আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আজ প্রকৃতিতে কান পাতার দিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাদলা দিনে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান

ছেলেবেলাটা মধুর ছিল, এ স্বীকার করতেই হবে। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনগুলো। আকাশ কাঁপিয়ে মেঘের গা হিম করা গর্জন, টুপটাপ বৃষ্টির পতন, সে বৃষ্টি মাড়িয়ে হেঁটে যাওয়া, এ অনুভূতিগুলো মায়ের মাড় দেওয়া শাড়িগুলোর মতোই যত্ন করে স্মৃতির আলমিরাতে তোলা আছে। মাঝেসাঝে কপাট খুলে একটু উঁকি দিলেই মন ভালো হয়ে যায়। আহা সেই বৃষ্টি! আহা সেই শব্দ!

একটা কথা বলতেই হবে, আমাদের শৈশবে প্রকৃতির সাথে একটা কেমন যেন সম্পর্ক ছিল। আমরা ফুলের সাথে খেলতাম, গাছের সাথে কথা বলতাম, গাছ থেকে টুপ করে যে পাতাটা মাটিতে পড়তো তাকে মায়া করতাম। হয়তো ধরেই নিয়েছিলাম প্রকৃতি আমাদের শোনে।

বড়ো হওয়া অনেককে আজকাল একটু আধটু আফসোসের পাতাটা উল্টাতে দেখা যায়। কেউ আবার আফসোসের ধারেকাছ দিয়েও যান না, তবে ফাঁক পেলেই দৌঁড়ে যান প্রকৃতির কাছে। একা একা উপভোগ করেন প্রকৃতির নিবিড় ভাষা।

বিশ্বের যে প্রান্তেই আপনার অবস্থান হোক না কেন, কিছু না কিছু শব্দ রোজ আপনার কানে আসে যা প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত। ব্যস্ততার যাতাকলে অনেকেই সে-সব শব্দে কান কিংবা মন কোনটাই হয়তো দিতে পারেন না। কিন্তু দিনের কোন না কোন সময়ে মন একটু টানেই। বিশেষ করে এখনের এই বৃষ্টির মরসুমে।

ওদিকে একদল মানুষ আছেন যারা কেবল প্রকৃতির নানান শব্দ খুঁজে বেড়ান। এমনও হয়, হয়তো মাটিতেই শুয়ে থেকে কাটিয়ে দিচ্ছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যদি মাটি থেকেও কোন শব্দ আসে; মন্দ নয় তো! আবার এমনও হয়, প্রকৃতির শব্দ খুঁজতে পাড়ি জমিয়েছেন গভীর পানির নিচে। যেখানটায় হয়তো আয়েশ করে ঘুরে বেড়ায় হাঙরেরা।

শব্দের মাধ্যমে মানুষ আর পরিবেশের মধ্যকার সম্পর্ক শেখার বিষয়টিকে বলা হয় অ্যাকোস্টিক ইকোলজি। আর যারা এই সম্পর্ক খুঁজতে শব্দের সন্ধান করেন, তাদের বলা হয় অ্যাকোস্টিক ইকোলজিস্ট। তাদের এ কাজের নাম ফিল্ড রেকর্ডিং। যারা কী না প্রকৃতির শব্দ শোনার বিষয়টিকে নিয়ে গেছেন অন্য মাত্রায়। নানান ধরণের শব্দ শোনার জন্য তারা কিন্তু আসলেই সময় নেয় এবং প্রতিটা শব্দের আলাদা একটা অর্থবোধক মানে দাঁড় করায়। আর এই নানান ধরণের শব্দের খোঁজে তারা ছুটে বেড়ান বিভিন্ন ধরণের পরিবেশে। এই পরিবেশের ব্যাপ্তি আসমান থেকে জমিন এবং পানির তল পর্যন্ত।

নানান ধরণের শব্দে ডুবে আছি আমরা। মেট্রোরেইলের শব্দ, ফ্লাইওভার কিংবা নতুন রাস্তা হওয়ার শব্দ, ট্রাফিক জ্যাম, গাড়ির হর্ন, শিশুর কান্না, মায়ের বকুনি, স্কুলে বাচ্চাদের চেচিয়ে পড়া, কি-বোর্ডে টাইপ করা, সবটাই শব্দ। কিছু শব্দ বিরক্তির, কিছু শব্দ প্রশান্তির। কেমন হয় যদি এই শব্দের মাধ্যমে চারপাশের জগতকে বোঝার একটুখানি চেষ্টা করা হয়?

কিছু সময়ের জন্য সময়কে নিজের মতো চলতে দিন। আপনি থেমে যান। মোবাইল, কর্পোরেট জীবনের একঘেয়েমিকে রাস্তায় ফেলে একটু আলাদা হন। কিছুক্ষণের জন্য একটু নির্জনে যান। দীর্ঘ পথে একা হাঁটার অনুভূতি কিন্তু অনবদ্য। কোলাহল নয়, কিছু পুরোনো শব্দ নতুন করে শোনার সৌভাগ্য ভেবে নিন। চোখ বন্ধ করুন আর কান পাতুন। কোন কথা না বলে কিছু শোনার চেষ্টা করুন। ঝরে যাওয়া পাতার শব্দ, পাখির ডাক, পাতার ঘর্ষণ, বাতাসের শব্দ, একটা কাঠবিড়ালি দৌড়ে যাওয়ার শব্দ। বৃষ্টির শব্দ। শুনুন। শোনার চেষ্টা করুন। প্রকৃতিকে শোনার জন্য এর চেয়ে ভালো দিন কিংবা রাত আপনি পেতেও পারেন, না-ও পারেন। কিন্তু যে মূহুর্তেই আপনি প্রকৃতির খুব কাছে অবস্থান করবেন, চেষ্টা করুন প্রকৃতির শব্দ শোনার। শুনতে পাচ্ছেন কিছু? প্রকৃতির এই শব্দের দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগত। মন ভরে আজ একটু এই ডাকে সাড়া দিন। অন্য সব শব্দকে আজ না হয় 'না' করে দিন। একটু সময় নিয়ে আজ সে সব শব্দে কান পাতুন যে-সব শব্দ কখনই মন দিয়ে শোনা হয়নি। একে অপরকে বোঝার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমটিই যেখানে শোনা, সেখানে আমরা কানে ইয়ারফোন গুজে ডুবে থাকি কৃত্রিম শব্দের ভাণ্ডারে।

বিশ্বের কোথাও না কোথাও প্রতিনিয়তই কোন না কোন শব্দ হচ্ছে। মাঝরাতে হঠাৎ ভাঙা ঘুমটাও হয়তো এ কারণেই কিছু একটার খোঁজ করে। এ খোঁজ একটা নির্দিষ্ট শব্দ শোনার। কোন চামচ পড়ে যাওয়া কিংবা কাঁচের বাটি ভাঙার শব্দ নয়, আবার কোন ভূতের চিৎকারও নয়। একটু অন্যরকম কোন শব্দ। যে শব্দ শুনে মস্তিষ্ক জট পাকিয়ে আবার ঘুম নামাবে দু'চোখের পাতায়।

শোনা, শ্রবণ, শব্দ- এ নিয়ে এত কথার কারণ আজ ১৮ই জুলাই। World Listening Day (ওয়ার্ল্ড লিসেনিং ডে) অর্থাৎ বিশ্ব শ্রবণ দিবস। এই শ্রবণের উদ্দেশ্য কথা কিংবা শব্দ দূষণ নয়, এ শ্রবণের উদ্দেশ্য প্রকৃতিকে শোনা। তাই দিনটিকে যদি বলি- আজ প্রকৃতিতে কান পাতার দিন, সেটাও ভুল হয় না।

বিশ্ব শ্রবণ দিবসটি প্রথম পালিত হওয়া শুরু করেছিল ২০১০ সালে। এরপর থেকে প্রতিবছরই পালিত হয়ে আসছে দিনটি।

১৮ই জুলাই কেন এই দিবস সে প্রসঙ্গে বলা যায়, কানাডিয়ান সুরকার এবং অ্যাকোস্টিক ইকোলজি আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আর. মারে শ্যাফারের জন্মদিন আজকের দিনটিতে।

আমরা শুনতে চাই তবে তা শব্দ দূষণ না। তাই অবসান হওয়া দরকার শব্দ দূষণের। একই সাথে দরকার মানুষের সাথে পরিবেশের সম্পর্কে সামঞ্জস্য। আমরা চাই, আমাদের কানে শব্দ আসুক, যে শব্দ প্রশান্তি দেবে। কপাল কুঁচকে রাখার মতো বিরক্তিকর শব্দ তো রোজই শুনি।

যে মূহুর্তে কোন প্রাণির শব্দ আর কানে আসবে না, কোন পাতার ঘর্ষণ বা প্রকৃতির শব্দ ধীরে ধীরে শ্রবণের বাইরে চলে যাবে, সেদিন থেকেই হয়তো বিরাট কিছু হারানোর দলে নাম লিখাতে থাকবো আমরা।


আরও খবর
আজ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস

শুক্রবার ০৯ আগস্ট ২০২৪




হাঁটুপানির নিচে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, তীব্র যানজট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গোমতী নদীর পানি বেড়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চট্টগ্রামমুখী লেন। এতে ওই মহাসড়কের ৪ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রী সাধারণ।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভোর থেকে মহাসড়কের নবগ্রাম রাস্তার মাথা থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় ওই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, বন্যায় ইতিমধ্যে প্রায় চার হাজার হেক্টর এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টি ও ঢলের পানি ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত নদীটির গোমতীর দুকূল ছাপিয়ে উঠছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কের উপজেলার নবগ্রাম রাস্তার মাথা থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। ফলে মহাসড়কে প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

ইসতিয়াক নামে এক যাত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর পানির স্রোত বয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি আগে দেখিনি। তারওপর যানজট, কখন গন্তব্যে যেতে পারবো জানি না।

আকাশ নামে এ ট্রাকচালক জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। কালির বাজারের পর থেকে সড়কে হাঁটুপানি, যার কারণে গাড়ি চালানো অনেক কষ্ট হচ্ছে।

মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম লোকমান হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পানির কারণে মহাসড়কে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। এ কারণে একটু যানজট রয়েছে। সেটা নিরসনে চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।


আরও খবর



চাকরি বহালের দাবিতে অবস্থান, আইজিপিসহ অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজনৈতিক তকমায় বা ঠুনকো অভিযোগে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যরা সব সুযোগ সুবিধাসহ চাকরি ফিরে পেতে পুলিশ সদর দফতরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন পুলিশ সদস্যরা। ফলে ভবনের ভেতরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গত ১৫ বছরের বিভিন্ন সময়ে চাকরি হারানো হাজারো পুলিশ সদস্য রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় তারা স্লোগান দে এক দফা, এক দাবি, নির্বাহী আদেশে চাকরি ফেরত দেওয়া।

বিকেল থেকে পুলিশ সদর দফতরের সামনের সড়কের দুই লেন বন্ধ করে বিক্ষোভ ও অবস্থান করলেও দেখা মেলেনি পুলিশ প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা কনস্টেবল ফরহাদ বিশ্বাস বলেন, ২০২১ সালে বগুড়া জেলায় আমাকে ডোপ টেস্টের নামে চাকরিচ্যুত করা হয়। আদালতে মামলা করি। আদালত থেকে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলেও এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আমাকে যোগদান করতে দেননি।

তিনি বলেন, এ রকম হাজারো পুলিশ সদস্য হাহাকার নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। আমাদের দাবি একটাই নির্বাহী আদেশে চাকরি ফেরত দেওয়া।

আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা জানান, বিগত সময়ে বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তারা যদি চাকরি ফিরে পান তাহলে আমরা কেন পাব না। বিশেষ করে বিভাগীয় মামলা ও আদালতের আশ্রয় নিয়ে তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় যারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন, তাদের কী দোষ! তাদের তো চাকরি বহালে কোনো বাধা থাকার কথা না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের তাবেদার আইজিপি শহীদুল হক, বেনজির, আব্দুল্লাহ আল-মামুনরা চাকরি ফিরিয়ে দেননি।

পুলিশ কনস্টেবল মঞ্জুরুল হক বলেন, এসপিবিএনে থাকতে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তখন করোনাকাল। বাবা ও মা করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য আমি বাড়ি যেতে চাইলে ছুটি মঞ্জুর করেনি। বাধ্য হয়ে আমি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ছুটি ছাড়াই বাড়ি যাই। ফিরে আসার পর আমাকে সাসপেন্ড করা হয়। বিনা ছুটিতে কেন বাড়ি গেলাম, সেজন্য পরে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরি করি পরিবারের জন্য। বিপদে যদি সেই পরিবারের পাশে থাকতে না দেয় বাহিনী সেটা তো অন্যায্য। আমি চাকরি ফেরত চাই।


আরও খবর



সাবেক সচিব ও পিবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার ও সাবেক পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বরগুনার তালতলীতে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে তালতলী প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মোস্তফা কামাল।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় নিশানবাড়িয়া মৌজার এসএ ৬২, ৭২ ও ৪০৩ খতিয়ানের ২৪ একর ৭৩ শতাংশ জমি রাখাইনদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রের মালিক আমার দাদা মো. আঃ আজিজ ও আমার পিতা মো. শাহ আলম। ক্রায়কৃত জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করি। হঠাৎ ওই জমি থেকে ৯ একর ২০ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মিহিরকান্তি মজুমদার, তার তাহার স্ত্রী ডঃ গিতা রানী ও তার ভাই বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এডিশনাল আইজি.পি বনজ কুমার মজুমদার। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি দখলে নেওয়ার জন্য পাঁয়তারা চালায়। জমি দখলে নেওয়ার জন্য ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে আমাকে তাদের লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী স্থানীয় সোহেল, জুয়েল, সজিব, ফারুক খান, মাসুমের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা করে হাত, পা ভেঙে পঙ্গু করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমি জমি চাষাবাদ করতে গেলে তাদের লালিত সন্ত্রাসী আমতলী পৌরসভার সাবেক কমিশারন জুয়েল, ও স্থানীয় বাসিন্দা নুরুজ্জামান, ফারুক খান, সোহেল, জুয়েল গং চাষাবাদে বাধা দেয়। এবং আমাকে ও আমার পরিবারে সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি দেয়।

এছাড়াও সাবেক সচিব মিহিরকান্তি মজুমদার, তাহার স্ত্রী ডঃ গিতা রানী ও তাহার ভাই বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল আইজিপি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই এলাকার ফুলমিয়া মুন্সী ও ফরিদা বেগম এর জমি দখল করে ড. এম. কে মজুমদার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে। এছাড়াও একাধিক ব্যাক্তির জমি দখল ও নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার মুঠোফোনে বলেন, ৬০ বছরের পুরোনো ভূয়া দলিল বানিয়ে মোস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলন করছে। ৬০ বছরে কোনো খবর নেই। এগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।


আরও খবর



পাবনায় প্রকাশ্যে দুই যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুবায়ের খান প্রিন্স, পাবনা

Image

পাবনায় হোটেলে দুই যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন দুর্বৃত্তরা। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের বাস টার্মিনালের হালিম হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতর মিলন হোসেন মধু (৪৫) পাবনা শহরের পূর্ব শালগাড়িয়ার মুজাহিদ ক্লাবের বাংলা বিড়ির গলির আরমান শেখের ছেলে এবং মঞ্জু প্রামাণিক (৪৪) পূর্ব রাঘবপুর এলাকার নুর আলীর ছেলে। মধু পরিবহনের চাঁদা তুলতেন আর মঞ্জু অটোরিকশা চালক ছিলেন বলে জানা গেছে।

নিহতদের স্বজন ও হোটেল কর্মচারীরা জানান, সকালে হোটেলে নাস্তা করতে গিয়েছিলেন মধু ও মঞ্জু। হোটেলের সামনে গেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় তারা হোটেলের সামনে লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের লোকজন দুজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখছি; পরে বিষয়টি বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান ওসি।


আরও খবর



ইনু ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর লালবাগ থানা এলাকায় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহকে গুলি করে হত্যার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব রিমান্ডে নেওয়ার এ নির্দেশ দেন। এদিন বিকালে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয় হাসানুল হক ইনুকে।

ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার ট্রাকচালক সুজন হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছিল তাকে। ওই মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানানো হয়। আদালত ওই মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তবে নতুন করে তাকে লালবাগ থানার খালিদ হাসান হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই আক্কাস মিয়া সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

অন্যদিকে ইনুর পক্ষে অ্যাডভোকেট মহিবুর রহমান মিহির রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই নিয়ে তিনটি হত্যা মামলায় পর্যায়ক্রমে তৃতীয় দফা রিমান্ডে নেওয়া হলো হাসানুল হক ইনুকে। ঢাকার আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টায় লালবাগ থানার আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসানুল হক ইনুকে গত ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।


আরও খবর