ভারতের লোকসভা
নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। এবার সবার নজরে দ্বিতীয় দফার ভোট। আর তার আগে
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রচার প্রচারণার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও
বিজেপি নেতা অমিত শাহ এসেছিলেন পশ্চিম বঙ্গে।
এদিন রাজ্যের
বিভিন্ন স্থান চষিয়ে বেরোনোর পর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এক সভাতে ভাষণ দেন অমিত শাহ। ভাষণে
উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব বিষয়টি।
দিনাজপুরের ভাষণে
অমিত শাহ এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন।
ভারতের কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এবার আমরা এই
বাংলা থেকে কাটমানির কালচার বন্ধ করে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বো। সিএএ কার্যকর হবে।
সিএএ ও এনআরসি বন্ধ করতে পারবে না মমতাদি।’
অমিত শাহ বলেন,
‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ থেকে আসা
শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে চাইছেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব
দিতে চাইছেন না। আমি কথা দিচ্ছি, সব হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’
সামনেই লোকসভা
নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। ভোটের প্রচারে এসে ফের টার্গেটের কথা শোনালেন তিনি। পশ্চিম
বঙ্গে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ৪২টি সিটের মধ্যে তিরিশটির বেশি আসন জয়।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বলেন, ‘মোদিজি সারাদেশের গরিব মানুষের জন্য কাজ
করেছেন। ১২ কোটির বেশি শৌচালয় বানানো হয়েছে। ৪ কোটির বেশি মানুষ নিজের বাড়ি পেয়েছেন।
কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প এখানে আসতে দেন না।’
পশ্চিম বাংলার
মা-বোনরা বিজেপির হাতে সুরক্ষিত থাকবেন বলে আশা করেন অমিত শাহ। দুর্নীতি ইস্যুতেও ফের
একবার শাহের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ। বলেন, ‘তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫১ কোটি
টাকা পাওয়া গেছে। তৃণমূলের যে নেতারা দশ বছর আগে ঝুপড়ি থাকত, সাইকেলে ঘুরত, তাদের
এখন চারতলা বাড়ি।’
শেষে পশ্চিম বাংলার
মানুষের কাছে চাইলেন ভোটের প্রতিশ্রুতি। এদিকে ঠিক একদিন আগেই করণদিঘিতে সভা করেছিলেন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।