির্বাচন চলাকালে নগদ অর্থ, বিনামূল্যে দেওয়া ‍কোনো জিনিস, মদসহ অন্যান্য মাদকদ্রব মিলিয়ে ৩ হাজার ৫০০ কোটি রুপি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছি। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে এই অর্থ প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। এবার সবমিলিয়ে ১০ হাজার কোটি রুপি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: লোকসভা নির্বাচন

আরও খবর



বন্যায় সিলেটের ১৫ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ১৫ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। এতে কি পরিমাণ ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখন নির্ধারণ করা সম্ভব হবে না, পানি নেমে যাওয়ার পর নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

এদিকে গত বন্যায় প্লাবিত হয়ে কৃষিতে প্রায় ৯৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই আবারও সিলেটের বেশিরভাগ ফসল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলার মাঠে এখনো ফসল আছে ২০ হাজার ৩৮৪ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১১ হাজার ৭০৭ হেক্টরের ফসল। প্লাবিত হওয়া ফসলের মধ্যে ৫ হাজার ৯৮২ হেক্টর আউশ ধান, ৮৫৬ হেক্টর আউশ বীজতলা, ৪ হাজার ৭০৮ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং ১৬১ হেক্টর বোনা আমন। আউশ ধানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে জৈন্তাপুর উপজেলায়। এখানে ২ হাজার ৮৪৫ হেক্টর আউশ ধানের মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ হেক্টর। সিলেট সদর উপজেলায় ১ হাজার ১৩০ হেক্টর আউশ ধানের মধ্যে ১ হাজার ৪৪ হেক্টরই প্লাবিত হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, সিলেট জেলার উপজেলাগুলোতে প্লাবিত হওয়া আউশ ধানের মধ্যে বিশ্বনাথে ৮৬১ হেক্টর, গোলাপগঞ্জে ৭৫০, ফেঞ্চুগঞ্জে ৫৬০, গোয়াইনঘাটে ৪১৫, জকিগঞ্জে ৩৫০, ওসমানীনগরে ৩১০, বিয়ানীবাজারে ৯০, কানাইঘাটে ৭৫, দক্ষিণ সুরমায় ৫০, কোম্পানীগঞ্জে ৪০ ও বালাগঞ্জে ৫ হেক্টর রয়েছে। প্লাবিত হওয়া আউশ বীজতলার মধ্যে গোলাপগঞ্জে ১৬০ হেক্টর, বিশ্বনাথে ১৫৪, সিলেট সদরে ১০০, জৈন্তাপুরে ৯৫, দক্ষিণ সুরমায় ৮০, বিয়ানীবাজারে ৫৫, ফেঞ্চুগঞ্জে ৪৮,  কানাইঘাটে ৪২, বালাগঞ্জে ৩৫, ওসমানীনগরে ২৯, কোম্পানীগঞ্জে ২৭, জকিগঞ্জে ২৩ ও গোয়াইনঘাটে ৮ হেক্টর রয়েছে। জেলায় মোট ৬ হাজার ৬১৩ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি আছে। এর মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলার ১ হাজার ১২০ হেক্টর, সিলেট সদরে ৭২০, বিয়ানীবাজারে ৫৩০, জকিগঞ্জে ৪৬৫, গোলাপগঞ্জে ৪৫০, ফেঞ্চুগঞ্জে ৪৪৮, দক্ষিণ সুরমায় ৪৩৫, বালাগঞ্জে ১৭৫, গোয়াইনঘাটে ১০৫, ওসমানীনগরে ১০০, জৈন্তাপুরে ৮০, কোম্পানীগঞ্জে ৫২ ও কানাইঘাটে ২৮ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি প্লাবিত হয়েছে।

সিলেটের প্লাবিত হওয়া বোনা আমনের মধ্যে গোয়াইনঘাটে ৮২ হেক্টর, কানাইঘাটে ৩৬, জকিগঞ্জে ১৮, দক্ষিণ সুরমায় ১১, জৈন্তাপুরে ১০ ও বালাগঞ্জে ৪ হেক্টর রয়েছে। জেলায় মোট বোনা আমন আছে ১৬৭ হেক্টর জমিতে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের মাসুদ আহমেদ জানান, কয়েকদিন আগের বন্যায় ৬০শতক জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগে আবারও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে, নিজ শ্রম বাদে ফসল রোপণ পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ অবস্থায় তিনি দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষক লোকমান আলী জানান, ধার-দেনা করে ৩০শতক কৃষিজমিতে সবেমাত্র আউশ ধান লাগিয়েছেন, লাগানোর একদিন পর বন্যার পানিতে সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, বন্যায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। পানি নেমে গেলেই এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

 তিনি আরও বলেন, বুধবারের তথ্য অনুযায়ী জেলার মাঠে এখনও ফসল আছে ২০ হাজার ৪৩৬ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১৫ হাজার ৭৭৯ হেক্টরের ফসল। প্লাবিত হওয়া ফসলের মধ্যে ৮ হাজার ৮৫৫ হেক্টর আউশ ধান, ১ হাজার ৯৩ হেক্টর আউশ বীজতলা, ৫ হাজার ৬৬৪ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং ১৬৭ হেক্টর বোনা আমন।


আরও খবর



জয়ে কোপা আমেরিকা শুরু আর্জেন্টিনার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

কানাডার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে সর্বশেষ কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা। দুই আলবিসেলেস্তে স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ ও লওতারো মার্টিনেজ গোল করেছেন। সহজ জয়ে মেসিরা শুরু করেছেন কোপা আমেরিকা।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকালে আটলান্টায় শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথমার্ধে আর্জেন্টিাকে আটকে দেয় কানাডা। আর্জেন্টিনা গোল মিসের পসরা সাজিয়ে আটকে যায় বললেও ভুল হবে না। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দলকে লিড এনে দেন ম্যানচেস্টার সিটির তরুণ স্ট্রাইকার লওতারো মার্টিনেজ। তিনি ৪৯ মিনিটে জালে বল পাঠান।

আকাশি-সাদার প্রতিনিধিরা দ্বিতীয় গোল পেয়েছে ম্যাচের শেষ সময়ে। ৮৮ মিনিটে মেসির আলতো করে ঠেলে দেওয়া পাস ডান পায়ের টোকায় জালে পাঠিয়ে দেন বদলি নামা ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার মার্টিনেজ। সহজ জয়ে মাঠ ছাড়ে কোপার শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামা আর্জেন্টিনা।

এই দুই গোলের তথ্যে পুরো ম্যাচ  আসবে না। বরং আর্জেন্টিনার গোল মিসের ঘটনাই বড় হয়ে উঠতে পারত। ম্যাচে লিওনেল মেসি একাই হারিয়েছেন সহজ চারটি সুযোগ। এর মধ্যে দুবার গোল রক্ষকের সঙ্গে ওয়ান অন ওয়ান ছিলেন লিও। অর্থাৎ গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারলেই গোল। কিন্তু পারেননি তিনি। অন্য একটি শট অবশ্য পোস্ট ঘেসে বেরিয়ে যায়।

শুধু মেসি কেন ডি মারিয়া সহজ গোল মিস দিয়েই ম্যাচের শুরু বলা যায়। ম্যাচের ১৫ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সেরা সুযোগ পান বেনফিকা মিডফিল্ডার। দুর্দান্ত এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বক্সে ঢুকে যান বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার ফাইনালে গোল করা ডি মারিয়া। কিন্তু সামনে থাকা কানাডার গোলরক্ষকে আটকে যান তিনি।

আবার ম্যাক অ্যালিস্টার ও বদলি নামা নিকোলাস ওটামেন্ডি হারিয়েছেন সহজ গোলের সুযোগ। সব মিলিয়ে ম্যাচে আর্জেন্টিনা গোল মুখে ১৯টি শট নিয়েছে। যার নয়টি ছিল একেবারেই গোল হওয়ার মতো। যা আটকে দিয়েছেন কানাডার গোলরক্ষক। বিপরীতে নয় শটের দুটি জালে রাখতে পারে কানাডা। তবে আর্জেন্টিনার মতো ভুল না করলে যে নয়টি সুযোগ তারা তৈরি করেছিল তাতেই ঘটে যেতে পারত অঘটন।


আরও খবর