আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাইডেনের পর নিষেধাজ্ঞায় ট্রুডো ও হিলারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা তালিকায় এবার যুক্ত হলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্টলেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ তালিকায় আরও আছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ মার্কিন প্রশাসনের বেশ কজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরার প্রতিবেদন থেকেও জানা যায়, রাশিয়া গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান, সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ তালিকায় হিলারি ক্লিনটন ও জাস্টিন ট্রুডোর নামও রয়েছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভ এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এ ব্যাপারে রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আরটি ক্রেমলিনের ঘোষণা উদ্ধত করে বলেছে, সম্প্রতি ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ রাশিয়ার বেশ কজন নেতা ও কর্মকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মস্কো মোট ১৩ জন মার্কিনির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তালিকায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার কয়েকজন মন্ত্রী এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছাড়াও মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মাইলি এবং হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকিও রয়েছেন। এছাড়া সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনকেও রাশিয়ার এ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছে।

রাশিয়ার এই নিষেধাজ্ঞাকে অবশ্য প্রতীকী হিসেবেই ধরা হচ্ছে। এই সকল ব্যক্তির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় থাকবে এবং প্রয়োজনবোধে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগও করা যাবে বলে নিষেধাজ্ঞার বিবৃতিতে বলা হয়।


আরও খবর



ভারতের কাছে হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গত বছর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালোই প্রতিরোধ দেখিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। তবে এবার প্রথম ম্যাচে হারমানপ্রীত কৌরদের সামনে কোনো পাত্তাই পেল না টাইগ্রেসরা। বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ শুরু করল নিগার সুলতানার দল।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলকে ৪৫ রানে হারিয়েছে ভারতীয় নারী দল। ভারতের দেয়া ১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করেছে টাইগ্রেসরা।    

লক্ষ্যতাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে চার মেরে গোড়াপত্তন করেন দিলারা আক্তার। তবে পরের বলেই তাকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফেরান রেণুকা সিং ঠাকুর। শুরুতেই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন সোবাহানা মোস্তারি এবং মুর্শিদা খাতুন। তবে সেই সুযোগ দেননি রেণুকা। পঞ্চম ওভারে সোবাহানাকে বোল্ড করেন তিনি।

১৮ বলে ১৩ রান করে দীপ্তি শর্মার বলে আউট হন মুর্শিদা। বিপর্যয় সামাল দিতে এসে ১ রান করে আউট হয়ে ফেরেন ফাহিমা। ৩০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নিগার। তবে রান এগিয়েছে খুব ধীরগতিতে।

১১ রান করে রাধার বলে স্বর্ণা আউট হওয়ার পর লড়াই থেকে একদমই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। উইকেটের একপ্রান্তে নিগার লড়াই করে গেলেও হারটা তখন সময়ের ব্যবধান হয়ে দাঁড়ায়।

৪৮ বলে ৫১ রান করে শেষ ওভারে আউট হন নিগার। তবে এই রান হার এড়ানো তো দূরের কথা, লড়াইটাকে কাছাকাছিও নিয়ে যেতে পারেনি। ১০০ রানে থামে বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারে সুলতানা খাতুনের বলে স্মৃতি মান্ধানার সহজ ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন ফারিহা তৃষ্ণা। তবে মান্ধানাকে বড় রান করতে দেননি তৃষ্ণা। পরের ওভারে নিজে বোলিংয়ে এসে তুলে নেন মান্ধানার উইকেট।

মান্ধানা না পারলেও ব্যাট হাতে ভালো শুরু পেয়েছিলেন আরেক ওপেনার শেফালী ভার্মা। ২২ বলে ৩১ রান করেন তিনি। তাকে মুর্শিদার ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রাবেয়া খাতুন। তৃতীয় উইকেটে হারমানপ্রীত কৌরের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ইয়াস্তিকা ভাটিয়া।

বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল ভারত, এমন সময় এসে জুটি ভাঙেন ফাহিমা। ২২ বলে ৩০ রান করে ফিরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। পরের ওভারে ইয়াস্তিকাকে ফেরান রাবেয়া। ২৯ বলে ৬ চারে ৩৬ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

শেষদিকে ভারতীয় ব্যাটারদের হাত খুলে খেলতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। রিচা ঘোষের ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।


আরও খবর



বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় বিষণ্ন ঈদ গাজায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর ধর্মীয় এ উৎসবকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ-উল্লাস। তবে বিশ্বে এমনো এক প্রান্ত রয়েছে যেখানে শুধুই স্বজন হারানোর হাহাকার। বাতাসে লাশের গন্ধ। বিধ্বস্ত কংক্রিটের ভাঁজে ভাঁজে রক্তের ছাপ। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে মসজিদ, পার্ক, ঐতিহাসিক ভবনসহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় এবার বিষণ্ন ঈদ গাজায়। বাড়িতে খাবার নেই। নতুন পোশাক নেই। জীবনেরও কোনো নিয়শ্চয়তা নেই। ইসরাইলের অমানবীয় অত্যাচারে আনন্দহীন ঈদ কাটাবে গাজাবাসী। আলজাজিরা।

গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা প্রত্যক্ষ করা হৃদয়বিদারক। ইহুদিবাদীরা তাদের পৈশাচিক আচরণ এবং ঘৃণ্য পেশা দিয়ে শোক ও বেদনাকে ছড়িয়ে দিয়েছে গাজায়। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে শুধুই দুর্ভিক্ষ। অনেকেই স্বজন হারিয়ে একাকী ঈদের দিনটি কাটাবে। তবুও অসংখ্য গাজাবাসীর আশায় দিন কাটাচ্ছে তাদের দুঃখের অবসান হবে। তাদের মতে, শহিদদের রক্ত ইসরাইলের বর্বর সামরিক দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির পথকে উন্মুক্ত করে দেবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সোমবার দলে দলে ফিলিস্তিনিরা বিধ্বস্ত শহরে ফিরছেন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এই ফিরে আসা শুরু হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। খান ইউনিসে অনেকেই নিজের শহরকে চিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল। সড়কগুলোতে বুলডোজার চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত হওয়া নাজওয়া আয়াশ নামের আরেকজন বলেছেন, তার পরিবারের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের তৃতীয়তলায় তিনি যেতে পারছেন না। কারণ সিঁড়ি নেই। ধ্বংসস্তূপ বেয়ে উপরে ওঠে তার ভাই সন্তানদের জন্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। বাসেল আবু নাসের আরেক বাসিন্দা বলেছেন, শহরটি ধ্বংসনগরী হয়ে গেছে। জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। তারা কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক সরকার। এছাড়া গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

রোববার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এ ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশ গাজার বাসিন্দাদের জন্য এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুবিধার্থে এই সহায়তা দিচ্ছে ইরাক।

অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ৩০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অঞ্চলটিতে খাদ্য সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরাইলকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরই মধ্যে দেশটি সোমবার ফিলিস্তিনি এই ভখণ্ডে ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করানোর কথা জানিয়েছে। তবে অঞ্চলটির অনাহারে ভোগা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য গাজায় সোমবার প্রবেশ করা এই সংখ্যক ট্রাক যথেষ্ট নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি বিবৃতিতে ইসরাইলের কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরি (সিওজিএটি) বলেছে, ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ২২৮টি ট্রাকে খাদ্যপণ্য ছিল। এই ট্রাকগুলো মোট সংখ্যার ৭০ শতাংশ। রাফাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, অন্য ট্রাকগুলোও কারেম আবু সালেম সীমান্ত দিয়ে গিয়েছিল। এই সীমান্তটি ইসরাইলিদের কাছে কেরেম শালোম নামে পরিচিত। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা বহনকারী গাড়ি বহরের অধিকাংশ গাড়িই পানি, চিনি, আটা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই ছিল।


আরও খবর



চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২৪ এর দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান চবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে রবিবার (৫ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের ও চবি উপ-উপাচার্যবৃন্দ।

এসময় চবি শিক্ষক সমিতির বিদায়ী সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক, চবি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২৪ এর নব নির্বাচিত সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ শাহনেওয়াজ মাহমুদ সোহেল, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এ. বি. এম. আবু নোমান, যুগ্ম-সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, চবি শিক্ষক সমিতির নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ এবং সমিতির বিদায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ (হলুদ দল), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর আহবায়ক প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে চবি শিক্ষক সমিতির নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ নেতৃবৃন্দকে শিক্ষক সমিতির বিদায়ী নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে বরণ করেন।

চবি শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণের পরে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহেরকে সাথে নিয়ে চবি বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে, স্বাধীনতার স্মৃতি স্তম্ভে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে চবি শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ চবি উপাচার্যের অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত নেতৃবৃন্দরা মেধা, প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে চবি উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চবি শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় চবি উপাচার্যকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ নির্বাচিতরা হলেন- সভাপতি পদে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি পদে নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ পদে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর শাহনেওয়াজ মাহমুদ সোহেল, সাধারণ সম্পাদক পদে আইন বিভাগের প্রফেসর এ. বি. এম. আবু নোমান, যুগ্ম-সম্পাদক পদে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, এবং সদস্য পদে যথাক্রমে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মনজুরুল আলম, ফিশারিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ রাশেদ-উন-নবী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম শাহাদাত আল সাজীব, পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. রেজাউর রহমান, সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. এ এস এম বোরহান উদ্দীন নির্বাচিত হয়েছেন।


আরও খবর



প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

আজ রবিবার (৫ মে) ফেসবুকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড একাউন্টে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

সেখানে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে দেওয়া ছুটি শেষে আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই ঘোষণা দিয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস চলবে।

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের দীর্ঘ ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। গত রোববার স্কুল-কলেজ চালু হলে শিক্ষার্থীরা অনেক দিন পর ক্লাসে ফেরে। তবে প্রচণ্ড গরমে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়।

গরমে অসুস্থ হয়ে শিক্ষকসহ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত সোমবার হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এরপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



ভাষানটেকে আগুনে দগ্ধ ৬ জনের মধ্যে বৃদ্ধার মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ভাষানটেকে একটি বাসায় আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ৬ জন দগ্ধের মধ্যে মেহেরুন্নেছা (৭০) নামে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। মেহেরুন্নেছা কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা।

শনিবার সকাল ৮ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান তিনি। এর আগে গত শুক্রবার ভোরে এ আগুন লাগে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, মেহেরুন্নেছার শরীরের ৪৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

নিউজ ট্যাগ: ভাষানটেক

আরও খবর