পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ টাকা দিয়ে বন্ধ করানোর মামলায় হাজিরা দিতে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) আদালতে হাজির হন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদালতের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নিউইয়র্ক থেকে ফ্লোরিডায় চলে যান তিনি। সেখানে মার-এ-লাগোয় নিজ সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন ট্রাম্প। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, আমার একমাত্র অপরাধ হল, যারা আমাদের দেশকে ধ্বংস করতে চায় তাদের কাছ থেকে দেশকে নির্ভয়ে রক্ষা করা।
এ সময় তিনি বিচার সংশ্লিষ্ট সবার সমালোচনা করেন। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে অভিসংশন করার বিষটিরও সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, একের পর এক তদন্ত চালিয়ে তাকে আক্রমণ করা হচ্ছে।
তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বক্তৃতায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্লেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর বিরুদ্ধে কোনো শক্তিশালী প্রমাণ নেই। প্রত্যেক বিজ্ঞ ব্যক্তি ও আইনি বিশ্লেষকরা বলছেন এ বিষয়ে কোনো মামলা হতে পারে না।
এরপর তিনি নিউইয়র্কের আদালতের জেলা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগেরও কড়া সমালোচনা করেন। ব্র্যাগকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, তিনি একজন অপরাধী। তার পদত্যাগ করা উচিত বা বিচার হওয়া উচিত। এ সময় ট্রাম্প দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করেছেন ব্র্যাগ। জেলা অ্যাটর্নির কার্যালয়ের একটি ওয়েবপেজও ছিল। যারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এসব করেছেন তারা সেখানে বৈঠক করতেন। মামলার বিচারক জুয়ান মার্চানও তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন। তিনি বলেন, আমার একজন ট্রাম্প-ঘৃণাকারী বিচারক আছে, সঙ্গে আছে ট্রাম্প-বিদ্বেষী স্ত্রী ও তার পরিবার।
বক্তৃতার শেষে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রসাশনের সমালোচনা করতেও থামেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা এখন খুব খারাপ। আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, রাশিয়া চীনের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আপনারা কি বিশ্বাস করতে পারেন? সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। যদি আমি আপনাদের প্রেসিডেন্ট হতাম তবে এমন কিছুই হতো না।
পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ টাকা দিয়ে বন্ধ করানোর মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা হয়েছে আগেই। মঙ্গলবার ছিল এ মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে উপস্থিত হন তিনি। আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। তবে শুনানিতে সবগুলো অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।