আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

বাপ-দাদার শেখানো পেশায় যাদের জীবন জীবিকা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুবায়ের খান প্রিন্স, পাবনা

Image

এক সময় মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, ঘটি, মটকা, সরা, চারি, কাসা, কলস, ব্যাংক, প্রদীপ, পুতুল, কলকি, দেবদেবীর মূর্তি ও ঝাঝরের বিকল্প ছিল না তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের রুচির পরিবর্তনে মাটির তৈরি সামগ্রীর স্থান দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিক, মেলামাইন, স্টিল আর অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি নানা রকম আধুনিক সামগ্রী। তাই বর্তমানে বাজারে চাহিদা কম থাকায় এবং কাঁচামালের চড়ামূল্য ও পুঁজির অভাবে টিকতে না পাড়ায় সংকটে পড়েছে পাবনার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পীরা।

মৃৎশিল্পীরা জানান, বর্তমান মানুষের ব্যবহারিক জীবনে মৃৎশিল্পের তেমন কোন আর ভূমিকা নেই। প্রযুক্তি বিকাশের এ যুগে এই শিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধিত না হওয়ায় বর্তমানে এই পেশায় টিকে থাকা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে কালের আবর্তে বাপ-দাদার পেশা হারিয়ে যেতে চললেও এখনোও টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পাবনা চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের গৌড়িপুর পালপাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পীরা।

সরেজমিনে গৌড়িপুর পালপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, ভোরের আলো ফুটতেই মাটির হাঁড়ি পাতিল তৈরি করে রোদে শুকাতে দিচ্ছে কুমাররা, কেউ বা ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন সামগ্রী তৈরীতে, কেউ বা করছেন রং এভাবেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মব্যস্ততা।

পালপাড়ায় গিয়ে কথা হয় মায়া রাণীর সাথে তিনি জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে মাটির তৈজসপত্র তৈরী করে আসছেন তিনি। আগে মাটির সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন আর তেমন কোন চাহিদা নেই, তাই শীত মৌসুমে পিঠাপুলির সামগ্রী তৈরী করেই কোনোমতে চলছে তার সংসার।

এমনিতেই ব্যবসা চলে কম তার উপরে নেই রাস্তাঘাট তাই গৌড়িপুর পালপাড়া থেকে নিমাইচড়া বাজার পর্যন্ত পাকা সড়কের দাবি জানান তিনি।

মৃৎপাত্র পোড়ানোর সময় কথা হয় দুলাল পালের সাথে কথা হইলে তিনি জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে বাপ-দাদার শেখানো পেশায় কাজ করছেন। আগের দিনে বাজারে মৃৎপাত্রের প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন অনেকটাই কম। অন্য কোন কাজ না জানায় এই পেশাই আঁকড়ে ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।

দুলাল পাল আরও বলেন, পেশাগত প্রয়োজনে ব্যাংক ঋণ পাননা তারা। সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পেলে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন তিনি। স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা মনে করেন, ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্পকে বাঁচাতে সরকারের বহুমুখী উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন।

কথা হয় বিকাশ পাল, সম্বল পাল, দরদী পাল ও সুবর্ণা পালের সঙ্গে, তারা এই প্রতিবেদককে জানান, এক সময়ে এই গ্রামে মৃৎশিল্পের রমরমা ব্যবসা ছিল। আগে গৌড়িপুর গ্রামে প্রায় ১১০টি ঘর মৃৎশিল্পের কাজ করতো কিন্তু বর্তমানে বেশির ভাগ পালরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় এখন ১০-১৫ টি ঘরে প্রায় ৩০-৩৫ জন পাল এই কাজের সাথে জড়িত বলে জানান তারা।

তারা আরও জানান, মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা সরকারি কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা বা প্রণোদনা কোন দিন পেয়েছেন কি না তা তাদের জানা নেই। তারা বলেন, এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও মৃৎশিল্পীদের শিল্প জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যদি আধুনিক করে গড়ে তোলা যায় তা হলেই কেবল গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব বলে তারা মনে করেন।

কথা হয় গোপাল চন্দ্রপালের সঙ্গে তিনি বলেন, আগের দিনে মৃৎশিল্পের প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন এঁটেল মাটি, রঙ, যন্ত্রপাতি ও জ্বালানি ছিল সহজলভ্য। কিন্তু বর্তমানে এসব প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন হিমশিম খাচ্ছেন। তারা জানান, পূর্বে যেখানে বিনামূল্যে মাটি সংগ্রহ করা যেত বর্তমানে সেই মাটি ১০-১২ হাজার টাকায় কিনতে হয়। আগে খড় কিনতে তাদের কোন টাকা পয়সা লাগতো না, এখন সেই এক বুঝা খড় ৩০০ টাকায় কিনতে হয় তাদের।

গোপালচন্দ্র পাল বলেন, বর্ষা মৌসুমে তাদের হাতে তেমন কোন কাজ না থাকায় সে সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি সংগ্রহ করে থাকেন তারা। তবে অনেক সময় মাটি কিনতে আইনি জটিলতায় পড়তে হয় তাদের।

বাড়ির উঠোনে পাত্রগুলোতে রং করতে দেখা যায় উজ্জ্বল কুমার পালকে, তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সাধারণত মৃৎপাত্রগুলো কুমার পরিবারের নারী-পুরুষ উভয়ে মিলেমিশে তৈরি করে থাকেন। এই তৈরিকৃত সামগ্রী বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে কিনেন। অনেকে আবার বাড়ি বাড়ি ফেরি করেও বিক্রি করেন। বর্ষা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকায় কুমারদের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ যায়। সে সময় কুমাররা সারা বছর কাজ করার জন্য এঁটেল মাটিসহ প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহে নেমে পড়েন। শুধু পাবনা নয়, গোটা দেশে এ পেশায় নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কারও যেন কোন মাথাব্যথাই নেই।

বাড়ির উঠোনে মাটির পাত্র তৈরি করছেন অনিতা পাল ও প্রার্থনা পাল তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আগের দিনে তাদের ব্যবসা অনেক ভালো চলতো বর্তমানে মানুষ প্লাস্টিক, এ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করায় এখন কম চলে। তারা বলেন, আগে কলসিসহ বিভিন্ন তৈজসপত্র তৈরী করলেও বর্তমানে তা ব্যবহার কম হওয়ায় এখন শুধু ঝাঁঝর, কাসা, হাঁড়ি পাতিল তৈরী করে থাকেন তারা। 

এবিষয়ে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভিন সুলতানা মুক্তি বলেন, তারা কখনও আমার কাছে কোন দাবি নিয়ে আসেনি। আমি আমার এলাকার অনেক সড়কের কাজ করেছি, তাদের সড়কের বিষয়েও কাজ করার চেষ্টা করবো এবং আমি সবসময় তাদের পাশে থাকবো।


আরও খবর



৯ ব্যাংকের সাথে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বেসরকারি ৯টি ব্যাংকের পে-অর্ডার, চেক ও ব্যাংক গ্যারান্টি সেবা বন্ধের নির্দেশনা জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুস শাকুর সব বিভাগীয় প্রধানদের চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেন।

ব্যাংকগুলো হলো, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।

প্রসঙ্গত, এই ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাবে বড় ধরনের ঘাটতি পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যাংকগুলোর চেকের লেনদেন নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এজন্য সতর্কতা হিসেবে এসব ব্যাংকের চেক না নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর
কোনো রকমে বাড়লো সূচক, কমেছে লেনদেন

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইহুদি উপাসনালয় নির্মাণ করব: ইসরায়েলি মন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামর বেন-গভিরের মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তিনি বলেছেন, পশ্চিম জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে সুযোগ পেলে ইহুদি উপাসনালয় নির্মাণ করবেন। তার এমন বক্তব্যের পর মুসলিম দেশগুলো কড়া সমালোচনা করছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার আর্মি রেডিওকে ইসরায়েলি এই মন্ত্রী বলেছেন, সম্ভব হলে তিনি আল-আকসা প্রাঙ্গণে সিনাগগ (ইহুদিদের উপাসনালয়) নির্মাণ করবেন। সাক্ষাৎকারে বেন-গভীর আরও বলেন, আমার চাওয়া অনুযায়ী যদি সবকিছু করতে পারতাম তাহলে ওই জায়গায় একটি ইসরায়েলি পতাকা লাগাতাম।

ইসরায়েলি মন্ত্রী এসব মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে, জর্ডান, সৌদি আরবসহ আরও অনেকে। এনিয়ে ইসরায়েল সরকারের নীতিমালা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

আল-আকসা প্রাঙ্গণ ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম জায়গা এবং ফিলিস্তিনিদের জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক। মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক একটি দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি অনুযায়ী ইহুদিদের আল-আকসায় প্রার্থনা করার অনুমতি নেই।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসায় পর আল-আকসায় অন্তত ছয়বার যান বেন-গভির। এই নিয়ে তীব্র নিন্দার কবলে পড়েন তিনি।


আরও খবর



বন্যা দুর্গত এলাকায় তিন মাস স্পেশাল ওএমএস

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বন্যায় ১৪ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের সাশ্রয়ী মূল্যে চাল ও আটা সরবরাহের লক্ষ্যে দুর্গত এলাকার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল ওএমএস কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতিসহ আভ্যন্তরীণ খাদ্য সংগ্রহ, মজুত পরিস্থিতি ও বন্যা দুর্গত জেলাগুলোতে সরকারি খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন।

খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, এ স্পেশাল ওএমএস ওই এলাকাগুলোর ২৩০টি কেন্দ্রে দেওয়া হবে। প্রতিকেন্দ্রে ১ টন চাল ও ১ টন আটা হিসেবে প্রতিদিন ২৩০ টন চাল ও ২৩০ টন আটা বিক্রি করা হবে। চলতি সেপ্টেম্বর ও আগামী অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে এ কার্যক্রমে সর্বমোট ১৪ হাজার ৪৯০ টন চাল ও ১৪ হাজার ৪৯০ টন আটা বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, প্রতি কেজি খোলা আটা ২৪ টাকা এবং প্যাকেট আটা (২ কেজির প্রতি প্যাকেট) ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।

খাদ্য সচিব আরও বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকায় যে কেউ এ সেবা নিতে পারবে। এই ৩ মাসে চাল বাবদ ৪১ কোটি ১২ লাখ টাকা ও আটা বাবদ ৪৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা মোট ৯০ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৬৮২ টাকা ভর্তুকি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হবে।

অন্য দিকে সারাদেশে ওএমএস কার্যক্রমের তথ্য দিয়ে সচিব জানান, বর্তমানে সারাদেশের সব সিটি কর্পোরেশন, শ্রমঘন ৪টি জেলা (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী), সারাদেশের সব জেলা সদর পৌরসভায় ওএমএস খাতে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে।

সারাদেশে সর্বমোট ৯১২টি কেন্দ্রে (৯১২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯১০টি কেন্দ্রে চাল ও আটা এবং ২টি কেন্দ্রে শুধু আটা) দৈনিক মোট ৯১০ টন চাল ও এক হাজার ২৬০ দশমিক ৫০ টন আটা ওএমএস কার্যক্রমে বিক্রি চলমান আছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ১১৮টি দোকান, ৭০টি ট্রাক এবং ইনোভেশনের আওতায় ৩টি কেন্দ্রসহ মোট ১৯১টি কেন্দ্রে ওএমএস কার্যক্রম চলমান আছে।


আরও খবর



লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দিয়ে আন্দোলন দমানো হয়েছিল: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পতনে সংগঠিত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ মাইনুল হাসান।

আজ শনিবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

অপেশাদারিত্বের কারণেই পুলিশ ছাত্র-জনতার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আন্দোলনে অনেকে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দিয়ে অভ্যুত্থান দমনের অপচেষ্টা করেছেন। সেগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থাও চলমান রয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর ৫০টি থানার মধ্যে ২২টি পুড়েছে, অনেক পুলিশ আহত- নিহত হয়েছে। যার জন্য এখনো অনেকটা আতঙ্কে আছে এ বাহিনী। তাই পুলিশ পূর্ণরূপে ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগবে।

এ সময় পুরো বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যারা অপেশাদার আচরণ করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ যারা অস্ত্র ব্যবহার করেছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। যেসব পুলিশ কর্মকর্তার ওপর আস্থার সংকট আছে তারা আর থাকবেন না। নতুন মুখ দেখতে পাবেন।

সাম্প্রতিক ঘটনায় হওয়া মামলায় ক্রিকেট তারকা ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের নাম কীভাবে এলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাইনুল হাসান বলেন, সহিংসতায় অনেকেই অনেকভাবে সহযোগিতা করেছেন। কেউ অর্থ দিয়ে, কেউ বা বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে উসকানি দিয়েছেন। এমন নানা বিষয়ে তাই মামলা হতেই পারে। আমরা তদন্তের সময় প্রমাণ সংগ্রহ করব।

যারা ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে ট্রাফিক সামলেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মাইনুল হাসান বলেন, যারা মনোবল বৃদ্ধিতে কাজ করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ। এখন ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করুন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় নিহতের বিষয়ে তিনি বলেন, ডিএমপিতে নিহত হয়েছেন ১৪ জন পুলিশ সদস্য। এ সময় আহত হয়েছেন পুলিশের ৪২৭ সদস্য। এ ছাড়া সাধারণ নাগরিক নিহতের সঠিক তথ্য যাচাই করার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



অডিশনের নামে যৌন হেনস্তা, পরিচালকের কেলেঙ্কারি ফাঁস করলেন শিল্পা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সম্প্রতি হেমা কমিটির রিপোর্ট সামনে আসার পর যৌন হেনস্থা নিয়ে উত্তাল মালায়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। এসব নিয়ে আলোচনা সমালোচনা যখন তুঙ্গে ঠিক তখনই বলিউড নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী শিল্পী শিন্ডে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলো নিয়ে মুখ খুলেছেন শিল্পা।

জানিয়েছেন, সে সময় হিন্দি ছবির এক পরিচালক তাকে যৌন দৃশ্যে অডিশন দেওয়ার নামে কীভাবে যৌন হেনস্তা করেছিলেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শিল্পা জানান, একটি ছবির অডিশনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে নিজের যৌন আবেদন ফুটিয়ে তুলতে বলা হয় তাকে। শিল্পা রাজিও হয়ে যান।

অভিনেত্রী জানান, সেই সময় তার বয়স অল্প। স্বাভাবিকভাবেই খুব সহজ-সরল ছিলেন। বুঝতে পারেননি, পরিচালক আসলে কী চাইছেন। অভিনেত্রীর কথায়, 'আমার ক্যারিয়ারের গোড়ার দিকের কথা। ১৯৯৮-৯৯ সাল হবে। আমি নাম বলব না। আমাকে একটা পোশাক পরতে বলা হয়েছিল। সেই পোশাক আমি পরিনি। পরিচালক বলেন- একটি দৃশ্যে অভিনয় করে দেখাতে হবে। দৃশ্যটি হল, তিনি আমার কর্মকর্তা। তার সামনে আমার নিজের যৌন আবেদন ফুটিয়ে তুলতে হবে। আমি খুবই সহজ-সরল ছিলাম। ওই দৃশ্যে আমি অভিনয় করেও দেখাই।

এখানেই শেষ নয়। ওই পরিচালক নাকি শারীরিক হেনস্তা করেন শিল্পাকে। অভিনেত্রী বলেন, সেই পরিচালক আমার শরীরের ওপরে উঠে আসতে চান। আমি ভয় পেয়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেই এবং সেখান থেকে পালিয়ে যাই। নিরাপত্তারক্ষীরাও বুঝতে পারেন, কী ঘটেছে। ওরাও আমাকে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ওরা ভেবেছিল, আমি হয়তো বিষয়টি নিয়ে সমস্যা তৈরি করব।

এই পরিচালক নাকি হিন্দি ছবির দুনিয়ায় অভিনেতা হিসেবেও পরিচিত। শিল্পা বলেন, আমি মিথ্যে বলছি না। কিন্তু ওর নাম আমি বলতে পারব না। এই ব্যক্তির ছেলেমেয়েরা বয়সে আমার থেকে সামান্য ছোট। বেশ কয়েক বছর পরে এই ব্যক্তির সঙ্গে ফের দেখা হয় শিল্পার।

অভিনেত্রী বলেন, তিনি আমার সঙ্গে খুব ভদ্র ভাবেই কথা বলেন। তবে আমাকে চিনতে পারেননি। আমাকে ফের একটি ছবির প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব আমি ফিরিয়ে দেই।


আরও খবর
জনগণের কাছে দেশটা কারাগার : আফজাল হোসেন

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪