আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ওপারের গোলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত আছে। নিজেদের নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রাখতে দু'পক্ষ সব ধরনের আক্রমণ চালাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ও সাবরাং সীমান্তসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ওপারের মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ এবং মর্টারশেলের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। গোলার শব্দের স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।

টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ব্যাপক গোলার শব্দে এপার কেঁপে উঠছে। দীর্ঘদিন এই এলাকায় গোলার শব্দ শোনা না গেলেও আজ ভোর থেকে বড় ধরনের গোলার শব্দ পাচ্ছি। মনে হচ্ছে বোমা এসে এপারে পড়ছে।

সকাল থেকে ভারী গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলার মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, রাখাইনের চলমান যুদ্ধে এপারে ভারী গোলার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ ধরনের গোলার আওয়াজে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।

হ্নীলা সীমান্তের আব্দুর গফুর বলেন, ওপার থেকে সকালে ভয়ংকর কয়েকটি শব্দ শুনেছি। মনে হয়েছে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ। দিনের বিভিন্ন সময়ে বড় ধরনের কয়েকটি বিকট শব্দ শোনা গেছে।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুস সালাম বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গোলাগুলির শব্দ এপারে শোনা যাচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। সীমান্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে, মিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপ দখল করে নেয় বলে খবর পাওয়া গেছে। টিকতে না পেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি সদস্যরা দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। গত দুই দিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে শতাধিক মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য এপারে আশ্রয় নিয়েছে।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৮৮ বিজিপিকে আমরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর কাছে হস্তান্তর করেছি। সীমান্তে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই দিনে নাফ নদ পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে নৌকায় করে ১০০ বিজিপি সদস্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টেকনাফ কোস্টগার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেওয়া হয়।

এদিকে, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার এলাকায় নাফ নদে বিজিবি এবং কোস্টগার্ড টহল বৃদ্ধি করেছে। সেটি চলমান এবং যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সবসময় প্রস্তুত কোস্টগার্ড ও বিজিবি।

এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রাখাইনে সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর জের ধরে যাতে রোহিঙ্গা বা অন্য কোনও গোষ্ঠী বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।'


আরও খবর



মেহেরপুরে ফের দেড় হাজার শতবর্ষী গাছ কাটার তোড়জোড়

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

রাস্তা সম্প্রসারণ ও সড়ক দুর্ঘটনার অজুহাতে ফের জেলা পরিষদের দেড় হাজার শতবর্ষে গাছ কাটার তোড়জোড় শুরু করেছে মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

এর আগে বছরখানেক আগে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ২ হাজার ৭৮৬ টি শতবর্ষী গাছ কেটে রাস্তা প্রশস্তের উদ্যোগ নিয়েছিলো মেহেরপুর সড়ক বিভাগ। আর সেই গাছ মুহুর্তের মধ্যেই কাটা হয়ে গেছিলো। গাছ কাটা হলেও নতুন করে লাগানো হয়নি একটিও গাছ।

রাস্তার দুপাশ এখন ধু ধু মরুভূমি। গাছ কাটা নিয়ে পরিবেশবাদিরা ও সাধারণ মানুষ ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল সে-সময়। শতবর্ষী কড়ই, মেহগনি, শিমুল, বাবলা ও নিম গাছগুলো কাটার কারণেই চলতি মৌসুমে মেহেরপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।

আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো মেহেরপুর-মুজিবনগর ও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে আরও ১ হাজার ৪৪০ টি গাছ কাটার উদ্যোগ নিয়েছে মেহেরপুর সড়ক বিভাগ।

ইতিমধ্যে মেহেরপুর জেলা পরিষদ বরাবর একটি চিঠি দিয়ে গাছগুলো কাটার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।

মেহেরপুর সড়ক বিভাগ থেকে জানা গেছে, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের আমঝুপি পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা তৈরির কাজ করা হবে। যাতে প্রধান বাধা হয়ে আছে রাস্তার পাশে ৯৭৬টি ছোট বড় বিভিন্ন বনজ ও ফলজ গাছ। এছাড়াও মুজিবনগর সড়কে দুর্ঘটনা এড়ানোর অযুহাতে কাটা হবে আরও ৪৬৪টি গাছ। এই সড়কে শতবর্ষী কড়ই, মেহগনি, শিমুল ও নিম গাছগুলোকে সড়ক বিভাগ লাল রং করে নাম্বারিং করে গেছে। কিছু গাছ রয়েছে সড়কের কিছুটা উপরে, আবার বেশির ভাগ গাছ রয়েছে সড়কের বাইরে। তবে প্রায় সবগুলো গাছেই নাম্বারিং করা হয়েছে। এসব গাছগুলো কেটে ফেলার উদ্যোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে মেহেরপুরের সাধারণ মানুষ। তাদের মতে যদি ফের দেড় হাজার শতবর্ষী পুরানো গাছগুলো কাটা হয় তবে মেহেরপুর আর বসবাসের উপযোগী থাকবেনা। প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসবে। এক বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত গাছ না লাগানোই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার পথচারী ও এলাকাবাসী।

মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, গাছগুলো রাস্তার উপরে চলে এসেছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া গাছগুলোর কারণে সড়ক সংস্কার বা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। সেজন্য আমরা জেলা পরিষদকে চিঠির মাধ্যমে তালিকাসহ জানিয়েছি। এবং কাটার ব্যবস্থা করার জন্য বলেছি।

মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, আমরা একটি তালিকাসহ চিঠি পেয়েছি। আমাদের সার্বেয়ার (পর্যবেক্ষক) যাবে। তারা যেগুলো কাটা প্রয়োজন বলে মনে করবে সেগুলোই কাটা হবে বলে জানান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।


আরও খবর



প্রত্নসম্পদ আইন অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন হয়নি প্রত্নসম্পদ আইন, ২০২৪। প্রত্নসম্পদ আইনের খসড়া কপি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপিত হওয়ার পর কয়েকটি জায়গায় পরিমার্জনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপর পুনরায় মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটি উপস্থাপন করা হলেও পরে তা ফেরত পাঠানো হয়।

বৈঠক শেষে সোমবার বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ১৯৮৬ সালের একটি আইনকে পরিবর্তন করে বাংলায় এটিকে নতুনভাবে করা হচ্ছে। বাংলাদেশে যত প্রত্নসম্পদ আছে সেগুলোকে সংজ্ঞায়িত করা, সংরক্ষণ করা, সেগুলোর হস্তান্তর ও নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়গুলো সেখানে আছে। নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তির বিষয়ও আছে।

মাহবুব হোসেন আরও বলেন, বৈঠকে জাতীয় পরিকল্পনা উন্নয়ন অ্যাকাডেমি আইন, ২০২৪ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। আগের আইনকে পরিবর্তন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নতুন এই আইন করতে চেয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভায় আলোচনার প্রেক্ষিতে এটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস পালন করা হয়। এটি শ্রেণিভুক্ত দিবস ছিল। এটিকে শ্রেণিভুক্ত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু  আলোচনার পর মন্ত্রণালয় এটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।


আরও খবর



যশোরের শার্শায় পরিত্যক্ত ৩টি হাতবোমা উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের শার্শায় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি মার্কেটের ভিতর থেকে তিনটি হাতবোমা উদ্ধার করেছে বাগআঁচড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার বাগআঁচড়া বাবু চেয়ারম্যান মার্কেটের ভিতর অবস্থিত টিউবওয়েলের পাশ থেকে এ বোমা তিনটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, স্থানীয় পথচারিরা মার্কেটের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি পলিথিনে বোমা সাদৃশ্য বস্তু দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে বাগআঁচড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি হাতবোমা উদ্ধার করে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কারা এসব রাখতে পারে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



গাংনীতে জমি দখল পেতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

মেহেরপুর আদালত কর্তৃক রায় পাবার পরও জমি দখল পাচ্ছেন না আফতাব উদ্দীন নামের এক ভুক্তভোগি। রায় প্রাপ্ত জমি দখল পেতে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার(ভুমি)সহ বিভিন্ন স্থানে আবেদন করেও কোন সুরাহা পাননি তিনি। অবশেষে আজ বিকেলে গাংনী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ভুক্তভোগি।

আফতাব উদ্দীন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর বর্ডার পাড়ার মৃত সাত্তার আলীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে তিনি জানান, অত্র উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মোঃ ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ মামনুর রশিদ, মৃত পিয়ার বক্সের ছেলে মোঃ ফজলুর রহমান, মৃত রহমত উল্লাহর ছেলে মোঃ ইউসুফ আলী, মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে মোঃ ছাবদার, কাজিপুর গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে খবির উদ্দীন ও খড়মপুর গ্রামের দলিল লেখক ওমর আলী জাল জালিয়াতির মাধ্যমে গাংনী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রি করেন। যার নং- ১২৬৫, তাং- ০৪/০২/২০১০ ইং।

এ দলিল বাতিলের জন্য আদালতে একটা মোকদ্দমা করা হয়। যার নং- দেং ১২৬/২০১০। উক্ত দলিল হস্তরেখা বিশারদ দ্বারা পরীক্ষাতে দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট বলিয়া প্রমানিত হয় এবং তদমর্মে হস্তরেখা বিশারদ রিপোর্ট দাখিল করেন। উক্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ও উভয় পক্ষের সাক্ষ্য প্রমানাদি গ্রহণে  যথাক্রমে ১৬ জানুয়ারী ২০২০, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ৩০ নভেম্বর ২১, ২০ জুন ২২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২২, ২৪ অক্টোবর ২২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২৩, ২২ অক্টোবর ২৩, ২১ নভেম্বর ২৩ ও ২৯ জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে চুড়ান্ত শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন।

রায়ে উল্লেখ করেন যে, মোকদ্দমাটি ১/২ নং বিবাদীর বিরুদ্ধে দোতরফা সূত্রে এবং অন্যান্য বিবাদীর বিরুদ্ধে বিনা খরচায় ডিক্রী হইল। এতদ্বারা নালিশী 'ক' তপশীল বর্ণিত ৬৩ শতক জমির দখল বাদীর বরাবর বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বিবাদীপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। পাশাপাশি বিগত ০৪/০২/২০১০ তারিখের ১২৬৫ নং দলিল বাতিল করা হলো।

নালিশী দলিলটি বাতিল করণের নোট সংশ্লিষ্ট ভলিয়মে প্রদান করার নিমিত্তে ডিক্রীর অনুলিপি সাব-রেজিস্ট্রার গাংনী, মেহেরপুর বরাবর প্রদান করেন। এমতে আদেশ হওয়ার আমি দরখাস্তকারী প্রতিপক্ষগণকে নিম্ন তপশীল বর্ণিত জমির দখল ছেড়ে দেয়ার জন্য বারংবার অনুরোধ করলেও প্রতিপক্ষগণ মাননীয় আদালতের রায় ডিক্রী থাকা সত্বেও জমির দখল ছেড়ে দিচ্ছেন না এবং ছেড়ে দিবে না বলে স্পষ্ট ভাবে জানান।

প্রতিপক্ষগণ অর্থাবলে ও জনবলে বলিয়ান ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তারা আরো হুমকি দিচ্ছেন যে, যদি নালিশী নিম্ন তপশীল বর্ণিত জমির দখলে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় তাহলে ভুক্তভোগিকে খুন গুম করে ফেলবে। ভয়ে ওই জমিতে যেতে পারেন না তিনি।  এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) বরাবর আবেদন করেও কোথাও কোন সুরাহা পান নি বলে অভিযোগ করেছেন ওই ভুক্তভোগি। শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের উচ্চ মহলে বিষয়টি অবগত এবং আমি যাতে উক্ত জমি দখল পেতে পারেন তার সুষ্ঠু সমাধানে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই বাছাই ছাড়া কিভাবে জমি রেজিস্ট্রি ও সনাক্ত এবং খারিজ হয় তা সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি আশাবাদী। জমি জালিয়াতিতে জড়িতদের মধ্যে সনাক্ত করেছেন কাজিপুরের খবির উদ্দীন যার প্রকৃত পিতার ফহিম হাসলানা অথচ পিতার নাম দেয়া হয়েছে আয়নাল হক। যা সম্পুর্ণ অবৈধ ও আইন বিরোধী বলেও দাবী করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: মেহেরপুর

আরও খবর



রাফায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক পদক্ষেপ চায় জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল রাফাহ শহরে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। প্রথমে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয় জিম্মি চুক্তি করলে রাফাহতে হামলা করা হবে না। তবে হামাসের সঙ্গে চুক্তি হোক বা না হোক এখন ইসরায়েল রাফাহতে হামলা চালাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

এই অবস্থায় রাফাহতে হামলার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। পাশাপাশি রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। আরও বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এবং বাস্তুচ্যুতি রোধে পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলের ওপর প্রভাব’ রয়েছে এমন দেশগুলোর প্রতি মঙ্গলবার আহ্বান জানান তিনি।

গুতেরেস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাফাহতে সামরিক হামলা হলে তা পরিস্থিতি অসহনীয়ভাবে উত্তপ্ত করবে, আরও হাজার হাজার বেসামরিক লোক প্রাণ হারাবে এবং হাজার হাজার মানুষকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করবে।’ পরিস্থিতির গুরুত্বকে তুলে ধরে তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাফাহতে সামরিক হামলা শুধুমাত্র গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে’ তা নয়, বরং পুরো অঞ্চল জুড়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

জাতিসংঘের প্রধান গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়ে বলেন, গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি, সমস্ত বন্দিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং মানবিক সহায়তায় ব্যাপক বৃদ্ধির’ জন্য তিনি ধারাবাহিকভাবে আহ্বান জানালেও তা শোনা হয়নি। তার কথায় গাজার জনগণের স্বার্থে, ইসরায়েলি বন্দি এবং তাদের পরিবারের স্বার্থে এবং এই অঞ্চল ও বিস্তৃত বিশ্বের স্বার্থে আমি ইসরায়েলি সরকার এবং হামাস নেতৃত্বকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি।’

গাজায় গণকবরের বিষয়ে স্বাধীন ও আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে গুতেরেস বলেন, ফরেনসিক দক্ষতাসহ স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের এই গণকবরগুলোর জায়গায় অবিলম্বে প্রবেশের অনুমতি দেয়া অপরিহার্য, যাতে সুনির্দিষ্ট কারণ উদঘাটন করা যায় যে, ঠিক কোন অবস্থায় শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং তাদের কবর দেয়া হয়েছে।’


আরও খবর