বরিশাল-বরগুনা মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নির্মিত আয়রন সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় দুর্ভোগে পড়েছেন পাশের কয়েকটি গ্রামের হাজারো বাসিন্দা। নিয়ামতি ইউনিয়নের নতুন বাজার থেকে রামনগর সংযোগ সড়কের মাঝে রামনগর খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সেতুটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রামনগর খালের ওপর ৫৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুতে উঠতে হলে পাশে তৈরি করা সিঁড়ি বেয়ে অন্তত ১০ ফুট উঁচুতে উঠে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সিঁড়িতে উঠতে ও নামতে গিয়ে বেশ কয়েকজন বৃদ্ধ ও শিশু পড়ে গেছে।
প্রায় এক মাস আগে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও দুই পাড়ে মাটি ভরাট অথবা সংযোগ সড়ক নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই ঠিকাদারের। সেতু নির্মাণকালে পাশের বিকল্প সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এতে করে এলাকাবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই।
নিয়ামতি গ্রামের বাসিন্দা হাসান খান বলেন, সেতুটি নির্মাণ হলেও জনদুর্ভোগ কমেনি। কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এলাকার অসুস্থ মানুষকে সেই সেতু দিয়ে হাসপাতালে নিতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সরকারের কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়েছে ঠিক, কিন্তু এই সেতু তেমন উপকারে আসছে না।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে রামনগর খালের ওপর ২৭ মিটার দৈর্ঘ্য একটি আয়রণ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। এম.এস রুপালী নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৫৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪২ টাকা ব্যয়ে কার্যাদেশ পেয়ে ওই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করে।
এম.এস রুপালী কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী সুধন বাবু বলেন, ‘এলজিইডি আমাকে যেভাবে কাজের প্ল্যান দিয়েছে, আমি সেই মোতাবেক কাজ করেছি। প্ল্যানের বাইরে আমি কোনো কাজ করিনি। ভুল কিংবা সঠিক যেটাই হোক তা এলজিইডি করেছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, ‘নিয়ামতির এই আয়রণ সেতু সংযোগ সড়কের সঙ্গে নির্মাণ করতে হলে তা অনেক ব্যয়বহুল, যা আমাদের বাজেটে নেই। তারপরও আমরা বাজেট অনুযায়ী সেতুটি নির্মাণ করেছি।’
সেতুর সমস্যা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবেন বলেও জানান উপজেলার প্রকৌশলী।