রাজধানীর বাতাসের
মান আজ ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে। বুধবার (১৯ জুলাই) সকাল ৮টা ৪৭ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি
ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৯৫ নিয়ে বিশ্বব্যাপী দূষিত শহরের তালিকার ১৫তম অবস্থানে রয়েছে
ঢাকা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, সৌদি আরবের রিয়াদ ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ১৮৬, ১৬৪ ও ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আজও আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
৫০ থেকে ১০০
এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল
গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ২০১ থেকে
৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি
তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী-১৪ দল নেতাদের বৈঠক আজ
ওয়ার্ল্ড হেলথ
অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক
অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের
কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।