আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

আইয়ুব বাচ্চুকে হারানোর পাঁচ বছর আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আশির দশকে সংগীত জগতে গানে গানে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। তার রুপালি গিটারের জাদু আজও যেন মোহিত করে শ্রোতাদের। তিনি আর কেউ নন, সব সময়ে সবার প্রিয় আইয়ুব বাচ্চু। আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) এ কিংবদন্তিকে হারানোর ৫ বছর। ২০১৮ সালে আজকের এইদিনে অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান ব্যান্ডসংগীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র আইয়ুব বাচ্চু।

 অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা আইয়ুব বাচ্চু। জনপ্রিয় ব্যান্ডদল এলআরবির প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৯৭৮ সালে ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে পথচলা শুরু তার। এরপর ১০ বছর সোলস ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট হিসেবেও কাজ করেন। নব্বইয়ের দশকে যাত্রা শুরু হয় ব্যান্ডদল এলআরবির। ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল সোলস ছেড়ে  এলআরবি গড়ে তুলেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। শুরুতে ব্যান্ডটির নাম রাখা হয়েছিল লিটল রিভার ব্যান্ড (এলআরবি)। পরবর্তীতে এ নাম বদলে রাখা হয় লাভ রানস ব্লাইন্ড (এলআরবি)।

আইয়ুব বাচ্চু চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। তার বাবা ইশহাক চোধুরী ও মা নুরজাহান বেগম। তাদের পরিবার ছিল একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার। তার মতে, তাদের পরিবারে সবাই অতি ধার্মিক ছিলেন এবং সংগীত নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেয়াটা কেউ গ্রহণ করেননি।

১৯৭৩ সালে তার বাবা তাকে তার ১১তম জন্মদিনে একটি গিটার উপহার দেন। পরে তিনি গিটার বাজানো শিখতে শুরু করেন। তাকে গিটার শেখাত জেকব ডায়াজ নামে এক বার্মিজ, তিনি সে সময় চট্টগ্রামে বসবাস করতেন। পরে ১৯৭৬ সালে আইয়ুব বাচ্চু তার এক বন্ধুর ইলেকট্রিক গিটার ধার নিয়ে বাজাতেন। একসময় তার বন্ধু তাকে গিটারটি দিয়ে দেন।

 এই রক অ্যান্ড রোল শিল্পী কিশোর বয়সে পশ্চিমা সংগীতের প্রেমে পড়েন। কৈশোরের চঞ্চল সময় থেকেই পাশ্চাত্য রক ধাঁচের গানের প্রতি আকৃষ্ট হন। হয়তো স্বপ্ন দেখতেন জিমি হেন্ড্রিক্স হওয়ার। যাকে আইয়ুব বাচ্চুর টিশার্টে প্রায় দেখা যেত।

১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামে কলেজজীবনে সহপাঠী বন্ধুদের নিয়ে তিনি একটি ব্যান্ডদল গড়ে তোলেন। নাম ছিল গোল্ডেন বয়েজ। পরে নাম বদলে রাখা হয় আগলি বয়েজ। সেই ব্যান্ডের গায়ক ছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ এবং বাচ্চু ছিলেন গিটারিস্ট। বিয়েবাড়ি, জন্মদিন আর নানা অনুষ্ঠানে গান করত তাদের এই ব্যান্ড। ১৯৮০ সালে বাচ্চু ও বিশ্বজিৎ যখন সোলসে যোগ দেন তখন ব্যান্ডটি ভেঙে যায়।

 ৪০ বছরের গায়কি জীবনে ১২টি ব্যান্ড, ১৬টি একক ও বহু মিশ্র অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে আইয়ুব বাচ্চুর। তার উল্লেখযোগ্য গানগুলোর তালিকায় রয়েছে সুখ (১৯৯৩), তবুও (১৯৯৪), ঘুমন্ত শহরে (১৯৯৫), স্বপ্ন (১৯৯৬), আমাদের বিস্ময় (ডাবল এলবাম) (১৯৯৮), মন চাইলে মন পাবে (২০০১), অচেনা জীবন (২০০৩), মনে আছে নাকি নাই (২০০৫), স্পর্শ (২০০৭), যুদ্ধ (২০১২)। এ ছাড়া একক শিল্পী হিসেবে তার অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে রক্ত গোলাপ (১৯৮৬), ময়না (১৯৮৮), কষ্ট (১৯৯৫), সময় (১৯৯৮), একা (১৯৯৯), প্রেম তুমি কি! (২০০২), দুটি মন (২০০২), কাফেলা (২০০২), প্রেম প্রেমের মতো (২০০৩), পথের গান (২০০৪), ভাটির টানে মাটির গানে (২০০৬), জীবন (২০০৬), সাউন্ড অব সাইলেন্স (২০০৭), রিমঝিম বৃষ্টি (২০০৮), বলিনি কখনো (২০০৯), জীবনের গল্প (২০১৫)।

 আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া অসংখ্য কালজয়ী গানের মধ্যে রয়েছে সেই তুমি, কষ্ট পেতে ভালোবাসি, এখন অনেক রাত, মেয়ে, কেউ সুখী নয়, হাসতে দেখো গাইতে দেখো, এক আকাশের তারা ইত্যাদি।


আরও খবর



বজ্রপাতে তিন জেলায় ৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে নারীসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে দুই, রাঙামাটিতে তিন এবং খাগড়াছড়িতে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার দুই ইউনিয়নে বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই চাষির মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্লাদিয়া এলাকার জমির হোসেনের ছেলে মো. দিদার হোসেন (২৫) এবং রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে আরাফাতুর রহমান (১৩)।

স্থানীয়দের বরাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, ভোর থেকে পেকুয়ায় থেমে থেমে বজ্রপাতসহ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে মাঠে থাকা লবণ পলিথিনে ঢেকে রাখতে যান দিদার হোসেনসহ পরিবারের আরও ২-৩ জন। এক পর্যায়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দিদার।

তিনি বলেন, প্রায় একই সময়ে রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে করতে গিয়েছিল কিশোর আরাফাতুর রহমান। তিনিও একইভাবে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের লাশ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছে বলেও জানান পেকুয়ার ইউএনও।

রাঙামাটি: রাঙামাটির সদর ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে; এ সময় আরো অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- শহরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০) এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপাকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বাহারজান বেগম (৫৫) এবং সাজেকের লংথিয়ান পাড়ার তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭)।

রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যাসমিন চাকমা বলেন, ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম ব্লক এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী বাহারজান বেগম গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার বলেন, অনেক দিন পর আজ সকালে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হয়। এতে রূপাকারী ইউনিয়নে বাহারজান নামে একজন এবং সাজেকে তনিবালা ত্রিপুরা নামের আরেক নারী নিহত হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও।

তিনি বলেন, এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার একটি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেয়ার সময় বজ্রপাতে সাতজন আহত হয়েছেন।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শওকত আকবর বলেন, সকালে শহরের সিলেটি পাড়া থেকে নজিরকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বৃষ্টির মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইয়াছিন আরাফাত উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইব্রাহিম পাড়ার বাসিন্দা ইউসুফ মিয়ার ছেলে।

স্বজনদের বরাতে বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, বৃষ্টির সময় উঠানের পাশেই আম কুড়াতে যায় দুই ভাই। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে ছোট ভাই প্রাণে বেঁচে গেলেও বড় ভাই ইয়াছিন আরাফাত ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডেজী চক্রবর্তী বলেন, নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: বজ্রপাতে মৃত্যু

আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

দুইদিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা ১১টার পর ঢাকা পৌঁছান তিনি। পেনি ওংয়ের সফরে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এছাড়া কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করবেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তন, অঞ্চলভিত্তিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং মানব পাচারের মতো পারস্পরিক বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর বাস্তবমুখী সমাধান করার লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

এ বিষয়গুলো নিয়ে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সফরসূচি অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর বিকালে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দ্বিপক্ষীয় বিষয়াবলীর মধ্যে বিশেষত বাংলাদেশে অস্ট্রেলীয় বিনিয়োগ, বাংলাদেশিদের অভিবাসন, মৌসুমি কর্মসংস্থান, প্রবাসীদের কল্যাণ, জ্বালানি ও পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাবে।


আরও খবর



সাভারে একই রুম থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

আশুলিয়ায় গৃহবধূ মনি বেগম (২৬) ও রহুল আমীন হাওলাদার (৩২) নামের এক কাপড় ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। সোমবার বিকালে আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট এলাকার ফজলুর রহমানের ভাড়া বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।

নিহত স্ত্রী মনি আকতার (২৬)। সে বরগুনা জেলার আমতলী থানার ছোবহান মৃধার মেয়ে। অন্যদিকে পটুয়াখালী সদরের কড়িপাইকা গ্রামের মৃত হাকিম হাওলাদের ছেলে নিহত রুহুল আমীন।

নিহতের পাশের রুমের ভাড়াটিয়া জানায়, স্বামী-স্ত্রীর ঘুম থেকে উঠতে দেরী হওয়ায় বেলা ১টার দিকে তাদের গেটের সামনে গিয়ে ডাক দেই। কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বারান্দার গেট থেকে উঁকি দিয়ে দেখি দরজা খোলা। বিছানায় মনি এর লাশ পড়ে আছে দেখা যায়। পরে মেইন গেট খুলে রাস্তায় গিয়ে দেখি দুই জানালার এক পাশ খোলা। এরপরে ওই জানালা থেকে উঁকি দিয়ে তার স্বামীকে গলায় আড়ার সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পাই। পরে লোকজনকে খবর দিলে তারা থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ নিয়ে যায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আমরা কোন পারিবারিক ঝামেলা দেখি নাই। এই মৃত্যু আমাদের কাছে রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। বাড়িওয়ালা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবে।

এ বিষয়ে বাড়িওয়ালা মোঃ ফজলুল করীম ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।

আশুলিয়া থানার (এসআই) উপ-পরিদর্শক মোঃ মাসুদ আল-মামুন জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করে না ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের চাবাহার সমুদ্রবন্দর পরিচালনার জন্য তেহরানের সঙ্গে ২০১৬ সালের একটি চুক্তি আরও ১০ বছরের জন্য নবায়ন করেছে ভারত। এতে চটে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে। তবে ভারত এই হুমকি তোয়াক্কা করে না বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

আজ বুধবার (১৫ মে) পশ্চিমবঙ্গের নিজের বইয়ের বাংলা সংস্করণ প্রকাশ করতে কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ভারতের জয়শঙ্কর এসব কথা বলেন।

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, আমি দেখেছি কিছু মন্তব্য করা হয়েছে। চুক্তি নিয়ে কারও সংকুচিত দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত নয়। এই প্রকল্পে সবাই লাভবান হবে।’

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকি প্রসঙ্গে এস জয়শঙ্কর বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজেরাও প্রথম চুক্তির সময় এ বন্দরের প্রাসঙ্গিকতার প্রশংসা করেছে। আমরা এটিতে কাজ চালিয়ে যাব।

সোমবার (১৩ মে) ইরানে গিয়ে চাবাহার বন্দর নিয়ে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন। তিনি বলেন, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এখনও কার্যকর। এসব নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করা হবে। যেসব পক্ষ ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করার কথা ভাবছে, তাদের সম্ভাব্য মার্কিন ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

পাকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত চাবাহার বন্দর কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটি উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে ২০১৬ সালে তেহরানের সঙ্গে চুক্তিতে যায় ভারত। এরপর সোমবার দীর্ঘমেয়াদি ওই চুক্তিতে গেল নয়াদিল্লি। ভারতের নৌপরিবহণমন্ত্রী চুক্তিটিকে ভারত-ইরানের সম্পর্কের ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।


আরও খবর



দেশের মানুষ আজ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ আজ তাদের ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য এভাবেই আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে।

বুধবার (১ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এটা শুধু বিএনপির সংগ্রাম নয়, এটা দেশের মানুষের অস্তিত্বের সংগ্রাম। অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আরও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটা সময়ে মে দিবস পালন করছি, যখন দেশটা দৈত্য-দানবের কবলে পড়ে সমস্ত কিছু তছনছ হয়েছে। আমাদের অগণিত নেতাকর্মী সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মে দিবসে দেশের সকল মানুষের কাছে আমরা আহ্বান জানাতে চাই, এখন আর চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের জেগে উঠতে হবে। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনার অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন ও সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে আনব। এই হোক আজকের মে দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর