আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার বিকল্প কী, জানালেন মিলার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ তথ্য জানানোর পরই এ ইস্যুটি রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। সামাজিক মাধ্যমে সয়লাব হয়ে যায় সরকার, বিরোধীদলসহ সরকারি কর্মকর্তার নাম। আর এ বিষয়ে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছে মার্কিন দপ্তর।

সবশেষ বৃহস্পতিবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন যেকোন ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিকল্প কী হতে পারে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেন ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার বিকল্প হাতে রাখে যুক্তরাষ্ট্র, যতক্ষণ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের উপযুক্ত সময় না হয়, ততক্ষণ তা প্রয়োগ না করে বিকল্প কিছু প্রয়োগ করা হয়।

তিনি জানান, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুন্ন করতে পারে, এমন যে কোনো ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের বিকল্পও হাতে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। যথোপযুক্ত সময়ে সেটি প্রয়োগ করা হবে।

এ সময় ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, স্থানীয় একটি বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার নিরাপত্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শুধু তার নিরাপত্তায় নয়, দূতাবাসের কর্মীরাও নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছেন। সুতরাং তার উদ্বেগ বৈধ, বেশ বৈধ, কারণ আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উপর কয়েকটি হামলা দেখেছি। মিলার, এই উদ্বেগগুলোকে কী গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন?

উত্তরে মিলার বলেন, আমি মার্কিন দূতাবাস বা সেখানে কর্মরত কর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট বিবরণ নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি না। আমি বলব যে অবশ্যই কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, প্রতিটি আয়োজক দেশকে অবশ্যই সমস্ত কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দূতাবাস কর্মীদের উপর কোনও আক্রমণ প্রতিরোধে সমস্ত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে এবং আমরা আশা করি যে সরকার আমাদেরসহ দেশের সকল বিদেশি মিশন কর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেবে।

তাকে আরও প্রশ্ন করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশে আরও বেশি ভিসা বিধিনিষেধের কথা ভাবছে। সরকারপন্থী মিডিয়াসহ যারা সরকারকে দানব হতে সাহায্য করেছে তাদের বিরুদ্ধে?

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিয়েছি। যাদের আমরা বিশ্বাস করি যে তিনি বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নষ্ট করার জন্য দায়ী বা জড়িত।


আরও খবর



‘অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নামিয়ে দেয়া হয় গাড়ি থেকে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আর জি কর ধর্ষণকাণ্ডে এখনও প্রতিবাদে মুখর গোটা ভারত। চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যায় ক্ষোভে ফুঁসছে পশ্চিমবঙ্গ। এরই মধ্যে নতুন করে তোলপাড় ফেলে হেমা কমিটির রিপোর্ট। আর জি কর-কাণ্ডের ঘটনার পর হেমা কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্তার একের পর এক অধ্যায়। যেগুলো বেশ নাড়া দেয় গোটা ভারতের বিনোদনপ্রেমীদের। রীতিমতো নড়েচড়ে বসে গোটা ভারতের বিভিন্ন চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি।

এর পরই যৌন হেনস্তা ইস্যুতে একের পর এক অভিনেত্রী তুলছেন বিস্ফোরক অভিযোগ। এবার যৌন হেনস্তা ইস্যুতে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এনা সাহা।

তিনি জানান, এক প্রযোজক তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। তিনি রাজি না হওয়ায় রাতে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দেয় গাড়ি থেকে!

এনা বলেন, ১৭ বছর বয়সে ছবিতে নায়িকা হয়েছি। তার পরেই এক প্রযোজক আমাকে ড্রাইভে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। টলিউডে আমি খুব কম বয়স থেকে কাজ শুরু করেছি। তাই অনেক সময়েই কারও গাড়িতে উঠেছি। অন্যরকম কিছু হতে পারে ভাবিনি। সেদিনও ড্রাইভে যাওয়ার প্রস্তাব পেয়ে না করিনি। কিন্তু তারপর গাড়ির মধ্যে প্রযোজক এমন কিছু করার প্রস্তাব দেন, যাতে আমি না বলতে বাধ্য হই। তিনি জোর দিয়ে বলেন। আমি শুনিনি। সেই না শুনে তিনি রেগে যান। আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন।

অভিনেত্রী আরো বলেন, শুধু সেদিন নয়, আরও বহুদিন এমন হয়েছে, যখন খারাপ লেগেছে। শুরুর দিকে খুব ভয় পেতাম। কারও প্রস্তাবে না বলে দিলে আর কাজ পাব না, সেই ভয়টা ঘিরে ধরত। আজকে এত বছর পর নিজের প্রযোজনা সংস্থা হয়েছে বলেই হয়তো মন খুলে কথা বলছি। পরিচালকদের সঙ্গে আমার এমন অভিজ্ঞতা হয়নি। তবে টলিউডের দুই প্রযোজকের থেকে খারাপ প্রস্তাব পেয়েছিলাম। প্রতিবাদ হতে এত দেরি হল, কারণ দশজন মেয়েকে এমন প্রস্তাব দেওয়া হলে, তার মধ্যে তিনজন হ্যাঁ বলেন। যে সাতজন না বললেন, তাঁরা কাজ হারালেন। এদিকে সেই সাতজন হয়তো বেশি প্রতিভাবান।

সম্প্রতি কলকাতার আর জি কর ধর্ষণকাণ্ড ঘিরে উত্তাল গোটা ভারত। চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যায় ক্ষোভে ফুঁসছে পশ্চিমবঙ্গ। এরই মধ্যে নতুন করে তোলপাড় ফেলেছে হেমা কমিশনের রিপোর্ট। আর জি কর-কাণ্ডের ঘটনার পর হেমা কমিশনের রিপোর্টে উঠে এসেছে মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্তার একের পর এক অধ্যায়। যেগুলো বেশ নাড়া দিয়েছে গোটা ভারতের বিনোদনপ্রেমীদের। এর পরই যৌন হেনস্তা ইস্যুতে একের পর এক অভিনেত্রী তুলছেন বিস্ফোরক অভিযোগ। যা নিয়ে নিয়মিত তোলপাড় হচ্ছে মিডিয়ায়।

নিউজ ট্যাগ: এনা সাহা

আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এটিএম শামসুজ্জামানের জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতকে কড়া বার্তা দিলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে মতপার্থক্য দূর করার উপায় নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে, এতে কোনো দেশেরই লাভ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এক সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী সরকারপ্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন। শুক্রবার পিটিআই নিউজের ওয়েবসাইটে এই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। তিনি পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারত সরকারকে সতর্কও করেন।

দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের বিষয়টি অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো ভাটির দেশগুলোর অধিকার সমুন্নত রাখার সুনির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি (পানি বণ্টন) নিয়ে বসে থাকার ফলে এতে কোনো কাজ হচ্ছে না। আমি যদি জানি, আমি কতটুকু পানি পাব, সেটা ভালো হতো। এমনকি পানির পরিমাণ নিয়ে যদি আমি খুশি নাও হই, তাতেও কোনো সমস্যা নেই। এই বিষয়টি সমাধান হতেই হবে।

তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়টি সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার ভারতকে শিগগিরই তাড়া বা চাপ (পুশ) দেবে কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, নতুন সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।

নোবেলজয়ী এই সরকারপ্রধান বলেন, চাপ (পুশ) শব্দটি অনেক বড়। আমি এই কথা বলছি না। আমরা আলোচনা করব। তবে আমাদের একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ২০১১ সালে ঢাকা সফরকালে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই চুক্তিকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে চুক্তি আর হয়নি। তখন মমতা দাবি করেছিলেন, তার রাজ্যেই পানির সংকট রয়েছে।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া ইউনিয়ন থেকে ৩০ কেজি ওজনের ১০০ বস্তা ত্রাণের চাল জব্দ করা হয়েছে। গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় ইউনিয়নের কছিম বাজারের একটি গোডাউন থেকে চালগুলো জব্দ করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল।

জানা যায়, বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য গত মাসের প্রথম সপ্তাহে ৩ টন চাল উত্তোলন করেন কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়া। ইউনিয়ন পরিষদে চাউলগুলো না রেখে কছিম বাজারের জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তির গোডাউনে রাখেন চেয়ারম্যান। বন্যার একমাস পার হলেও চালগুলো বিতরণ করেননি তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ চাল গুলো গোপনে বিক্রি করার জন্য চেয়ারম্যান ওই গোডাউনে রেখেছেন।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, সংবাদ পেয়েছি গোডাউনে বানভাসিদের বরাদ্দের চাল রাখা আছে। সেগুলো গোপনে বিক্রি করার পায়তারা চলছে। সে কারণে দলের লোকজন ও স্থানীয় লোকজনসহ গোডাউনে সামনে অবস্থান নেই এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সংবাদ দেই।

অভিযুক্ত কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়া বলেন, দেশের অবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় চালগুলো বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল বলেন, 'ইউএনও'র মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। পরে তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরে গোডাউনে রাখা ৩ টন চাল জব্দ করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন বিষয়টি জানা মাত্রই জেলা প্রশাসন কর্তৃক চালগুলো জব্দ করা হয়। সোমবার চালগুলো ওই ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। চালগুলো কেন আটকে রাখা হয়েছিল সেটা তদন্ত সাপেক্ষে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: গাইবান্ধা

আরও খবর
বগুড়ায় ভোজ্যতেলের কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৪

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আশুলিয়ায় আজও বন্ধ ২১৯ কারখানা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নবম শ্রেণি থেকে আবারও আলাদা বিভাগ থাকবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নবম শ্রেণি থেকে আবারও বিষয়ভিত্তিক অর্থাৎ মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য বিভাগ আলাদা থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

১৯৫৯ সালে নবম শ্রেণি থেকে বিভাগ বিভাজন চালু হয়েছিল। ৬৫ বছর ধরে এ নিয়মে চলেছে শিক্ষা পদ্ধতি। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর দফায় দফায় শিক্ষাক্রম পরিবর্তন হলেও এ প্রথা কখনো ভাঙা হয়নি। অবশেষে চলতি বছর তা পরিবর্তন করা হয়। ৬৫ বছর পর চলতি শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সবাই একই বিষয় পড়ছে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার বিভাজন নেই। সবার এক বইয়ে লেখাপড়া করছে।

নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর পক্ষে বিপক্ষে মত দেন অনেকে। অনেকে বিভাগ বিভাজনের বিপক্ষে মত দিলেও আবার কেউ কেউ একমুখী পদ্ধতিকে ভালো বলছেন।

বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, নবম শ্রেণি থেকে আবারও বিষয়ভিত্তিক বিভাগ আলাদা থাকবে।

এবার বই ছাপাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি হবে না জানিয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে যেসব বই ছাপার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, তা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার বই ছাপার মান ও কাগজের মান ভালো হবে। কারণ, এবার দুর্নীতি হবে না।

ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তকের মলাটসহ ভেতরের বিষয়বস্তু পরিবর্তন করা হবে। শিক্ষাক্রম সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে হবে। যতটুকু সময় পাওয়া যায় আমরা এই শিক্ষাক্রম সংস্কারে পদক্ষেপ নেব।

অনভিপ্রেত ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থগিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, একটা অনভিপ্রেত ঘটনার কারণে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এখনও সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পারিনি। টেস্ট, প্রিটেস্টের মূল্যায়নপত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হবে।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও জানান, দেশের সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। সবার গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে ভিসি নিয়োগ করা হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।


আরও খবর
ইউজিসিতে দুই সদস্য নিয়োগ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মেহেরপুর সদরে কৃষি প্রদর্শনী প্লটের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

সারাদেশে কৃষি ও কৃষকের মান উন্নয়নের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হলেও সেই প্লটের বরাদ্ধকৃত বাজেটের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান ও গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে। কৃষকদের দাবি নামমাত্র কৃষি উৎপাদন সামগ্রী দিয়ে তুলে নেয়া হয় তাদের প্লট বরাদ্ধের বাজেটের টাকা। বাজেটের তথ্য চাইলে বদলির হুমকি ও বদলি করা হয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের। আর এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক।

কৃষি ও কৃষকের মান উন্নয়নের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হলেও সেই প্লটের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে। এর মাধমে আধুনিক চাষাবাদ সম্প্রসারণে প্রদর্শনী খামারে বরাদ্ধ রাজস্ব খাতের হাজার হাজার টাকা লোপাট করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকারি সহায়তায় কৃষি গবেষণাগারে উচ্চ ফলনশীল জাতের খাদ্য শস্যের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এসব উচ্চ ফলনশীল জাত চাষাবাদে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কৃষকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। প্রশিক্ষণ লুদ্ধ জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগের জন্য কৃষকদের সংশ্লিষ্ট ফসলের প্রদর্শনী খামার স্থপানে আর্থিক সহায়তা করা হয়। ফসল ভেদে প্রদর্শনী খামার ৫০ শতক বা ৩৩ শতক বা ২.৪৭ শতক হয়ে থাকে। প্রদর্শনী খামারে বীজ, বিভিন্ন প্রকার সার, পরিচর্যা, পরিবহন, বীজ সংরক্ষণসহ নগদে আনুসঙ্গিক খরচ প্রদান করে থাকে। তবে ফসল ভেদে এই খরচের হার ভিন্ন হয়ে থাকে। মেহেরপুরে সদরে দুর্নীতিবাজ কৃষি কর্মকর্তারা চাষীদের প্রদর্শনী স্থাপনের জন্য প্রদত্ত সরকারি অর্থ বিভিন্ন অপকৌশলে লোপাট করছে।

আর কৃষকরা বলছে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা নামমাত্র কিছু সহযোগিতা দিয়ে তুলে নেয়া হয় প্রদর্শনী প্লটের অর্থ। তবে কখনো দেখানো হয়নি বরাদ্দের পরিমাণ বলে দাবি কৃষকের।

ট্রাইকো কম্পোস্টসার চাষি বলেন, আমাকে টাইকো কম্পোস্টের প্রদর্শনী দিয়েছিলো। প্রদর্শনীতে উপকরণ হিসাবে আমাকে ১০টা রিং, ১০টা ১৫মিলির টিনও ৬ খুটি এই গুলো ছিলো খুবিই নিন্মমানের যা আমাদের কোনো কাজে আসবেনা। আমরা শুনেছিলা যে ২০ হাজার টাকা বাজেট আছে আমাদের এসব উপকরণের জন্য। রিং গুলো উঠালে ভেঙ্গে যাচ্ছে আর টিনগুলো খুবই নিম্নমানের দিয়েছে যা আমাদের কোনো কাজে আসবেনা একই কথা যানান ট্রাইকো কম্পোস্ট প্রদর্শনী পাওয়া খামারীরা ।

ড্রাগনচাষী চাষীরা জানান,  আমার বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন চাষ আছে।  তিন বিঘা ড্রাগনচাষে প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ। একদিন উপসহকারী কৃষি অফিসার আসে দেখ  আমাকে প্রদর্শনী প্লট দেওয়ার কথা বলে  যাতে আমাকে কিছু সার বিষ দেওয়ার কথা বলেন। আমাকে দেড় হাজার টাকার মতো সার দিয়েছে আর বাকিটা দেব দেব করে দিবে কিনা জানিনা। তবে যারা আওয়ামী লীগ করে তারা ছাড়া কেউ কৃষি অফিস থেকে সুবিধা পাইনি। এমনকি যাদের আবাদ নেই তারা বেশি পেয়েছে । যারা সাধারণ চাষী তারা কেউ  পাইনি বলেই চলে। কৃষি অফিস থেকে কোনো ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়নি।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, কখনো দেখানো হয় না বরাদ্দের চিঠি, শুধুমাত্র আমরা সিলেক্ট করে দেই কৃষক তালিকা। বরাদ্দের তথ্য চাওয়া হলে  বদলি ও দেওয়া হয় বদলির হুমকি বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি প্রদর্শনী প্লট ও এর বরাদ্দের তথ্য ।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, বরাদ্দের বিষয়ে কোন কিছু জানানেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নিউজ ট্যাগ: মেহেরপুর

আরও খবর
বগুড়ায় ভোজ্যতেলের কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৪

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আশুলিয়ায় আজও বন্ধ ২১৯ কারখানা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪