আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাকৃবি শিক্ষার্থীদের এসিআই এনিম্যাল জেনেটিক্সের ব্রিডিং স্টেশন পরিদর্শন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পালন অনুষদের লেভেল ৪ এর শিক্ষার্থীবৃন্দ তাদের শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত সফরে গাজিপুরের রাজেন্দ্রপরে এসিআই এনিম্যাল জেনেটিক্স এর ব্রিডিং স্টেশন পরিদর্শন করেন।

মুলতঃ ব্রিডিং ষাড় রেয়ারিং ও তাদের খাদ্য ব্যবস্থা, সিমেন সংগ্রহ, হিমায়িত সিমেন প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ এবং নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনার উপর ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ গ্রহন করা তাদের এই সফরের মূল উদ্দেশ্যে।

এ শিক্ষা সফরের নেতৃত্বে ছিলেন এনিম্যাল জেনেটিক্স ও ব্রিডিং এর বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডঃ ইয়াহিয়া খন্দকার, পশুপালন অনুষদ একই বিভাগের শিক্ষক অভিজিত সাহা, মিস তাসলিমা আক্তার ও মিস শারমিন জাহান উপস্থিত ছিলেন ।

এসিআই এনিম্যাল জেনেটিক্স এর চীফ অ্যাডভাইজার ডাঃ অরবিন্দ কুমার সাহার, উপস্থিতিতে ডাঃ মো; রায়হানুর ইসলাম ডিজিএম, ব্রিডিং স্টেশন-এ আগত শিক্ষার্থীদেরকে এনিম্যাল ব্রিডিং কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং একইসাথে ব্রিডিং ষাড় রেয়ারিং, খাদ্য ব্যবস্থা, সিমেন সংগ্রহ, হিমায়িত সিমেন প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ব্যখ্যা করেন এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।

ডাঃ অরবিন্দ কুমার সাহা তার আলোচনায় বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমোদনক্রমে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স সরকারের পাশাপাশি ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে মাঠ পর্যায়ে গবাদিপশুর কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় এসিআই ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এতে দেশের মানুষের পুষ্টি ও মেধা বিকাশের সহায়তা করে শক্তিশালী জাতি গঠনের পাশাপাশি দেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রেখে চলেছে।

তিনি আরও জানান, দক্ষ প্রজননকর্মী, গুনগত মানসম্পন্ন সিমেন, উচ্চ গর্ভধারন হার, প্রজনন পরবর্ত্তী কারিগরি সেবা, গুনগত মানসম্পন্ন বাছুর প্রাপ্তি সর্বোপরি সরকারের প্রজনন নীতিমালা শতভাগ মেনে প্রজনন কার্যক্রম পরিচালনার কারণে খামারীদের কাছে এসিআই সিমেন এর ব্যপক চাহিদা তৈরী হয়েছে।

ডাঃ অরবিন্দ আগত শিক্ষার্থীদেরকে প্রাণিসম্পদ সেক্টরের ভবিষ্যত কর্ণধার উল্লেখ করে এ খাতের উন্নয়নে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।


আরও খবর



সিন্ডিকেটে আটকে আছে হাওড় অঞ্চলের কৃষকের হাসি

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

চলতি বছর কিশোরগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে হাওড়ে শতভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। উঁচু এলাকার ধান কাটাও শেষের পথে। তবে বাজারে দাম কম থাকায় বাম্পার ফলনেও খুশি হতে পারছে না কৃষক। ভেজা ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রির সুযোগ পান না বলে অভিযোগ কৃষকদের। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, ন্যায্যমূল্যে সরকারি গুদামে ধান বিক্রির পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের।

জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ভালোয় ভালোয় শেষ হচ্ছে ধান কাটা। এরইমধ্যে জেলার প্রধান প্রধান হাওড়ের ৯৫ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। আর উজানের ধান কাটা হয়েছে ৮৫ ভাগ। ধান কাটার পর দ্রুত নেয়া হচ্ছে বাড়িতে।

হাওড়ের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত করিমগঞ্জের চামড়া বন্দর ঘাটে প্রতিদিন আসছে ধানবোঝাই শত শত নৌকা। তবে ফলন ভালো হলেও, দাম নিয়ে হতাশ খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত হাওড় জেলা কিশোরগঞ্জের কৃষকরা। দাম না পেলেও উৎপাদন খরচ মেটাতে জমির পাশেই কম দামে ভেজা ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন অনেক কৃষক।

চামড়া বন্দরে নরসুন্দা নদী তীরের বাজারে ভেজা ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকায়। শ্রমিক ও পরিবহন খরচ মেটাতে অনেকেই জমির ধান কাটার পর কম দামে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে লোকসানের মুখে পড়ছেন তারা।

নিয়ামতপুর এলাকার কৃষক মানিক মিয়া জানান, জমিতে ধান লাগানো থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়, ধান বিক্রি করে তা দিয়ে পোষায় না। বর্তমানে ভেজা ধান সাড়ে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, তারা কখনও সরকারি খাদ্য গুদামে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন না। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার দাবি জানান তারা।

এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, ভেজা ধান কেনার পর তাদের শুকাতে হচ্ছে। তাই বর্তমানে ধানের দাম কম। এছাড়া মিল মালিকরা এখনও ধান কেনা শুরু না করায় কৃষকরা বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন না।

কৃষি বিভাগ বলছে, ভালো দাম না পাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে কৃষকরা যাতে ভালো দামে ধান বিক্রি করতে পারেন সে জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, এবার হাওড়ে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি যাতে তারা কম দামে ধান বিক্রি না করে, নির্ধারিত তাপমাত্রায় শুকিয়ে সরকারি খাদ্য গুদামে বিক্রির সুযোগ নেন। কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ১ লাখ ৬৭ হাজার; ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৩৮৭ মেট্রিক টন চাল।


আরও খবর



সোমবার থেকে ঢাকাসহ ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলমান তাপদাহের কারণে পাঁচ জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদফতরের পরামর্শে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) তারিখ বন্ধ থাকবে।

তবে যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে। সোমবার পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে রবিবার থেকে নতুন করে সারা দেশে আবারও ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট (তাপপ্রবাহ) জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ ২৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ মে সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময়ে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার থেকে তিন দফা ৭২ ঘণ্টা করে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে গরমের কারণে ঈদের ছুটির পর থেকে বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আজ রবিবার থেকে প্রাক-প্রাথমিক ছাড়া বাকি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ইবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

Image

বর্বর ইসরায়েল বাহিনী কর্তৃক নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ। বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র-আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে ছাত্র সমাবেশেরও আয়োজন করে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সোমবার (৬ মে) দুপুর ১ টায় ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে সংঠনটি। এরপর ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একইস্থানে এসে মিলিত হয়। এরপর সেখানে ছাত্রসমাবেশ করেন সংগঠনটি।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বি, রাকিবুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সহ বিভিন্ন হলের নেতা কর্মীরা।

এর আগে, কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনটি। এসময় স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে থাকেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

ফিলিস্তিনের উপরে ইসরায়েল কর্তৃক চলমান বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবী জানিয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষের ওপর ইসরায়েলের নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে আমরা তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। সেই সাথে আমরা একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা খেলেন প্রধান শিক্ষক, গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল (৫০) পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে মধ্যরাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি।

সোমবার রাতে এ-সংক্রান্ত ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে রোববার (১২ মে) রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গণধোলাইয়ের শিকার গোলাম রব্বানী বকুল ওই ইউনিয়নের আরাজি দহবন্দ গ্রামের নিয়ামতুল্লাহ সরকারের ছেলে ও দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের বড় ভাই।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী আলেমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুলের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রায় রাতেই তিনি ওই নারীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার গভীর রাতেও ওই নারীর সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করতে যান গোলাম রব্বানী বকুল। তাদেরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়ে ওই নারীর ছেলে গোলাম রব্বানীকে আটক করে স্থানীয়দের খবর দেন। স্থানীয়রা এসে তাকে গণধোলাই দিয়ে বাড়ির পাশে একটি সুপারি গাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন।

পরে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রব্বানীর ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবুসহ তার কয়েকজন আত্মীয় এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল ও তার ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

তবে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবু বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা গোলাম রব্বানী বকুলকে সুপারি গাছে বেঁধে রেখেছেন। পরে তার ছোট ভাই গোলাম কবির মুকুল ও ভাতিজারা এসে নিয়ে যান।’

তিনি এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে এ ইউপি সদস্য জানান।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) মো. আশিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার ক্লাস্টারের আওতাভুক্ত ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তবে আমাদেরকে বিষয়টি এখনও কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দহবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল আলম সরকার রেজা বলেন, এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার সময় গোলাম রব্বানী বকুলকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়েছেন বিষয়টি শুনেছি।’

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরও খবর



সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী চিঠিতে সরকারি চাকরিতে আবেদনের সময়সীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে এটা মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই সুপারিশ করেছেন। সিদ্ধান্ত নেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই সব শিক্ষার্থী দফায় দফায় কর্মসূচি পালন করে এলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন শিক্ষামন্ত্রীও একই ধরনের সুপারিশ করলেন।


আরও খবর