আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ভাস্কর্যের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী হ্যান্ডেল করছেন : কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন এবং এর বিরোধিতার বিষয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই হ্যান্ডেল (তদারকি) করছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়েল চত্বরে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সরকারে আছি। সব ব্যাপারে মাথা গরম করলে চলবে না। বিষয়টি হ্যান্ডেল করছেন প্রধানমন্ত্রী। যেভাবে তিনি করোনা মোকাবিলা করছেন, সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তিনি এখানে এসেছেন। কাজেই তিনি জানেন কোন পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কোনো সংঘাতে যাব না। আমরা যুক্তি-তর্ক দিয়ে বলব মূর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়। আজকে যারা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা কি জানে না সৌদি আরবসহ মুসলিম দেশগুলোতে ভাস্কর্য আছে? সেখানে ভাস্কর্য ইসলামবিরোধী নয়, বাংলাদেশে কেন এটা অযৌক্তিক?

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি আমাদের জাতীয় নেতা, গণতন্ত্রের মানসপুত্র, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক আমলে গণতন্ত্রের জন্য তিনি বারবার লড়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, দেশ ত্যাগ পর্যন্ত করেছেন। তিনি বারবার বলতেন, গণতন্ত্রই আমার জীবনের মূলমন্ত্র। শাসনতন্ত্রের প্রশ্নে জনগণের রায়ই শেষ কথা, তিনি সেটা বলতেন।

দেশে একটি মহল মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা আচরণে, কর্মকাণ্ডে কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা গণতন্ত্রের শত্রু। এরা গণতন্ত্রের বিকাশ চায় না। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউই গণতন্ত্রের চর্চা করেনি। যাদের নিজেদের ঘরে গণতন্ত্র নেই তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে এটা আশা করা যায় না।


আরও খবর



৯ মে ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিব

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ৯ মে (বৃহস্প‌তিবার) ঢাকা সফরে আস‌ছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

ঢাকার এক‌টি কূটনৈ‌তিক সূত্র কোয়াত্রার সফরের তথ্য নি‌শ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, আগামী ৯ মে ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিবের ঢাকায় আসার তা‌রিখ চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকা সফরে তার মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের স‌ঙ্গে।

গত ২০ এ‌প্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার। তবে অনিবার্য কারণে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের পূর্বনির্ধারিত সেই সফর স্থগিত হয়।

জানা গেছে, এক‌দিনের আসন্ন ঢাকা সফরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন কোয়াত্রা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দি‌ল্লি সফরসহ দুই দে‌শের স্বার্থ সং‌শ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন কোয়াত্রা।

আশা করা হচ্ছে, সরকারপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেবেন তি‌নি।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। এর আগে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও পরে আবার কিছুটা কমেও যায়।

শুক্রবার সকালের দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়ে ৮৯ দশমিক ৩৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৩৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে ৮৩ দশমিক ৯০ ডলার হয়েছে। খবর রয়টার্সর।

এদিকে, তেলের এ মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পূর্বাভাসের চেয়ে মার্কিন অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ট্রেজারি সেক্রেটারি।

ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন রয়টার্সকে বলেন, মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী অবস্থানের রয়েছে।

এর আগে, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে তেলের দাম বেড়েছিল। কিন্তু দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত না বাড়ায় তেলের দাম কিছুটা কমে যায়। যদিও এখন আবার তা বাড়তে শুরু করেছে।

শেষ প্রান্তিকে এক দশমিক ছয় শতাংশ মার্কিন জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে বাণিজ্য বিভাগের এক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অনেক ভালো করছে।


আরও খবর



৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আগামী ৬ তারিখে (৬ জুন) বাজেট দেবো। বাজেট আমরা ঠিক মতো দিতে পারবো, বাস্তবায়নও করবো। দেশি-বিদেশি নানা কারণে জিডিপি কিছুটা হয়তো কমবে, সেটা পরবর্তীসময়ে উত্তরণ করতে পারবো, সে আত্মবিশ্বাসও আছে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের অর্থনীতি পাল্টে গেছে। যারা একবেলা ভাত খেতে পারতো না, এখন চারবেলা খায়। একসময় গ্রামে হাটবারের বাইরে কিছু পাওয়া যেতো না, এখন সুপার মার্কেট হয়েছে। আমাদের গ্রামের বাজার পাটগাতিতে (পাটগাতি টুঙ্গিপাড়ার একটি ইউনিয়ন) ঈদের আগে ২০০টি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি যত বেশি মজবুত হচ্ছে, শিল্প-কলকারখানাও তত বাড়ছে।

তিনি বলেন, আমি আজকে অর্থনীতি সমিতির প্রোগ্রামে এসেছি। এখানে অনেকের অনেক বড় বড় ডিগ্রি আছে। আমার কিন্তু তা নেই। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেছি। অর্থনীতির সূক্ষ্ম ও জটিল বিষয়াদি আপনাদের মতো আমি বুঝি না। তবে এতটুকু বুঝি, কীভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়। কীভাবে মানুষের উপকার হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকেই আমি এগুলো শেখেছি। তিনি তো বেশিরভাগ সময়ই জেলে থাকতেন। যতক্ষণ বাইরে থাকতেন, আমাদের সঙ্গে গল্প করতেন- কীভাবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চান, কীভাবে গ্রামগুলোকে সাজাবেন।


আরও খবর



এপ্রিলে ৬৫৮ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৩২ : বিআরটিএ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এপ্রিল মাসে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৫৮টি। এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৬৩২ জন মানুষ। একইসঙ্গে আহত হয়েছে আরও অন্তত ৮৬৬ জন মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এসবের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০৮টি দুর্ঘটনায় ১১৫ জন নিহত এবং ১৫৭ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত এবং ২২৭ জন আহত হয়েছেন; রাজশাহী বিভাগে ১০০টি দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছেন; খুলনা বিভাগে ৯৮টি দুর্ঘটনায় ৮৭ জন নিহত এবং ৯৫ জন আহত হয়েছেন; বরিশাল বিভাগে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন; সিলেট বিভাগে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন; রংপুর বিভাগে ৬৮টি দুর্ঘটনায় ৬৫ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছেন।

এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ৪১টি, বাস/মিনিবাস ১৫৭টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ১৭০টি, পিকআপ ৫০টি, মাইক্রোবাস ২৮টি, অ্যাম্বুলেন্স ১২টি, মোটরসাইকেল ২৫২টি, ট্রাক্টর ১৭টি, ভ্যান ২১টি, ইজিবাইক ৩৪টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৩১টি, অটোরিকশা ৬৮টি এবং অন্যান্য যান ১৭৫টিসহ সর্বমোট ১০৫৬টি যানবাহন রয়েছে।

এসবের মধ্যে মোটরকার দুর্ঘটনায়/জিপ ২৬ জন, বাস/মিনিবাস দুর্ঘটনায় ৬৭ জন, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৬২ জন, পিকাপ দুর্ঘটনায় ৩০ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ২০ জন, অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ১৩ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯১ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ৯ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ১৮ জন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ৩০ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ১৭ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৪৫ জন ও অন্যান্য যান দুর্ঘটনায় ১০৪ জনসহ সর্বমোট ৬৩২ জন নিহত হয়।

এর আগে, গত ২১ এপ্রিল বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের ১৭ দিনে (৪ থেকে ২০ এপ্রিল) সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩২০ জন ও আহত হয়েছেন ৪৬২ জন। এ সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।


আরও খবর



গরমে ঘাম হওয়া ভালো না খারাপ, যা বলছেন চিকিৎসক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঋতু পরিক্রময়া এখন গ্রীষ্মকাল। স্বাভাবিকভাবেই এখন গরম পড়বে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এ সময় গরমের তীব্রতা যেন একটু বেশিই হচ্ছে। ফলে নাজেহাল জনজীবন। এ সময় বাইরে বের হলেও কিছুক্ষণ পরপর পানি তৃষ্ণা পায়। বেশিক্ষণ আবার থাকাও যায় না। আর ঘাম তো রয়েছেই।

গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বের হয়। শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ বের হওয়ায়র ফলে এর ঘাটতি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার পানিশূন্যতারও আশঙ্কা থাকে। এ সময় সচেতন থাকা জরুরি। কারণ, গরমে ঘাম থেকে যেমন শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, একই সঙ্গে ঘাম মুছে না ফেললে তা থেকে জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সম্প্রতি গরমে ঘাম হওয়ার ব্যাপারে দেশর একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান।

এ চিকিৎসক জানিয়েছেন, গরমে যাদের ঘাম হয় তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। ঘাম অতিরিক্ত হলে ওরস্যালাইন বা ডাবের পানি পান করতে হবে। এসবের বিকল্প হিসেবে লবণ মিশ্রিত পানীয় পান করা যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন গ্লুকোজ বা চিনি মিশ্রিত পানি পানে লবণের ঘাটতি পূরণ হয়। এটি আসলে ভুল ধারণা। অতিরিক্ত চিনি বা গ্লুকোজ গ্রহণ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

তিনি বলেন, যারা ব্লাড প্রেশার, দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ বা হৃৎপিণ্ডের বৈকল্যজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের বাড়তি লবণ খাওয়া যাবে না। এমন রোগীদের ক্ষেত্র বিশেষ আবার পানি পানেও বিধিনিষেধ থাকে। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে ডাবের পানি, ওরস্যালাইন বা সামান্য লবণ মিশ্রিত পানি পান করতে পারেন। ঘামের মাধ্যমে বের হওয়া পানি ও লবণের শূন্যতা পূরণ করতে হবে।

ত্বকের জন্য করণীয়: গরমের সময় ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হয়। এ থেকে রক্ষা পেতে প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেই প্রসাধনী অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। ঘামের সময় ঠান্ডা পানিতে কাপড় বা তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে শরীর মুছতে পারেন। এমনটা সম্ভব না হলে যেকোনো শুকনা কাপড়, টিস্যু বা রুমাল দিয়েও ত্বক মুছতে পারেন। ভেজা কিছু দিয়ে শরীর মোছার পর আবার শুকনা কিছু দিয়ে ত্বক মুছা উচিত। কারণ, ত্বক যদি ভেজা থাকে তাহলে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শরীরের কিছু কিছু জায়গায় লোম বেশি থাকে। সেসব স্থানে ঘামও বেশি হয়। এসব স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। লোম ছোট রাখতে হবে। যে পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঘাম হয়, ওই পোশাক যত দ্রুত সম্ভব বদলাতে হবে।

অতিরিক্ত ঘামলে করণীয়: ঘাম যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো, ক্ষুধামান্দ্য বা অবসন্নতার মতো উপসর্গ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনটা হলে ঠান্ডা জায়গায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। যদি সম্ভব হয় ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে নিন। মাথায়ও পানি ঢালতে পারেন। যদি এসব সম্ভব না হয় তাহলে পানি দিয়ে শরীর ও মাথা মুছে নিতে পারেন। আর এ অবস্থায় তরল খাবার বেশি খেতে পারেন।

নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের তারতম্য থেকে ঘাম অতিরিক্ত হতে পারে। কখনো এমনটা মনে হলে একই তাপমাত্রায় আগের থেকে বেশি ঘাম ও বা ঘামের কারণে যদি লাইফস্টাইল ব্যাহত হয়, তাহলে অবশ্য বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আবার যদি ঘাম হওয়ার কোনো কারণ না থাকার পরও ঘাম হয়, তাহলে হঠাৎ ঘেমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অন্য কোনো অসুখের উপসর্গ হতে পারে। কারণ, রক্তে সুগার কমে যাওয়া বা হার্ট অ্যাটাক হলেও ঘাম হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সুগার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাদের অতিরিক্ত ঘাম হলে তাৎক্ষণিক চিনি মিশ্রিত পানি পান করাতে হয় এবং সুগার মাপতে হয়। এছাড়াও যেকোনো কারণে ঘামকে অস্বাভাবিক মনে হলে কালক্ষেপণ না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


আরও খবর