ফের লড়াই শুরু
হওয়ায় গাজা ভয়ংকর ক্ষুধা সংকটে পড়তে পারে বলে জানালো জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম।
সাতদিন ধরে
যুদ্ধবিরতি ছিল। তখন গাজায় কিছু ত্রাণসামগ্রী ঢুকেছে। তা বিতরণ করার নেটওয়ার্ক তৈরি
করা হয়েছে। কিছু মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম
(ডাব্লিউএফপি) জানিয়েছে, দুঃখের বিষয় হলো, এই বিষয়ে যতটা এগোনো জরুরি ছিল, তা হয়নি।
তারা জানিয়েছে,
নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ার ফলে ত্রাণ বিতরণ করা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কর্মীদের জীবন
বিপন্ন হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, এর ফলে বেসামরিক সাধারণ মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন।
গাজায় ২০ লাখ মানুষের বেঁচে থাকার সম্বল হলো এই ত্রাণের খাদ্যশস্য।
ডাব্লিউপিএফ
বলেছে, আমাদের কর্মীদের জন্য গাজা ভূখণ্ডে নিরাপদ, বাধাহীন ও দীর্ঘকালীন যাতায়াতের
ব্যবস্থা চাই। তাহলেই তারা মানুষের কাছে জীবনদায়ী ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারবে। একমাত্র
দীর্ঘস্থায়ী শান্তি হলেই এই মানবিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। ডাব্লিউপিএফ তাই দীর্ঘমেয়াদী
যুদ্ধবিরতি চায় এবং সমস্যার একটি রাজনৈতিক সমাধান চায়।
যারা মুক্তি পেয়েছেন এবং যারা এখনো হামাসের হাতে বন্দি, তাদের ও তাদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গত দুই মাসের মধ্যে এটাই প্রথম বৈঠক। এই বৈঠকে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল।
আরও পড়ুন>> ফিলিপাইনে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
নেতানিয়াহু
জানিয়েছেন, আমি এমন কাহিনী শুনেছি, যাতে আমার মন ভেঙে গেছে। আমি ক্ষুধা ও তৃষ্ণার,
শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের কাহিনী শুনেছি। যৌন নির্যাতন ও ভয়ংকর ধর্ষণের কথাও শুনেছি।
মুক্তি পাওয়া পণবন্দিরা এই কাহিনী শুনিয়েছেন।
ইসরায়েলের মিডিয়া
জানিয়েছে, এই বৈঠকে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল এবং শেষের দিকে প্রায় অর্ধেক মানুষ বৈঠক ছেড়ে
চলে যান।
দানি মিরানের
মেয়ে এখনো হামাসের হাতে বন্দি। তিনি ইসরায়েলের টেলিভিশনে বলেছেন, আমি বৈঠকে কী হয়েছে
তা বিস্তারে বলব না। শুধু এইটুকু জানাব, পুরোটা ছিল কুৎসিত, অপমানকর এবং অগোছালো।
তিনি বলেছেন,
সরকার দাবি করছে, তারাই সবকিছু করেছে। কিন্তু হামাস নেতা ইহাইয়াল সিনওয়ার আসলে আমাদের
মানুষদের ফেরত দিয়েছেন। যখন সরকার দাবি করছে, তাদের নির্দেশে সবকিছু হয়েছে, তখন আমরা
রাগ সামলাতে পারিনি। ওরা একটাও নির্দেশ দিতে পারেনি।
জেনিফারের পার্টনার
অ্যান্ড্রে এখনো বন্দি। তিনি জানিয়েছেন, বৈঠক ছিল রীতিমতো উত্তেজক। অনেকেই সেখানে চিৎকার
করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট
জো বাইডেন বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল আক্রমণ করে হামাস ভয়ংকর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে।
বিশ্ব এটাকে উপেক্ষা করতে পারে না। সব সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীদের
এই যৌন নির্যাতনের নিন্দা করতে হবে।
বাইডেন বলেছেন,
হামাস ইসরায়েলের মেয়েদের উপর অত্যাচার করেছে, তারপর হত্যা করেছে। এটা মেনে নেয়া যায়
না। যারা বেঁচে ফিরেছেন, তারা এই ভয়ংকর কাহিনী আমাদের জানাচ্ছেন।