আজঃ বুধবার ২২ মে ২০২৪
শিরোনাম

আজ বরেণ্য অভিনেতা খলিল উল্লাহ’র মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তিনি ষাটের দশকের ঢাকাই সিনেমার একজন জনপ্রিয় অভিনেতা জনপ্রিয় অভিনেতা আবুল ফজল মোহম্মদ খলিল উল্লাহ খান। এই গুণী অভিনেতা পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রায় আটশ সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

এছাড়াও তিনি তার বৈচিত্রময় নান্দনিক অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। সহজাত অভিনয় প্রতিভার গুণে এ দেশের চলচ্চিত্র দর্শকদের মন জয় করেছিলেন অভিনেতা খলিল। নায়ক থেকে হয়েছিলেন খল নায়ক। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর শ্রোতা-দর্শকদের শোকাহত করে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। আজ বরেণ্য এই অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকী।

অভিনেতা খলিল অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন মঞ্চ নাটক দিয়ে। সিনেমার সফলতা তাকে ছুঁয়ে গিয়েছিলো। পাশাপাশি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেও সফল হয়েছিলেন। ২০১২ সালে এই গুণী শিল্পী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন। এছাড়া, তারও অনেক আগে গুণ্ডা সিনেমায় অভিনয় করার জন্য প্রথমবার পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

বিটিভির ইতিহাসের আলোচিত নাটকগুলোর মধ্যে সংশপ্তক একটি। আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত এই নাটকে খলিল অভিনয় করেছিলেন ফেলু মিয়া (মিয়ার বেটা) চরিত্রে। সেই সময়ে খলিলের একটি সংলাপ ভীষণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো- টাকা আমার চাই, নইলে জমি। বহুদিন খলিলের দেয়া সংলাপটি মানুষের মুখে মুখে ফিরতো।

সিনেমায় খলিলের যাত্রা শুরু হয়েছিলো নায়ক হিসেবে। নায়ক থেকে খলনায়ক হতে কম শিল্পীকেই হতে দেখা গিয়েছিলো এ দেশের সিনেমায়। যা খলিল করে দেখিয়েছিলেন। নায়ক হিসেবে প্রথম অভিনীত সিনেমার নাম- সোনার কাজল। এটি যৌথভাবে পরিচালনায় ছিলেন জহির রায়হান ও কলিম শরাফী। প্রথম সিনেমা সোনার কাজল-এ খলিলের নায়িকা ছিলেন সুমিতা দেবী ও সুলতানা জামান।

এরপর, খলিল নায়ক হিসেবে রূপালী পর্দায় আবির্ভূত হয়েছিলেন- প্রীত না জানে রীত, সঙ্গম, জংলি ফুল-সহ আরও কয়েকটি সিনেমায়। নায়ক থেকে একসময় পরিচালকরা তাকে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের আমন্ত্রণ জানালে, সানন্দে রাজি হয়ে যান। অভিনয়কে ভালোবাসার কারণেই এটি সম্ভব ছিলো। খলনায়ক হিসেবে প্রথম অভিনয় করা সিনেমার নাম- বেগানা। এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন এসএম পারভেজ।

খলিলের জন্ম সিলেটের কুমারপাড়ায় ১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতিও ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: খলিল উল্লাহ

আরও খবর



শাহজালালে তিন দিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার (৬ মে) থেকে পরবর্তী তিন দিন তিন ঘণ্টা করে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ থাকবে। রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সোমবার থেকে বুধবার রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা করে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ থাকবে।

সংশ্লিষ্ট সব এয়ারলাইন্স ও সংস্থাকে নোটাম (নোটিস টু এয়ারম্যান) করেছে বিমাববন্দর কর্তৃপক্ষ। রবিবার (৫ মে) বিমানবন্দর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের ফ্লাইট অপারেশনের নিয়মমাফিক কাজের মধ্যে একটি কাজ হচ্ছে রানওয়ে ব্যবস্থাপনা। এ কাজের অংশ হিসেবে রানওয়ের সেন্টার লাইট ও মার্কিং সম্পর্কিত রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এজন্য সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন দিন রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ফ্লাইট অপারেশন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।

এই ৩ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট শিডিউল পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। এ তিন দিন তাদেরকে ফ্লাইটের সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীদেরও পরবর্তী ফ্লাইটের সময় জানিয়ে দেবে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, এই তিন দিন যাত্রীদেরকে তাদের নিজ নিজ ফ্লাইট সম্পর্কে আগাম জানাতে এবং ফ্লাইট অপারেশন সমন্বয় করার জন্য এয়ারলাইন্সগুলোকে এরইমধ্যে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরে অন্যান্য সেবাপ্রদানকারী সরকারি সংস্থার সঙ্গেও সমন্বয় করা হয়েছে। যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বদ্ধপরিকর বলে জানান তিনি।


আরও খবর



জয়পুরহাটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শত শত দুগ্ধ খামারিরা দুঃচিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কালাই প্রেসক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুধের বাজার বসে। সেখানে শুক্রবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকসান হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোহেল, আনোয়ার, নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, খন্দকার আরিফ, জামাল ও সোহরাব হোসেন জানান, কিছু দিন আগে ঈদুল ফিতরের সময় প্রচুর পরিমাণ দই ও মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্প দিনের জন্য দুধের বাজার কম।

স্থানীয় খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুল জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয়, তাহলে অনেকেই দুগ্ধ খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।

কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জয়পুরহাটে দ্রুতই দুধ সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে করে খামারি ও কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।


আরও খবর



কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে প্রায় ২৩ লাখ পশু বেশি আছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এ বছর কোরবানির জন্য এক কোটি ৭ লাখ দুই হাজার ৩৯৪টি পশুর চাহিদার বিপরীতে এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এ বছর এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। যা গতবারের চেয়ে চার লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি। আর এবার এক কোটি ৭ লাখ দুই হাজার ৩৯৪টি পশুর চাহিদা থাকতে পারে বলে সম্ভাবনার জায়গা থেকে আমরা ধরে নিয়েছি। বাইরে থেকে যেন পশু না আসে, এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। আর এবার এ সুযোগ নেই। চোরাই পথে যেন না আসে, সে ব্যাপারেও আমরা সতর্ক এবং সজাগ থাকব। এ বছর সারা দেশে তিন হাজার পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে বসবে ২১টি।

কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, রোগাক্রান্ত পশু হাটে বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হবে। হাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।

মন্ত্রী বলেন, গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো কোনো খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে, রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল গ্রহণ করতে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

নগদ টাকা বহন না করে যথাসম্ভব বিকল্প উপায়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন করার জন্য তিনি খামারিদের পরামর্শ দেন। মন্ত্রী বলেন, গত বছরের মতো এ বছরও অনলাইন প্লাটফর্মে সারা দেশে কোরবানির পশু বিক্রয়ের ব্যবস্থা চালু থাকবে। যা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য সুখকর অবস্থা তৈরি করবে।

তিনি বলেন, লাভের আশায় কোরবানির অনুপযুক্ত পশু বা রোগাক্রান্ত পশু যেন কেউ বিক্রির চেষ্টা না করে। প্রতিটি নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে। কোরবানির পশু নিরাপদ ও কোরবানি উপযোগী কি না বা তাদের শরীরে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করানো হয়েছে কি না তারা সে বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।

মন্ত্রী যোগ করেন, মহাসড়কে বা যেখানে হাট বসালে যান চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কিছু যেন না হয়, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে। সড়কে বা সেতুতে কোরবানির পশুবাহী গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, যেন রাস্তায় পশু আটকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (হট লাইন-১৬৩৫৮) চালু থাকবে। পশুর হাটে কোনো রকম সমস্যা হলে হটলাইন নম্বরে কল করলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সুন্দরভাবে আসন্ন ঈদুল আজহা উদযাপন করতে চাই। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ঈদুল আজহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি যেন স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এবং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে উদযাপন করা যায় সে লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও সরকারের অন্যান্য দপ্তর-সংস্থা কাজ করছে। কোরবানির পশুর জন্য অতীতে অন্য কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো। কিন্তু আমরা এখন দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি সম্পন্ন করতে পারছি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকসহ অন্যান্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ত্রিশালে গর্ত থেকে একই পরিবারের তিন মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশালে একটি গর্ত থেকে মাটি চাপা অবস্থায় পরিচয়হীন এক নারী ও দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া নামক স্থানের হাইঞ্জা মোড়লের বাড়ির মসজিদের সামনের একটি পতিত জমির আইল ঘেঁষা গর্ত থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহের পিবিআই, র‍্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দুপুর ১টার দিকে কুকুর অজ্ঞাত শিশুর পায়ের অংশবিশেষ নিয়ে ছুটাছুটি করছিল। এটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে লোকজন এসে দেখে একটি গর্তে আরও দুটি মরদেহ রয়েছে। যা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দুপুর ৩টার দিকে ত্রিশাল থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিকাল ৩টার দিকে ত্রিশালের রামপুর ইউনিয়নের কাকচরে তিনটি লাশ পাওয়া গেছে। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় এক নারী ও দুই শিশুর গলিত লাশ উদ্ধার করে।

রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আপেল মাহমুদ বলেন, মরদেহগুলো পঁচে দুর্গন্ধ হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সপ্তাহ খানেকেরও বেশি সময় আগে তাদেরকে কেউ হত্যা করে পুঁতে রেখেছে। আপাতত মনে হচ্ছে এদের অন্য কোন এলাকা থেকে এনে এখানে পুঁতে রাখা হয়েছে।


আরও খবর



দক্ষিণপূর্ব এশিয়াজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণপূর্ব এশিয়াজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এ ঘটনায় দেশে দেশে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ। চাপ বাড়ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর।

শনিবার ফিলিপাইনের শিক্ষামন্ত্রণালয় সরকারি স্কুল দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। কারণ দেশটিতে তাপপ্রবাহজনিত অসুস্থতা বেড়েছে। বিশেষে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিনে ফিলিপাইনের আবহাওয়া পৌঁছাতে পারে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ নাগরিকদের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে।

২২ এপ্রিল উত্তরের শহর লাম্পাং-এ তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এই তাপপ্রবাহ এই সপ্তাহে অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। উত্তর ও মধ্য ভিয়েতনামের বিভিন্ন অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ৪০ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। বুধবার পর্যন্ত এমন তাপপ্রবাহ থাকবে বলে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।

মালয়েশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ রোববার ১৬টি অঞ্চলের জন্য গরম আবহাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে। এসব এলকায় গত তিন দিন ধরে ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

সিঙ্গাপুরের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি বছরের তাপমাত্রা গত বছরের চেয়ে বেশি হতে পারে।

অন্যদিকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ৪৮ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডের কথা জানিয়েছে, যা এপ্রিলে তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।


আরও খবর