দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বেড়েছে চলেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বুধবার ( ৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় রোগী শনাক্তের হার প্রায় ২৪ শতাংশ, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যতবেশি নমুনা পরীক্ষা হবে ততবেশি রোগী শনাক্ত হবেন জানিয়ে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে দেশে করোনা নমুনা পরীক্ষার জন্য একটি মাত্র পরীক্ষাগার থাকলেও বর্তমানে ৫৬৫ টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। যত বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে তত বেশি রোগীকে শনাক্ত করা যাবে এবং খুব দ্রুত তাদেরকে চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হবে। তাতে করে মৃত্যু রোধ করার জন্যও কাজ করা যাবে।
গত সাতদিনের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ২৩ জুন পাঁচ হাজার ৭২৭ জন নতুন রোগীকে শনাক্ত হয়েছিল, শতকরা হারে যা ছিল ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ। কিন্তু গত ২৮ এবং ২৯ জুনে রোগী শনাক্ত অনেক বেশি বেড়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২৮ জুন শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং ২৯ জুন ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ, প্রায় ২৪ শতাংশের কাছাকাছি। গত ৩০ দিনে সংক্রমণের হার মোটামুটিভাবে বেড়েই চলেছে, বলেন তিনি।
চলতি বছরের রোগী শনাক্তের সংখ্যা জানিয়ে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, জানুয়ারি মাসে ২১ হাজার ৬২৯ রোগী শনাক্ত হলেও ফেব্রুয়ারি মাসে রোগী কমে হয় মাত্র ১১ হাজার ৭৭ জন। কিন্তু মার্চ থেকে ক্রমাগত রোগী সংখ্যা বাড়ছে। এপ্রিল মাসে এক লাখ তিন হাজার ৯৫৭ জন রোগী শনাক্ত হয় আর জুনের ২৯ দিনে শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ তিন হাজার ৮৯৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, রোগী বাড়ার প্রবণতা গত একমাস ধরে, গত এক সপ্তাহ ধরে দেখছি। নিশ্চিত করে বলতে পারি আজকের ( ৩০ জুন) রোগী শনাক্ত হবার পর সেটা হবে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ৮ মার্চ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত সপ্তাহভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বরিশাল বিভাগে ৮ মার্চ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪১৬ জন কিন্তু ২৫তম সপ্তাহে এসে সেটা হয়েছে ৭৩৮জন, মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগেও রোগী শনাক্তের হারও অন্য যে কোনও সময়েও চেয়ে বেশি।