মিরপুরে সিরিজের একমাত্র টেস্টে বল হাতে
দুর্দান্ত ছিলেন টাইগার বোলাররা। কিন্তু ব্যাটিংয়ে মিলেছে অস্বস্তি। প্রথম দিনের শেষ
বিকেলে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের ২ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান তুলেছে টাইগাররা। এর আগে তাইজুল
ইসলামের ঘূর্ণিতে মাত্র ২১৪ রানে অলআউট হয় সফররত আয়ারল্যান্ড।
শেষ বিকেলে মাত্র ১০ ওভার ব্যাট করতে হয়েছে
টাইগারদের। কিন্তু এই অল্প সময়েই দুই ওপেনারকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। মার্ক আদায়েরের
করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই শূন্যরানে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর মুমিনুলকে
নিয়ে দেখে-শুনেই দিন শেষ করতে যাচ্ছিলেন তামিম। কিন্তু দিনের শেষ বলে ম্যাকব্রিনের
বলে আদায়েরের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। করেন ২১ রান। এদিকে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন
মুমিনুল।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা
মোটেও ভালো হয়নি আয়ারল্যান্ডের। দলীয় ১১ রানের মাথায় ওপেনার মারে কামিন্স সাজঘরে ফিরে
যান। শরিফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার। এই ধাক্কা সামলানোর আগেই
সফরকারী শিবিরে আঘাত হানেন এবাদত হোসেন। দলীয় ২৭ রানের মাথায় জেমস ম্যাককালামকে বিদায়
করেন এই পেসার।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আয়ারল্যান্ড।
সেই চাপ থেকে দলকে মুক্ত করতে ব্যাট হাতে লড়াই করেছেন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি
ও হ্যারি টেক্টর। তবে এই জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ৪৮ রানে তৃতীয়বারের মতো
আইরিশ শিবিরে ধাক্কা দেয় টাইগাররা। স্পিনার তাইজুল ইসলাম ফেরান বালবার্নিকে। আউট হওয়ার
আগে তিনি ১৬ রান করেন।
এরপর চতুর্থ উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়েন
ক্যাস্পার এবং টেক্টর। তবে ব্যক্তিগত ৫০ রান মেহেদী মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে
ফিরে যান টেক্টর। পরবর্তীতে ক্যাস্পারকেও ফিরিয়ে দেন দেন তাইজুল। ৩৪ রানে থাকা অবস্থায়
এই ব্যাটার লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন। এরপর আবারো আইরিশ শিবিরে আঘাত হানেন এই
স্পিনার। পিটার মুরকে ১ রানে থাকা অবস্থায় প্যাভিলিয়নের পথ ধরান তিনি।
১৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চা পানের বিরতিতে
গিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। কিন্তু চা পানের বিরতি থেকে ফিরে আইরিশরা আর ৬৯ রান যোগ করতেই
হারিয়েছে বাকি ৪ উইকেট। ফলে ২১৪ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর- (১ম দিন শেষে)
আয়ারল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ২১৪/১০ (৭৭.২
ওভার) (ট্যাক্টর ৫০, টাকার ৩৭; তাইজুল ৫/৫৮)
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ৩৪/২ (১০ ওভার)
(মুমিনুল ১২*, তামিম ২১; ম্যাকব্রাইন ১/১৩)