পূর্ব আফ্রিকার দেশ নাইজারে নিযুক্ত ফ্রান্সের
রাষ্ট্রদূতকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সামরিক জান্তা।
অভ্যুত্থানকারী জান্তার এ নির্দেশের মাধ্যমে দেশটির চলমান সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে।
এছাড়া যদি বহিঃদেশের সেনারা নাইজারে আক্রমণ
করে তাহলে তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য মালি ও বুরকিনা ফাসোর সেনাদের নাইজারে প্রবেশের
অনুমোদনও দিয়েছে তারা। শনিবার (২৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গত ২৬ জুলাই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে
প্রেসিডেন্ট প্যালেসে অবরুদ্ধ করে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান ঘটায় প্রেসিডেন্ট গার্ডের
সদস্যরা। বাজোমের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিলে নাইজারে সামরিক অভিযান চালানো হবে বলে হুমকি
দিয়েছে পূর্ব আফ্রিকার অর্থনৈতিক জোট ইকোওয়াস।
ফ্রান্সের দূত সালভিন ইত্তেকে ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে নাইজার ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে শুক্রবার একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে অভিযোগ করা
হয়েছে, তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু
তিনি এতে যোগ দেননি। ফলে তাকে নাইজার থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে,
‘ফ্রান্সের সরকারের
কার্যক্রম নাইজারের স্বার্থবিরোধী।’
তবে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা
মানবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। তারা বলেছে, ‘ফরাসি দূতকে নাইজার
ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার কোনো অধিকার অভ্যুত্থানকারীদের নেই।’ তারা আরও বলেছে,
এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র নাইজারের নির্বাচিত সরকার দিতে পারে।
একটা সময় ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে
ছিল নাইজার। দেশটি ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করলেও তাদের একটি প্রভাব রয়ে যায়।
এমনকি গত মাসের অভ্যুত্থানের আগে নাইজার ফ্রান্সের মিত্রই ছিল। দেশটিতে এখনও প্রায়
দেড় হাজার ফরাাসি সেনা অবস্থান করছেন।
নাইজারের জান্তা প্রধান জেনারেল আব্দররহমান
চিয়ানি শুক্রবার দুটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এতে তিনি নাইজারে কোনো ধরনের
সামরিক আগ্রাসনের মুখে মালি ও বুরকিনা ফাসোকে এগিয়ে আসার অনুমোদন দিয়েছেন।
ইকোওয়াস যখন নাইজারে সামরিক অভিযানের হুমকি
দেয় তখনই মালি ও বুরকিনা ফাসো পাল্টা হুমকি দিয়েছিল, এ অভিযান তাদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ
ঘোষণার সামিল হবে। বর্তমানে এ দুটি দেশও পরিচালিত হচ্ছে সামরিক জান্তার দ্বারা।