আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামিসহ ৬০ জনের ফাঁসির দড়ি টানা আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া মারা গেছেন।

সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও জোনের শের-এ-বাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর আজম।

তিনি বলেন, সাভারের হেমায়েতপুরের জাদুরচর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন শাহজাহান। রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পরিবারের সূত্র জানায়, সোমবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। তার বোন ফিরোজা হাসপাতালে মরদেহ গ্রহণ করেন। আইনগত কার্যক্রম শেষে শাহজাহানের মরদেহ নরসিংদির পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামে দাফন করা হবে।

জল্লাদ শাহজাহানের পুরো নাম শাহজাহান ভূঁইয়া। তিনি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে। মায়ের নাম মেহের। তিন বোনের মধ্যে বর্তমানে এক বোন বেঁচে আছে শাহজাহানের। ১৯৫০ সালের ২৬ মার্চ জন্ম নেওয়া শাহজাহানের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। যৌবনকালসহ জীবনের দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দি থাকায় ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি অবিবাহিত ছিলেন। তবে, কারামুক্তির পর এক তরুণীকে বিয়ে করেন। সে সংসার টেকেনি। এ নিয়ে আইনি জটিলতায়ও পড়েন তিনি।

দীর্ঘ ৩১ বছর ৬ মাস ২ দিন কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন দুপুরে কারাগার থেকে মুক্তি পান শাহজাহান। ডাকাতি করতে গিয়ে হত্যা ও অস্ত্র আইনের দুই মামলায় তার ৪২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। কিন্তু কারাগারে জল্লাদের কাজ, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন আর ভালো কাজের পুরস্কার হিসেবে তিনি ১০ বছর ৫ মাস ২৮ দিন রেয়াত (সাজা মওকুফ) পান। ওই দুই মামলায় তার পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা হয়। মুক্তির সময় কারা কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধ করে দেয়।


আরও খবর



সিলেটের বন্যার্তদের পাশে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান এমপি। তিনি বুধবার দিনভর নগরীর বিভিন্ন বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে মিরাবাজার কিশোরী মোহন বালক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন।

এসময় নগরীর বন্যা পরিস্থিতি দেখে তাৎক্ষণিক নগদ ১০ লক্ষ টাকা, ১ শ' মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী।

ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ প্রবণ এলাকা। এরমধ্যে সিলেট অঞ্চল অন্যতম। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আমাদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখছেন। ঈদের দিন আমকে ফোন করে বন্যার খবর জানান। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রতিনিয়ত তিনি এর খোঁজ খবর রাখছেন।

সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়ার পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত আছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবারের পাশাপাশি রান্না করা খাবার বিতরণ করছে সিটি কর্পোরেশন। পানি না কমা পর্যন্ত আমাদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

এসময় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি, সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।


আরও খবর



মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ভাড়া করে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে তাদের বাড়িতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে তাদের বহনকারী অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পরিবারের তিন সদস্য মারা যান। আহত হন আরও তিনজন।

রবিবার (২ মে) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার আছুরিঘাট এলাকায় মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- জুড়ী উপজেলার কুচাই ফাঁড়ি চা-বাগানের বাসিন্দা দীনবন্ধু মুন্ডা (৫৫) ও তার ছেলে পূজন মুন্ডা (৩৫) এবং দীনবন্ধুর বড় ভাই রবীন্দ্র মুন্ডা (৬০)। এ দুর্ঘটনায় গাড়ির চালক ও ওই পরিবারের দুই সদস্য আহত হন।

আহতরা জানান, দীনবন্ধু মুন্ডার এক মেয়ের বিয়ে হয় শ্রীমঙ্গলের রাধানগর চা-বাগান এলাকায়। মেয়ের শাশুড়ি পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তাকে দেখতেই দীনবন্ধু অটোরিকশা ভাড়া করে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রোববার সকালে শ্রীমঙ্গলে রওনা দেন। বিকেলের দিকে তারা সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে আছুরিঘাট এলাকায় পৌঁছালে তারা ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়েন। এ সময় বিপরীতমুখী একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে তাদের বহনকারী অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে পূজন মুন্ডা ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

পরে স্থানীয় লোকজন গাড়ির ভেতরে আটকা পড়া হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় দীনবন্ধু, দীনবন্ধুর স্ত্রী কবিতা মুন্ডা, বড় ভাই গোপাল মুন্ডা, রবীন্দ্র মুন্ডা ও অটোরিকশাচালক আমির উদ্দিনকে মৌলভীবাজার সদর এবং সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, হাসপাতালে আসার আগেই পূজন মুন্ডার মৃত্যু হয়। মৌলভীবাজারের হাসপাতালে নেওয়ার পথে রবীন্দ্র মুন্ডা এবং সিলেটে নেওয়ার পথে দীনবন্ধু মুন্ডা মারা যান।

কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ক্যশৈনু মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। দুর্ঘটনার পর ঘাতক কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ায় যাবে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রবাসী কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠাতে শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় একটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বিমানের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আল মাসুদ খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিঠির প্রেক্ষিতে শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিটে বিমানের ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে একটি বিশেষ অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

ওই ফ্লাইটে মোট ২৭১ জন যাত্রী পরিবহন করা হবে। ফ্লাইটটির যাত্রীদের নামের তালিকা, পাসপোর্ট নম্বরসহ প্রয়োজনীয় অঙ্গীকারনামা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) প্রতিনিধি বিমান জেলা বিক্রয় অফিস মতিঝিলে প্রদান করবে।

বায়রা প্রদত্ত তালিকা অনুসারে বায়রা প্রতিনিধি বিমান জেলা বিক্রয় অফিস মতিঝিল থেকে নগদ অর্থে উক্ত ফ্লাইটের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।

ওই ফ্লাইটে মোট ২৭১ জন যাত্রী পরিবহন করা হবে। ফ্লাইটটির যাত্রীদের নামের তালিকা, পাসপোর্ট নম্বরসহ প্রয়োজনীয় অঙ্গীকারনামা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) প্রতিনিধি  বিমান জেলা বিক্রয় অফিস মতিঝিলে প্রদান করবে।

বায়রা প্রদত্ত তালিকা অনুসারে বায়রা প্রতিনিধি বিমান জেলা বিক্রয় অফিস মতিঝিল থেকে নগদ অর্থে উক্ত ফ্লাইটের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে শুক্রবারের পর বাংলা‌দেশসহ ১৫‌টি দেশ থে‌কে কোনো কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। গত জানুয়ারি মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ এ সিদ্ধান্ত নেয়। একই সাথে বাংলাদেশসহ  ১৫টি দেশের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি পুনরায় করার অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, নেপাল, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কর্মী যায় মালয়েশিয়ায়।

গত ২৯ মে মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার হাসনা মোহাম্মদ হাসিম সাংবাদিকদের জানান, বিদেশি কর্মীদের প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন ছুটিতে বাংলাদেশে আসা প্রবাসী কর্মীরা। অন্যদিকে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মালয়েশিয়াগামী ফ্লাইটগুলোর টিকিটের দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। লাখ টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না একটি টিকিট।

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বিমানমন্ত্রী ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, যারা মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর সাথে জড়িত, তারা ১ মাস আগেই জানত যে ৩১ মে শ্রমিক পাঠানোর শেষ তারিখ। কিন্তু, এটা নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সি বা অন্য সাপ্লাইয়াররা ব্যবস্থা নেয়নি। এখন বিমান প্রতিদিন মালয়েশিয়ায় তিন থেকে ৪টা করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আর, গতকাল মালয়েশিয়ার কিছু লোক ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ায় এয়ার কম্বোডিয়ার একটা এয়ারক্রাফট দিয়ে একটি চার্টাড ফ্লাইট পরিচালনার পারমিশন চেয়েছে, গতকালকেই আমরা তাদের পারমিশন দিয়ে দিয়েছি। বিমান যদি আরও আগে জানত, তাহলে ব্যবস্থা নিতে পারত। বর্তমানে বিমানের হজ ফ্লাইট চলছে, তবুও আমরা চেষ্টা করেছি সুযোগ দিতে।


আরও খবর



আসছে বাজেটে বাড়তে পারে সিগারেটের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি দেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী। আবুল হাসান মাহমুদ আলী অর্থমন্ত্রী হিসেবে এবারই প্রথম বাজেট পেশ করবেন। এটি দেশের ৫৩তম বাজেট। সেই সঙ্গে এটি হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট।

প্রতি বছরই তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানো এবং এ খাত থেকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়। করে বেড়ে যায় সিগারেট, জর্দা ও গুলের দাম। এবারও সিগারেটের দাম বাড়ছে বলে জানা গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার বাজেটে তামাকজাত পণ্য, পানির ফিল্টার, এলইডি বাল্ব, কম্পিউটারের দাম বাড়তে পারে। কমতে পারে গুঁড়া দুধ, ল্যাপটপের দাম।

জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্যস্তর বাড়ানো হতে পারে। তিন স্তরের সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হতে পারে। এতে বাড়তে পারে সব ধরনের সিগারেটের দাম।

আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে এবার বাজেটে খরচের লাগাম টানা হচ্ছে। প্রতি বছর গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ আকার বাড়ানো হলেও এবার মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ বাড়িয়ে বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

গত জুনে চলতি অর্থবছরের জন্য যে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল তার থেকে এই বাজেট মাত্র ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। আগামী বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণের অঙ্ক বাড়ানো হচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, আয়-ব্যয়ের যে হিসাব বাজেটে দেওয়া হয় তার কোনোটাই লক্ষ্য পূরণ হয় না। প্রতি অর্থবছর শুরুতে যে বাজেট দেওয়া হয়, ৯ মাস শেষে একবার সংশোধন করা হয়। কিন্তু অর্থবছর শেষে দেখা যায়, বাস্তবায়নের হার আরও কম। গত তিন বছর ধরে ঘোষিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা কম ব্যয় হচ্ছে। অর্থ বিভাগের গত এক দশকের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, প্রতি বারই বাজেট বাস্তবায়ন হচ্ছে গড়ে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ।


আরও খবর



ঈদে ৭ দিন বন্ধ থাকবে বুড়িমারী স্থলবন্দর

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় দুই দেশের আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের যাত্রী পারাপার চালু থাকবে।

বুধবার (১২ জুন) সকালে বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুরজ্জামান সায়েদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (৪ জুন) ত্রি-দেশীয় বুড়িমারী স্থল বন্দরের বোর্ডে ছুটির নোটিশ জারি করে কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশন।

বুড়িমারী স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছুটির বিষয়ে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা ও বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন ও ভুটান এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সেখানে আগামী ১৫ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত টানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার থাকায় আগামী শনিবার (২২ জুন) বুড়িমারী স্থল বন্দরে যথারীতি বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আহসান হাবিব পলাশ বলেন, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বন্দর দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।

এ ব্যাপারে বুড়িমারী শুল্ক স্টেশনের (কাস্টমস) সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসান বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্তে এ স্থল শুল্ক স্টেশন ৭ দিন বন্ধের বিষয়ে চিঠি পেয়েছি।


আরও খবর