আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি হতে পারে ঈদের পর

প্রকাশিত:শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ৯ মার্চ। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ঘোষণা অনুযায়ী এদিন ঢাকাসহ ৮ বিভাগীয় শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

একই দিন ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন তারিখ ঘোষণা করায় পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা পড়েছেন প্রার্থীরা। পরীক্ষা পেছাবে কি না, তা নিয়ে পিএসসি এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সোয়া তিন লাখেরও বেশি প্রার্থী।

পিএসসি সূত্র বলছে, ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ঈদের আগে এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। পূর্ণ কমিশন সভায় পিএসসির সদস্যরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

পিএসসির পরীক্ষা শাখার (ক্যাডার) দুজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। সিটি নির্বাচনের দিনে পরীক্ষা নেওয়াটাও সম্ভব নয়। এসএসসি পরীক্ষার কারণে বিসিএস পরীক্ষা এগিয়ে আনারও সুযোগ নেই।

দুই কর্মকর্তার একজন নাম-পরিচয় প্রকাশ না করে বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। রোজার মধ্যে বিসিএস পরীক্ষা নেওয়ার নজির নেই।

আরেকজনের ভাষ্য, নির্বাচনের দিনে তো আর পরীক্ষা হয় না। ৯ মার্চও পরীক্ষা হচ্ছে না, এটা নিশ্চিত। এরপর রোজা শুরু। তারপর ঈদ। ঈদের ছুটি শেষে প্রথম অথবা দ্বিতীয় শুক্রবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হতে পারে।

এ নিয়ে জানতে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। কয়েক দফা তাকে কল করা হলেও রিসিভ করেননি।

গত ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ বিসিএসে আবেদন চলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আবেদন, যা চলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বিসিএসে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজারেরও কিছু বেশি।

পিএসসির বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী৪৬তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্য পদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে বিভিন্ন বিষয়ে ৫২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।


আরও খবর



গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য

সামরিক শক্তিতে ইসরায়েলের চেয়ে ৩ ধাপ এগিয়ে ইরান

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে গত ১ এপ্রিল হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে গত শনিবার তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। এরপর দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের নজর এখন ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতির দিকে।

দুই দেশের মধ্যে যদি আসলেই পূর্ণ যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় তাহলে কী ঘটবে? আর কে কার থেকে এগিয়ে আছে সামরিক শক্তিতে? এমন প্রশ্ন এখন অনেকেরই মনে।

দুটি দেশই সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী। দুটি দেশই বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশের শীর্ষ কুড়িটি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে। তবে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর পরিসংখ্যান বলছে, ইরান সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ইসরায়েলের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে আছে। সামরিক সক্ষমতায় শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে র‍্যাংকিংয়ে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম।

সামরিক শক্তির তুলনা : প্রতিরক্ষা খাতে ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশই প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। তবে বাৎসরিক সামরিক বাজেটে ইরানের তুলনায় ইসরায়েলের ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেট হলো ২৪৪০ কোটি ডলার। অন্যদিকে ইরানের বাজেট ৯৯৫ কোটি ডলার। প্রতিরক্ষা বাজেটের দিক থেকে র‍্যাংকিংয়ের ১৪৫ দেশের মধ্যে ইরান ৩৩তম অবস্থানে আর ইসরায়েল ১৯তম অবস্থানে রয়েছে।

নিয়মিত সৈন্য : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার জানাচ্ছে, সৈন্য সংখ্যার হিসেবে ইসরায়েলের চেয়ে এগিয়ে আছে ইরান। ইরানের নিয়মিত সেনা আছে ১১ লাখ ৮০ হাজার, ইসরায়েলের সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে ইরানের রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ আর ইসরায়েলের রিজার্ভ সেনা আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার।

যুদ্ধ বিমান : ইরানের মোট সামরিক বিমানের সংখ্যা ৫৫১টি আর ইসরায়েলের আছে ৬১২টি। এর মধ্যে ইরানের যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি আর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি। ইরানের অ্যাটাকিং বিমান সংখ্যা ২৩টি, ইসরায়েলের আছে ৩৯টি। ইরানের পরিবহন বিমান আছে ৮৬টি, ইসরায়েলের আছে ১২টি। ইরানের প্রশিক্ষণ বিমান ১০২টি আর ইসরায়েলের আছে ১৫৫টি।

হেলিকপ্টার : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের পরিসংখ্যান বলছে, ইরানের হেলিকপ্টার আছে ১২৯টি আর ইসরায়েলের ১৪৬টি। ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার নিয়ে ইরানের চেয়ে শক্তিশালী ইসরায়েল। ইরানের অ্যাটক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ১৩টি।

ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর তথ্য অনুযায়ী, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের দিক থেকে ইসরায়েলের চাইতে এগিয়ে আছে ইরান। ইসরায়েলের ট্যাংক আছে ১৩৭০টি আর ইরানের ১৯৯৬টি। সাঁজোয়া যান আছে ইরানের ৬৫ হাজার ৭৬৫টি আর ইসরায়েলের আছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি।

এছাড়া আর্টিলারি সক্ষমতায় এগিয়ে ইরান। তাদের রকেট আর্টিলারি এমএলআরএস-এর সংখ্যা ৭৭৫টি এবং সেলফ প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৫৮০টি। অন্যদিকে, ইসরায়েলের এদিক থেকে সেফল প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৬৫০টি এবং এমএলআরএস বা রকেট আর্টিলারির সংখ্যা ১৫০টি।

নৌ শক্তি : নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকেও এগিয়ে আছে ইরান। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, ইরানের ১০১টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে যেখানে ৭টি ফ্রিগেট এবং ২১টি টহল জাহাজ আর ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ সংখ্যা ৬৭টি। সাবমেরিনের দিক থেকেও ইরান শক্তিশালী। দেশটির সাবমেরিন আছে ১৯টি, ইসরায়েলের সাবমেরিন আছে ৫টি।

পারমাণবিক শক্তি : সুইডেন-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরুতে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫১২টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল। এই তালিকায় ইরানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র কখনোই ছিল না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার দাবি করেছে যে, ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। ইরান দাবি করে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেনি যে, কোন দেশের হাতে কতটি এ ধরনের অস্ত্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র ক্ষমতার বিষয়টি তারা তাদের রিপোর্টে বিবেচনায় নেয়নি।


আরও খবর



অগ্নি নিরাপত্তা

রেস্টুরেন্ট-দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের মতবিনিময়

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অগ্নিঝুঁকি হ্রাস ও অগ্নি নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে রেস্টুরেন্ট ও দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। বুধবার(৩ এপ্রিল) দুপুরে অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.  মাইন উদ্দিন; পরিচালকবৃন্দসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগণ এবং দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, মহাসচিব জনাব মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া; রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি, মহাসচিব ইমরান হাসানসহ সমিতির অন্য প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

মতবিনিময় সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন। উপ-পরিচালক (অপারেশন্স ও মেইনটেইন্যান্স) কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া দোকান ও রেস্টুরেন্টের অগ্নিঝুঁকি এবং তা নিরসনে করণীয় বিষয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। প্রেজেন্টেশন শেষে সকলের কাছে উন্মুক্ত মতামত ও বক্তব্য আহ্বান করা হয়।

এ সময় বক্তারা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন। দোকান ও রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সকল স্টেকহোল্ডারের সমন্বয়ে রেস্টুরেন্ট, মার্কেট ও দোকানসমূহে অগ্নি নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার বিষয়ে সদিচ্ছা পোষণ করা হয়। রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন বিষয়ে সরকারি অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার এবং সেফটি ইকুইপমেন্টের ট্যাক্স কমানোর বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন অগ্নিঝুঁকি নিরসনে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন।

তিনি বলেন, আমরা নিরাপদ দেশের পক্ষে। কেউ আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমরা সকলকে সাথে নিয়ে দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই।


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বিভ্রান্তিমূলক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারের ঈদযাত্রায় ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন ও এক হাজার ৩৯৮ জন মানুষ আহত হয়েছেন এমন একটি তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল (শনিবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এই তথ্য প্রকাশ করেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) হতাহতের সংখ্যা কম প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। এদিকে, তাদের এই তথ্যকে বিভ্রান্তিমূলক বলে মন্তব্য করেছে বিআরটিএ।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বনানীর বিআরটিএর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রার ১৭ দিনে সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ঘটা এসব সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, পরিতাপের বিষয় একটি বেসরকারি সংগঠন (যাত্রী কল্যাণ সমিতি) আমাদের প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে আমাদের পরিসংখ্যানগত কোনো গরমিল প্রসঙ্গে অবহিত না করে ৪-১৮ এপ্রিল অর্থাৎ ১৫ দিনের সড়ক দুর্ঘটনার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে নিহতের সংখ্যা বিআরটিএর তথ্য থেকে শতাধিক বেশি। যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে এ তথ্য বিভ্রান্তিমূলক।

এদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২০২৩ সালে সারা বছর দেশের বড় সাতটি মেডিকেল কলেজের রেকর্ড বইয়ের তথ্য বলছে, ওই বছর সারা দেশে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই বছর বিআরটিএ বলল মাত্র সাত হাজার কি সাড়ে সাত হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আমরা তাদের কাছে এটার ব্যাখ্যা চেয়েছি। কিন্তু তারা এটার কোনো ব্যাখ্যা আমাদের দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, অন্যজনকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যর কথা বলতে হলে আপনাকে সঠিক তথ্য জানাতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত ১১টির বেশি রিপোর্ট বিআরটিএকে দিয়েছি। এখন আমরা বিআরটিএ রিপোর্ট যাচাই করতে চাই। কারণ কোন রিপোর্ট আমাদের খাতায় আছে, কিন্তু তাদের খাতায় নেই?

তিনি বলেন, হতাহতের সংখ্যা কম দেখানো মানে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা। কারণ সরকার তাদের রিপোর্টকেই প্রায়োরিটি দেয়। সরকার তাদের রিপোর্টকে প্রায়োরিটি দেওয়ার কারণে মনে করেন দুর্ঘটনা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না, অর্থাৎ কম হচ্ছে। ফলে সরকার এটিতে কম মনোযোগ দেয়। বিআরটিএ কম সংখ্যা প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার দায় তাদেরই নিতে হবে।

মূলত বিআরটিএ সারা দেশে তাদের থাকা সার্কেল অফিসের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে।


আরও খবর



দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

যশোরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) যশোরে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন দুপুর ২টাই যশোরে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল শতকরা ২২ ভাগ। যশোর মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

এই মৌসুমে গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সেটি আজ ছাড়িয়ে যশোরে সর্বোচ্চ পারদ উঠল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে।

তাপদাহের মধ্যেই রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে সেদিন রাতেই যশোরসহ পাঁচ জেলার মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর এই তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে জাতীয়ভাবে হিট অ্যালার্ট তিনদিন বৃদ্ধি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত দুসপ্তাহ ধরে যশোরসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তা জানানো হয়েছে। কার্যনির্বাহী সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।


আরও খবর