আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)
বটতলী হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া (রহঃ) মাজারের পর আনোয়ারায় নতুন পর্যটন স্পট মেন্না গার্ডেনে ঈদের ছুটিতে জমে উঠেছে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের দিন থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীর পদচারণায় মেন্না গার্ডেন মুখরিত হয়ে উঠেছে। শুধু ঈদ নয়- যেকোনো ছুটি, পিকনিক ও পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়ানোর জন্য এটি একটি উপযুক্ত স্থান। বিশেষ করে ঈদ ও শীতকালে এখানে বেড়ানোর আনন্দটাই অন্যরকম।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর থেকে শিশু-কিশোরের পাশাপাশি বয়স্কদেরও দেখা গেছে পরিবার-পরিজন নিয়ে দল বেঁধে বিনোদন কেন্দ্রে যেতে।প্রকৃতি মানুষকে সবসময়ই কাছে টানে। কারো কাছে প্রিয় পাহাড়ের সবুজ মিতালি। কারো ভালো লাগে ঝর্ণার অপূর্ব সৌন্দর্য কিংবা সাগরের কলতান। যার কাছে যেটিই প্রিয় হোক না কেন ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য পছন্দের তালিকায় হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছে "মেন্না গার্ডেন পর্যটন স্পটটি।
কক্সবাজার, পারকী সৈকতের পর বটতলীর মেন্না গার্ডেন নজর কেড়েছে ভ্রমণ পিপাসুদের।মেন্না গার্ডেন নামে এই পার্কে প্রতিদিনই ভিড় করছেন শত শত বিনোদনপ্রেমী।ব্যাক্তি মালিকানাধীন দৃষ্টিনন্দন এই পার্কে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছেন আনোয়ারা ছাড়াও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার পর্যটকরা। চট্টগ্রাম শহর থেকেও অনেকে আসছেন বেড়াতে। প্রতি শুক্রবারে ছুটির দিনে হাজারো পর্যটকের ভীড় জমে মেন্না গার্ডেনে। অনেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসেন এই পার্কে।প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দে মাতোয়ারা হয় ছোট-বড় সবাই।
আনোয়ারা উপজেলার বটতলী শাহ মোহছেন আউলিয়া রহঃ মাজারের দক্ষিণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে গড়ে তোলা হয়েছে মেন্না গার্ডেনটি৷ এখানে রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ সহ বিভিন্ন গাছ৷ চারদিকে নানান রঙের ফুল ফুটে আর সবুজের সমারোহে রাঙিয়ে উঠেছে গার্ডেনটি। আরও চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যে সাজানো হবে এবং এখানে করা হবে সুইমিং পুল, ঝর্না ও বিভিন্ন জাতের পশু-পাখি রাখা হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
পার্কের উদ্যোক্তা প্রকৃতিপ্রেমী মঈন উদ্দীন আহমদ চৌধুরী (মেন্না) জানান, আমি বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে জাপানসহ বিভিন্ন দেশে ঘুরেছি। সেখানে বিদেশীদের কাছ থেকে দেখে দেশে একটি পার্ক করার প্রবল ইচ্ছা জাগে। তিন বছর আগে পৈতৃক দশ একর জমিতে এই পার্ক স্থাপন করার কাজ শুরু করি। কম খরচে গ্রামের মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য আমার এই প্রচেষ্টা। আশাকরি সকলের সহযোগিতায় আমার প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখতে পেয়েছে। প্রতিদিন শত শত পর্যটকদের আনাগোনা রয়েছে।শুক্রবারে হাজারের বেশি পর্যটকের সমাগম হয়।
বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে আসা আরমান জানান, আনোয়ারার বটতলীতে মেন্না গার্ডেন নাম শুনেছি তবে যাওয়া হয় নাই এতোদিন। আজ বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসে আমি মুগ্ধ হয়েছি। একটি বিনোদন কেন্দ্রে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে যা কিছু দরকার তার অনেক কিছু এ গার্ডেনে দেখতে পেয়েছি। ৩০টাকা টিকেট দাম নিলেও ৫০০ টাকার আনন্দ উপভোগ করেছি।