বিশ্বব্যাপী
ওড়া বিমানগুলো যেন দেখতে প্রায় একই রকম। সাদা ব্র্যাকড্রপ, গাঢ় অক্ষর, কোম্পানির লোগো-এইতো।
এর সঙ্গে বড়জোর একরঙা বহিরাবরণ। এই চিরাচরিত বিমানের ধরনকে পালটে ফেলে দৃশ্যত নতুনত্ব
নিয়ে এলো জার্মান এয়ারলাইন্স কনডোর-যেগুলো দেখলে মনে হবে যেন আকাশের সীমানায় ঘুরে বেড়াচ্ছে
এক একটি জীবন্ত ক্যান্ডি (লজেন্স)। সিএনএন।
জাপানের বিমান
সংস্থা অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের ‘ফ্লাইং হোনু এ৩৮০এস’ যখন আকাশে ওড়ে, তখন মনে হয় নতুন উজ্জ্বল রঙে সাজানো কচ্ছপটি সদ্য ওড়ার
ক্ষমতা পেয়েছে। কিংবা অস্ট্রেলীয় কানতাস বোয়িং ৭৮৭-৯ যখন লাল-সাদা লেজ নিয়ে উড়ে যায়
তখন মনে হবে কোনো বিশাল সামুদ্রিক মাছের জলকেলি। সেই ধারণাগুলো থেকেই বিমানে রঙের খেলায়
মেতেছে জার্মান এয়ারলাইন্স কনডোর। বিমানগুলোকে ডোরাকাটা গাঢ় রঙে সাজানোর পরিকল্পনা
করেছে কর্তৃপক্ষ-যেগুলো দেখলে নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হবেন যে কেউ। মনে পড়বে ছোটবেলায়
বাবা কিংবা নিকটাত্মীয়ের কাছে আবদার করে কিংবা না-করে পাওয়া ক্যান্ডির কথা। ডোরাকাটা
রঙ করার ক্ষেত্রে একটি বিমানে ব্যবহার করা হবে একটি রং। পাঁচ বিমানে পাঁচ রং। এসব রঙের
ব্যবহার নিয়ে বিশেষ ব্যাখ্যাও দাঁড় করিয়েছে কনডোর কর্তৃপক্ষ। নীল স্ট্রাইপের বিমান
সমুদ্রের প্রতিনিধিত্ব করবে। তেমনিভাবে সবুজ হলো দ্বীপ, লাল হচ্ছে প্যাশন, হলুদ হচ্ছে
সূর্যের আলো আর সোনালি রং সমুদ্রের বালুকাবেলার প্রতিনিধিত্ব করবে। এসব রঙের বিমানগুলো
দেখলে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের কথা মনে পড়বে যাত্রীদের। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কনডোরের
অতিথি এবং যাত্রীদের বৈচিত্র্যময় বিশ্বকে আবিষ্কার করার সুযোগ পাবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
কনডোরের প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা রাল্ফ টেকেন্ট্রাপ এক বিবৃতিতে বলেছেন, নতুন স্ট্রাইপগুলো এয়ারলাইন্সের
নতুন ট্রেডমার্ক। শুধু বিমানের বাহ্যিক অংশে নয়, ভেতরেও থাকবে ওই রঙের মূর্ছনা। কোম্পানির
লোগোটিও ইতোমধ্যে করা হয়েছে ডোরাকাটা ডিজাইনে। এমনকি বোর্ডিং পাশ থেকে শুরু করে যাত্রীদের
গায়ে মোড়ানোর কম্বল, ক্রুদের ইউনিফর্মগুলোও সাজানো হবে সংশ্লিষ্ট বিমানের রঙে। রাল্ফ
মনে করছেন, নতুন ডিজাইনে আকাশে জ্বলজ্বল করবে তাদের বিমান।