টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে সরাসরি খেলেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু বৃষ্টির কারণে দুই ম্যাচ বাতিল হয়েছিল। তাতে দুই পয়েন্ট যোগ হয় ঠিকই, তবে আফগানদের জয় মাত্র একটিতে। আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচেও ৪ রানে হেরেছে দলটি। এরপরই দেশটির ক্রিকেট দলের অধিনায়কের পর থেকে দাঁড়িয়েছেন মোহাম্মদ নবী।
নবী অবশ্য দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ লুকাননি। ক্রিকেট বোর্ডকে দেওয়া চিঠিতে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের দিকে আঙুল তুলে তিনি লিখেছেন, ‘গত এক বছর আমাদের প্রস্তুতি যেমন ছিল, সেটা অধিনায়ক হিসেবে আমার কাছে বড় টুর্নামেন্টের জন্য যথেষ্ট মনে হয়নি। এ ছাড়া সম্প্রতি আমাদের কয়েকটি সফরে ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচন কমিটির সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি একমত ছিলাম না। যা দলের ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে।’
এর সঙ্গে নবী যোগ করেন, ‘সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি এ কারণে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। দলের প্রয়োজনে আমি নিজ দেশের হয়ে খেলে যেতে চাই। এবারের বিশ্বকাপে বৃষ্টির কারণে ম্যাচগুলো পরিত্যক্ত হয়েছে। তবু দর্শকেরা মাঠে এসেছে। আমি সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’
আফগানিস্তান এবারের বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি। নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে নবীর মন্তব্য ছিল এমন, ‘আমাদের বিশ্বকাপ–যাত্রা শেষ। যে ফল পেয়েছি, সেটা আমাদের সমর্থক বা আমরা প্রত্যাশা করিনি। আমরা খেলোয়াড়েরাও এবারের বিশ্বকাপে আফগানিস্তান দলের পারফরম্যান্সে হতাশ।’
নবী ২০১৩ সালের মার্চে অধিনায়ক হিসেবে নওরোজ মঙ্গলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। পরে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আসগর আফগানকে নেতৃত্বে আনা হয়। গত বছর তালেবান ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নিলে সবকিছুতেই পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর নিজে থেকেই নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন রশিদ খান। তারপর নবীর হাতেই ওঠে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড।
দুই মেয়াদে আফগানিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া নবীর অধীনে ২৮টি ওয়ানডের মধ্যে ১৩টিতে জয় পায় আফগানরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে ১২টিকে জয় পান নওরোজ। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ছয় ম্যাচের মধ্যে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে একটিতে জয় পায় আফগানিস্তান। আফগান অধিনায়ক নবী ছয় ম্যাচ মিলে ৯০ রান করেন।