আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

আজ প্রকৃতিতে কান পাতার দিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাদলা দিনে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান

ছেলেবেলাটা মধুর ছিল, এ স্বীকার করতেই হবে। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনগুলো। আকাশ কাঁপিয়ে মেঘের গা হিম করা গর্জন, টুপটাপ বৃষ্টির পতন, সে বৃষ্টি মাড়িয়ে হেঁটে যাওয়া, এ অনুভূতিগুলো মায়ের মাড় দেওয়া শাড়িগুলোর মতোই যত্ন করে স্মৃতির আলমিরাতে তোলা আছে। মাঝেসাঝে কপাট খুলে একটু উঁকি দিলেই মন ভালো হয়ে যায়। আহা সেই বৃষ্টি! আহা সেই শব্দ!

একটা কথা বলতেই হবে, আমাদের শৈশবে প্রকৃতির সাথে একটা কেমন যেন সম্পর্ক ছিল। আমরা ফুলের সাথে খেলতাম, গাছের সাথে কথা বলতাম, গাছ থেকে টুপ করে যে পাতাটা মাটিতে পড়তো তাকে মায়া করতাম। হয়তো ধরেই নিয়েছিলাম প্রকৃতি আমাদের শোনে।

বড়ো হওয়া অনেককে আজকাল একটু আধটু আফসোসের পাতাটা উল্টাতে দেখা যায়। কেউ আবার আফসোসের ধারেকাছ দিয়েও যান না, তবে ফাঁক পেলেই দৌঁড়ে যান প্রকৃতির কাছে। একা একা উপভোগ করেন প্রকৃতির নিবিড় ভাষা।

বিশ্বের যে প্রান্তেই আপনার অবস্থান হোক না কেন, কিছু না কিছু শব্দ রোজ আপনার কানে আসে যা প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত। ব্যস্ততার যাতাকলে অনেকেই সে-সব শব্দে কান কিংবা মন কোনটাই হয়তো দিতে পারেন না। কিন্তু দিনের কোন না কোন সময়ে মন একটু টানেই। বিশেষ করে এখনের এই বৃষ্টির মরসুমে।

ওদিকে একদল মানুষ আছেন যারা কেবল প্রকৃতির নানান শব্দ খুঁজে বেড়ান। এমনও হয়, হয়তো মাটিতেই শুয়ে থেকে কাটিয়ে দিচ্ছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যদি মাটি থেকেও কোন শব্দ আসে; মন্দ নয় তো! আবার এমনও হয়, প্রকৃতির শব্দ খুঁজতে পাড়ি জমিয়েছেন গভীর পানির নিচে। যেখানটায় হয়তো আয়েশ করে ঘুরে বেড়ায় হাঙরেরা।

শব্দের মাধ্যমে মানুষ আর পরিবেশের মধ্যকার সম্পর্ক শেখার বিষয়টিকে বলা হয় অ্যাকোস্টিক ইকোলজি। আর যারা এই সম্পর্ক খুঁজতে শব্দের সন্ধান করেন, তাদের বলা হয় অ্যাকোস্টিক ইকোলজিস্ট। তাদের এ কাজের নাম ফিল্ড রেকর্ডিং। যারা কী না প্রকৃতির শব্দ শোনার বিষয়টিকে নিয়ে গেছেন অন্য মাত্রায়। নানান ধরণের শব্দ শোনার জন্য তারা কিন্তু আসলেই সময় নেয় এবং প্রতিটা শব্দের আলাদা একটা অর্থবোধক মানে দাঁড় করায়। আর এই নানান ধরণের শব্দের খোঁজে তারা ছুটে বেড়ান বিভিন্ন ধরণের পরিবেশে। এই পরিবেশের ব্যাপ্তি আসমান থেকে জমিন এবং পানির তল পর্যন্ত।

নানান ধরণের শব্দে ডুবে আছি আমরা। মেট্রোরেইলের শব্দ, ফ্লাইওভার কিংবা নতুন রাস্তা হওয়ার শব্দ, ট্রাফিক জ্যাম, গাড়ির হর্ন, শিশুর কান্না, মায়ের বকুনি, স্কুলে বাচ্চাদের চেচিয়ে পড়া, কি-বোর্ডে টাইপ করা, সবটাই শব্দ। কিছু শব্দ বিরক্তির, কিছু শব্দ প্রশান্তির। কেমন হয় যদি এই শব্দের মাধ্যমে চারপাশের জগতকে বোঝার একটুখানি চেষ্টা করা হয়?

কিছু সময়ের জন্য সময়কে নিজের মতো চলতে দিন। আপনি থেমে যান। মোবাইল, কর্পোরেট জীবনের একঘেয়েমিকে রাস্তায় ফেলে একটু আলাদা হন। কিছুক্ষণের জন্য একটু নির্জনে যান। দীর্ঘ পথে একা হাঁটার অনুভূতি কিন্তু অনবদ্য। কোলাহল নয়, কিছু পুরোনো শব্দ নতুন করে শোনার সৌভাগ্য ভেবে নিন। চোখ বন্ধ করুন আর কান পাতুন। কোন কথা না বলে কিছু শোনার চেষ্টা করুন। ঝরে যাওয়া পাতার শব্দ, পাখির ডাক, পাতার ঘর্ষণ, বাতাসের শব্দ, একটা কাঠবিড়ালি দৌড়ে যাওয়ার শব্দ। বৃষ্টির শব্দ। শুনুন। শোনার চেষ্টা করুন। প্রকৃতিকে শোনার জন্য এর চেয়ে ভালো দিন কিংবা রাত আপনি পেতেও পারেন, না-ও পারেন। কিন্তু যে মূহুর্তেই আপনি প্রকৃতির খুব কাছে অবস্থান করবেন, চেষ্টা করুন প্রকৃতির শব্দ শোনার। শুনতে পাচ্ছেন কিছু? প্রকৃতির এই শব্দের দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগত। মন ভরে আজ একটু এই ডাকে সাড়া দিন। অন্য সব শব্দকে আজ না হয় 'না' করে দিন। একটু সময় নিয়ে আজ সে সব শব্দে কান পাতুন যে-সব শব্দ কখনই মন দিয়ে শোনা হয়নি। একে অপরকে বোঝার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমটিই যেখানে শোনা, সেখানে আমরা কানে ইয়ারফোন গুজে ডুবে থাকি কৃত্রিম শব্দের ভাণ্ডারে।

বিশ্বের কোথাও না কোথাও প্রতিনিয়তই কোন না কোন শব্দ হচ্ছে। মাঝরাতে হঠাৎ ভাঙা ঘুমটাও হয়তো এ কারণেই কিছু একটার খোঁজ করে। এ খোঁজ একটা নির্দিষ্ট শব্দ শোনার। কোন চামচ পড়ে যাওয়া কিংবা কাঁচের বাটি ভাঙার শব্দ নয়, আবার কোন ভূতের চিৎকারও নয়। একটু অন্যরকম কোন শব্দ। যে শব্দ শুনে মস্তিষ্ক জট পাকিয়ে আবার ঘুম নামাবে দু'চোখের পাতায়।

শোনা, শ্রবণ, শব্দ- এ নিয়ে এত কথার কারণ আজ ১৮ই জুলাই। World Listening Day (ওয়ার্ল্ড লিসেনিং ডে) অর্থাৎ বিশ্ব শ্রবণ দিবস। এই শ্রবণের উদ্দেশ্য কথা কিংবা শব্দ দূষণ নয়, এ শ্রবণের উদ্দেশ্য প্রকৃতিকে শোনা। তাই দিনটিকে যদি বলি- আজ প্রকৃতিতে কান পাতার দিন, সেটাও ভুল হয় না।

বিশ্ব শ্রবণ দিবসটি প্রথম পালিত হওয়া শুরু করেছিল ২০১০ সালে। এরপর থেকে প্রতিবছরই পালিত হয়ে আসছে দিনটি।

১৮ই জুলাই কেন এই দিবস সে প্রসঙ্গে বলা যায়, কানাডিয়ান সুরকার এবং অ্যাকোস্টিক ইকোলজি আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আর. মারে শ্যাফারের জন্মদিন আজকের দিনটিতে।

আমরা শুনতে চাই তবে তা শব্দ দূষণ না। তাই অবসান হওয়া দরকার শব্দ দূষণের। একই সাথে দরকার মানুষের সাথে পরিবেশের সম্পর্কে সামঞ্জস্য। আমরা চাই, আমাদের কানে শব্দ আসুক, যে শব্দ প্রশান্তি দেবে। কপাল কুঁচকে রাখার মতো বিরক্তিকর শব্দ তো রোজই শুনি।

যে মূহুর্তে কোন প্রাণির শব্দ আর কানে আসবে না, কোন পাতার ঘর্ষণ বা প্রকৃতির শব্দ ধীরে ধীরে শ্রবণের বাইরে চলে যাবে, সেদিন থেকেই হয়তো বিরাট কিছু হারানোর দলে নাম লিখাতে থাকবো আমরা।


আরও খবর



মার্কিন সিনেটে ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা বিল পাস

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন সিনেটে পাস হল ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে বৈদেশিক সহায়তা বিল। কয়েক মাস বিলম্বের পর মঙ্গলবার সহজেই বিলটি পাস হল। এর ফলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনকে নতুন করে তহবিল জোগান দেওয়ার পথ সুগম হল।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান ও ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন অংশীদারদের ৯৫ বিলিয়ন (৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের প্রধানত সামরিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে চারটি বিল পাস হয়। বিলগুলো ৭৯-১৮ ভোটে অনুমোদিত হয়।

এর আগে গত শনিবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতারা এসব বিল নিয়ে নিজেদের অবস্থান আকস্মিকভাবে বদলে ফেলেন ও ভোটাভুটিতে সেগুলো পাস করেন।

সিনেটে বিল চারটি একটি প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করে উপস্থাপন করা হয়। প্রথম বিলে ইউক্রেনে জরুরিভিত্তিতে তহবিল জোগানের লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের ৬১ বিলিয়ন (৬ হাজার ১০০ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় বিলে ইসরায়েলকে ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতকবলিত অঞ্চলের বেসামরিক লোকজনকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৬০০ কোটি) ডলার এবং তৃতীয় বিলে ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায়’ ৮ দশমিক ১২ বিলিয়ন (৮১২ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চতুর্থ বিলটি গত সপ্তাহে ওই প্যাকেজে যুক্ত করে প্রতিনিধি পরিষদ। এ বিলে চীনা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনে জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ স্থানান্তরে পদক্ষেপ নেওয়া ও ইরানে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের জন্য বিলগুলো তার কাছে পাঠানো হবে। তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো মূলত আইনে পরিণত হবে।

দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, বিলগুলো টেবিলে পৌঁছানোর পর দ্রুত সেগুলো সই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।


আরও খবর



হিলি স্থলবন্দরে একদিনে এলো ৩৪৮ মেট্রিকটন আলু

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

দেশের বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারকরা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) একদিনে ৩৪৮ মেট্রিকটন আলু আমদানি করা হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আমদানি বৃদ্ধি পেলে দাম কমে। তাই যথেষ্ট পরিমাণ আইপি (আমদানি অনুমতি) থাকা সত্ত্বেও লোকশানের শঙ্কায় আমদানিতে তেমন আগ্রহ নেই। তবে সম্প্রতি দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিও বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এমআর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হারুনুর রশিদ জানান, গত মার্চ মাসের প্রথম ১৫ দিন দেশের বাজারে আলুর দাম ছিল ২৫/২৬ টাকা। আর আমদানিতে খরচ পড়ত ২৪/২৫ টাকা। এতে লোকসান গুনতে হতো। তাই আমদানি বন্ধ ছিল কিন্তু এখন দেশের বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি প্রতিদিন আমদানি করছেন।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, যথেষ্ট আলু আমদানির অনুমতি থাকলেও প্রতিদিন ১/২ গাড়ি এমনকি সপ্তাহে ২/৩ গাড়ি আলু আমদানি হতো। তবে এখন আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার ১৩ টি ভারতীয় ট্রাকে ৩৪৮ মেট্রিকটন আমদানি হয়েছে। যা থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করেছে ২৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

এদিকে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে ভারতীয় আমদানিকারকরা আলু কেজিতে ৩০ টাকা, হল্যান্ড (দেশীয় হাইব্রিড) জাতের আলু ৩২ টাকা এবং দেশীয় আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: আলু আমদানি

আরও খবর



সাবেক ভূমিমন্ত্রীর দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন এক আইনজীবী।

বুধবার (১ মে) এমন একটি চিঠি গণমাধ্যম এর হাতে আসে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, যাচাই বাছাইয়ের পর দুদক সিদ্ধান্ত নেবে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান এই আবেদনটি করেন। চিঠিতে তিনি বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সমকাল পত্রিকায় সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে শিরোনামে এবং মানবজমিন পত্রিকায় ব্রিটেনে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদের ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সাম্রাজ্য" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ব্লুমবার্গের অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে এ দুটি সংবাদ প্রকাশিত হবার পরেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এর ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ণ করে।

এ কারণে চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দুদককে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন এই আইনজীবী।


আরও খবর



তীব্র গরমে যে পরামর্শ সাবিলা নূরের

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। সারা দেশে হিট অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে। তীব্র গরমে ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ হাঁসফাঁস করছে। এমন অবস্থার জন্য পর্যাপ্ত গাছপালা ও বনায়ন না থাকাকে দায়ী করছেন অনেকে। এই অসহনীয় তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এবার ভক্তদের গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। নিজের ফেসবুক পাতায় একটি স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান তিনি।স্ট্যাটাসে ভক্তদের পরামর্শও দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

সাবিলা নূর লিখেছেন, আসুন, আমরা সবাই মিলে একটা উদ্যোগ নিই। নিজ নিজ এলাকায় অন্তত ১০টি করে গাছ লাগাই। আর এটাকে একটা ইভেন্টে পরিণত করি। পরিবার-বন্ধুবান্ধব সবাই একসঙ্গে মিলিত হই। সেলফি/রিল/টিকটকে ট্রেন্ডিংয়ে নিয়ে আসি গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান- এই ধরনের কোনো ইভেন্টকে। কেমন হবে বলুন তো?

অভিনেত্রীর এমন পোস্টে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন তার ভক্তরা। তারাও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, খুব ভালো উদ্যোগ।

নিউজ ট্যাগ: সাবিলা নূর

আরও খবর



যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। নারী-শিশু-সব বয়সী মানুষ এর শিকার হয়ে জীবন দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) সম্মেলনের ৮০তম সেশনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনো বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে, তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এ সময় রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলা ও মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিলো মানবিক প্রেক্ষাপট থেকে। কিন্তু তারাই বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।


আরও খবর