ওপেনার নাঈম শেখের
৪৭ রানে মান বাঁচানো সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান
সংগ্রহ করেছে টাইগাররা।
যদিও টি-টোয়েন্টির মেজাজে রান সংগ্রহ করতে পারেননি নাঈম।
নাঈম ৫০ বল খেলে
৪৭ রানে করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে কট এন্ড বোল্ড হন। সমান দুটি করে ছক্কা ও বাউন্ডারি
হাঁকিয়েছেন তিনি।
তৃতীয় ম্যাচেও
শুরুটা তেমন একটা ভালো হলো না বাংলাদেশের।
আজ নাঈম শেখের
সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু একধাপ উপরে উঠে কিছুই করতে পারলেন
না। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
তৃতীয় ডেলিভারিতেই উইকেট পেলেন শাহনওয়াজ দাহানি। আগের ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোরারকে ৫
রানে ফেরালেন।
ওয়ানডাউনে নেমে
ঝড়ো রান তোলাটা হয়নি শামীম পাটওয়ারীর।
তবুও গত দুই ম্যাচের
চেয়ে কিছুটা হলেও ভালো বলতে হয়। নাঈম-শামীম জুটিতে ৩০ রান এসেছে।
ওপেনিংয়ে সুযোগ
পেয়ে আজ ৪ বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন শামীম। ২৩ বলে ২২ রান করে উসমান কাদিরের বলে আউট হয়ে
সাজঘরে ফিরেছেন।
পাওয়ার প্লে শেষ
হতেই আক্রমণে এলেন উসমান কাদির। দ্বিতীয় বলেই উইকেট পেলেন এই লেগ স্পিনার।
সপ্তম ওভারে কাদিরের
বলে বেরিয়ে এসে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন শামীম। কিন্তু মারে জোর ছিল না। বাউন্ডারির
অনেক আগেই ইফতেখার আহমেদের তালুবন্দী হন।
শামীমের বিদায়ের
পর মাঠে নামেন অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব। আজকেও ভালোই শুরু করেছিলেন।
কিন্তু থিতু হয়ে
টিকলেন না। দ্বাদশ ওভারে লেগ স্পিনারকে দুটি ছক্কা মেরে বড় ইনিংস গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন
আফিফ। কিন্তু পারলেন না।
১৫তম ওভারে কাদিরকে আবার ছক্কার চেষ্টা করেন আফিফ। কিন্তু টাইমিং হয়নি।
সবহজ ক্যাচ গ্লাভসবন্দি করেন কিপার রিজওয়ান। ভাঙে ৪২ বলে ৪৩ রানের জুটি।
দুই ছক্কায় ২১
বলে ২০ রান করেন আফিফ।
শেষ দিকে ওপেনার
নাঈমের বিদায়ে ব্যাট হাতে সোহান নেমে তেমন কিছুই করতে পারেননি।
মাত্র ৪ রান করে
ওয়াসিমের বলে আউট হন। বাউন্ডারির উদ্দেশ্যে স্কয়ার ড্রাইভ করেছিলেন সোহান। কিন্তু বাউন্ডারি
থেকে অনেকেটা দৌড়ে এসে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন উসমান কাদির।
১৯তম ওভারে হারিস রউফের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও। ১৩ বলে ১৩ রানে শেষ হয় তার ইনিংস।