আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ২৭তম বছরে পদার্পণ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রথমেই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বিশ্বের মহান নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক দেশের জন্ম হতো না। কৃতজ্ঞতা জানাই রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে- যিনি জনগণের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং দেশের চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে তৎকালীন আইপিজিএমএন্ডআরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত করার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

ঢাকার প্রথম তিন তারকা হোটেল ছিল হোটেল শাহবাগ। নবাব সলিমুল্লাহ ১৯০৬ সালের ১৪ ও ১৫ এপ্রিল ভবনটি নিখিল ভারত মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনের স্থান হিসেবে নির্বাচন করেন। ১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বরে এ ভবনেই অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে এটিকে সংস্করণ করে হোটেলে রূপান্তর করা হয়, যা ঢাকার প্রথম আন্তর্জাতিক হোটেল। পঞ্চাশের দশকে বিদেশি অতিথিদের আবাস ও আহারের ব্যবস্থা, বড় আকারের অভ্যর্থনা সবই এখানে হতো। এটিই বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। আগে এর নাম ছিল ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ। সাধারণ মানুষের কাছে পিজি হাসপাতাল নামে পরিচিত। ইতিহাসবিদ শরীফ উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত ঢাকা কোষ” এবং ইফতিখার-উল-আউয়াল সম্পাদিত ঐতিহাসিক ঢাকা মহানগরী: বিবর্তন ও সম্ভাবনা বইটিতে এই হাসপাতাল তৈরির ইতিহাস লেখা রয়েছে।

এতে বলা হয়, ১৯৬৫ সালে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চের জন্য শাহবাগের এই জায়গা অধিগ্রহণ করে সরকার। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর ব্যাপক বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৬৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনজন সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ ব্রিটিশ কাউন্সিলের উপদেষ্টা স্যার জেমস ডি এস কেমেরন, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক এ কে এস আহম্মদকে নিয়ে এই ইনস্টিটিউট গড়ে ওঠে। পরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠিত স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিনের সঙ্গে এটি যুক্ত হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে অধ্যাপক নুরুল ইসলামের অনুরোধে তৎকালীন মন্ত্রী জহুর আহমেদ চৌধুরী মুসলিম লীগের পরিত্যক্ত ভবনটি (ব্লক-এ) পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেন। এরপর থেকে এখানেই পিজি হাসপাতালের কার্যক্রম চলে। তবে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল মহান জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা এবং গবেষণার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়েছিল পিজি হাসপাতালে। এখন এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে তৎকালীন সময়ে দেশের ১৩টি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং নিপসমসহ পাঁচটি পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা পালনে সক্ষম হচ্ছিল না। বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন দেশে একটি স্বতন্ত্র ও গবেষণা সমৃদ্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও সব মেডিকেল কলেজের স্বায়ত্বশাসন দাবি করে আসছিল।

এখানে উল্লেখ্য যে, ৬৯-এর ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের দেওয়া ১১দফার মধ্যেও চিকিৎসকদের দাবির কথা উল্লেখ ছিল। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিকেল শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও আইপিজিএমআর শিক্ষক সমিতি একটি স্বতন্ত্র ও গবেষণা সমৃদ্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে।

জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজ আন্তর্জাতিক মান অর্জন করে দেশের আপামর জনসাধারণের সুচিকিৎসায় নিয়োজিত হবেন এ আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছরের মাথায় ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর কেবলমাত্র হীন রাজনৈতিক সংকীর্ণতায় বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে আবারও আইপিজিএমআর করার উদ্যোগ নেয় বিএনপি-জামাত জোট সরকার। এমনকি তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকা থেকে গাজীপুর, টুঙ্গিপাড়া বা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার হীন উদ্যোগ গ্রহণ করে।

জনসাধারণের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আবারও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত করার উদ্যোগ নেন।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০৫টি পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স পরিচালনা করা হচ্ছে এবং অন্যান্য ৫১টি অধিভুক্ত মেডিকেল/নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টি রেসিডেন্সি কোর্স রয়েছে। চালু হয়েছে এমএসসি নার্সিং কোর্স। বাংলাদেশের ছাত্রদের বাইরেও ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সোমালিয়া, কানাডা, ইয়েমেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, বতসোয়ানা এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশের প্রায় ১০০ বিদেশি ছাত্র বিভিন্ন কোর্সে লেখাপড়া করছেন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় ১০ হাজার নতুন ও পুরাতন রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে সন্তুষ্টি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এখন আটটি অনুষদসহ ৫৭টি পূর্ণাঙ্গ বিভাগ। আরও সুশৃঙ্খল এবং ডিজিটাল করা হয়েছে আর্থিক ব্যবস্থাপনা। আমাদের হাসপাতালে এখন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখানে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশের সকল মানুষের কাছে পরিগণিত হয়েছে চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য ভরসাস্থল হিসেবে।

রোগীদের আরও উন্নত চিকিৎসা দিতে ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে ভিট্রিও রেটিনা, গ্লুকোমা, কর্নিয়া, অকুলোপ্লাস্টি, ক্যাটারেক্ট ও রিফ্রেকটিভ সার্জারি, অর্থোস্কোপিক সার্জারী ও অর্থোপ্লাস্টি, হ্যান্ড এন্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি, শিশু এন্ডোক্রাইনোলজি, জেনারেল রিউম্যাটোলজি ও ইউমিনো রিউম্যাটোলজি।

মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় গবেষণাকে জোরদার করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কেন্দ্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ঘণ্টা ল্যাবরেটরি সার্ভিস চালু আছে। এছাড়া কয়েকটি বিভাগে রোগীর ল্যাবরেটরি রিপোর্ট অনলাইনে মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের যৌথ অর্থায়নে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। ফলে দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়ে কম খরচে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা পাবে। এছাড়া দেশে প্রথমবারের মতো পরপর দুটি ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট, লিভারসহ অন্যান্য অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রমও সমান্তরালভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমরা এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করি। তারপরও সকল শিক্ষক, ছাত্র, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সেবা ও গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে সাফল্য নিয়ে। প্রতিনিয়ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ- দেশি-বিদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিতে। আমাদের ছাত্র এবং তরুণ চিকিৎসকরা এ সুযোগ নিয়ে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করছে নতুন নতুন জ্ঞান/অভিজ্ঞতা নিয়ে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন সোসাইটির সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চার প্রাণকেন্দ্র।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের চিকিৎসক সমাজের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি যেমন বাস্তবায়ন করছেন, তেমনি এদেশের উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষাক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী অগ্রযাত্রার সূচনা করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান চিকিৎসক সমাজ কৃতজ্ঞতার সাথে চিরদিন স্মরণ করবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের বুকে একটা রোল মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে এবং উন্নত চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সংযুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই প্রত্যাশা আমাদের সবার।

রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতা এবং সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাব, ইনশাল্লাহ।


আরও খবর



কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১৬৯, নিখোঁজ ৯১

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ১ মার্চ থেকে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৯। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ৯১ জন। খবর বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

কেনিয়ার সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার ভূমিধসে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা সারাদেশে ৬৬ জনকে হারিয়েছি। এর মধ্যে ৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৬ জন শিশু রয়েছে।

কেনিয়ার সরকারের মুখপাত্র বলেন, বন্যার কারণে ৩০ হাজার ২১৪টি কেনিয়ান পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর জনসংখ্যার হিসেবে বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৪২ জন। কেনিয়ার রাজধানীতে বাস্তুচ্যুতরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এদিকে, ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে কেনিয়ার সরকার ঘোষণা করেছে, তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হাসপাতালের সব বিল বহন করবে। বিশেষ করে মঙ্গলবার যারা ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের। এছাড়া বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার পরিবারগুলোর আর্থিক বোঝাও কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ভারী বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি উপচে পড়ে সৃষ্ট বন্যায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে, অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। মানবিক সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তা দিতে কাজ করছে কেনিয়ার সরকার।


আরও খবর



দেশের বাজারে ফের কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৯৯ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে চল‌তি এপ্রিল মাসের ৬, ৮ ও ১৮ তারিখ সোনার দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বাড়ানো হয়েছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস। এরপর দুদফায় ভরিতে ৩১৩৮ ও ২০৯৯ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলো বাজুস।

সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৪ এপ্রিল বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৩ হাজার ৪২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম হবে ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা।

সোনার দাম কমানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।


আরও খবর



ডোমারে রেললাইনে কাটা পড়লো নেশাগ্রস্থ যুবক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর ডোমারে বাড়ির পাশে রেললাইনে বসে মাদক সেবনরত অবস্থায় সাদ্দাম হোসেন(২৩) নামের এক যুবক ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছে।

মরদেহের পাশে পড়ে রয়েছে নেশার সরঞ্জাম সলিউশন আঠাঁর কৌটা। সাদ্দাম ওই এলাকার তেলিপাড়ার মৃত আবু হানিফার ছেলে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ডোমার রেল স্টেশনের তিন কিলোমিটার উত্তরে হাজিপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে চিলাহাটি হতে খুলনাগামী সীমান্ত ট্রেনে কাটা পড়ে সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যায়। সে সময় সে রেললাইনে বসে ক্যামিক্যাল আঠা(ডান্ডি) নেশা করেছিল। নেশার কারণে আগে থেকেই মানষিক ভারসাম্যহীন ছিলো সাদ্দাম।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা ওসি নুরুল ইসলাম জানান, নিহত সাদ্দাম মানষিক ভারমাস্যহীন ছিল। আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



চোখ রাঙাচ্ছে ফ্লু ভাইরাস, রূপ নিতে পারে মহামারীতে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

অদূর ভবিষ্যতে মহামারীতে রূপ নিতে পারে ফ্লু ভাইরাস, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হতে যাওয়া একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, অভিজ্ঞ রোগ বিশেষজ্ঞদের প্রায় ৫৭ শতাংশই মনে করছেন ফ্লু ভাইরাসের একটি স্ট্রেইন আগামীতে বিশ্বজুড়ে মহামারীর কারণ হতে পারে।

কলোগনি ইউনিভার্সিটির সালম্যানটন গার্সিয়া দীর্ঘ সময় ধরে তার করা সমীক্ষায় দেখান যে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিনিয়ত বিবর্তিত হচ্ছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ভাইরাসের ধরনে নানা পরিবর্তন আসছে।

তিনি বলেন, প্রতি শীতেই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেয়। এটাকে ছোটখাটো মহামারীই বলা চলে। ইনফ্লুয়েঞ্জা কম-বেশি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, কারণ বেশিরভাগ ধরন তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক। তবে আগামীতেও যে এটি এমনই থাকবে তা তো নিশ্চিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ফ্লুর পরে বড় মহামারীটি ডিজিজ এক্স নামক ভাইরাস থেকে আসতে পারে। তবে ভাইরাসটি বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অজানা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ২১ শতাংশ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন পরবর্তী মহামারী একটি নতুন অণুজীবের কারণে ঘটবে, যা এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। এটা সেভাবেই পৃথিবীকে আক্রমণ করবে, যেভাবে হুট করেই ঠিক সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ২০১৯ সালে আক্রমণ করেছিল।

অন্যদিকে, প্রায় ১৫ শতাংশ বিজ্ঞানী মনে করেন কোভিড-১৯ ভাইরাসই এখন পর্যন্ত আগামী মহামারীর হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচফাইভএনওয়ান (H5N1) স্ট্রেইনের উদ্বেগজনক বিস্তার সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এভিয়ান ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রাদুর্ভাবে এরই মধ্যে লাখ লাখ হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে এবং লাখ লাখ বন্যপাখি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি রাজ্যে ভাইরাসটি স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে গৃহপালিত গবাদিপশুও রয়েছে। এটি মানুষকেও আক্রান্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

হ্যাটফিল্ডের রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজের ড্যানিয়েল গোল্ডহিল গত সপ্তাহে নেচার জার্নালে বলেন, ভাইরাসটি যত বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতিকে সংক্রমিত করে, ততই এটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক স্ট্রেইনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়।’

গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট এড হাচিনসন বলেন, এইচফাইভএনওয়ান ভাইরাসের উপস্থিতি বিস্ময়কর ছিল। এর আগে প্রাণীদের মধ্যে শূকর এতে আক্রান্ত হলেও গবাদিপশুর ওপর এভিয়ান ফ্লুর আক্রমণ একেবারেই নতুন ছিল। তারা এ রোগের নিজস্ব স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়েছিল। তাই গরুতে এইচফাইভএনওয়ানের উপস্থিতি একটি বিরাট ধাক্কা হিসেবে এসেছে।’

এর মানে হলো- ভাইরাসটি আরও বেশিসংখ্যক খামারের প্রাণীতে এবং তারপর খামারের প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে প্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে। ভাইরাসটি যত বেশি ছড়াবে, ততই এটির পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে এইচফাইভএনওয়ান মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। কিন্তু যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এর প্রভাব মারাত্মক হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ দুই দশকে শত শত ক্ষেত্রে মানুষ প্রাণীদের সংস্পর্শে এসে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী জেরেমি ফারার বলেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক বেশি, কারণ মানুষের এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার প্রাকৃতিক ক্ষমতা নেই।


আরও খবর



স্কুল বন্ধের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে তীব্র তাপদাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসার পাঠদান আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসায় ছুটি বহাল থাকছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের আপিল না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের আদেশের পর অসন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান। ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সোমবার আদেশে আদালত বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে সেগুলোতে যথারীতি পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা এসি নেই, তীব্র গরমের কারণে এ ধরনের প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ আইনজীবী আরও জানান, কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলে নির্ধারিত সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪