আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাসা-বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলেই মামলা: মেয়র আতিক

প্রকাশিত:বুধবার ২০ জুলাই ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ জুলাই ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বাসা-বাড়ি ও যে কোন ভবনে এডিসের লার্ভা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, নিয়মিত মামলা ও জরিমানা করা হবে।

বুধবার ডিএনসিসির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন খিলবাড়িরটেক এলাকায় ডেঙ্গু বিরোধী সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশন নিয়মিত ডেঙ্গু বিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারনা চালাচ্ছে। ড্রোন ব্যবহার করে ছাদে জমে থাকা পানি ও মশার প্রজননক্ষেত্র খুঁজে বের করা হচ্ছে। এরপরও বাসা-বাড়ি ও যেকোনো ভবনে এডিসের লার্ভা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিয়মিত মামলা ও জরিমানা করা হবে।

আতিকুল আরও বলেন, ডিএনসিসি ডেঙ্গুর প্রকোপ নির্মূলে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়- পুরোপুরি নির্মূলের জন্য জনগণকেও দায়িত্ব নিতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে চলমান আবহাওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে এবং পরক্ষণেই রোদ হচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় এডিস মশা বেড়ে যায়। তাই আমি জনগণকে আহ্বান করছি আপনারা এই সময়টায় অনেক বেশি সতর্ক থাকুন।

তিনি বলেন, দেখা গেছে ড্রেন, জলাশয় এবং নর্দমা থেকে নয় বরং বাসা-বাড়ির জমে থাকা পানি থেকেই এডিস মশা বেশি জন্মায়। আমি অনুরোধ করছি আপনারা বাসাবাড়ির জমা পানি ফেলে দিন।

জনগণকে বাসা-বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, দশটায় দশ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসা-বাড়ি করি পরিষ্কার। সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে বাড়ির ছাদে, আঙিনায়, ফুলের টবে যেন পানি না জমে। জমে থাকা পানিতেই এডিসের লার্ভার জন্ম হয়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে।

তিনি বলেন, আমরা হাসপাতাল থেকে নিয়মিত ডেঙ্গু রোগীদের তালিকা সংগ্রহ করে রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের বাড়িগুলোতে বেশি পরিমাণে লার্ভিসাইডিং এবং ফগিং করছি। মশার প্রজননক্ষেত্র সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে নিয়মিত আমাদের কার্যক্রম চলমান। তবে জনগণ সচেতন হলেই এডিস মশা নির্মূল করা সম্ভব হবে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে সিটি কর্পোরেশনকে তথ্য দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য দিন। তথ্য দিলে আমরা আপনাদের শাস্তি দিব না। বরং আমরা তথ্য পেলে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করার ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে। এর ফলে আপনার পরিবারের সদস্যসহ ওই এলাকার বাসিন্দারা ডেঙ্গু থেকে রেহাই পাবে।

প্রচার অভিযানে তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ির ছাদে পানি জমে আছি কিনা অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে কিভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সেটি সশরীরে পরিদর্শন করেন। জনসচেতনতা বাড়াতে তিনি রোড শোতে অংশ নেন এবং জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক মূলক লিফলেট বিতরণ করেন।

প্রচার অভিযানে অন্যান্যের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে: কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার, মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী জিয়াউল বাসেত, ৩৯ কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর নিলুফার ইয়াসমিন ইতি এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।


আরও খবর



চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেছেন, কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক।

কোরিয়ার ৫ম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানকার ম্যানুফ্যাকচারার, অটোমোবাইল, মোবাইল ও হোম ইলেক্ট্রনিক্স খাতে বিনিয়োগ রয়েছে কোরিয়ান কোম্পানীর। এছাড়াও বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্পে দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে কোরিয়ান কোম্পানীগুলো।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক সাথে  চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালকদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তোরণ করবে। তাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে গুণগত অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈচিত্রতা আনতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বে পোশাক শিল্পের ৭৫ শতাংশ কটনবেইজড পোশাক রপ্তানি হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ম্যান মেইড ফাইবার পোশাকের  কদর রয়েছে। বাংলাদেশে ব্লু ইকোনমি, ট্যুরিজম, এগ্রো ও ফুড প্রসেসিং সেক্টরে অনেক উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে কোরিয়ার। বর্তমানে বাংলাদেশের কোরিয়ান কোম্পানীগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানির উপর উচ্চ ট্যারিফ, ভিসা জটিলতা এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স বিলম্বজনিত সমস্যা একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। বিনিয়োগের এসব বাধাসমূহ সমাধান প্রয়োজন।

চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, বাংলাদেশের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরিপোশাক খাত আজকের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে কোরিয়ার অবদান। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নেও রয়েছে কোরিয়ার অবদান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ৮০ শতাংশ হচ্ছে কোরিয়ার বিনিয়োগ। বর্তমানে বৈশ্বিক বাজারে ম্যান মেইড ফাইবার তৈরিপোশাকের চাহিদা বাড়ছে। তাই এই সেক্টরে কোরিয়ার বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি প্রত্যাশা করছি। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্লু ইকোনমি, শিপ বিল্ডিং ও শিপিং খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে বাংলাদেশে এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য অপচয় হচ্ছে। তাই আধুনিক এগ্রো প্রসেসিং সেক্টরে প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ করতে পারে। বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে কোরিয়ার অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন মেঘনা নদী থেকে পানি সরবরাহ লাইন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড তথা চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে হবে।

চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ান ফুডের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এছাড়া কোরিয়ার কসমেটিক্স, প্রসাধন ও ফুটওয়্যারের কদর রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বাজার এবং বিদেশের চাহিদা মাথায় রেখে বাংলাদেশের কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

 এসময় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, আখতার উদ্দিন মাহমুদ ও দূতাবাসের কনসুল কিম জেয়ং কি, চট্টগ্রামে কোরিয়ান এসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট জিন হুক পিক, কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান তাইয়ং প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), বেনাজির চৌধুরী নিশান, আলমগীর পারভেজ, মাহবুবুল হক মিয়া ও মোঃ রেজাউল করিম আজাদ উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচন বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (২০২৪-২৬) মেয়াদি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট আবেদন করেন।

রিটে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণা হয় শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে। ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

নির্বাচনে সভাপতি মিশা সওদাগর মোট ভোট পান ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ডিপজল পান ২২৫ ভোট। ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুণ আক্তার (২০৯)। সহ-সভাপতি পদে ২৩১ ও ২৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয় মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়াও সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান ২৩৭, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ২৫৫, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো ২৯৬, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর ২৪৫, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ২৩৫ এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল ২৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয় ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)। কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০)।


আরও খবর



প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল বুধবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের জন্য যাচাই-বাছাই চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল বুধবার (১৫ মে) ফল প্রকাশ করা হবে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত ১৪ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি তিন বিভাগের ২২ জেলার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন চার লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলে ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হন।

গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ ২য় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ১৭ জুন ৩য় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। বর্তমানে প্রায় ৮ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে।


আরও খবর



সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বাড়িঘর, মন্দির, দোকানপাটে হামলা ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর। বুধবার (৮ মে) রাতে কয়েক দফায় কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে হামলা ও মারপিট করেছে। এতে মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত হয়েছে অন্তত দশজন।

ভুক্তভোগীরা জানান, গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটে শাহিন পরাজিত হলে ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলার মানিকহাট, সাগরকান্দি ও সাতবাড়িয়া সহ কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালায় আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা। মারপিটে গুরুত্বর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন আহমদপুর দক্ষিণচর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন খান, আলম, রানী বেগমসহ বেশ কয়েকজন। সাগরকান্দি ইউনিয়নে বীরেন্দ্রনাথ কুন্ডুর পারিবারিক মন্দিরেও ভাঙচুর করেছে হামলাকারীরা।

সাতবাড়ীয়া ভাটপাড়া এলাকার সাব্বির বলেন, আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের নির্বাচন শেষে রাতে বাড়ি এসে ভাত খাচ্ছিলাম এর মধ্যে মটর সাইকেলের সমর্থক ওহাবের লোকজন অস্ত্রসস্ত্রসহ দলবল নিয়ে আমাদের ঘর-বাড়িতে হামলা চালায় এবং ঘর বাড়ি ভাংচুর করাসহ ঘরে থাকা নগদ টাকা পয়সা স্বর্ণলঙ্কার লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা। এখন জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি।

মানিকহাট ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া এলাকার আরিফা খাতুন বলেন,  শাহীন হেরে যাওয়ায় রাতের আধারে মটর সাইকেলের সমর্থক ওহাবের লোকজন আমাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা পিঁয়াজ বিক্রির নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা।

হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শাহীনুজ্জামান। শাহীনুজ্জামান বলেন, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের নানা ঘটনা থাকলেও সার্বিকভাবে জনগণের রায়কে আমি মেনে নিয়েছি। নির্বাচন নিয়ে আমি কোন অভিযোগ করিনি। আমার প্রত্যাশা ছিলো নতুন উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে আমরা এলাকার উন্নয়নে একসাথে কাজ করবো। কিন্তু গতরাত থেকেই তারা যা শুরু করেছে তা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নৃশংসতাকেও হার মানায়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই ও দোষীদের শাস্তির দাবি করছি। একই সাথে জনগণের জান মালের নিরপত্তা দিতে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

হামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব। নেতাকর্মীদের শান্ত থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

সুজানগর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃংখলা বাহিনী সহিংসতা প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে। এলাকায় নিরপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হামলা মারপিটের ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।


আরও খবর



চাকরি হারাচ্ছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, বেতন ফেরত দিতে হবে সুদসহ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের ২৫ হাজার শিক্ষক চাকরি হারাচ্ছেন। কলকাতা হাইকোর্টের এক আদেশ অনুযায়ী ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষককে চাকরি ছাড়তে হবে। একইসঙ্গে এই সময়ে তারা যে বেতন তুলেছেন তা ১২ শতাংশ সুদসহ ফেরত দিতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের জন্য এই আদেশ বড় এক ধাক্কাই। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি দেবাংশু বাসাক ও মো. শাব্বার রশিদির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জানান, স্কুলশিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ ছিল। তারা খালি ওএমআর শিট জমা দিয়ে শিক্ষক হয়েছেন।

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুরও আদেশ দেওয়া হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ছাটাইকৃত শিক্ষকদের বেতন ফেরত দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। বেতন সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের। ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া শুধুমাত্র একজন শিক্ষককে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে। সোমা দাস নামে ওই শিক্ষিকার ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। বেঞ্চটি সিবিআইকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আরও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।


আরও খবর