আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

আগামী অর্থবছরে সরকারের ব্যাংক ঋণ বাড়বে ৩৩ শতাংশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভর্তুকি ও ঋণ সার্ভিসিং এর স্ফীত চাহিদা মেটাতে আগামী অর্থবছরে (২০২২-২৩) সরকারকে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ৩৩ শতাংশ বেশি ঋণ নিতে হবে। আসন্ন অর্থবছরে এর পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। এই প্রাক্কলনের ফলে  আবারও বেসরকারি খাতের জন্য উপলদ্ধ ঋণ সরবরাহ কমে যাওয়া এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্য ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এরমধ্যেই চলতি অর্থবছরে জ্বালানি ও সারের মতো খাতে বেড়েছে ভর্তুকির বিল। জুলাই থেকে শুরু হতে চলা নতুন অর্থবছরে তা আরও বাড়বে বলেই বোঝা যাচ্ছে। সরকারের রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি দিয়েও বাড়তি এ ব্যয়ের চাপ কমানো যাবে না, ফলে অর্থ মন্ত্রণালয়কে ব্যাংকিং খাত থেকেই ঋণ নিতে হবে।

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ১,০১,৮১৮ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণের প্রাক্কলন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এটি চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৮.৬০% বেশি। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক থেকে ৭৬,৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আদায়ে ১৫% প্রবৃদ্ধি হলেও সরকারের ভর্তুকি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় তা মেটাতে সংশোধিত বাজেটে ব্যাংক থেকে ৮৭,২৮৮ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন অর্থবিভাগের কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আর্থিক, মুদ্রা ও বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. ফজলে কবির চলতি অর্থবছরের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রাকে খুবই 'অস্বাভাবিক' বলে উল্লেখ করে বলেন, ব্যাংকখাত থেকে সরকারের এত বেশি ঋণ নেওয়া ঠিক হবে না। মূল বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যাংক ঋণ নিতে অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদারকে পরামর্শ দেন তিনি। তখন অর্থসচিব বলেন, আগামী জুন মাসে সরকার যেসব চেক ইস্যু করবে, সেগুলো জুলাই-আগস্টে ক্যাশ হবে। ওই সময় সরকারের একাউন্টে ব্যালেন্স ঋণাত্মক থাকে। তাই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েই তা পরিশোধ করতে হবে।

এবিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমানেই ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটের মুখে রয়েছে, এরমধ্যেই কলমানি রেট বেড়ে ৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এই বাস্তবতায় সরকারের বিপুল ঋণ চাহিদা মেটাতে টাকার সরবরাহ বাড়ানো হলে তা মূল্যস্ফীতিকে আরও উস্কে দেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ঋণ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে টাকা ছাপিয়ে ঋণ নেওয়ার প্রথা সেরকম নেই, তাছাড়া এটি ভালোও নয়। জিম্বাবুয়ে এ কাজ করেছে, শ্রীলঙ্কার সরকারও করেছে- উদাহরণ দিয়ে জানান তিনি। 

ব্যাংক থেকে আরও ঋণ কেন নিতে হবে?

আগামী অর্থবছরের জন্য প্রাক্কলিত ৬,৭৭,৮৬৪ কোটি টাকার বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ ২,৪৪,৮৬৪ কোটি টাকা। বাকি ৪,৩৩,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। নতুন অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ১২.২৯% বাড়লেও মোট বাজেট ঘাটতি বাড়ছে ১৪.০৬%। অর্থাৎ, সরকারের ব্যয় যে হারে বাড়ছে, রাজস্ব আয় তার তুলনায় কম বাড়ায়, বাজেট ঘাটতি বাড়ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যাপক বিভাগের শিক্ষক রাশেদ আল তিতুমীর বলেন, সরকার যতদিন প্রত্যক্ষ আয়কর থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে না পারবে এবং মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট)  উপর নির্ভর করবে, ততোদিন সরকারের বাজেট ঘাটতিও বাড়বে। আর এই ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকার সবচেয়ে সহজ পন্থাটি বেছে নিচ্ছে, তা হলো ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া। তবে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যদি তা বেতন-ভাতা বা সুদ পরিশোধের মতো খাতে ব্যয় করা হয়, তাহলে খুবই উদ্বেগজনক হবে।

বাজেট ঘাটতি বাড়লেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) সরকারের ব্যয় সে তুলনায় বাড়েনি। কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রাজস্ব আয় না বাড়লেও সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা, ঋণের কিস্তি ও ভর্তুকি ব্যয় বাড়ার কারণে ঘাটতি অর্থায়ন বাড়ছে। আগামী অর্থবছর বেতন-ভাতায় ৭৬,৪১২ কোটি, সুদ পরিশোধে ৮০,২৭৫ কোটি  এবং ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণে ৮২,৭৪৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই তিনখাতে মোট ব্যয় হবে ২,৩৯,৪৩২ কোটি টাকা, যা বাজেটের ৩৫.৩২%।

২০১৯-২০ অর্থবছরে কোভিড সংক্রমণে রোধে ঘোষিত লকডাউনের কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ সব ধরনের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে, দেশের ইতিহাসে রাজস্ব আদায় প্রথমবারের মতো ঋণাত্বক হয়ে পড়ে। তখন বেতন-ভাতাসহ সরকারের নিয়মিত ব্যয় মেটাতে ৭৯,২৬৮ কোটি ঋণ নিতে হয়,  টাকা ব্যাংকঋণ করতে হয়, যা ছিল জিডিপির ২.৮০%। অবশ্য পরের বছর এ হার কমে ০.৯০% এ নামে।     এক দশক ধরে সরকারের ঋণ ব্যাংক নির্ভরতা কমে আসছিল। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকার ব্যাংক থেকে মাত্র ৫১৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল, এর এক বছর পর সরকারের ব্যাংক ঋণ ঋণাত্বক হয়ে পড়ে। ওই বছর ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের চেয়ে ৮,৩৮৯ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ করে সরকার। ২০১৭-১৮ অর্থবছর ব্যাংক থেকে প্রথমবারের মতো জিডিপির ১% এর বেশি ঋণ নেয় সরকার, যার পরিমাণ ছিল ২৯,৪৭৯ কোটি টাকা।

উচ্চ সুদের সঞ্চয়পত্রে বিপুল বিনিয়োগের কারণে ওই সময় সরকারের ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা একদমই কমে গেলেও সরকারের সুদ ব্যয় বাড়ছিল। পরে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। কিন্তু কম সুদের বিদেশি ঋণ খরচের সক্ষমতা না থাকায় সরকারের ব্যাংকঋণ নির্ভরতা বাড়তে থাকে। 

অসম-প্রতিযোগিতায় বেসরকারি খাত কি বঞ্চিত হবে? 

আবার, বেসরকারি বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৪.৯%-এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করছে অর্থ বিভাগ। এতে বেসরকারিখাতে প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। এজন্য বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহে ১৫% প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণ করা হচ্ছে। সরকার নিজেই বিপুল পরিমাণ ঋণ নিলে কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ বাড়িয়ে বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, করোনার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো। আর এসব খাতের উদ্যোক্তারাই ব্যাংক থেকে ঋণ পেয়েছেন সবচেয়ে কম। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ বেড়ে গেলে এসএমই খাতের উদ্যোক্তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।  কোভিডের ধাক্কা সামলে শিল্প খাত কিছুটা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ব্যবসা পরিচালনা, সম্প্রসারণ, কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতির ব্যয় মেটাতে এখন বাড়তি অর্থের প্রয়োজন। এ অবস্থায় বেসরকারি খাতে ঋণের সুযোগ কমে আসলে করোনা থেকে ব্যবসাবাণিজ্যের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া আরও কঠিন হবে বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী নেতা। সরকারি ঋণে প্রক্রিয়াগত জটিলতা না থাকায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা সব সময় সরকারকে ঋণ দিতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে। সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বাড়লে এর প্রভাবে বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর টিবিএসকে বলেন, বর্তমানে আমানত প্রবৃদ্ধি ভালো নয়। আগামী অর্থবছরও এটি ভালো হবে বলে মনে হয় না। মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণে মানুষের সঞ্চয় কমে যাচ্ছে, যা আগামী বছরও অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় নতুন অর্থবছরে সরকার এত বেশি ঋণ নিলে বেসরকারিখাতে 'ক্রাউড-আউট' পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। 

তবে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় অর্থসচিব বলেন, টানা তিন বছর ধরে ১৪.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য থাকলেও গত দুই বছর ধরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮-৯ শতাংশের মধ্যে। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৮৭%। এ ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হবে।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন বেসরকারিখাতে বিনিয়োগ ও ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি খুবই অস্থিতিশীল। এ অবস্থায় কোনো খাতে নতুন বিনিয়োগ হবে না। দেশেও গ্যাসের রেশনিং শুরু হয়েছে, আগামীতে হয়তো গ্যাস-বিদ্যুতের দাম আরও বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে কেউই নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী হবে না।

স্বল্প-সুদের ঋণ বাড়ছে না

বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ ঠিক রাখা ও সরকারের সুদ ব্যয় কমাতে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা কম সুদের বিদেশি ঋণ গ্রহণের উপর গুরুত্ব দিলেও; নতুন অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বাড়ছে না। আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১,০৩,০৪৬ কোটি টাকা, এটি চলতি অর্থবছরের বাজেটের লক্ষমাত্রার তুলনায় মাত্র ১.৮০% বেশি।

অবশ্য লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বৈদেশিক ঋণ পেলেও, বাস্তবায়ন সক্ষমতার অভাবে বিদেশি ঋণ খরচ করতে পারে না বাংলাদেশ। প্রতিবছরই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে বৈদেশিক ঋণের অংশ কমিয়ে সরকারি তহবিলের বরাদ্দ বাড়ানোর চাহিদা আসে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষমাত্রা ছিল ১,০১,২২৬ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে ৮০,২১২ কোটিতে নামানো হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের ব্যয় যে হারে বাড়ছে, তাতে উচ্চ সুদের দেশি ঋণের বদলে কম সুদের বিদেশি ঋণ বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু বিদেশি ঋণ ব্যবহারে বৈশ্বিক দাতা সংস্থাগুলোর কঠোর কড়াকড়ি ও বিদেশি ঋণ ব্যবহারে দক্ষতার ঘাটতির কারণে সে সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকার বেশি সুদের সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা ইতিবাচক। কিন্তু ব্যাংক থেকে অধিক ঋণ নিলেও সরকারের সুদ ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। তাই, সরকারের উচিত হবে বেশি করে বিদেশি ঋণ নেওয়া। কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, এডিপির আকার সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি বাড়লেও বিদেশি সহায়তা খাতে বাড়ছে মাত্র ৫ শতাংশ। এ অবস্থায় বিদেশি ঋণের ৫০ বিলিয়ন ডলারের পাইপলাইন থেকে বছরে ৪-৫ বিলিয়ন ডলার করে ব্যয় করতে পারলে বাজেটে চাপ কমবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন সভায় বলেন, সুদের হার বিবেচনা করলে এখনও বিদেশি ঋণ বেশি সাশ্রয়ী। তবে ঋণচুক্তি হওয়ার অনেক পরেও বেশ কিছু জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় না। এর ফলে সরকারকে 'কমিটমেন্ট ফি' দিতে হয়। আবার রেয়াতকাল শেষ হয়ে ঋণ পরিশোধ শুরু হলেও, অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ হয় না। বিদেশি ঋণের ব্যবহার বাড়লে আরও বেশি প্রকল্প নেওয়া যাবে।

নিউজ ট্যাগ: বাজেট

আরও খবর



যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। নারী-শিশু-সব বয়সী মানুষ এর শিকার হয়ে জীবন দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) সম্মেলনের ৮০তম সেশনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনো বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে, তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এ সময় রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলা ও মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিলো মানবিক প্রেক্ষাপট থেকে। কিন্তু তারাই বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।


আরও খবর



ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ ১৬ মে, ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ফারাক্কা ব্যারাজ অভিমুখে লংমার্চ কোরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাড়া ফেলে দেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এমন সোচ্চার জনমত ফারাক্কা লংমার্চের আগেও দেখা যায়নি, পরেও নয়। ৯৫ বছরের শারীরিক অসুস্থতা বা রাজনৈতিক চাপ, দমাতে পারেনি লংমার্চের প্রধান নেতা ও সংগঠক মাওলানা ভাসানীকে।

গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে পাকিস্তান আমলে ১৯৫২ সাল থেকে। তখন থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয়নি, ফলে ভারত তার-মতো কাজ করে গেছে। একবারই তারা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে যখন ভাসানী ফারাক্কা লংমার্চ করে।

তিস্তা ব্যারেজ দিয়ে ভারত ১৯৭৫ এ পরীক্ষামূলক অল্প কদিনের কথা বলে পানি প্রত্যাহার শুরু করে, পরবর্তীতে তা আর বন্ধ হয়নি। ফল হয়েছে ৪৮ বছর ধরে ফারাক্কা ব্যারাজের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পানির হাহাকার।

অবশ্য ১১২ ডিসেম্বর ভারতের গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগির নিয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লীর মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়। যা কিছুটা হলেও প্রাপ্য পানি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছে। তবে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আর দু'বছর পর। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে প্রতিবছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেবে ভারত।

ফারাক্কা ব্যারাজের মাধ্যমে নদীর পানি সরানোয় শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের মালদহ, মুর্শিদাবাদসহ আরও উজানে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে আকস্মিক বন্যা, নদী ভাঙনে প্রতিবছর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে বহু মানুষ।


আরও খবর



শাশুড়ির করা পর্নোগ্রাফি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাবি শিক্ষিকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে মানহানির অভিযোগে শাশুড়ির করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভাষা কোর্সের খন্ডকালীন শিক্ষিকা গুলশান আরা। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজের আদালত আস সামছ জগলুল হোসেন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করার মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

গুলশান আরার আইনজীবী আল মামুন রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুধুমাত্র হারিয়ে যাওয়া সিমের (মোবাইল সিম) কারণে এই মিথ্যা অভিযোগের মামলায় উনি (গুলশান আরা) ফেঁসে যান। শ্বশুরবাড়ির পরিকল্পিত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় উনাকে ফাঁসানো হয়েছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন, কিন্তু কোনো ফরেনসিক রিপোর্ট প্রদান করেননি। আমরা আদালতে তার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, একটি ফেসবুক আইডি থেকে ২০২২ সালের ৯ মে বাদীর মেয়ের (আসামির ননদ) নগ্ন ছবি বাদীর মেয়ের বান্ধবীর মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়। এডিট করে এ নগ্ন ছবি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি বাদীর। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওই ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারীর হুমকি দেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো ছড়িয়ে দেবেন।

পরে বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ফেসবুক আইডিটি তার পুত্রবধূ গুলশান আরার। পরে তিনি এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

২০২৩ সালের ৩০ মে মামলাটি তদন্ত করে গুলশান আরাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল পারভেজ।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিন মামলা, রিমান্ডের আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আশ্রমে দুস্থদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি, মানবপাচার, অর্থ আত্মসাৎ, শিশুদের ওপর হামলা, টর্চার সেল গঠনের মতো গুরুতর সব অভিযোগের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এরমধ্যে প্রতারণা, মানবপাচার, নির্যাতনসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে দু‌টি মামলা করা হয়েছে মিরপুর ম‌ডেল থানায়। এর মধ্যে এক‌টি মামলার বাদী হয়েছে পু‌লিশ।

আর এসব অভিযোগে বিষয়ে আরো তথ্য বের করতে মিল্টনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে তোলা হবে দুপুর আড়াইটায়।

নিজেকে দাতব্য কাজে জড়িত থাকার প্রচারণা চালানো মিল্টনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। এসব নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বুধবার রাতে তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

গ্রেপ্তারে পর তাৎক্ষণিকভাবে গোয়েন্দা প্রধান হারুন সাংবাদিকদের বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে অনেকগুলো সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে, এরপর রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

বরিশালের উজিরপুরের মিল্টন নিজের বাবাকে পিটিয়ে এলাকা ছাড়েন মিল্টন। ঢাকায় এসে একটি দোকানে ওষুধ বিক্রি করতেন। সেখান থেকেই তার উত্থান।

এক নার্সকে বিয়ের পর মিল্টন বৃদ্ধাশ্রমের স্বপ্ন দেখেন এবং এরপরই তিনি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার গড়ে তোলেন বলে জানান ডিবির হারুন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মিরপুরের সেই চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের কার্যালয় থেকে আটক করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে।

মিল্টনের বিরুদ্ধে অসহায় মানুষের নামে সংগ্রহ করা অর্থ আত্মসাৎ এবং তাদের কিডনিসহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি করে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এছাড়া জাল মৃত্যু সনদ তৈরি এবং জমি দখলের মতো গুরুতর সব অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রচারণার জন্য বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন মিল্টন। ফেইসবুকে তার তার দুই কোটি ফলোয়ার। প্রায় দেড় ডজন লোকবলের একটি দক্ষ টিম মিল্টনের দাতব্য কাজের গুণকীর্তন গেয়ে কনটেন্ট তৈরি করতো। আর সেসব কনটেন্ট মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে সংগ্রহ করা হতো কোটি কোটি টাকার তহবিল।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামের বৃদ্ধাশ্রম ঘিরে তার অপকর্মের ফিরিস্তি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত ২৮ এপ্রিল মানবাধিকার কমিশন থেকে মিল্টনের অভিযোগের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে বলা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশু ও বৃদ্ধদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করার অভিযোগ আছে। এগুলো আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখবো।

এছাড়া তিনি যে অনুদানের টাকা পেতেন তা যথাযথভাবে খরচ করা হতো কি না, তার শেল্টার হোমে শিশু ও বৃদ্ধ যারা আশ্রিত থাকতেন তাদের অভিভাবকরা এলে তাদের যে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

একইসঙ্গে মিল্টন যে ৯০০ লাশ দাফন করার কথা প্রচার করেছিলেন এবং ডেথ সার্টিফিকেটে নিজেই সিল বানিয়ে চিকিৎসকের স্বাক্ষর দিতেন এসব অভিযোগও বিস্তারিত তদন্ত করা হবে বলে জানান হারুন।


আরও খবর



ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান পদত্যাগ করেছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান হারজে হালেভির টেবিলে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন। মেজর জেনারেল আহরন হালিভা ৩৮ বছর ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আহারন হালিভা হলেন প্রথম জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা যিনি হামাসের হামলার ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করলেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী চিফ অব স্টাফ হালিভার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে এবং তার সেবার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

এই ঘটনায় ইসরায়েলের আরও শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধ না করতে পারার দোষ স্বীকার এবং পদত্যাগের মঞ্চ তৈরি করতে পারে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিফ অব স্টাফ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর অনুমোদনে মেজর জেনারেল আহারন হালিভা তার দায়িত্ব শেষ করবেন এবং একটি সুশৃঙ্খল ও পেশাদার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তরসূরি নিয়োগের পর সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেবেন।

হালিভা অক্টোবরে বলেছিলেন, হামাসের আক্রমণ ও ইসরায়েল প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়া প্রতিরোধ না করার জন্য তিনি দায়বদ্ধ ছিলেন। হামাস হামলা চালিয়ে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলিকে হত্যা করে এবং শত শত ইসরায়েলিকে আটক করে গাজায় নিয়ে যায়।

৭ অক্টোবরের হামাসের হামলাকে ব্যাপকভাবে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার একটি বড় ব্যর্থতা’ হিসাবে দেখা হয়।


আরও খবর