ঈদুল আজহার পর দুই সপ্তাহের বেশি গড়ালেও
সবজির বাজার এখনও চড়া। তাছাড়া অন্যান্য সবজির মতো ঈদের পর আলুর দাম হঠাৎই বাড়তি। সঙ্গে
কাঁচা মরিচের ঝাঁঝের মধ্যে দাম বেড়েছে সাধারণের খাবার আলুর । সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরায়
আলুর দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাজধানীতে বাজার ঘুরে
দেখা গেছে, গত দেড় মাস আগে যে আলু ছিল ৩০ টাকা। সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
বাড়তি সব ধরনের সবজির দামও।
আরও পড়ুন: বাজারে পোশাক রফতানিতে চমক
আর দাম উঠানামার মধ্যে রাজধানীর পাইকারি
বাজারে এখনো প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৩১০ থেকে সাড়ে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বোতলজাত
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা কমানোর ঘোষণার
পরও বাজারে এখনো ভোজ্যতেলের দাম কমেনি। আগের বাড়তি দামেই তেল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজর দাম কিছুটা
কমে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। ঈদের আগে ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের দাম
উঠেছিল প্রতিকেজি ১০০ টাকার মতো।
বাজারে কালো গোলবেগুন বিক্রি হচ্ছে ১১০
থেকে ১২০ টাকা কেজি, ঈদের আগে যা ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। করলার দাম পৌঁছেছে ১০০ টাকা
কেজিতে। অন্যান্য সবজির মধ্যে সস্তা হিসেবে পরিচিত প্রতিকেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪৫
থেকে ৫০ টাকায়। প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমলো ১০ টাকা
তবে কিছুটা কমেছে মাছের দাম। বাজার ঘুরে
দেখা গেছে,বিভিন্ন জাতের মাছের দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে।
অন্যদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০
টাকার উপরেই আটকে আছে। ব্রয়লার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। সোনালি
মুরগির কেজি ২৮০ থেকে ৩৩০ টাকা। আর প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
এদিকে বন্যার খবরে সবজির বাজার আরও ঊর্ধ্বমুখী
হতে পারে বলে ধারণা করছেন ক্রেতারা।
বাজারে চিনির সংকট অনেক দিন ধরেই। প্যাকেট
চিনি প্রতিকেজি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যদিও বেশিরভাগ দোকানে প্যাকেট চিনি
পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতারা।