ব্যাট হাতে বেশ কিছু দিন ধরেই অস্বস্তিকর
সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। সেট হলেও ইনিংস
লম্বা করতে পারছেন না। তবে এরমধ্যেই নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। দেশের প্রথম
খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজারী ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন এ ওপেনার।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে
সোমবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে এ কীর্তি গড়েন তামিম।
মার্ক অ্যাডাইরের করা ইনিংসের নবম ওভারের তৃতীয় বলে এগিয়ে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন
তিনি। ব্যাটে বল ঠিকভাবে সংযোগ না হলে থার্ডম্যানে ক্যাচের মতো উঠে যায়। ফিল্ডার দৌড়ে
নাগাল পাননি। তবে দুটি রান নিয়ে ১৫ হাজারী ক্লাবে ঢোকেন অধিনায়ক।
তবে এ মাইলফলক ছোঁয়ার পর খুব বেশিক্ষণ
টিকতে পারেননি তামিম। ব্যক্তিগত ২৩ রানে পড়েছেন রানআউটের ফাঁদে। মার্ক অ্যাডাইরের দারুণ
এক সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভাঙলে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ফলে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৪৪৪ ম্যাচে
৩৫.৪৬ গড়ে ছিল ১৫ হাজার ৯ রান হলো তার। যেখানে রয়েছে ২৫ সেঞ্চুরি ও ৯৩ হাফ সেঞ্চুরি।
তবে এরমধ্যে সব রান বাংলাদেশের হয়ে করেননি
তামিম। এশিয়া একাদশের হয়েও খেলেছিলেন তিনি। তাই বাংলাদেশের জার্সিতে ১৫ হাজারী ক্লাবে
ঢুকতে এখন ৪৮ রান প্রয়োজন তার। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তিনি। ২৩৫
ওয়ানডেতে ২৩৩ ইনিংস ব্যাট করে ৩৬.৬৯ গড়ে করেছেন ৮১৪৬ রান। এছাড়া ৬৯ টেস্টে ১৩২ ইনিংস
ব্যাট করে ৩৯.০৯ গড়ে ৫০৮২ রান এবং ৭৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১১৬.৯৬ স্ট্রাইক রেটে ১৭৫৮
রান করেছেন তিনি।
বাংলাদেশে প্রথম হলেও সবমিলিয়ে বিশ্বের
৪০তম খেলোয়াড় তামিম, যিনি সব সংস্করণ মিলিয়ে ১৫ হাজার কিংবা তার বেশি রান করেছেন। সব
সংস্করণ মিলিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার শচিন
টেন্ডুলকার। ৪৮.৫২ গড়ে সর্বোচ্চ ৩৪ হাজার ৩৫৭ রান করেছেন এ কিংবদন্তি।
তামিমের পরই রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তিন
সংস্করণ মিলিয়ে ৩৩.৫৭ গড়ে তার সংগ্রহ ১৩ হাজার ৭৬৬ রান। মুশফিকের ঠিক পরেই সাকিব আল
হাসান। তিন সংস্করণে তার সংগ্রহ ৩৪.৫৫ গড়ে ১৩ হাজার ৭১৭ রান।