গরম রাতারাতি
কমে যাবে না, বরং আরও কিছু মাস এরকম আবহাওয়াতেই আপনাকে থাকতে হবে। বাইরে রোদের ভয়,
ঘরে ভ্যাপসা গরম। এমন অবস্থায় নিজের দিকে খেয়াল না দিলেই নয় যেন। গরমের নিজের স্বাস্থ্যের
দিকে নজর তো রাখবেনই, বিশেষ নজর রাখবেন চোখের দিকেও। আমাদের চোখের যত্নে আমরা অনেকটাই
উদাসীন থাকি। কিন্তু এই অভ্যাস আমাদের চোখকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই গরমে খেতে
হবে প্রয়োজনীয় ভিটামিনযুক্ত সব খাবার। যাতে চোখ ভালো রাখা সহজ হবে। চলুন জেনে নেওয়া
যাক-
১. ভিটামিন
এ
ভিটামিন এ সম্ভবত
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে পরিচিত পুষ্টি। এটি কর্নিয়া পরিষ্কার রাখতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। কর্নিয়া হলো চোখের বাইরের আবরণ। গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন এ হলো রোডোপসিনের
একটি উপাদান, এটি চোখের একটি প্রোটিন যা কম আলোতেও দেখতে সাহায্য করে। তাপপ্রবাহের
সময়, পানিশূন্যতা এবং অতিরিক্ত রোদের কারণে শুষ্ক চোখের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভিটামিন
এ চোখের টিস্যু বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি রেটিনার সঠিক কার্যকারিতার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়
পিগমেন্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। আপনার খাবারের তালিকায় ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ খাবার যোগ
করুন। এটি আপনার চোখকে লুব্রিকেটেড রাখতে এবং সামগ্রিক দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য
করবে।
২. ভিটামিন
সি
এক গবেষণায়
দাবি করা হয়েছে যে, ভিটামিন সি-এর অক্সিডেন্ট সূর্যের ফ্রি র্যাডিক্যাল এবং অতিবেগুনী
(UV) রশ্মির কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে চোখকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ছানি এবং ম্যাকুলার
ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা পালন করে। এই দুই সমস্যা অতিরিক্ত রোদে আরও বেড়ে
যেতে পারে। তাপপ্রবাহের সময় বাইরে বের হলে ক্ষতিকারক UV রশ্মির সংস্পর্শ বৃদ্ধি পায়।
ভিটামিন সি নিয়মিত গ্রহণ করলে তা আপনার চোখের রক্তনালীগুলোকে শক্তিশালী করতে এবং রেটিনাল
কোষের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে। এটি রোদের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি
কমাতে সাহায্য করে।
৩. ভিটামিন
ই
ভিটামিন ই আরেকটি
শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার চোখকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। এটি
স্বাস্থ্যকর কোষের ঝিল্লি বজায় রাখতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা তাপপ্রবাহের
সময় বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। এসময় চোখে শুষ্কতা এবং জ্বালাপোড়ার প্রবণতা বেশি
থাকে। অতিরিক্ত গরমে অশ্রু উৎপাদন কমে যেতে পারে, যার ফলে চোখ শুকিয়ে যায়। ভিটামিন
ই টিয়ার ফিল্মের লিপিড স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে, যাতে চোখ আর্দ্র এবং আরামদায়ক
থাকে। খাবারের তালিকায় ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। এ জাতীয় খাবার আপনার চোখকে
হাইড্রেটেড রাখতে এবং জ্বালা হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।