আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আজ শুধু তেল-ডাল বিক্রি করছে টিসিবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা শহরে মঙ্গলবার থেকে ৩০টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তবে ফ্যামিলি বা পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে এই পণ্য বিক্রি হচ্ছে না, বরং আগের মতো ট্রাকে করে বিক্রি হচ্ছে। যারা আসছেন তারাই সেই পণ্য কিনতে পারছেন।

তবে এ কার্যক্রমে চারটি পণ্য (তেল, ডাল, আলু ও পেঁয়াজ) বিক্রির কথা থাকলেও শুধু ডাল ও তেল বিক্রি হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের প্রথম দিনেই কোথাও কোথাও দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। আবার শুরুতে কোথাও কোথাও ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হয়েছে লাইন।

রামপুরা বাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছে রূম্পা ট্রেডার্স। গাড়ি এসেছে বেলা ১১টায়। ওই সময় কিছু লোক দেখা গেলেও সময় বাড়ার পরপরই লোক বাড়তে থাকে। দীর্ঘ লাইন দেখা যায় অল্প সময়ের মধ্যে। দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে যায়। পরে পণ্য না পেয়ে ফিরে যান অনেকে।

এদিন সকাল ১০টায় টিসিবির গাড়ি আসে রাজধানীর শাহজাদপুর বাজারে। এখানে ৩০০ জন ক্রেতার পণ্য থাকলেও লোক জড়ো হয়ে যায় প্রায় ৫০০ জন।

রামপুরার ডিলার আশোক কুমার জানান, ৩০০ মানুষের জন্য তেল ও ডাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজ পেঁয়াজ, আলু দেওয়া হয়নি।

তেল ও ডাল কেনার জন্যই ট্রাকের সামনে রোদে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন অনেক মানুষ।

সেখানে আবু সাইদ নামে একজনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, রোদে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এরপরও বাজারে যে দাম, কিছুটা কম দামে পণ্য পেলে খুব সুবিধা হতো। অল্প মানুষকে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। বরাদ্দ আরও বাড়ালে ভালো হতো।

প্রতিটি বিক্রয়কেন্দ্রেই অনেক কৌতূহলী মানুষকে দেখা গেছে, তারা জানেন না কার্ডছাড়াও টিসিবির পণ্য মিলছে। জানার পর কার্যক্রম কতদিন চলবে সেই বিষয়েও জানতে চান তারা।

আজ থেকে ঢাকায় ৩০টি স্থানে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। প্রতিটি ট্রাক থেকে ৩০০ মানুষের মধ্যে এ পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ঢাকায় প্রতিদিন ৯ হাজার মানুষ এ পণ্য পাবেন। প্রথম দিন এসব ট্রাক থেকে দুই কেজি ডাল ও দুই লিটার তেল ৩২০ টাকায় কেনা যাচ্ছে।

নতুন এ কার্যক্রমের ফলে একজন মানুষ টিসিবির ভ্রাম্যমাণ গাড়ি থেকে ৪৮০ টাকার বিনিময়ে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মশুর ডাল, ২ কেজি পেঁয়াজ এবং ২ কেজি আলুর প্যাকেজ পাবেন। তবে প্রথম দিন শুধু তেল ও ডাল দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



রাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষিকাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

বিভাগে নানা অনিয়ম ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষিকাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও পাঁচ দফা দাবি জানান তারা।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সামনে অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকার ছবি সম্বলিত ব্যানারে 'অবাঞ্ছিত ঘোষণা' লিখে বিভাগের সামনে টানিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।

অভিযুক্তরা হলেন, ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া ও ড. নাজমা আফরোজ। তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।

শিক্ষার্থীদের সাথে আক্রমণাত্মক আচরণ, পর্যাপ্ত ক্লাস না নেওয়া এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম-অবিচার করার অভিযোগ এনে প্রফেসর ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া কে অবাঞ্চিত করেন শিক্ষার্থীরা। অন্যাদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা, রুমে ডেকে হুমকি ও মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া এবং মিথ্যা মামলার ভয় দেখানোর অভিযোগ এনে প্রফেসর ড. নাজমা আফরোজকে বিভাগ থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন তারা।

এছাড়াও শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি নিম্নরূপ-

১. কোনো শিক্ষক কর্তৃক কোনো শিক্ষার্থীকে হুমকি দেওয়া যাবে না এবং ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে রেজাল্ট ট্যাম্পারিং করা যাবে না।

২. শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি বা রেষারেষি বন্ধ করতে হবে।

৩. প্রফেসর ড. নাজমা আফরোজ ও প্রফেসর ড. মাহবুবা কানিজ কেয়াকে অব্যাহতি দিতে হবে।

৪. দলীয় প্রতিহিংসার শিকার প্রফেসর ড. এনামুল হকের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সঠিক তদন্তের মধ্য দিয়ে, দুই কর্মদিবসের মধ্যে তাকে একাডেমিক কাজে ফিরিয়ে আনতে হবে। এছাড়া পরিচ্ছন্নতা কর্মী শ্রী রাম হেলা কে বিভাগে ফিরিয়ে আনতে হবে।

৫. ডিপার্টমেন্ট এর সকল শিক্ষক শিক্ষিকাকে এই লিখিত দিতে হবে যে, উনারা ডিপার্টমেন্ট এর সকল কার্যক্রম (ক্লাস, পরীক্ষা এবং রেজাল্ট) রুটিন মাফিক করবেন।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী নাহিবুল ইসলাম বাবু বলেন, রেজাল্ট টেম্পারিং, শিক্ষার্থীদের রুমে ডেকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও মানসিকভাবে টর্চার করাসহ নানা অভিযোগ তাদের দুজনের নামে। বিশেষ করে অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেককে রুমে ডেকে নিয়ে অপমানিত করেছে এবং শিক্ষার্থীদের রাজাকারও বলেছেন তিনি। মনোবিজ্ঞান বিভাগের সকল অপকর্মের মদদদাতা তিনি। বিভাগের শিক্ষার্থীদের কুলাঙ্গার বলতে তিনি দ্বিধাবোধ করেন না। শুধু তিনি নন, তার সাথে অধ্যাপক নাজমা আফরোজ মিলে বিভাগটার অনেক ক্ষতি করেছেন। আমরা এই দুইজন শিক্ষকের কমপক্ষে ৫ বছরের জন্য বিভাগ থেকে অপসারণ চাই।

১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, কেয়া ম্যাডাম বিভাগের সভাপতি থাকাকালীন আমাদের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু উনি আমাদেরকে উত্তর দিয়েছিলেন আমরা তাকে দাবি জানানোর কে? শিক্ষার্থীদেরকে প্রায় সময় আক্রমনাত্মক কথা এবং শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষার্থী মনে করতেন না এ দুজন শিক্ষক। আমরা এ দুজন শিক্ষক কে বিভাগ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ডিপার্টমেন্টে এই অন্যায় অবিচারের বিচার চাই। প্রফেসর ড.নাজমা আফরোজ ও ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া এর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রফেসর ড. মাহবুবা কানিজ কেয়ার ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রফেসর ড. নাজমা আফরোজ বলেন, আমাকে ছাত্ররা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে, কেন করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে কেউ এ বিষয়ে কেউ অবহিত করেনি।

এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মো. মজিবুল হক আজাদ খান বলেন, ছাত্ররা তাদের যৌক্তিক দাবিতে বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। শুনেছি তারা বিভাগের দুজন শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। তবে এ বিষয়ে অফিসিয়াল কোন বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।


আরও খবর



আগস্টের ২৮ দিনে দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতা, অচলাবস্থা আর শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি অনাস্থা থেকে পতন- সব মিলিয়ে এক দুর্যোগময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে পুরো দেশ। এ সময়জুড়ে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো এক প্রকার বন্ধ রেখেছিলেন প্রবাসীরা। তবে সরকার পতনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ আবার হু হু করে বাড়তে থাকে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) পর্যন্ত দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৭ কোটি বা ২ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ২৮ দিনে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের এ পরিমাণ দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ২৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকারও বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, আগস্টের প্রথম ৩ দিন পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর ৪ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে প্রবাসীরা ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। অর্থাৎ এ সময়ে আগের ৩ দিনের চেয়ে ৪ গুণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন তারা। মাসের ২৮ দিন যাওয়ার পর এই সংখ্যা দাঁড়ায় ২০৭ কোটি ডলারে।


আরও খবর
কোনো রকমে বাড়লো সূচক, কমেছে লেনদেন

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সীমান্ত হত্যা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভবিষ্যতে যাতে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা আর না ঘটে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

সীমান্ত হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বর্ডার কিলিং (সীমান্তে হত্যা) নিয়ে এখানে একটু আলোচনা হয়েছে। এজন্য শুধু আমি বলব, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট অথরিটিকে (কর্তৃপক্ষ) আদেশ দিয়েছি। আমি আশা করব ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।

তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে অনুরোধ করব, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে আপনারাও আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করবেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পূজার সময় আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়, যেহেতু আমাদের যাওয়া-আসা করে, এপারের লোক ওপারে পূজা দেখতে যায়, আবার ওপারের লোক এপারে পূজা দেখতে আসে। এখানে সবাইকে আমি অনুরোধ করেছি, এবার আপনারা বর্ডার বেল্টে ভালো ভালো পূজা মণ্ডপ করেন। যাতে আমাদের লোক ওই পাড়ে না যায় পূজা দেখার জন্য। ওইপাড়ের লোকও যেন এই পাড়ে না আসে, এটার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার আগের চেয়ে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা করা হয়েছে।

সনাতন ধর্মের নেতাদের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে এখনও কোনো পূজামণ্ডপের তালিকা দেয়া হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তবে এ বছর সম্ভাব্য মণ্ডপের সংখ্যা ৩২ হাজার হতে পারে।


আরও খবর



অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে ভারত: জয়শঙ্কর

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে ভারত কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজধানী দিল্লিতে রাজীব সিক্রির লেখা স্ট্র্যাটেজিক কনড্রামস: রিশেপিং ইন্ডিয়াস ফরেন পলিসি’ বই প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, তার সঙ্গেই আমরা আলোচনা করব, এটাই স্বাভাবিক।

জয়শঙ্কর বলেন, সবাই অবগত, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গেছে। স্বীকার করতে হবে যে রাজনৈতিক পরিবর্তন রয়েছে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন অনেক সময় অপ্রত্যাশিতভাবে হয়। এখানে অবশ্যই আমাদের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়টা দেখতে হবে।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ হয়েছে। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ফোনালাপে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন।

ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।

পোস্টে তিনি আরও লেখেন, একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং অগ্রগামী বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি। তিনি আমাকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর থেকে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ তারা ভারতেই অবস্থান করছেন।


আরও খবর



আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দীর্ঘ ১৬ বছর পর ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর থেকেই বেড়িয়ে আসছে একের পর এক তথ্য। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অনিয়মের পাশাপাশি উঠে আসছে সরকারি-বেসরকারি নানা খাতের দুর্নীতিও।

এবার উঠে এলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে অজানা তথ্য। জানা গেছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি। ফলে লোকসানে আছে স্যাটেলাইটটির পরিচালনাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)।

কিন্তু লোকসান না দেখিয়ে মুনাফা তুলে ধরেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিএসসিএলের সর্বশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদন (২০২১-২২) অনুযায়ী, কোম্পানিটির মুনাফা ৮৫ কোটি টাকা। যদিও মুনাফার এই হিসাব করার ক্ষেত্রে স্যাটেলাইটের অবচয় বা ডেপ্রিসিয়েশন ধরা হয়নি। অবচয় ধরা হলে মুনাফার বদলে লোকসান দাঁড়াবে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরেও প্রায় সমপরিমাণ লোকসান ছিল।

দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, লাভ-লোকসানের হিসাবের ক্ষেত্রে সম্পদের স্থায়িত্বের বিপরীতে বছর বছর অবচয় দেখাতে হয়। ধরা যাক, একটি গাড়ির দাম ১০ লাখ টাকা। এটি ব্যবহার করা যাবে ১০ বছর। তাহলে বছরে গাড়িটির অবচয় দাঁড়াবে ১ লাখ টাকা।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মেয়াদ ১৫ বছর। এর সম্পদমূল্য দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা। ফলে বছরে অবচয় (স্ট্রেইট লাইন মেথড) দাঁড়ায় প্রায় ১৮৬ কোটি টাকা।

যদিও একই অর্থবছরে বিটিআরসির নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাবদ কোনো সম্পদ দেখানো হয়নি। আগের অর্থবছরগুলোতে দেখানো হয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিটিআরসি স্যাটেলাইটের সম্পদের বিপরীতে অবচয় ঠিকই দেখিয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এর মালিকানা হস্তান্তর করা হয় নতুন কোম্পানি বিএসসিএলের কাছে। এই কোম্পানি গঠন করা হয় স্যাটেলাইটটির পরিচালনার জন্য। তাদের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে (২০২১-২২) স্যাটেলাইটের সম্পদের বিপরীতে অবচয় দেখানো হয়নি। স্যাটেলাইট থেকে আয় দেখানো হয়েছে। ফলে কোম্পানিটির মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৫ কোটি টাকা। যদিও ১৮৬ কোটি টাকা অবচয় বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, বিএসসিএল ওই অর্থবছরে লোকসান করেছে (৬৬ কোটি টাকা)।

বিএসসিএলের নিরীক্ষা করেছে এস এফ আহমেদ অ্যান্ড কোম্পানি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্যাটেলাইট বাবদ সম্পদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য বিএসসিএল তাদের সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেনি। বিএসসিএলের যুক্তি, বিটিআরসি তাদের সম্পদ বিবরণী থেকে স্যাটেলাইটের সম্পদমূল্য হস্তান্তর করেনি। নিরীক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান আরও বলেছে, স্যাটেলাইটের সম্পদমূল্য না দেখানোয় বিএসসিএলের সম্পদ বিবরণী ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।

যদিও একই অর্থবছরে বিটিআরসির নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাবদ কোনো সম্পদ দেখানো হয়নি। আগের অর্থবছরগুলোতে দেখানো হয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিটিআরসি স্যাটেলাইটের সম্পদের বিপরীতে অবচয় ঠিকই দেখিয়েছে।

একই অর্থবছর বিটিআরসি স্যাটেলাইটের সম্পদমূল্য বাবদ ১৮৬ কোটি টাকা অবচয় দেখিয়েছে। ওই বছর বিটিআরসির রাজস্ব আয় ছিল প্রায় ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ফলে স্যাটেলাইট বাবদ ধরা অবচয় বিটিআরসির আয়-ব্যয়ে তেমন প্রভাব ফেলেনি।


আরও খবর