গত কয়েক দিন ধরে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল গানটি
হলো ‘মানিকে মাগে হিতে’। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম,
টিকটকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় গানটি ঘিরে আগ্রহের কমতি নেই। নেট দুনিয়ায় চোখ রাখলেই
দেখা যাচ্ছে, মিষ্টি চেহারার এক তরুণী মাইক্রোফোনের সামনে গান গাইছেন। গভীর চাহনী আর
প্রাণ উজাড় করা হাসিতে কোটি কোটি মানুষকে মুগ্ধ করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে সিংহালী ভাষার
এই গানের তামিল, মালয় ও বাংলা সংস্করণ বের হয়েছে।
এই গায়িকার নাম ইয়োহানি ডি সিলভা। বয়স
মাত্র ১৮ বছর। এ বয়সেই প্রতিভার ঝলকানি দেখিয়েছেন ইয়োহানি। ‘মানিকে মাগে হিতে’ গানটি যে বাংলাদেশে
ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা জানেন এই শিল্পী। এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে ইয়োহানি বলেছেন,
সুযোগ পেলে তিনি আবারও আসতে চান বাংলাদেশে।
জানা গেছে, ইয়োহানি এর আগেও একবার বাংলাদেশে
এসেছিলেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে খুব অল্প বয়সে সে সফর দিয়েছিলেন তিনি। সে প্রসঙ্গে ইয়োহানি
বলেন, 'বাংলাদেশে আমি যখন গিয়েছিলাম, তখন আমি এতোটাই ছোট ছিলাম যে, সেই স্মৃতি মনে
করতে পারছি না। সে সময়ের কথা আমার খুব বেশি মনে নেই। তবে আমি আবারও বাংলাদেশে যেতে
চাই। যত শিগগিরই সম্ভব যেতে চাই। বলতে পারেন আগামী দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশে যেতে
চাই।’
বাংলা গানের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে শ্রীলংকান
এই তরুণী বলেন, 'আমি আসলে নতুন কিছু করতে ভালোবাসি। যদি আমি বাংলা ভাষা শিখতে পারি,
তাহলে অবশ্যই আমি বাংলায় গান গাইবো।’
বাংলাদেশি শ্রোতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি
বলেন, ‘আমি সবাইকে ধন্যবাদ
জানাতে চাই এবং তাদের কাছে কৃতজ্ঞ যারা আমার মিউজিক ভিডিও দেখেছেন এবং গানটি শুনেছেন।
এটা অসাধারণ এক অনুভূতি। আশা করবো আমার পরের গানগুলো আপনাদের ভালো লাগবে। সাবধানে থাকবেন।
সেটাই সবচেয়ে বড় চাওয়া।’
শ্রীলংকায় দারুণ জনপ্রিয় ইয়োহানি। সেখানে
নিয়মিত স্টেজ শো করেন। তিনি নিজেই গান লেখেন, সুর করেন। অনেক আগে থেকেই তিনি ইউটিউবে
বেশ জনপ্রিয়। এর আগে তার গাওয়া আরেকটি গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। ‘মানিকে মাগে হিতে’ গানটি এবার তাকে
ভারত, বাংলাদেশেও জনপ্রিয়তা এনে দিল। শ্রীলংকায় এখন তাকে ‘র্যাপ প্রিন্সেস’ বলা হচ্ছে।
এছাড়া ইয়োহানির বাদ্যযন্ত্রের ব্যবসাও
রয়েছে। বিদেশি বাদ্যযন্ত্র আমদানি করে শ্রীলংকায় বিক্রি করেন, আবার সেখানকার স্থানীয়
বাদ্যযন্ত্র রফতানি করেন অন্য দেশে।
অনেকের মতে, গানটির সুর যেমন শ্রোতাদের
হৃদয় স্পর্শ করেছে, তেমনি গায়িকা ইয়োহানির রূপেও মেতেছে নেটিজেনরা। সুরের পাশাপাশি
তার স্নিগ্ধ রূপের জাদুও গানটিকে জনপ্রিয় করতে সাহায্য করেছে।