দলের বাকি ব্যাটাররা
যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে নেমেছেন; সাকিব আল হাসান সেখানে ব্যতিক্রম। বাংলাদেশের ব্যাটিং
বিপর্যয়ের মধ্যেও রীতিমতো ছড়ি ঘুরাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের ওপরে।
ক্যারিয়ারের ২৮তম
টেস্ট ফিফটি পেয়েছেন তিনি। দলও তাতে ছাড়িয়েছে ১০০ রান।
এই প্রতিবেদন
লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করেছে বাংলাদেশ। সাকিব ৬৫ বলে ৫১ ও এবাদত হোসেন
অপরাজিত আছেন ৩ রান করে।
শুরুতে ব্যাট
করতে নেমে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার আরম্ভ হয় মাহমুদুল হাসান জয়কে দিয়ে। ইনিংসের শুরুতেই
সাজঘরে ফেরত যান তিনি। কেমার রোচের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বল বুঝতেই পারেননি জয়। প্রথম বলেই
ক্যাচ তুলে দেন এনক্রমাহ বোনারের হাতে।
একই পথের পথিক
হন নাজমুল হোসেন শান্তও। রোচের বলে স্টাম্প উপড়ে যায় তার। শান্ত ৫ বল খেলে কোনো রান
না করেই আউট হন। রান করতে পারেননি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া মুমিনুল হকও। শান্তর চেয়ে
১ বল বেশি খেলে সিলস্ এর বলে ব্ল্যাকউডের হাতে ক্যাচ দেন এই ব্যাটার।
এরপর লিটন দাসের
ব্যাটে আশার আলোই দেখা মিলেছিল, খেলে ফেলেছিলেন ৩৩ বল, তার সঙ্গী ছিলেন সাকিব আল হাসান।
কিন্তু কাইল মায়ার্সের একটি ওভারই এলোমেলো করে দেয় সব আয়োজন।
নিজের প্রথম ওভারে
এসে তিনটি বল তিন লেন্থে করেন মায়ার্স। চতুর্থ বলে এক পা এগিয়ে খেলতে এসেছিলেন লিটন,
কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে সেটা চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে।
ওই ওভারেই ফেরেন
নুরুল হাসান সোহানও। তিনিও এক পা এগিয়ে আসেন, তবে কোনো শট খেলতে চাননি। এলবিডব্লিউ
হয়ে ফেরার আগে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি রানের খাতা খুলতে না পারা সোহান।
অন্যদিকে ক্রিজে
থাকা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ। ১ চার ও ছক্কায় ৩৯ বলে ২৭ রান
করে অপরাজিত থেকে মধ্যাহ্নোভোজের বিরতিতে যান তিনি। তাকে সঙ্গ দেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ
তখন অপরাজিত ২১ বলে ২ রান করে।
কিন্তু বিরতি
থেকে ফিরেই আবার খেই হারিয়ে ফেলেন মিরাজ। সিলসের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে শট খেলতে
গিয়ে উইকেটরক্ষক জশুয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ২২ বলে ২ রান করে আউট হন মিরাজ।