আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ওভারে জিতলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টানা তিন জয়ের পর চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে প্রায় হারতেই বসেছিল বাংলাদেশ। মান বাঁচালেন বোলাররা। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ওভারে ৫ রানে জিতলো বাংলাদেশ। এ জয়ে সিরিজে ৪-০ ব্যবধান করল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

আজ শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলে দুদল। বাংলাদেশ সময় ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নামা টাইগাররা উড়ন্ত সূচনা পেলেও নাটকীয় ব্যাটিং ধসে দলীয় ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায়। এদিন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটিতে ১১.২ ওভারে ১০১ রানে তোলে বাংলাদেশ। তবে এরপর দলীয় ৪২ রানের মধ্যেই ১০ উইকেট খোয়ায় স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে তিন পরিবর্তন এসেছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান।

১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের ইনিংসে প্রথম ওভারেই আঘাত করেন তাসকিন আহমেদ। ব্রায়ান বেনেটকে তিনি শূন্য রানে ফেরান। এরপর জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে (১৭) বোল্ড করেন এই পেসার। আরেক ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে এলবি করে ১৪ রানে ফেরান সাকিব আল হাসান।

এরপর ভালো খেলতে থাকা জোনাথন ক্যাম্পবেলকে অধিনায়ক শান্তর ক্যাচে ফেরান সাকিব। ২৭ বলে ৩১ রান করেন ক্যাম্পবেল। রিশাদ হোসেন মাঝে ক্লাইভ মাদান্ডেকে এলবি করে আউট করে। পরে দলীয় ১৫তম ওভারে আইপিএল ফেরত মোস্তাফিজুর রহমান রায়ান বার্ল (১৯) ও লুক জঙ্গুয়েকে আউট করলে খেলা জমে ওঠে।

যদিও ফারাজ আকরাম ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাটিং বাংলাদেশকে চোখ রাঙ্গাচ্ছিল। ১০ বলে ১১ করা ফারাজ মোস্তাফিজের তৃতীয় শিকার হন। আর শেষের দুই ব্যাটার ব্লেসিং মুজারবানি ও রিচার্ড এনগারাভাকে আউট করে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন সাকিব। তবে তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী ও তানজিদ তামিমরা ক্যাচ না ছাড়লে সহজ জয়ই পেতে পারতো বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সাকিব সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান। এছাড়া মোস্তাফিজ ৩টি উইকেট দখল করেন।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্য সরকার ধীরে খেললেও তানজিদ হাসান তামিম ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। চার-ছক্কায় জিম্বাবুয়ে বোলারদের দিশেহারা করেন। এরপর হাত খোলেন সৌম্য। তাদের জুটি ১০১ রানে। তারা ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দলীয় বড় স্কোরের।

কিন্তু দুজনেই ৭ রানের ব্যবধানে লুক জঙ্গুয়ের বলে আউট হন। তানজিদ ৩৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫২ রান করেন। এই সিরিজেই অভিষেক হওয়ার পর এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। এলবি হওয়া সৌম্য ৩৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ করেন।

এরপরই শুরু হয় সেই নাটকীয় ব্যাটিং ধস। যেখানে তাওহিদ হৃদয় ১২ রান করলেও দলের আর কেউই দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। দীর্ঘদিন পর ফেরা সাকিব আল হাসান ব্যক্তিগত ১ রানে ব্রায়ান বেনেটের বলে বোল্ড হন। অধিনায়ক শান্তও একই বোলারের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন।

জঙ্গুয়ে জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা ও বেনেট।

প্রথম তিন ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার সম্ভাবনাও জাগাল।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে জাল ভোট দেওয়ায় কিশোর আটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ে জাল ভোট দেওয়ার সময় রাকিবুল ইসলাম (১৭) নামে এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১৯ নং বড় পলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ চলাকালে জাল ভোট দেওয়ার সময় প্রিজাইডিং অফিসার নাজমুল হোসাইন তাকে আটক করেন।

আটককৃত রাকিবুল ইসলাম ওই উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের জালালবস্তী গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন দায়িত্বরত বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার। তিনি বলেন, জাল ভোট দেওয়ার সময় একজনকে আটক করা হয়েছে৷ এ বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জেলা নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্য মতে, এ দুটি উপজেলায় মোট ৮ জন চেয়ারম্যান ও ৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

এ দুটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৬০জন। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৬৩ জন ও হরিপুর উপজেলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ৪৯৭জন। আর দুটি উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯০টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮০৮টি।


আরও খবর



সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার আগুন, তদন্ত হলেও সমাধান নেই

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২২ বছরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে ৩২ বার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবার এর কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে সেসব তদন্ত প্রতিবেদন ও দুর্ঘটনা এড়াতে করা সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। ফলে নিয়মিত বিরতিতে আগুন লাগছেই। রবিবার (৪ মে) চাঁদপাই রেঞ্জের ছিলা এলাকায় আগুন লাগে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অগ্নিনির্বাপণে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, বনরক্ষী ও স্থানীয়রা।

অগ্নিকাণ্ড এড়াতে বিভিন্ন সময় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জোরালোভাবে তিনটি সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ তিনটি হলো, সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ের সঙ্গে মিশে যাওয়া নদী ও খাল খনন, অগ্নিকাণ্ডপ্রবণ এলাকায় প্রতি দুই কিলোমিটার পরপর ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করে নজরদারির ব্যবস্থা করা, চাঁদপাই রেঞ্জের ভোলা নদীর কোলঘেঁষে বনের পাশ দিয়ে কাঁটাতার অথবা নাইলনের রশির নেট দিয়ে বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

সুন্দরবন অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় তিনটি সুপারিশই বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে সুফল পাওয়া যাবে। আগুন নেভানোর কাজ চলছে।

সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার আগুন লেগে পুড়ে যায় প্রায় ৯০ একর বনভূমি। উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো হলো ২০০২ সালের ২২ মার্চ শরণখোলা রেঞ্জের কটকাতে। ওই ঘটনায় পুড়ে যায় প্রায় এক একর ছন বন। এরপর ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ চাঁদপাই রেঞ্জের নাংলি ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় পুড়ে যায় তিন একর বনভূমি। একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আড়ুয়াবেড় এলাকায় পুড়ে যায় প্রায় ৯ শতক ছন বন। ২০০৫ সালের ৮ এপ্রিল ধানসাগর স্টেশনের অধীন কদলতেজী এলাকায় পুড়ে যায় প্রায় তিন একর বন। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর একই এলাকার তুলাতলায় পুড়ে যায় ৪.৫ একর বনভূমি। এরপর ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ শরণখোলা রেঞ্জের তেরাবেকা এলাকায় আগুন লাগে। এর কিছু দিন পর ১১ এপ্রিল চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়ায়ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

এর একদিন পর কলমতেজির টহলফাঁড়ির খুটাবাড়িয়া এলাকার দেড় একর, ১ মে নাংলির পঁচাকুড়ালিয়া এলাকার ৫০ শতক, তিন দিন পর ধানসাগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ২.৫ একর বনভূমি। ২০০৭ সালে ৩ দফায় (১৫ জানুয়ারি, ১৯ মার্চ ও ২৮ মার্চ) একই এলাকার প্রায় ১৫ একর বনভূমি পুড়ে যায়। ২০১০ সালের ২০ মার্চ ধানসাগর স্টেশনের গুলিশাখালী এলাকায় প্রায় পাঁচ একর বন পুড়ে যায়। পরে ২০১১ সালের মার্চ মাসে দুই দফা বনে আগুন লাগে। এতে প্রায় সাড়ে তিন একর বন পুড়ে যায়। প্রায় ১০ একর বনভূমি পুড়ে যায় ২০১৪ সালের ২৫ মার্চের অগ্নিকাণ্ডে। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকার আগুন লাগে। ১৩ এপ্রিল একই এলাকায় ফের আগুন লাগে। পুড়ে যায় ৮.৫ একর বন।

১৮ এপ্রিল আব্দুল্লাহর ছিলায় এবং ওই বছরের ২৭ এপ্রিল তুলতলার বিলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালের ২৬ মে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ফরেস্ট ক্যাম্পের আওতাধীন মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় আগুন লাগে। ২০২১ সালের গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুড়েছে দানসাগর টহল ফাঁড়ি এলাকার প্রায় চার শতক বনভূমি।

প্রতিটি আগুন লাগার ঘটনার পরে আগুনের কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও পরে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে সুপারিশসহ রিপোর্টও পেশ করে। তবে সেসব রিপোর্টের প্রতিফলন বাস্তবে দেখা যায় না।

জানা গেছে, শুধু আগুনেই পুড়ছে না সুন্দরবন। বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদই ধ্বংস করে চলছে প্রতিনিয়ত একশ্রেণির চক্র। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট পেট্রোলিং আর জেলে-বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বাঘ, হরিণ হত্যাসহ বনের সম্পদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। এই অবস্থার মধ্যে অক্সিজেনের অফুরন্ত ভাণ্ডার দেশের ফুসফুসখ্যাত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবন এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে সুন্দরবনে আয়তন ছিল বর্তমানের দ্বিগুণ। কমতে-কমতে বর্তমানে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন এখন দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। যা দেশের সংরক্ষিত বনভূমির সর্বমোট ৫১ ভাগ। ২৪ ঘণ্টায় দুবার সমুদ্রের জোয়ারের লবণাক্ত পানিতে প্লাবিত হয় সুন্দরবন।

সংরক্ষিত এই বনের তিনটি এলাকাকে ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ইউনেসকো ৭৯৮তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে। বর্তমানে যা সমগ্র সুন্দরবনের ৫২ ভাগ এলাকা। এখানে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুরসহ ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদরাজি রয়েছে। এ ছাড়া ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, লোনা পানির কুমির, গুইসাপ, কচ্ছপ, ডলফিন, অজগর, কিংকোবরাসহ ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৩১৫ প্রজাতির পাখি রয়েছে।

সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তর জলাভূমিও। সুন্দরবনের জলভাগের পরিমাণ এক হাজার ৮৭৪ দশমিক এক বর্গ কিলোমিটার। যা সমগ্র সুন্দরবনের ৩১ দশমিক ১৫ ভাগ। ১৯৯২ সালে সমগ্র সুন্দরবনের এই জলভাগকে রামসার এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া সুন্দরবনের সমুদ্র এলাকার পরিমাণ এক হাজার ৬০৩ দশমিক দুই বর্গ কিলোমিটার।

এই জলভাগে ৪৫০টি ছোট-বড় নদী ও খালে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ইরাবতীসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন, ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মলাস্কা ও এক প্রজাতির লবস্টার।

ইতোমধ্যেই সুন্দরবন থেকে হারিয়ে গেছে এক প্রজাতির বন্য মহিষ, দুই প্রজাতির হরিণ, দুই প্রজাতির গণ্ডার, এক প্রজাতির মিঠা পানির কুমির।

করোনাকালে গোটা সুন্দরবনে সর্বোচ্চ সতর্কতা রেড অ্যালার্ট জারি করে পর্যটক, জেলে-বনজীবীদের বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বন অধিদফতর। এই নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যেও হুমকিতে পড়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।

সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনকে আগুন থেকে রক্ষা করার জন্য বনে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য রোধে বনরক্ষীদের তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। অসাধু বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল কবির বলেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা বনজীবীদের বিড়ি সিগারেটের আগুনে অনেক সময় আগুন লাগে। এ জন্য আমরা বনজীবী ও স্থানীয়দের সচেতন করেছি। সচেতনতামূলক কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ মতে ওয়াচ টাওয়ার করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাঘ, হরিণ হত্যার পাশাপাশি খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও আগুন দস্যুদের হাত থেকে সুন্দরবন রক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট পেট্রোলিংসহ সব ধরনের পাহারা জোরদার করা হয়েছে।


আরও খবর



গাজায় ইসরায়েলি হামলা: ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়  ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। শনিবার (১৮ মে) গাজায় অবস্থানরত আলজাজিরার প্রতিনিধি এ তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ মে) হামাসের ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী তাদের হামলা জোরদার করেছে।

সংবাদ সংস্থা ওয়াফা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় রাফার মধ্যাঞ্চলের জাবালিয়া আল-বালাদ এলাকার আবু হাশেম’ ভবনে ইসরায়েলি বোমা হামলার পর উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

গাজার উত্তরাঞ্চলে কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আরও ডজন খানেক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের দরজায় জড় হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে ফালুজাহে পানি নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আট জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে।

মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। খান ইউনিসের পূর্বে আবাসান আল-কাবিরা শহরের আল-ফারাহিনে হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। উত্তরপশ্চিম রাফাহে একটি গাড়িতে ড্রোন হামলায় একজন নিহত হয়েছে।

ইসরায়েরি সামরিকবাহিনী উত্তর গাজায় নতুন করে হামলা চালাবে। তাই সেখানে থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে অবিলম্বে সরে যাওয়ার আদেশ দিয়েছে। তারা রাফায় তাদের স্থল অভিযানও আরও বাড়াচ্ছে।

ইউনাইটেড ন্যাশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজি ইন দ্য নেয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ) এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনির মতে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ৬ মে থেকে রাফাহতে তাদের স্থল অভিযান শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ ফিলিস্তিনিকে রাফাহ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। উত্তর গাজায় জোরপূর্বক আরও ১ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।


আরও খবর



জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না ইমরান খানের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুর্নীতির মামলায় জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। বুধবার (১৫ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইমরান খানের আইনজীবী বলেন, বুধবার ইসলামাবাদে ইমরান খান জমি দুর্নীতির মামলায় জামিন পেয়েছেন। তবে অন্য দুই মামলায় জামিন না মেলায় তাকে এখনো কারাগারে থাকতে হবে। জেল থেকে বের হতে পারবেন না তিনি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে এক আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জমি উপহার নেন। তবে ইমরান খানের দাবি, তিনি কোনো ভুল করেননি। এজন্য তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জামিনের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আরও দুই মামলায় জামিন না মেলায় ইমরান খানকে কারাগারে থাকতে হবে। এর একটি হলো রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস এবং অন্যটি হলো ইসলামী আইন লংঘন করে বিয়ে করা।

গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। চারটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। তবে এরই মধ্যে দুই মামলার সাজা স্থগিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। একইসঙ্গে তার স্ত্রী বুশরা বিবিও কারাগারে রয়েছেন। ২০১৮ সালে বেআইনিভাবে ইমরান খানকে বিয়ে করার অভিযোগ এনে কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে।


আরও খবর



ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর কোন দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করবে: খালিদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশী বন্দর পরিচালনাকারিরা বিনিয়োগ করছে। আমি সম্ভাবনা ও স্বপ্ন দেখি, একটি সময় আসবে চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর অন্য কোন দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ সংক্রান্ত চট্টগ্রাম বন্দর ও আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা স্মারকপত্র (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা কাসিফ আল মৌদি, আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল অফিসের রিজিওনাল চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমেদ আল মুতায়া‌। সমঝোতা স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাইফ আল মাজরুই।

স্মারকপত্র অনুযায়ী আরব আমিরাতের আবুধাবী পোর্টস গ্রুপ বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগ করবে। তারা অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে মেরিটাইম সেক্টরে আমাদের যে যাত্রা সেটিকে পুনর্জীবিত ও উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সময়ে সমুদ্র ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে। মংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। মংলা বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের মতো সক্ষমতা অর্জন করবে। পায়রা বন্দরে নির্মাণাধীন জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের  জাহাজ ভিড়েছে। এটা একটা নতুন অনুভূতি। আগে মাদার ভেসেলে পণ্য  পরিবহনের জন্য  আমাদের কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরের উপর নির্ভরশীল হতে হতো। বর্তমানে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে। এতে করে নির্ভরশীলতা কমে যাবে। মাতারবাড়ি বন্দর আঞ্চলিক 'হাব' এ পরিণত হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের রেড সী গেটওয়ে টার্মিনালের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটির কার্যক্রম শুরু হবে। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে ২৪ ঘন্টা জাহাজ আসা-যাওয়া করবে। জোয়ার ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর অন্য ধরনের উচ্চতায় চলে যাবে। বে টারমিনালের সাথে রোড, রেলওয়ে কানেক্টিভিটি থাকবে। পণ্য পরিবহন  সহজলভ্য হবে। শুধুমাত্র আবুধাবী বন্দরের জন্য নয়, আমাদের জানালা খোলা আছে। দেশের যেকোন বন্দরে বিনিয়োগের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিব। বেটার্মিনাল বাংলাদেশের সমুদ্র পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই টার্মিনালের মাল্টিপারপাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পাশে বঙ্গোপসাগরের তীরে বে- টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বে- টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণের পর সেখানে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য ২০১৭ সালে কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়। কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ফিজিবিলিটি স্টাডি ও মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। গতবছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চূড়ান্ত মাস্টার প্ল্যান এর মোড়ক উন্মোচিত হয়। সমীক্ষা অনুযায়ি মাস্টার প্ল্যানের ১,২২৫ মিটার দীর্ঘ দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল এবং ১,৫০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনালসহ মোট তিনটি টার্মিনাল রয়েছে।

তিনটি টার্মিনালের দৈর্ঘ্য ৪.৯৫ কিলোমিটার। মাস্টার প্ল্যানে মোট ১১টি জেটি রাখার প্রস্তাব করা হয়। চ্যানেলে যথোপযুক্ত নাব্যতা থাকায় সেখানে ১২ মিটার ড্রাফটের এবং ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়ানো সম্ভব হবে। আবহাওয়া এবং সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা করতে একটি ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার বা ঢেউনিরোধক বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বে- টার্মিনাল থেকে বহিঃনোঙ্গরের দুরত্ব এক কিলোমিটার। মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি চট্টগ্রাম বন্দর এবং আবুধাবী পোর্টস গ্রুপ যৌথভাবে নির্মাণ করবে।

১,২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনার টার্মিনাল পিএসএ, সিঙ্গাপুর এবং অপরটি ডিপি ওয়ার্ল্ড, দুবাই অর্থায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রেক ওয়াটার ও এক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং করবে বিশ্বব্যাংক।

বে টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৬৬.৮৫ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ইতোমধ্যে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫০০.৬৯ একর সরকারি খাস জমি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।  ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের জন্য বিশ্ব ব্যাংক এর বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।  বছরে ৫০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০২৬ সালে অপারেশনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর