আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

২ দিনে বন্যা-ভূমিধস-বজ্রপাতে নিহত ২৬

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বজ্রপাত, বন্যা ও ভূমিধসে গত দুই দিনে সারা দেশে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বজ্রপাতে ১৯ জন, বন্যার পানিতে ডুবে তিনজন এবং ভূমিধসে চারজন মারা গেছেন। জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

শেরপুর:

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ জুন) সকাল ৭টার দিকে ওই দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বরাগীপাড়া গ্রামের মৃত নফেজ উদ্দিনের ছেলে আশরাফ আলী (৬০) এবং ধানশাইল ইউনিয়নের বাগেরভিটা গ্রামের শেখ কাদের আলীর ছেলে আবুল কালাম (৩৩।

স্থনীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাগেরভিটা গ্রামের রাজমিস্ত্রি আবুল কালাম হাঁস ধরতে গিয়ে বন্যার পানিতে ভেসে যান। একই দিন বরাগীপাড়া গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী অসাবধানতায় বন্যার পানিতে পড়ে তীব্র স্রোতে ভেসে যান। আজ সকাল ৬টার দিকে দুজনের মরদেহ ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন স্বজনরা।

ঝিনাইগাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক দুইজনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নেত্রকোণা:

নেত্রকোণায় বন্যা কবলিত স্বজনদের দেখতে যাওয়ার পথে পানিতে ডুবে মারা গেছেন আক্কাস আলী নামে এক যুবক। শুক্রবার তিনি দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের তেলাচী গ্রামে বন্যার পানিতে নিখোঁজ হয়েছিলেন। শনিবার (১৮ জুন) দুপুরে দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

নিহত আক্কাস আলী দুর্গাপুর পৌরশহরের দশাল এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকায় পাহাড় ধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তিনজন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে আকবর শাহ থানার বরিশাল ঘোনায় এবং রাত ৩টার দিকে ফয়েস লেকের বিজয় নগর এলাকায় দুটি আলাদা পাহাড় ধসের ঘটনায় এ হতাহত হয়।

চারজন মারা যাওয়ার বিষয়টি শনিবার সকালে নিশ্চিত করেছেন আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আকবর।

তিনি বলেন, রাত ১টার দিকে চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার ১ নম্বর ঝিলের বরিশাল ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে শাহিনুর আক্তার (২৬) ও মাইনুল আক্তার (২৪) নামে দুজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

এদিকে আকবরশাহ থানার ফয়েস লেকের লেকসিটি বিজয় নগর এলাকায়ও শুক্রবার রাতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে লিটন (২৩) ও ইমন (১৪) নামে দুজনের মৃত্যু হয়।

ময়মনসিংহ:

ময়মনসিংহ সদর, নান্দাইল ও ধোবাউড়া উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে তিন শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে ও সকালে তাদের মৃত্যু হয়।

ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, শুক্রবার দুপুরে নান্দাইল সদরে ফসলের ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাত হলে বক্কর ও জাহাঙ্গীর নামে দুইজনের মৃত্যু হয়।

এদিকে গাঙ্গাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশাদুজ্জামান নয়ন জানান, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে বৃষ্টির সময় তিন শিশু স্থানীয় একটি বিলে মাছ ধরা দেখতে গিয়েছিল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে ওই তিন শিশু গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দুইজনকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং একজনকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে ধোবাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান জানান, সকালে স্থানীয় গুগড়া বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে সাঈদ নামে এক ব্যক্তি মারা যান।

সিরাজগঞ্জ:

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর সিকিউরিটি গার্ডসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও চারজন। আহতদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার সায়দাবাদ ইউনিয়নের শিল্পপার্ক এলাকা ও যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বর্ণি এলাকায় বজ্রপাতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাজশাহী:

রাজশাহীতে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের পর জেলার গোদাগাড়ী ও মোহনপুর উপজেলায় তাদের মৃত্যু হয়।

গোদাগাড়ীর রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, দুপুরের দিকে বৃষ্টির মধ্যে মাঠ থেকে গরু নিয়ে ফিরছিলেন নাদিরা বেগম। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান।

অন্যদিকে মোহনপুরের রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন জানান, দুপুরের দিকে বাড়ির পাশে ফুটবল খেলার সময় মাঠের বাইরে যাওয়া বল কুড়িয়ে আনতে গিয়ে গোলাম রাব্বি নামে একজন বজ্রপাতের শিকার হন। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়। পরে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গাজীপুর:

গাজীপুরের কাপাসিয়া ও কালিয়াকৈর উপজেলায় বৃষ্টির সময় মাছ ধরতে গিয়ে এবং মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ও বিকেলে এ দুই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

বিলে মাছ ধরতে গিয়ে কিরণ মিয়া এবং মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান আব্দুস সোবহান।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে কাইজলি বিলে মাছ ধরতে যান কৃষক কিরণ মিয়া। এ সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হলে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কিরণ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে কালিয়াকৈর থানার ফুলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল মোল্লা বলেন, ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মজিদচালা গ্রামের কৃষক আব্দুস সোবহান (৫৫) শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৃষ্টিপাতের সময় বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গরু আনতে যান। এ সময় বজ্রপাতে মাঠেই ওই কৃষকের মৃত্যু হয়।

বগুড়া:

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় মরিচক্ষেত পরিচর্যা করতে গিয়ে বজ্রপাতে জরুল ইসলাম (২১) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কোমারভোগ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।

আদমদীঘি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার বর্মন এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বজ্রপা‌তে দুইজন মারা গেছেন। আর দিনের বিভিন্ন সময় ঢাকা (কেরাণীগঞ্জ), নাটোর, চুয়াডাঙ্গা ও দিনাজপুরে একজন করে মারা গেছেন। 


আরও খবর



স্বামীর সাথে ঝগড়া করে শ্বশুরবাড়িতে বোমা হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি নিত্যদিনের। দাম্পত্য কলহ এমনই পর্যায়ে পৌঁছয় যে, স্বামী-স্ত্রীর চিৎকারে অতিষ্ঠ প্রতিবেশীরাও। সেই পারিবারিক অশান্তিতে বোমা হামলার অভিযোগ উঠছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া করার জন্য জামাইয়ের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলার অভিযোগ উঠছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে চার জন। আহতদের প্রত্যেককে ভর্তি করানো হয়েছে স্থানীয় একটি হাসপাতালে।

স্থানীয় সূত্রে আনন্দবাজার জানায়, মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ ব্লকের তিন পাকুরিয়া অঞ্চলের গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা রেহেনা খাতুন ও মেহেদী হাসানের বিয়ে হয় বছরখানেক আগে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক অশান্তি শুরু হয় তাদের। মাঝেমধ্যেই সাংসারিক অশান্তি মাত্রা ছাড়িয়ে যেত। মঙ্গলবার মাঝরাতেই হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়েও পড়েন স্থানীয়েরা। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, রেহানার পরিবারের লোকজনই জামাইয়ের বাড়িতে বোমা হামলা করেছেন। বোমার আঘাতে রেহানার পরিবারের চার সদস্য জখম হন। যাঁদের মধ্যে তিন জনের আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।

মেহেদীর পরিবারের সদস্য দিলরুবা বেওয়ার বলেন, রাত ১২টার দিকে হঠাৎ বোমার শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আমাদের। আমাদের বাড়ির লোকজনকে খুন করার উদ্দেশে বোমা হামলা হয়। বৌয়ের বাপের বাড়ির লোকজন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

এদিকে, সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন রেহানার বাপের বাড়ির লোকেরা।


আরও খবর



জনবহুল পয়েন্টে খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে গ্রীষ্মের খরতাপে। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে নগরজীবন। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠেছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরম আর দাবদাহে বিমর্ষ এখন প্রাণ-প্রকৃতি।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করছে ঢাকা ওয়াসা।

ঢাকা ওয়াসার উপ-প্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বা শরীরে পানি শূন্যতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকা মহানগরীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। গ্রাহকদের প্রয়োজনে পানি সেবা নিয়ে পাশে থাকছে ঢাকা ওয়াসা। আর এ সেবা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু থাকবে।


আরও খবর



দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন ২ মে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আগামী ২ মে আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের লেজিসলেটিভ সাপোর্ট উইং আইন শাখা।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নিম্নলিখিত আদেশটি সাধারণ অবগতির জন্য প্রকাশ করা হলো বলেও জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংসদ সচিবালয় জানায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২ মে বিকেল ৫টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আহ্বান করেছেন।


আরও খবর



বৈশ্বিক ঋণ রেকর্ড ৩১৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে: আইএমএফ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

গত বছর বৈশ্বিক ঋণের ভান্ডারে আরও ১৫ ট্রিলিয়ন বা ১৫ লাখ কোটি ডলারের বেশি যোগ হয়েছে। এর ফলে মোট বৈশ্বিক ঋণ ৩১৩ ট্রিলিয়ন ডলারের নতুন রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আইএমএফের এক ব্লগপোস্টে বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া প্রায় সব উন্নত দেশে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। কিন্তু সরকারের ক্রমবর্ধমান ঋণ অনেক দেশেই এখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যেভাবে সরকারের ঋণ বাড়ছে, তার প্রভাব মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মহামারি শুরু হওয়ার চার বছর পর এখন উন্নত দেশগুলোতে সরকারি ব্যয় প্রাক্ মহামারি পূর্বাভাসের চেয়ে জিডিপির ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি। সরকারি ঋণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবার ওপরে আছে বিশ্বের দুই প্রধান অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। মহামারি শুরুর চার বছর পর এই দুই দেশে সরকারি ঋণ বেড়েছে যথাক্রমে ২ ও ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট হারে। এই দুটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বৈশ্বিক অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে। চীনের প্রবৃদ্ধির হার কমে গেলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্যের গতি কমে যায়। ফলে যেসব দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল, তারা ক্ষতির মুখে পড়ে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রেজারি বন্ডের সুদহার বেড়ে গেলে সারা বিশ্বে বিনিয়োগ প্রবাহে ভাটা পড়ে।

২০২৪ সাল জুড়ে বিশ্বের অনেক দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনসংখ্যার হিসাবে এসব দেশে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের বসবাস। ইতিহাসে দেখা যায়, নির্বাচনের বছরে সরকারি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি করহার কমে যায়। নির্বাচনের বছরে দেশে দেশে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি পূর্বাভাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়ে যায়। এবারের নির্বাচনি বছরে এই ঘাটতি যেন লাগামছাড়া না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফ। উদীয়মান দেশগুলোতে সরকারি ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এসব দেশের রাজস্ব ঘাটতি কমিয়ে আনা জরুরি বলে মনে করে আইএমএফ।


আরও খবর



বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা যেভাবে পরিণত হলো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উৎসবপ্রিয় বাঙালি, আর বাঙালির পরিচয়ের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ। এই বর্ষবরণে মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙতি থেকে এবারই প্রথম প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রার। আমরা তো তিমির বিনাশী প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলা ১৪৩১ সালকে বরণ।

২০১৬ সালে সংস্কৃতির প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ বা বাংলা বর্ষবরণ, যা এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বজনীন এক উৎসবে পরিণত হয়েছে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখের আনন্দে মাতবে গোটা দেশ। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই এ দিনটির অপেক্ষায় থাকে। এদিনের অন্যতম আকর্ষণ বর্ণিল সাজ আর আয়োজনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। তাই কদিন ধরেই শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ বিশালকায় চারুকর্ম, পাপেট, হাতি ও ঘোড়াসহ বিচিত্র সাজসজ্জা তৈরিতে জোর প্রস্তুতি চলে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করতে চাইলেও অস্বীকৃতি জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এর পরিবর্তে বরাবরই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী চারুকলা অনুষদে চলে ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইন। এবার তা শুরু হয়েছে গত ১৯ মার্চ থেকে। কিন্তু রমজানের কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি খুবই কম বলে জানান আয়োজকরা।

ইতিহাস

বাংলা বর্ষবরণের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরনো। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস খুব বেশি আগের নয়। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, মানুষ যখন তার খর্বিত মৌলিক, মানবিক অধিকার আর বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সোচ্চার। ঠিক এই সময় হতাশা-যন্ত্রণার মাঝে আনন্দের দীপশিখা জ্বালিয়ে আশার বাণী শোনাবার জন্য এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল যশোরে ১৩৯২ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে। যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ১৯৮৯ সাল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালিত হচ্ছে।

চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে এই শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এই শোভাযাত্রা পুনরায় চারুকলার গেটে এসে সমাপ্ত হয়। পরবর্তী সময়ে ধর্মনিরপেক্ষ একটি উৎসব হিসেবে এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে পালিত হয়ে আসছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে প্রথমে চারুকলায় হওয়া শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। পরে এর নাম দেয়া হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে হওয়া প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, ঘোড়া, হাতি। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায়ও নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিল্পীদের উদ্যোগে হওয়া সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীসহ সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেয়। এ শোভাযাত্রা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা এবং ধর্মের মানুষেরা অংশ নেয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে উপাচার্য অধ্যাপক আবু ইউসুফের সময়। ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একটি সংস্কৃতিক বলয় তৈরির জন্য প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে পাখি, মাছ, ফুল, মুখোশ বানানোর কাজ। এই শোভাযাত্রা আরও একটি জায়গায় অনন্য। সেটি হলো এই আয়োজনের স্বকীয়তা। অর্থাৎ এই আয়োজন হয় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে।


আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4