দুদলেরই সামনে
ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। ময়দানে লড়াইও চলল সমানে সমান। স্নায়ুচাপ আর শ্বাসরুদ্ধকর
ম্যাচ একবার বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকে যায় তো পরক্ষণেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় শ্রীলঙ্কা।
তবে মাঠের যুদ্ধ শেষে শেষ হাসি হাসল লঙ্কানরাই। ৪ বল হাতে রেখেই বাংলাদেশকে ২ উইকেটে
হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের দেয়া
১৮৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের সুবাদে ভালো সূচনা পায় শ্রীলঙ্কা। ওপেনিং
জুটিতে আসে ৪৫ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসেই জোড়া উইকেট তুলে নেন ইবাদত।
নিজের করা পরের ওভারে ফেরান দানুস্কা গুনাথিলাকাকে। ২০ রানে পাথুম নিশানকা, ১ রানে
চারিথ আশালাঙ্কা ও ১১ রানে ফেরেন গুনাথিলাকা। আর তাসকিন আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে
মাত্র ২ রান করেন ভানুকা রাজাপাকসে।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে
কুশল মেন্ডিস ও দাসুন শানাকার মাত্র ৩৪ বলে ৫৪ রানের জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন দেখে শ্রীলঙ্কা।
এদিকে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন মেন্ডিস। মোস্তাফিজের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে
৬০ রান করেন তিনি। আর ২ রান করেছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
৩৩ বলে ৪৫ রান
করে আউট হন দলনেতা দাসুন শানাকা। ১০ বলে ১৬ রান করেন চামিকা করুনারত্নে। ১০ রানে আসিথা
ও শূন্যরানে শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন মহেশ থিকসেনা।
এর আগে ম্যাচের
শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কান দলনেতা দাসুন শানাকা। প্রথম
ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় এবার সাব্বির-মিরাজকে একাদশে এনে ওপেনিংয়ে নামিয়ে দেয় টিম
ম্যানেজমেন্ট। সাব্বির না পারলেও আস্থার প্রতিদান দেন মেহেদি মিরাজ। তার দুর্দান্ত
ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতেই ৫৫ রান পায় বাংলাদেশ।
এদিকে সপ্তম ওভারের
খেলায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার করা বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
২৬ বল খেলে দুটি করে চার ও ছয়ে ৩৮ রান করেন তিনি। পরের উইকেটে খেলতে নেমে ৪ রান করে
আউট হন উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এরপর ১৫ বলে ২৪ রান করে আউট হলেন সাকিব আল
হাসান।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে
দুর্দান্ত খেলতে থাকেন আফিফ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এ সময় দুজন মিলে মাত্র ৩৭
বলে গড়নে ৫৭ রানের জুটি। তাতেই বাড়তে থাকেন বাংলাদেশের রান। মাত্র ২২ বলে ৩৯ রান করে
আউট হন আফিফ। পরের ওভারে ২২ বলে ২৭ রানে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এরপর ১ রানে আউট হন শেখ মেহেদি হাসান। এরপর তাসকিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাত্র ৯ বলে ২৪ রানে মোসাদ্দেক ও ৬ বলে ১১ রানে তাসকিন অপরাজিত থাকেন।